“হে আমার ফাকিস্তানি প্রেমী বাংলাদেশী ভাই”
মুসলিমরা পরস্পর ভাই— আল হাদিস।
ফাকিস্তানের সঙ্গে ৪৭ এ ১৪ই আগস্ট আমরা ভাগ হয়েছিলাম মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। জিন্নার দ্বি-জাতি তত্বের ভিত্তিতে। তখন আমার মনে হয় উপরের হাদিস টি ধর্ম প্রাণ বাঙ্গালী মুসলিমদের মনে যেকে বসেছিল।
তা না হলে পশ্চিম বঙ্গের বাঙ্গালিদের বাদ দিয়ে কেমন করে ১৬০০ মাইল দুরের ফাকিস্তানের সঙ্গে আমরা পূর্ব ফাকিস্তান হয়েছিলাম।
তা যায় হোক কারণ, আমাদের এই অতি প্রিয় ধর্মের ভাইরা ৪৭-৭১ পর্যন্ত নিজ বাঙ্গালি ভাই দের কি ভাবে শাসন শোষণ করেছে, সেগুলি বলা মনে হয় নিষ্প্রয়োজন।
৭১ এ ২৫ শে মার্চ হতে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩০ লাখ মানুষ হত্যা করেছে ফাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও আমাদের দেশের কুলাঙ্গার কিছু সন্তান। এই কুলাঙ্গাররা ইসলামকে ব্যবহার করে ইসলামের নাম নিয়ে ফাকিস্তান ভাইদের সাহায্য করেছে। আর ফাকিস্তান বিরোধী যুদ্ধে অংশগ্রহণ কারি, মাতৃভূমিকে হায়েনাদের কবল হতে রক্ষ্যা কারি আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধাদের কে মুরতাদ ঘোষণা করেছিল। চিন্তা করেছেন একটিবারও।
>> জামাতি এক ……… কিছুদিন আগে বুক ফুলিয়ে বলেছিল ৭১ এ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয় নি, হইয়াছে গৃহযুদ্ধ। ভাবুন একবার বাংলাদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের কি ভাবে বিরোধিতা। যা ফাকিস্তানি …………… আজ পর্যন্ত বলেনি, যে ৭১ এ গৃহ যুদ্ধ হয়েছিল ২ অংশের মধ্যে।
কি ভাই ফাকিস্তানি প্রেমী এগুলি কি ভুলে গেলেন?
৭১ এ ১ কোটি মানুষ শরণার্থী হয়েছিল। তাদের যে কি করুন অবস্থা হয়েছিল ভারতের শরণার্থী ক্যাম্প গুলিতে। তা জানতে এবং আমাদের শরণার্থী ভাই বোনদের ভয়াবহয় চিত্র দেখতে STOP GANOSITE ডকুমেন্টারি ফ্লিম টা দেখার অনুরোধ করছি।[ লিংক টা কেও শেয়ার করলে ভাল হত, তবে গুগোল ছারস দিলেই পাবেন]
এখানেই প্রথম দেখেছিলাম জয়নুল আবেদিনের দুর্ভিক্ষের আঁকা চিত্রের বাস্তবতা [ এ আঁকা চিত্র গুলি জাতীয় যাদুঘরে জয়নুল গ্যালারিতে গিয়ে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, বিশেষ করে কুকুর এর মানুষের একত্রে ডাসবিনে খাবার খোজার চিত্র], আর আফ্রিকার সেই শিশুর ছবি। যা একজন মার্কিন সাংবাদিক তুলেছিল এক শিশু ও তাকে খাবার জন্য অপেক্ষারত শকুন এর ছবি।[ ছবিটা কেও শেয়ার করলে খুব ভাল হয়]
এখানেই প্রথম বুজেছিলাম ৭৬ এর মনান্তর পরে বাংলাদেশিদের না খেতে পাবার জন্য আফ্রিকার হাড় জিরজিরে মানুষের ছবি। যা হার হামেশা দেখি মিডিয়ার কল্যাণে।
আমি আশ্চর্য হয়েছি সবুজ শ্যামলা বাংলাদেশের মানুষ না খেতে পেয়ে আফ্রিকার মানুষে পরিণত হয়েছে, ফাকিস্তান নামক ………. কল্যাণে। STOP GANOSITE এর শিশু ও বৃদ্ধাদের দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বলেছে, ফাকিস্তানি ……….. অভিশাপ দিয়েছি মনে মনে।
৭১ এর শহীদদের গন কবর গুলি কি মনে করিয়ে দেয়না আপনাকে ফাকিস্তানি হায়েনাদের অত্যাচারের কথা। যে কোন গন কবরে গিয়ে একবার অন্তত ঘুরে আসুন
দেখুন কেমন লাগে।
শহীদ নাম না যানা মানুষের লাশের শেয়াল, কুকুর ও কাকা এর খাবার কথা। ছবি গুলি যে কোন সাইটে পাবেন। একবার অন্তত দেখে নিয়েন রে ভাই ফাকিস্তানি প্রেমী বাংলাদেশী ভাই।
৭১ এ বড় বীর বলে আমি মনে করি সেই সময় ফাকিস্তানি কুত্তাদের হাতে নির্যাতিত মা বোনদের। যারা দিনের পর দিন তাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে হয়েছে মৃত ও পরে ছাড়া পেয় আত্মহত্যাকারী বা আজও বেঁচে থাকা সেই মহীয়সী নারীদের। কারণ শহীদরা তো মরে গিয়ে বেঁচে গেছেন, বেঁচে যাওয়ারা তো বেঁচে আছেন। কিন্তু এই নারীদের কথা একবার ভাবুন। সব হারিয়ে কি অবস্থা তাদের। বেঁচে থেকেও যেন মৃত এরা।
কি ভাই ফাকিস্তানি প্রেমী এগুলি কি ভুলে গেলেন?
এও যদি যথেষ্ট না হয়, আপনার মাঝে ফাকিস্তানি প্রীতি না কমাতে পারে , তবে আপনার গ্রামের বা পাশের গ্রামের জীবন্ত ইতিহাস মুক্তি যোদ্ধাদের কাছে গিয়ে একটু কান পেতে শুনুন ৭১ এর কথা। তাদের লোমহর্ষর ফাকিস্তানি হায়েনাদের অত্যাচারের বর্ণনা।
এর পরেও যদি আপনার মনে ফাকিস্তানি প্রেম উথলে উঠে এই ভেবে যে তারা আমাদের ধর্মের ভাই। তা হলে আপনি আপনার জন্মের খোঁজ নিন,
>>৭১ এ ক্রচ হয়েছে কি না ফাকিস্তানিদের দ্বারা।<<<
এই ৪২ বছরে এসেও ……… দেশ ফাকিস্তান আমাদের কাছে চাইনি ক্ষমা। যদিও হামিদ মির[ ডনের সাংবাদিক] ও ইমরান খানের মত কিছু শুয়োর তাদের সস্তা সহানুভূতি ও ইমেজ বাড়াতে বলে—–
“ ফাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।“
কিন্তু এই পর্যন্ত দেখেছেন এরকম কোন উদ্যোগ?
মন্তব্য: কত আর মুসলিম ভাই বলে চোখে রঙ্গিন চশমা পরে ফাকিস্তান প্রেমে মগ্ন থাকবেন। বলছিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসায়ী হন। একটু দেশপ্রেমিক তো অন্তত হন। একটু ঘৃণা করতে শিখুন।
২.০৪pm ১৩-৭-১৩
https://www.facebook.com/golammaula.akas/posts/548568131877783
৫টি মন্তব্য
লীলাবতী
সহমত
খসড়া
সহমত। ওরা চাইছে একটু একটু করে এদেশকে আগ্রাসন করতে গত ৪২ বছরে আমরাই তা তৈরি করে দিয়েছি।এর মাশুলতো আমাদের দিতেই হবে।
মা মাটি দেশ
আপনার সাথে এক মত।যাই বলেন ওদের গড়ে ওঠার সুযোগ আমাদের রাজনিতীবিদরাই দিয়েছে তাই এর জন্য সমান ভাবে দায়ী সকল রাজনিতী দলই এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামিলীগও।এক সময় ক্ষনীকের তরে হলেও আওয়ামিলীগ জামাতকে ক্ষমতার তরে সাথে নিয়েছিল।ঘরের মূল ব্যাক্তি যদি সূপথে চলে বাকীরাও সূপথে চলবে।তাই সবার আগে এদেশের রাজনিতীবিদদের মধ্যে প্রকৃত দেশ প্রেম আনতে হবে।দুটো বড় দলের মাঝে জাতীয় স্বাথে` ঐক্যতা থাকলে কোন অপশক্তিই আর ঢুকতে পারবেনা এই বাংলায়।
জিসান শা ইকরাম
হুম , ঠিক আছে । সব রাজাকারের ফাঁসী চাই ।
শেষ দিকে এসে মন্তব্যে কি লিখলেন একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হয় । যেমন — বলছিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসায়ী হন।
প্রজন্ম ৭১
জামাত শিবির রাজাকার , এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়।