শিশিরের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়,
না, ছিল না সেথায় শব্দসুখ অকথ্যতার অশ্রাব্যতায় ;
সহসা জেগে ওঠে সবুজ পাতারা সুদীর্ঘ নীরব নীরবতার আড়াল ঠেলে
নিঃশব্দ নিস্তব্ধতার গভীর রাতে ব্যাপ্তির শেষ প্রহরে;
নাহ, কেউ নেই জেগে, হুতুম পেঁচার জ্বলজ্বলে চোখ! সেও নিভেছে সেই কখন!
নাম নাজানা পাখি তাও ডেকে ওঠে না, ডেকে যায় ডাহুক ক্ষণে ক্ষণে, ক্বচিৎ;
পাতারা জেগে আছে স্বপ্নসূর্য গায়ে মাখবে বলে,
যান্ত্রিকতার ভীরে, স্বেদ-মুক্তা হাসি-কান্নার কোলাহলে
নিরাল আড়ালে,
২৭টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতাটি পড়ার পর অনুভব করছি নিঃশব্দ এক অনুভূতি।
ভালো লাগা কবিতায়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত বোধ করছি,
নিঃশব্দতা কিন্তু মন্দ নয়, অনেক সময় অতি প্রয়োজনীয়ও!
ইলিয়াস মাসুদ
আপনার ছোট লেখা হলেও আমি পড়ি খুব নিরিবিরি সময় নিয়ে,মনে হয় পড়লেই বুঝি শেষ হয়ে যাবে,প্রতিটা শব্দ যেন নরম তুলোর মত অলতো হয়ে মনে মেখে থাকে…….
খুব ভাল লাগা রইল ভাইয়া -{@
ছাইরাছ হেলাল
এত সুন্দর মন্তব্যে প্রশংসা শুনতে কার না ভাল লাগে।
তবে দেখবেন বেশি বেশি যেন না হয়ে যায়।
অবশ্যই ধন্যবাদ।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
অসাধারণ হয়েছে
(y) (y)
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিলাম।
নাসির সারওয়ার
কি সব লেখে!
আগা নাই মাথা নাই, যান্ত্রিকতার ভীরে আবার আড়াল থাকে কোথায়!
সকাল তো মাটি, এখন ভাবছি দিনটা কেমন যায়।
ছাইরাছ হেলাল
এ সব লেখা সবার জন্য না,
সক্কাল বেলা এই লেখার কাছে!! মোটেই ঠিক কাজ হয়নি।
হাজারও যান্ত্রিকতার ভীরে আড়াল থাকে, আর তা আমাদের লাগেও।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
(y) -{@
ছাইরাছ হেলাল
কিছু একটু লিখতে হবে কষ্ট করে।
এটি কিন্তু ফেসবুক না, ভাই।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
তাইতো ,, আমিতো মনে করছিলাম আমি ফেসবুক এ ই আছি হা হা হা হা ,, ওকে ঠিক আছে লেখবো। খুব দারুন হইছে
শুন্য শুন্যালয়
শিশিরের শব্দেই ঘুম ভেঙ্গে যায়? শিশিরতো মনে হচ্ছে এলার্ম ক্লোক, ভোর দেখবার জন্য মাইন্ড সেট করেছে যেটা। এটা যে ভোর দেখার ইচ্ছের লেখা তা কিন্তু বুঝতে পেরেছি। ডাহুক বুঝি পাখি না!! নিরবতার আড়াল ঠেলে আবার কিনা নিরাল আড়ালে গিয়েই লুকিয়ে আছে স্বপ্নসূর্য্য গায়ে মাখবে বলে?? ও কবি ভাই আরেকটু ঘুমান। ঝাঁঝালো রোদ্দুরে সবুজ পাতার খুব বেশি ক্ষতি হবেনা। হাসি-কান্না দুই-ই চলুক ৫০/৫০। লেখা ছাইরাছ ভাই ইউনিকই হয়েছে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন শিশিরের সাথে ভাব-মহব্বত কিন্তু পুরনো,
আগে কোথায় বলেছি মনে নেই, আবারও একটু মনে করিয়ে দিতে চাই।
শিশির সকালসূর্য গায়ে মেখে ঝলমল করছে, তা দেখে ভোর শিশির কে বলছে—
জ্বলজ্বল করে হাসছো যে বড়,
জানোনা বুঝি!
শিশির উত্তর দেয় কটাক্ষ হেনে!
জ্বী, ডাহুক অবশ্যই পাখি, তবে একটু বেশিই পাখি!
ঝাঁঝাল রদ্দুরে সমস্যা না হবার নিশ্চয়তা যখন দিচ্ছেন তখন নাকে তেলের
ব্যাবস্থা করাই শ্রেয়,
হাসি-কান্না আপনার অনুমতির ক্রমানুযায়ী চালু থাকবে।
ইউনিক তো শুধুই মুখেই বলেন,
প্রিয়তো নট নড়নচড়ন।
মিষ্টি জিন
‘শিশিরের শব্দে ঘুম ভেংগে যায়’ লাইনটা অসাধারন । মনে হচ্ছে আমিও টুপটাপ শিশির পডার শব্দ শুনতে পাচছি।
ভাল লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
প্রথম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করলে আপনি অবশ্যই শুনতে পারবেন।
ব্লগার সজীব
রাত্রি জাগা ভাল না 🙂
ছাইরাছ হেলাল
খুব ই দামি কথা!
এরই মধ্যে জেনে গেলেন!
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্নসূর্য গায়ে মেখে ভোর আসুক তাহলে,
নাকি এসে গিয়েছে?
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত সহজ না,
এলে মন্দ হতো না।
আবু খায়ের আনিছ
শিশিরের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে নাকি? আমার ত ভাঙ্গে না, আমার ঘুম ভাঙ্গে কাক অথবা যান্ত্রিক কোন শব্দে।
ছাইরাছ হেলাল
কাকযন্ত্র বাদ দিলে শিশিরের শব্দই শব্দ।
আবু খায়ের আনিছ
গ্রামে বসে তাহলে বেশ ভালোই আছেন। যান্ত্রিক এই জীবন, বিষাধে ভরিয়ে দিচ্ছে।
ছাইরাছ হেলাল
গ্রাম কই! জেলা শহরের হৃদপিণ্ডের মধ্যে আছি,
তবুও শিশিরের ব্যবস্থা আছে,
মৌনতা রিতু
আমার দৃষ্টির সীমানা থেকে এই লেখাটা ও নীরবে পালাতে চেয়েছিল ! কিন্তু ধরে ফেলেছি 🙂
হঠাৎ কোনো এক ক্ষণে ঘুম ভেঙে দেখি কুয়াশার বুকে চাঁদের ঝিলিক। জোনাকি বলল, এসো ছুটি। আমি বললাম, ” চলো পাখিদের ডাকি” রাতের নিরবতা ভাঙতে জোনাকির আপত্তি। হঠাৎ এলো ঝিঁঝিঁপোকা। সব নিরবতা ভেঙ্গে।
ছাইরাছ হেলাল
লেখা পালাবে এমন সাধ্য লেখাদের নেই, ভেবেছি পড়ার চাপে দৃষ্টি বিভ্রম হয়েছে,
ঝিঁঝিঁপোকার গুঞ্জন আমাদের নিরবতা ভেঙ্গে আরও কোন নিরবতার কথাই মনে করিয়ে দেয়।
মনে করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
কিছু নিরবতার কথা মনে না করিয়ে দেওয়াই ভাল। মৌন কতা মৌন থাক।
ছাইরাছ হেলাল
জ্বী, মৌনী হলাম।