
“বৃষ্টির জলের দাগ মুছে গেছে একদিন সকালের রোদে।” রুদ্র।
চকিতে দেখতে পাবে/শুনতে ও পাবে
নিস্তব্ধতার তীব্র দীর্ঘ নিঃশ্বাস,
প্রখর রৌদ্র-চঞ্চলতার শেষহীন ব্যাকুলতা
অচঞ্চল ফসলের মাঠ জুড়ে,
মৌন হৃদপিণ্ডের শেষ আক্ষেপে;
ইঁদুর এখন নিয়ে যাচ্ছে/নিয়ে নিচ্ছে
বুক জুড়ে মুড়ে রাখা/থাকা সোনা সোনা ফসল;
ছিল না এখানে কোন উদ্ধত যমদূত,
নীরবে নিরবধি কাল বয়ে যাওয়া
বাঁক-হীন একটি নদী ছিল,
ছিল, নীল-নির্জন সফেদ সমুদ্রের বালিয়াড়ি,
দিগন্ত প্লাবিত স্নিগ্ধ আবেগের তপ্ত ভালোবাসা;
কিন্তু আজ শুধুই নির্মম রৌদ্রের আসা-যাওয়া,
সারা মাঠ জুড়ে আলোড়িত অগ্নিরেখা;
নিস্তরঙ্গ কাল-স্রোতের উৎকণ্ঠিত হেমন্তে।
৩৬টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
হেমন্তের বিষণ্ন রূপ।
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক বলেছেন।
প্রথমের জন্য ধন্যবাদ।
এস.জেড বাবু
আরজু মুক্তা আপুর মতো আমিও বলবো- ছিলো যা ভালোই ছিলো।
কিন্তু আজ-
“হেমন্তের মন ভালো নেই”
শেষ তিনটি লাইন কি তাই বলে না !!
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা হ্যা, শেষ তিন লাইনে এসে তাই-ই বলে, আপনি যা যেমন করে ভেবেছেন।
হেমন্তের মন ভাল নেই আজ।
এস.জেড বাবু
শীতের পর বসন্তের অপেক্ষায় থাকবো-
কোকিল আসুক আপনার লিখায়।
ছাইরাছ হেলাল
আগে শীতকে আসতে দিন, তারপর অবশ্যই বসন্ত আসবে স্বমহিমায়।
কামাল উদ্দিন
কবিতা কম বুঝা পাবলিক আমি, শুভ কামনা সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
এই তো চাই, এমন স্পষ্ট কথন।
আমিও প্রায়-ই আপনার মতন, কম বুঝতে পারা পাবলিক।
ভাল থাকবেন সারাক্ষণ।
কামাল উদ্দিন
ভয়াল কিভাবে থাকতে হয় হেলাল ভাই 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক করে দিয়েছি, ভুলে লিখেছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, দেখিয়ে দেয়ার জন্য।
সঞ্জয় মালাকার
দাদা চমৎকার হেমন্ত উৎকণ্ঠিত
খুব ভালো লাগলো পরে, যদিও হেমন্তের মন ভালো নেই।
ছাইরাছ হেলাল
সব সময় কী মন ভালো থাকে!
আজ হেমন্তের মন ভাল নেই।
সঞ্জয় মালাকার
তা অবশ্যই ঠিক বলেছে, সব সময় মন ভালো থাকেনা চিরন্তন সত্য, ধন্যবাদ দাদা শ্রদ্ধা ওভালোবাসা নিবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও ভাল থাকবেন।
সুরাইয়া পারভিন
এ তো ভারী অন্যায়
কখনো বৃষ্টিকে বাঁশ
কখনো রৌদ্দুর কে
প্রকৃতি তার খেয়াল খুশি মতো চলছে
কবিও তার খেয়াল খুশি মতো বাঁশ দিচ্ছে
বাহ্ দারুণ,,,👏👏
ওহে কবি চমৎকার লিখেছেন
ছাইরাছ হেলাল
আসলে আপনি ঠিক-ই ধরেছেন,
মন যখন যেমন চায়, তাই তো লিখি, লিখতে চেষ্টা করি।
সব সময় পড়ছেন দেখে আনন্দিত হচ্ছি, ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
ইঁদুর এখন নিয়ে যাচ্ছে/ নিয়ে নিচ্ছে বুক জুড়ে মুড়ে রাখা /থাকা সোনা সোনা ফসল;”
বিরহী হেমন্ত কাঁদছে যেন কড়কড়া রোদের আঁচে।
ছাইরাছ হেলাল
বিরহ নদীতে ভেসে যাছে হেমন্ত, বিষণ্ন সে এ বেলায়।
পড়ছেন দেখা ভালো লাগল।
তৌহিদ
আপনার লেখার হেমন্তের আগমনী রুপ দেখেছি, হেমন্ত বন্দনা দেখেছি আর এখন হেমন্ত হাহাকার দেখলাম পড়লাম। আরো কত কিছু দেখাবেন আমাদের ভাইজান?
এই না হলে কবি!!
ছাইরাছ হেলাল
এ গুলো কি পরিকল্পনা করে হয়!
পরের লেখায় অন্য রূপ পাবেন।
এইইইইইইইইইই আপনি কবি কইলেন কারে! আজিব!
তৌহিদ
কবি রাজ কে কবি বলবো নাতো কি বলবো?? ☺☺
তৌহিদ
কবিতার রাজ্যে রাজত্ব করে যে – কবিরাজ!!
বুঝলেন?
ছাইরাছ হেলাল
ভয় দেখাচ্ছেন কেন!
আমি ডরাইলে কিন্তু ভাবীর কাছে আন্নের নামে নালিশ দিমু!
ছাইরাছ হেলাল
আগে কবিতা তো লিখি, তারপর না হয় যা খুশি বলবেন!
একটু দুয়া খায়ের করেন আমার জন্য!
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সুন্দর প্রকাশ! ভালো লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মাছুম হাবিবী
ভাই আপনার লেখার শব্দ গুলো আমার এত ভালো লাগে কেন? কোথা থেকে আসে এমন শব্দ
ছাইরাছ হেলাল
সব শব্দ কিন্তু নকল!
সাবধানে ভাল লাগাতে হবে কিন্তু।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনন্য অর্ণব
নীরবে নিরবধি কাল বয়ে যাওয়া
বাঁক-হীন একটি নদী ছিল,
ছিল, নীল-নির্জন সফেদ সমুদ্রের বালিয়াড়ি,
দিগন্ত প্লাবিত স্নিগ্ধ আবেগের তপ্ত ভালোবাসা;
ওয়াও…. চিত্তাকর্ষক কথার মালা বুনে বসে আছেন যে। ভালো লাগছে ভীষণ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কবি,
তাই সব কিছুতেই সৌন্দর্য খুঁজে পান।
নিয়মিত সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
রুমন আশরাফ
“কিন্তু আজ শুধুই নির্মম রৌদ্রের আসা-যাওয়া,
সারা মাঠ জুড়ে আলোড়িত অগ্নিরেখা;
নিস্তরঙ্গ কাল-স্রোতের উৎকণ্ঠিত হেমন্তে।”
বাহ চমৎকার লেখা। ভাল লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সিকদার সাদ রহমান
ভাই, হেমন্ত আপনার কাছে বিষাদ কেনো? কেউ কি পিঠা মিঠা খাওয়ার দাওয়াত দেয় নাই?
ছাইরাছ হেলাল
সময়ে বিষাদ সময়ে আনন্দ,
পরের লেখাটি পড়লেই বুঝবেন দাওয়াত দেয় কী না!
সিকদার সাদ রহমান
আচ্ছা অপেখায় রইলাম
ছাইরাছ হেলাল
https://sonelablog.com/%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%81%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87/
এ লেখাটির কথা বলছি, পড়ে দেখতে পারেন।