সিঁথির সিঁদুর – রিভিউ
লেখক—ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়
——————————
গল্পের শুরু ও শেষ শান্তি নামে মেয়ের জীবন যুদ্ধ নিয়ে।সেখানে আছে প্রেম প্রলোভন আছে ড্রামা।
চাকরির ইন্টার ভিউ দিতে কলকাতায় আসে শান্তি। আগের দিন সন্ধ্যায় মামাতো দাদা( অমলের) ভাড়া বাড়িতে উঠার জন্য ঠিকানা মত পৌঁছে যায় সে। যদিও সেই খুকী বয়সে একবার দেখেছিল ও অমল দা কে। তার পর আর দেখা হয়নি ওদের সঙ্গে অমল দার। মাঝে মাঝে মাসীকে দু একটা চিঠি দিয়ে কুশল জিঙ্গেস এই।মাস খানেক আগের লিখা ঠিকানা মত বাড়ির নাম্বার মিলিয়ে ঘরের উপরে অমল দার নেম-প্লেট দেখে খোলা দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখে কোনার দিকে ক্যানভাসে এক মনে ছবি আঁকা যুবক।
তাকে নিজের দাদা মনে করে সেখানেই রাত্রি যাপন করে শান্তি। কিন্তু সকালে যুবকের মুখে আসল ঘটনা জানতে পারে। সে তার দাদা না।
ইন্টার্ভিউ দিতে এসে দেখে আর একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই পদ। চোখে অন্ধকার দেখে শান্তি। বাড়ি ফিরে যাবার পথ নেই। তার রোজগারের উপর নির্ভর করছে বিধবা মা আর ছোট ভাই বনদের মুখের আহার।
চোখ ভরা জ্বল দেখে প্রধান শিক্ষিকা শান্তিকে একটা বাড়ির গভর্নেসের চাকরি জুটিয়ে দেয়। কিন্তু সেখানে সেই বাড়িতে শর্ত মত সে নিজেকে পরিচয় দেয় বিবাহিত বলে। আর স্বামী বেকার কাজ করেনা বলে চালিয়ে দেয় শান্তি। তাই কাজটা তার চাইই চাই।
সেবা যত্নে বাড়ির কর্তা আর কর্তির অতি প্রিয় মানুষে পরিণত হয় শান্তি। তাদের ভুলিয়ে দেয় কিছুদিন আগে মৃত মেয়ের শোক। নিজেদের মেয়ের মত ভালবাসতে থাকে তাঁরা শান্তিকে।
এদিকে বাড়ির কর্তি শান্তিকে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পাঠায়, শান্তিও মুখবুজে বাড়ির বাহিরে এসে সেই অমল দার ঘরে দেখা যুবকের সঙ্গে দেখা করে। এই ভাবে ভাল লাগা প্রেম হয় দুজনের।
কিন্তু একদা শান্তিকে সিঁদুর পরা অবস্থায় মন্দিরে দেখে ফেলে শিল্পী রুপি সেখর। মনের দুঃখে সেইখান হতে দূরে চলে যায় সে।
এ দিকে কোন এক ঘটনায় বাড়ির কর্তা শান্তির স্বামীকে দেখা করতে চায়। বেদনা হত শান্তি যানায় তার স্বামী পালিয়েছে। এতে ক্ষেপে যায় কর্তা। তার স্বামীর ছবি দিতে বলে।
ছবি দেখে কর্তা আর কর্তির হাটফেল অবস্থা। এ যে তাদের একমাত্র ছেলে শেখর। যে কর্তার সঙ্গে রাগ করে বাড়ি ছেড়েছে। জীবনে প্রতিষ্ঠা না হয়ে বাপকে মুখ দেখাবে না।
———— চরম একটা মেলোডি টান টান উত্তেজনা——–
তার পর কি হল জানতে পড়তে হবি বই।
৬টি মন্তব্য
মামুন
খুব অল্প বয়সে এই লেখকের ‘মধুরাতি’ বইটি পড়েছিলাম। সেই থেকে শুরু।
অনেক ধন্যবাদ এই বুক রিভিউটির জন্য।
আপনি কি গোলাম মাওলা নঈম, ভাইয়া? -{@
জি.মাওলা
পড়ে দেখেন , না
মরুভূমির জলদস্যু
বাংলা ছবির মত নাটকিয়তায় ভরপুর মনে হচ্ছে।
জি.মাওলা
হা , ধন্যবাদ …
নওশিন মিশু
আমার মায়ের প্রিয় লেখক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়। এই বইটি এখনো পড়া হয়নি তবে পড়বো ।
ধন্যবাদ ….. 🙂
জি.মাওলা
ধন্যবাদ …