
কত #স্বপ্ন ই তো দেখি! কখনও সাদা মেঘের গা ঘেঁসে হাঁটতে গিয়ে, মেঘ আঁকড়ে ধরতে ধরতে পরে যাই। আবার কখনও জমাট বরফের উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে, বরফ ভেঙ্গে গভীর জলে ডুবে যাই। এর চেয়ে আর কিইবা ভালো আশা করা যায় এমন সময়ে! এই সাদা মেঘ আর পাতলা বরফই তো আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা চলছে। যে কোন সময় হতে পারে পরিসমাপ্তি!
অল্পসময় হলেও, সোনেলা আমার প্রিয় অঙ্গন। সোনেলার জন্য স্বপ্ন তো আর এসব চলে না। অবশ্যই আনকমন কোন স্বপ্ন দরকার। উর্বশী আপুর অসাধারণ স্বপ্নে কোলকাতা ঘুরে এসে মাথা পুরাই আউলা। মানুষ ক্যামনে এত সুন্দর স্বপ্ন দেখে! আমি তো অসম্ভব! সাহায্যের জন্য রেজওয়ানা দিপ্তিকে ফোন দিলাম
– বোন, একটু বুদ্ধি দে, কি লিখব?
– মহা ঝাড়ি! তোমার লোভ বেশি বুঝলে? তুমি কি সাবিনা ইয়াসমিন? লিখতে পারেনা ফারেনা লেখক/ ব্লগার হবে? এখন সামলাও ঠ্যালা। লেজকাটা শেয়াল একটা, আমাকেও তো ফাঁসিয়েছ? ভাগ্যিস আমার লেখা চলছে। তুমি তোমারটা সামলাও, আমাকে ফোন দিবানা। আমি ‘আবেগ আর মনের অলিগলি‘ লেখা নিয়ে ব্যস্ত।
বিপদে কেউ পাশে থাকে না এটাই নিয়ম! স্বপ্নে কি লিখব, এই টেনশানে কতদিন ভালো ঘুমাইনা। প্রিয় কফির মগ সামনে রেখে ফোলা চোখে বসে আছি। মা দুবার সুরা জ্বীন পড়ে ফুঁ দিয়ে গেলেন। জ্বীনের আঁচড়ে নাকি এমন হয়।
তারপর আমাদের আমেনা বু কাজে এল। আমার অবস্থা দেখে আহা! আহা! করে উঠল।
– “কি হইছে বুবু? চোখ নাল,ফোলা? রাইতোত ঘুমান নাই? না আম্মা মারছে! এই আম্মাও এলাও মাইনসে মারে।”
বুকের ভেতরটা হুহু করে উঠলো। কেউ একজন অন্তত মনের কষ্টটা বুঝল। তো আমেনা বুয়াকেই খুলে বললাম। সব শুনেটুনে সে বলল ,
– “এটা কোন ব্যাপার হইল। হাতের কাম খালি শ্যাশ করবের দেও। তারপর ফকিরপাড়া থাকি এলা পানি পড়া আনি দেইম । খাইলে সে-ই-ই নিন্দ আসপে।স্বপন আর না আসি যায় কোটে। খালি একশটা টাকা দেও।”
যাক একটু স্বস্তি পাওয়া গেল। পীর ফকির এই প্রথম বিপদে বিশ্বাস করলাম। একশ টাকায় সোনেলার জন্য স্বপ্ন, একি চাট্টিখানি কথা?
শিলা আহমেদ ভার্সিটিতে আমার সিনিয়র ছিলেন। একসময় খুব যাওয়া আসা ছিল। হুমায়ূন আহমেদ আঙ্কেল আমাকে বেশ পছন্দ করতেন। কবিতা শোনালে একগাদা বই দিয়ে বলতেন,
– সুন্দর কিন্তু পড়ো। বলতেন কত কথা!
” বুঝলে রুকু,কবি সাহিত্যিকরা পৃথিবীর সেরা মানুষ। এঁনারা না থাকলে পৃথিবীর মানুষ প্রেম-ভালোবাসা ,আদর -সোহাগ ,মায়া-মমতা ,ত্যাগ-বিসর্জন এসব সম্পর্কে জানতই না। পৃথিবী কবে বসবাসের অযোগ্য হয়ে ধ্বংসযজ্ঞে পরিনত হয়ে যেত।”
আমরা বেড়াতে যাব সেই হুমায়ূন আঙ্কেলের নুহাশপল্লীতে। আমি শিলার সাথে কথা বলে নিয়েছি। সেও ভীষন খুশী। বিকেলের মধ্যেই আমরা পৌঁছে গেলাম। শিলা হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আমাদের বরন করতে। নুহাশ সবাইকে একটা করে প্যাকেট দিচ্ছে, সাথে হলুদ গোলাপ। আজ আমরা সবাই নীল শাড়ি আর হলুদ পাঞ্জাবীতে রুপা আর হিমু সেজেছি। চোখ ঝলসে যাবার মত সৌন্দর্য সবার।
প্রথমে আমরা নুহাশপল্লী ঘুরে দেখব। তারপর নুহাশপল্লীর স্পেশাল কাওয়ালীর আয়োজন, শেষে খাবার।
মানুষ কতটা প্রকৃতিপ্রেমী হলে এমন সৃষ্টি করতে পারে। কোথাও এতটুকু ফাঁক ফোকর নেই। মৎস্য কন্যা সংযুক্ত দীঘি লীলাবতীতে আকাশের একথালা চাঁদখানা উঠলে ঝাঁপিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে। কবর তাতে খোদাই করা কবিতা ।বসার জন্য বড় বড় গাছের তলাগুলো বাঁধানো, ঝকঝকে। ছোট ছোট টিনের ঘর, বাহারী ফুলগুলো ফুটে আছে। সবুজের কি অপার সমারোহ। আফসোস! কেউ সবুজের সমারোহ তৈরি করে আর কেউ ধ্বংস করে।
আমরা সবাই যে যার মত হাঁটছি, নীরব চুপচাপ! কিন্তু সবার চোখ কেমন ছলছল করছে। একি প্রকৃতি প্রেম? নাকি সবুজের কাছে হেরে যাওয়া। মানুষ সবুজের কাছাকাছি এলে একাকার হয়ে মিশে যেতে চায়। নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে।
“যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো, চলে এসো, এক বরষায়।”
আমি হাঁটতে হাঁটতে বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে কখন উঁচু টিলার উপরে উঠে এসেছি বলতেই পারিনা। একা, ভেতরে কেমন শুন্যতা অনুভূত হচ্ছে। মাথা ঘুরছে, চোখে ঝাপসা দেখছি। মনে হচ্ছে ডুবে যাচ্ছি কোথাও, কোন এক অচেনা জগতে। এ কি হেলুসিনেশন নাকি অধিক উচ্চতায় এমন হয়? কেউ একজন আমার নাম ধরে ডাকছেন! ঝাপসা চোখে দেখছি তাঁকে। চশমা পড়া, মাথায় ছোট ছোট চুল।
– রুকু এই রুকু? খুব চিন্তিত?
– হুম। আপনি ভালো আছেন?
– বলোনা ভালো কি থাকা যায় ? দেখছি তোমরা কত ঝামেলায় আছ। পৃথিবী জুড়ে করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবা। তারপরও মানুষ কি বদলেছে? খারাপ মানুষরা খারাপই থেকে যাচ্ছে বরং আরও বেড়ে চরম আকার ধারণ করছে। বৃদ্ধা, শিশু, গৃহবধু কেউ নৃশংসতার হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না। মহামারীর চেয়েও ভয়ংকর আকার ধারণ করছে।
– হুম! কি হবে বলেন তো!
– কি আর হবে কর্মফল তো ভোগ করতেই হবে। তাছাড়া পৃথিবীরও বয়স হয়েছে বুঝলে? বেশিদিন স্থায়ী হবেনা হয়ত! তারমধ্যে কিছু একটা তো হবেই।
– কি হবে বা হতে পারে?
– প্রকৃতির এত দয়া, এত কিছু দিয়েছে আমাদের কল্যাণে আমরা কি করছি বন কেটে আগুন ধরিয়ে বন্যপ্রাণী মেরে সব উজার করে ফেলছি। প্রকৃতিও তার আশির্বাদ গুলোকে অভিশাপ বানিয়ে ফেলেছে। নারীরা হল সৃষ্টির মহান আশির্বাদ। সুশীতল ছায়ায় বাড়িয়ে তুলছে সৃষ্টির অবয়ব শিল্পীর রংতুলিতে অথচ তাঁদের অসহায় বানিয়ে ধংসের পায়তারায় শত্রুদল মেতে উঠেছে। তবে ভেবনা অসভ্যরা সবসময় ধ্বংসই চায়। আদতে তারাই শেষ হয়ে যায়। কারন মঙ্গল অবিনশ্বর।
– তারপর!
– কয়েক হাজার বছর আগে এ রকম অত্যাচারী এক শ্রেণীকে সুউচ্চ দেয়াল তুলে তার ভেতরে আটকে রাখা হয়েছিল। কারন তারা এতই অন্যায়ের উলঙ্গ নৃত্যে মেতে উঠেছিল যে, থামানোর এ ছাড়া কোন উপায় ছিল না। তারা সেখানেও কিন্তু থেমে নেই। প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাচ্ছে বের হবার। সারারাত ধরে দেয়াল চেটে চেটে পাতলা করে ফেলছে। এই বের হবে হবে! এসময় কোন এক রহমতের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হওয়ার সাথে সাথেই দেয়াল আগের মত হয়ে যাচ্ছে। আর তারা বের হতে পারছে না। তবে একদিন কিন্ত এরা সফল হবেই!
– কেমন করে?
– সেদিন পৃথিবীর বুকে কোন মহৎ উদ্দেশ্য প্রেমী মানুষ থাকবে না। সমস্ত সৌন্দর্য বিকৃত থাবার আঘাতে নষ্ট হয়ে যাবে। আর পৃথিবী সুমধুর ধ্বনিতেও মুখরিত হবে না।
– তারপর!
– বিজ্ঞানীদের এত এত গবেষনা সে সব কি আর বিফলে যাবে। তাঁরাও অবশ্যই কোনএকদিন সফল হবেন। পৃথিবীর মত একটি গ্রহ আবিষ্কার করে ফেলবেন। আর সে পৃথিবী শুধুই ভালো মানুষের বসবাসের জন্য। আর এক ঝটকায় পৃথিবীর সব ভালো মানুষের সেখানে স্হানানতর হবে।
– তারপর?
– সুউচ্চ দেয়াল ভেঙ্গে বহুবছর আগের সেই জালিমরা বেড়িয়ে আসবে। পৃথিবীর খারাপ লোকরা তাদের সাথে তুমুল দন্দ-কলহ, মারামারিসহ এখনকার চেয়ে দশগুণ অপকর্মে লিপ্ত হবে। একসময় পৃথিবীতে খুবই ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করবে। বিগ ব্যাং থেকে যেমন পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল। আবার তেমনি বিকট শব্দে পৃথিবী ধংস হয়ে যাবে।
– তারপর!
– সেই স্হানান্তরিত নতুন পৃথিবীতে ভালো মানুষরা নতুন করে বসবাস শুরু করবে সুখে শান্তিতে। কারন তাঁদের কোন লোভ-লালসা, কামনা-বাসনা থাকবেনা। থাকবে শুধু ত্যাগ, প্রেম, ভালোবাসা।
– বাহ্ দারুন! কেমন শান্তি অনুভূত হচ্ছে আপনার কথাগুলো শুনে। কিন্তু ভালো খারাপ চিন্হিত হবে কিভাবে?
– খারাপদের কপালে কালো দাগ থাকবে। এবার খুশী তো?
-ওহ্, ভীষন! ভীষন! ভীষন খুশী।
-তো, যাও সবার সাথে আনন্দ কর গিয়ে।
– ধন্যবাদ। কি যে ভালো লাগলো।
হঠাৎ শরীরে কেমন ঝাঁকুনি হচ্ছে। এই আপু এখানে শুয়ে কি কর? আর বিড়বিড় করে বলছটা কি ?
সম্বিত ফিরে পেলাম। দিপ্তী ডাকছে।
– চল,সব শেষ হয়ে গেল। ইশ্ কাওয়ালী শুরু হবে। আজকের শেষ কাওয়ালী গাইবে কে বল দেখি?
– জানিনা।
– খাবারও খাইনি। দুর তোমাকে নিয়ে যত জ্বালা। না খেতে পারলে সারা পথ ক্যাটর ক্যাটর করতে করতে যাবা।
দৌড়! দৌড়! দৌড়!
স্টেজে সতের আঠার বছরের একটা মেয়ে কাওয়ালী গাইছে। এতদিনে বুঝলাম, কচু গাছে রাতে পানি দেয় কেন ? সৌন্দর্য নষ্ট হবার ভয়ে! আল্লাহ কিছু মানুষ সৃষ্টিতে অনেক সময় নিয়েছেন। এমন নিখুঁত সুন্দর মানুষ দেখলে আমার শুধু তাই মনে হয়।
বন্যা আপু হুঙ্কার দিচ্ছেন। ওরে বাবা! খেতে ডাকছেন। রাগী মানুষরা ভীষন ভালো হয়। যা বলে সামনে কিন্তু মন ফকফকা। পেটে পেটে না।
উমম! খাবারের গন্ধ পাচ্ছি। আমার জীবে পানি এসে গেল। আজ একশ কেজি পুর্ণ করে তবেই বাড়ি ফিরব। শুরুত করে খাসির নলি টানলাম।
ও মোর আল্লাহ এতক্ষন ঘুমাচ্ছিলাম? কোথায় খাবার দাবার, কোথায় খাসির নলি। গালের একপাশ বেয়ে কি যেন পড়ছিল তাই টেনে খেয়েছি। হোক নিজেরই তো! একটু আধটু খাওয়াই যায়।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্হ থাকুন। সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখুন। অনেক অনেক ভালোবাসা রইল। শুভ রাত্রি।
৫৩টি মন্তব্য
রেজওয়ানা কবির
প্রথম হয়ে নিলাম। আবার আসছি একটুপর❤❤❤
রোকসানা খন্দকার রুকু
এই ,আমি যে লালটা দেয়া শিখিনি। কাল শিখিয়ে দিও। কালকেই লালটা দিব আজ অনেক ভালোবাসা নিও।
খাদিজাতুল কুবরা
(ও রুকু আপু ফাটিয়ে দিয়েছো তো!) এভাবে বলতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু এটা সোনেলা ব্লগ কপিশপ না এখানে লেয়াজু মেইনটেইন করতে হবে।
না আমি একদম ভদ্র ব্লগার সুন্দর করেই লিখবো __
পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করিলাম __
বাব্বা আপনার দম আছে বলতে হবে একেবারে নুহাশ পল্লী! আপনি কেমনে জানলেন নুহাশপল্লীতে যাওয়ার আমার কতোদিনের আশা। দার্শনিক স্বপ্নটা কিন্তু দারুণ ছিলো।কথাগুলো হুমায়ুন স্যার বলছিলেন তাই না! তিনিই হবেন এমন সুন্দর করে আর কে বলতে পারে!
উফ! যদি সত্যি এমন হতো কপালে দাগ দেখেই ভালো খারাপ চেনা যেতো।
পড়তে পড়তে সত্যি নুহাশপল্লী ঘুরে এলাম। সাবিনা আপুর কচু গাছ কতোবড় হয়েছে জানতে পারলে কচুশাকের নতুন রেসিপি নিয়ে ভাবা যেতো। বন্যা আপু সবাইকে খেতে ডাকলো আমি কেন শুনতে পেলাম না।
আমার খাওয়ার লোভের কথা কে না জানে!
এই দুঃসময়ে কিছুক্ষণ স্বপ্নের পৃথিবীতে ঘুরে এসে খুব ভালো লাগলো।
এমন সুন্দর লেখায় যা-ই বলি কম হবে।
অনেক ভালোবাসা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
(আল্লাহর নামে আমিও বলি, ওয়েট করছিলাম তোমার।
আমি তো সবসময় এমন মুডেই থাকি কিন্তু বলা যায় না।)
আমরা সবাই যে যার মত হাঁটছি ওখানে তো আপনিও আছেন। আবার যাব একসাথে ঘুরতে অবশ্যই।
অনুপ্রেরণা মন্তব্য পেয়ে রাতের ঘুমটা ভালো হবে। অনেক অনেক ভালোবাসা।
শুভ কামনা। শুভ রাত্রি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সাবিনা আপু কচু গাছে রাতে পানি দেয় নাকি? আমি কিন্তু একবারও বলিনি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
রুবী আপু সোনেলা ব্লগে কয়েকজন সুপাঠক আছেন। আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। আমি নিজের নামটাও বলতে চাই। আমি কোন কোন লেখা এত ভালো লাগে কিংবা বুঝতে না পারলে বেশ কয়েকবার করে পড়ি। সুপাঠক হয়ে থাকুন আর অসাধারণ সব মন্তব্য করুন। আমরা একে অপরের প্রেরণা হই।
অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো আপু। ভালো থাকবেন।
খাদিজাতুল কুবরা
অবশ্যই আপু আমরা পরস্পর ভালো বন্ধু হতে পারি।
আর বন্ধু মানেই খোলা আকাশ। যেখানে ডানা মেলা যায়।
অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা রইলো প্রিয়।
রেজওয়ানা কবির
স্বপ্নে যে নতুন পৃথিবী দেখালে যেখানে শুধু ভালো মানুষ থাকবে,প্রেম,ভালোবাসা থাকবে।ইশ সত্যি যদি এমন পৃথিবী পেতাম তবে সেই পৃথিবীতে ভয় ছাড়াই সাদা মেঘের উপর গা ভাসিয়ে বেড়াতাম।কাল আবার আসব মন্তব্য নিয়ে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ইনশাআল্লাহ আশা করা যায়॥একদিন অবশ্যই সুদিন আসবেই। শুভ কামনা রইলো আপুনি। শুভ রাত্রি।
ছাইরাছ হেলাল
আর যাই হোক নুহাশ পল্লী ঘুরতে পেরেছি সেটাই অনেক।
“কোথায় খাবার দাবার, কোথায় খাসির নলি। গালের একপাশ বেয়ে কি যেন পড়ছিল তাই টেনে খেয়েছি। হোক নিজেরই তো! একটু আধটু খাওয়াই যায়।”
নিয়মিত খাবেন তাহলে আরও ভাল গল্প বের হয়ে আসবে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হা হা হা হা। জী ভাইয়া পরামর্শ শিরোধার্য।
তবে বলি কি , খায় কিন্তু সবাই আমি সাহসী বলেই স্বীকার গেলাম আর কি? বাকিরা চেপে যায়।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা একরাশ। শুভ সকাল।
মোঃ মজিবর রহমান
যাক মা আছেন ঝাড় ফুক দিলেন। আলহামদুল্লাহ। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
যাক ফকিরের কেরামতিতে সুন্দর স্বপ্ন দেখলাম সবাই ভাল হোক ।আল্লাহ সবার উপলদ্ধি দিক মনুষত্য জাগ্রত হোক।
https://youtu.be/mzb92351Tak
রোকসানা খন্দকার রুকু
ফকিরের কেরামতি বলে কি কিছু আছে? দিনের পর দিন আমেনা বুয়ার মত মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে ব্যবসা করছে।
সেজন্যই লেখা।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
আল্লাহ তো কিছু অবুঝদের রেখেছেই ফকিরের কেরামতি কাজ যাতে করতে পারে।
বন্যা লিপি
আপনার চোখে আমি আর শান্তশিষ্ট হতে পারলাম না। যেখানে সেখানে আমি হুঙ্কার ছাড়িনা। ঘুরতে বা বেড়াতে আমি তখন অন্য মানুষ। নিজেকে নীল শাড়িতে রূপা ভাবতে ভালোই লাগার কথা কিন্তু হিমুটা কাকে ভাববো ভাবনার বিষয়। লেখার স্বপ্নে বহুত কিছু ছিলো, লম্বা চওড়া মন্তব্য দিতে ইচ্ছে করছে না। স্বপ্ন গল্প পড়ে ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।🌹🌹🌹🌹
রোকসানা খন্দকার রুকু
স্বপ্নে সবই সম্ভব বলে লেখা। বাস্তবে হিমু রুপা কেউ কারো নয়।
মন্তব্য করেছেন এতেই অনেক ভালো লেগেছে।
অনেক অনেক ভালোবাসা। ভালো থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসাধারণ স্বপ্ন গাঁথা। এমন চমৎকার স্বপ্নে বিভোর হতে কার না ভালো লাগে। এমন ঝাড়ফুঁকে যদি এতো সুন্দর স্বপ্ন পাওয়া যায় তাহলে আমারেও একটু দিয়েন। বাস্তব যাই হোক মনের মতো স্বপ্ন তো দেখতে পারবো। কিন্তু সবাই যে বন্যা আপু রে সার্বজনীন স্বীকৃতি দিচ্ছেন যা বলে বলে এটা কিন্তু ঠিক না। সুপায়ন দাদা প্রধানমন্ত্রী রে আইন্যা যে সাহস খানা দেখাইছে এরপর রবি ঠাকুর, নজরুল, বারাক ওবামা, হুমায়ূন আহমেদ …..আরো অনেক কিছু দেখার অপেক্ষায় রইলাম। গালের পাশে যা টেনে নিলেন সেটা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা এতো সুন্দর স্বপ্নের জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
বন্যা লিপি
লাভ ইউ ছোটদিভাই💕💕💕💕 আপনি অন্তত আমার পাশে আছেন। সুরাইয়াও হয়ত আমার পাশেই থাকবে। আমার রেপুটেশনের বারোটা বাজিয়ো তেরোটা ঝুলাইয়া দিলো😢😢😢😢😢
রোকসানা খন্দকার রুকু
** ওরে বাবা! খেতে ডাকছেন। রাগী মানুষরা ভীষন ভালো হয়। যা বলে সামনে কিন্তু মন ফকফকা। পেটে পেটে না।***
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভালোবাসা অবিরাম 💓🌹💓🌹। ভালো থাকবেন সবসময়
খাদিজাতুল কুবরা
@বন্যা আপু আমি ও কিন্তু আপনাকে ভালোবাসি। আপনাকে ভালো না বেসে পারা যায়না।
আপনি বলেন তো একহাত দেখে নেবো কেউ কিছু বললে।
হা হা হা।
বন্যা লিপি
খাদিজাতুল কুবরা ওরফে রুবি@ ওহহো, তোমার নামটা নিতে ভুলেই গেছি গো, আমি অন্তর থেকে বিশ্বাস করি তুমিও আমার পাশে/সাথে আছো। এই অল্প সময়ে তুমি যেভাবে আমার আপন হয়েছো তা সত্য আমাকে ভীষণ ঋদ্ধ করেছে। ভালবাসা অবিরাম💝💝💝💞💞💞
রোকসানা খন্দকার রুকু
***বন্যা আপু হুঙ্কার দিচ্ছেন। ওরে বাবা! খেতে ডাকছেন। রাগী মানুষরা ভীষন ভালো হয়। যা বলে সামনে কিন্তু মন ফকফকা। পেটে পেটে না।****
দিদি সবাই খেতে ডাকেনা। অনেষ্ট মানুষরাই খাওয়ার দায়িত্ব নেয়। রাগের সাথে আসল জিনিসটা এরিয়ে গেলে হবেনা কিন্তু।
প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা দিদিভাই। শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সেটা জানি রুকু আপু । শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
ফয়জুল মহী
আকর্ষণীয় প্রকাশ।
নন্দিত উপস্থাপন
রোকসানা খন্দকার রুকু
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাইয়া।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
স্বপ্নে একেবারে নু্হাশ পল্লী! চমৎকার ভ্রমনে স্বপ্নে স্বপ্নে রাত পার হলো আমারো। তবে ক্ষুধা কিন্তু পেয়েছিলো সত্যি। আপনিতো নালী খেলেন আর আমি খেলাম আলুভর্তা ডাল। তাও সত্যি সত্যি।
এরকম স্বপ্ন মাঝেমধ্যে দেখলে আমরাও কিছুটা বিনোদিত হইতাম আর কি! বেরসিক দীপ্তি! আর একটু পরে ডাকলে কি হতো?
চমৎকার স্বপ্ন পড়লাম আপু। শুভকামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আগেরদিন বিরিয়ানি টিরিয়ানী খেলে পরদিন ডালভাত খেতে হয়। শরীরের জন্য ভালো।
সবাই মিলে যেন সত্যি যেতে পারি নুহাশপল্লীতে।
শুভ কামনা ভাই।
রেজওয়ানা কবির
তৌহিদ ভাইয়া, আমি মোটেও বেরসিক নই কিন্তু😙😙😙রুকু আপু ইচ্ছা করে আমাকে বেরসিক বানিয়েছে।আপনার আর রুকু আপুর সাথে আড়ি।।।
রোকসানা খন্দকার রুকু
লিখতে পারেনা ফারেনা লেখক/ ব্লগার হবে? এখন সামলাও ঠ্যালা। লেজকাটা শেয়াল একটা, আমাকেও তো ফাঁসিয়েছ? ভাগ্যিস আমার লেখা চলছে। তুমি তোমারটা সামলাও, আমাকে ফোন দিবানা। আমি ‘আবেগ আর মনের অলিগলি‘ লেখা নিয়ে ব্যস্ত। ***
এটা তো সত্যি নাকি?
আমি তোমার বয়সে বড়। আর কতকাল খবরদারি চলবে। একটু বড় হইতে দাও।
“আবেগ আর মনের অলিগলি ” জমা দিয়ে দিও। অন্যরকম টেস্ট নিতে ইচ্ছে করছে।
উর্বশী
নূহাশ পল্লীতে সবুজের মাঝে দারুন ভাল লাগার বিষয়। চমৎকার লিখেছেন। ভাল লেগেছে আপনার গল্প।অনেক ভালোবাসা রইলো। ভাল থাকুন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার জন্যও ভালোবাসা। এই এমন সময়ে এসব ছাড়া আর কিছুই মাথায় এলনা। ভালো থাকবেন আপুনি।
রেজওয়ানা কবির
এবার আসি বিস্তারিত নিয়ে,,,,প্লানচেটের মাধ্যমে হুমায়ুন আহমেদ স্যার যার আমি এত বড় ফ্যান তাকে আনতে পারলাম না অথচ তুমি ঠিকই ওনাকে নিয়ে আসলে।আর উনি যে কথাগুলো তোমাকে বলেছে, যেমন পৃথিবী,ভালোবাসা,প্রেম,মানুষ বিষয়ে আমার বিশ্বাস উনি বেঁচে থাকলে সত্যি এই কথাগুলোই বলতেন আমার ধারনা। যখন তোমার স্বপ্ন পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল হুমায়ুন স্যারের কথাই পড়ছি,তখন তার ছবি আমার চোখে ভাসছিল।উনি যেদিন মারা যায় অত ভীড়ের মাঝেই আমি শহীদ মিনারে গিয়েছিলাম।যাইহোক আবেগে এত কথা বললাম।এবার আসি, তুমি যে বললা আমি তোমাকে বুদ্ধি দেই নি 😘😘বুদ্ধিতো দিছিলাম মনভোলা মানু। ভাগ্যিস আর বেশি কিছু বল নাই???আর তোমাকে এভাবেই আমি সারাজীবন শুধু স্বপ্নে না বাস্তবেও পাহারা না দিলে তো আমার মহাজ্বালা।।তাই একটু শাসন করি।অবশেষে বলতে চাই আমার প্রিয় বইন সত্যি সবমিলায় তোমার স্বপ্নের ফ্লেবার অনেক ভালো লেগেছে।এখানে অনেক মেসেজ ও আমাদের মানুষের এখনকার বাস্তবিক বিষয় ও উঠে এসেছে, আবার পাশাপাশি তোমার সেই সুরুৎ টানা অসাধারন। তুমি স্বার্থক,তোমার লেখা স্বার্থক আপু। খুব বেশী ভালো থাক,নতুন নতুন লেখা উপহার দাও আর কি করবে বল,,,,,আমি এমনি,,,❤❤❤
রোকসানা খন্দকার রুকু
এই বিস্তারিত মন্তব্য না পেলে দশদিন ফোন ধরতাম না ঠিক করে রেখেছিলাম। যা হোক বেঁচে গেলে।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আর এমনিভাবে পাশে থেক। আমি কিন্তু সত্যি ভীষন বোকা! বয়স হয়েছে এটা রয়ে গেছে।
বেলাশেষে কাউকে দরকার হয় ভীষন কাছের কাউকে। সে ছেলে বা মেয়ে যেই হোক। তাকে যেন সব খুলে বলা যায়।
অনেক অনেক ভালোবাসা আপুনি।
শামীম চৌধুরী
ভালই স্বপ্ন দেখলেন। আমরাও জানলাম আপনার স্বপ্ন দেখার মাঝে অনেক কিছু। আহারে যদি ঘুমটা না ভাঙ্গতো তবে স্বপ্নটাও শেষ হতো না। আমরাও মজনুর মতন বলতাম
স্বপ্ন তুমি কাহা?
খুব উপভোগ করলাম আপনার স্বপ্ন নিয়ে লেখাটি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হা হা হা হা।
স্বপ্ন শামীম ভাইয়ের কাছে। পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
স্বপ্ন গল্প টল্প দুর্দান্ত লিখবার পারেন তাতে তিল পরিমাণ সন্দেহ নেই। আমার অনেক দিনের শখ ছিল নুহাশ পল্লীতে যাওয়ার সেটা আপনার জন্যে সফল হলো বলে এত্তো গুলা ধন্যবাদ। কিন্তু কথা হচ্ছে আপনি আমার এতো সুন্দর মিষ্টি বন্যাপুকে রাগী মানুষ কইলেন ক্যান শুনি। উনার মতো মানুষ ই হয় না জানেন! কতো সহজেই সবাইকে আপন করে নেয়।
হা হা হা হা হা হা
সবচেয়ে হেলাল ভাইয়ার কথা গুলো আবার রিপিট করছি
কোথায় খাবার দাবার, কোথায় খাসির নলি। গালের একপাশ বেয়ে কি যেন পড়ছিল তাই টেনে খেয়েছি। হোক নিজেরই তো! একটু আধটু খাওয়াই যায়।”
নিয়মিত খাবেন তাহলে আরও ভাল গল্প বের হয়ে আসবে😁😁😁
রোকসানা খন্দকার রুকু
হুম সেজন্যই তো ডাকাডাকি॥ স্বার্থপর হলে একাই খেতেন। অযথা গলা ফাটানোর দরকার ছিল না।
যার জন্য করলাম চুরি সেই বলল চোর। কোথায় একটু ভালোবাসা পাবার আশায় লিখলাম। তো দেখছি বাহিনী পুরাই উঠে পড়ে লেগেছে আমার ধোলাইয়ে। এই চুপ গেলাম।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
বন্যা লিপি
থাক সুরু, রুকু আপুর পছন্দের মানুষ নাহয় নাইবা হলাম, আমার দল তাই বলে মোটেই খাটো নয় সে আমি ঢের জানি। রুকুআপু আমাকে রাগী টিচার মনে করে, কি আর করার আছে। আমার টিচার হইতে মন চায়না মোটেও।
সুরাইয়া পারভীন
হা হা হা হা হা হা
এখন আমাগো রুকু আপুর অবস্থা ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ ডোন্ট ওরি আপু। আমরা আমরাই তো।
সুরাইয়া পারভীন
বন্যাপু যার থেকে আমরা শিখতে পারি তাকে টিচার/শিক্ষক মনে করি। রুকু আপু শুধু নয় আমরাও আপনার থেকে শিখছি অনর্গল। আর আমরা কড়া ধাঁচের শিক্ষককে বেশি গুরুত্ব দেই। সো ইউ আর দ্য বেস্ট টিচার
রোকসানা খন্দকার রুকু
আসলেই ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা॥
মনির হোসেন মমি
মন্তব্য দেরীতে এসে বুঝলাম আসলে আরো আগেই মন্তব্যে আসাটা আমার উচিত ছিলো-এমনিতেই খাবার দাবারের যে টানটান ভাব তাতে নিশ্চয় এতোক্ষনে আমার খাবারটা থাকার কথা নয়।
নূহাশঁ পল্লী সত্যিই একটি আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান সেখনে দয়াল বাবার উছিলায় যেতে পেরে মন কেমন উৎফুল্ল লাগছে।আচ্ছা ঐ যে ১০০ টেহা দিলেন ঐটা কী ঘুষ দিলেন নাকি!
চমৎকার উপস্থাপনা।লেখায় কাব্যিক ভাব ভাল ভাবেই তুলে ধরেছেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
দয়াল বাবার কেরামতি সবখানেই বিরাজমান। ১০০ টাকা তার ফিস। আমাদের সমাজের অন্ধকার একটা দিক।
আমার জন্মের আগে থেকেই আমেনা বুয়া আমাদের বাড়িতে। আমার কিছু হলেই সে পানি পড়া আনতে যায়। কোনভাবেই বিশ্বাস করানো বা বোঝানো যায়না।
খাবার দাবার বন্যা আপুর দায়িত্বে উনি কি কাউকে না খাইয়ে রাখার মানুষ?
দেরিতে হলেও খুশি হয়েছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
স্বপ্নের ছলে প্রিয় লেখকের নুহাশ পল্লী
সাবলীল উপস্থাপনায় মনোরম করে তোলা
সাথে নালী নিয়ে টানাটানি
ক্ষুধা পেটে খাওয়া যে হয়নি।
তবুও মন্দ না উপভোগ্য বলে কথা।
আপুর জন্য শুভকামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হা হা হা হা। কবিতার ছলে ভালোই বলেছেন॥
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন দাদা।
জিসান শা ইকরাম
লেখার শুরুটা চমৎকার হয়েছে। কেবল শুরু বলি কেন, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্তই চমৎকার হয়েছে।
কিছু অতি সত্যি কথা লেখায় নিয়ে এসেছেন।
‘ বিপদে কেউ পাশে থাকে না।’ আসলেই কেউ থাকেনা। কারো সময় নেই পাশে থাকার।
‘ রাগী মানুষরা ভীষন ভালো হয়। যা বলে সামনে কিন্তু মন ফকফকা। পেটে পেটে না।’
প্রিয় হুমায়ুন আহমদের সাথে কথোপকথনে – এই করোনা কালেও আমরা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে হানাহানিতে ব্যাস্ত হয়ে গিয়েছি। লোভ, লালসা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীদের প্রতি সহিংসতা যেকোন সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পৃথিবী ধ্বংসের মাধ্যমেই মানুষের জন্য নতুন বসবাসযোগ্য গ্রহে আবার সুন্দর ভালো মানুষদের আবাস গড়ে ওঠা, যেখানে থাকবে একে অপরের প্রতি প্রেম, ভালোবাসা।
অসম্ভব এক স্বপ্নের মুখোমুখি করলেন আমাদের সবাইকে।
নুহাশ পল্লীতে এখনো যাওয়া হয়নি ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও।
আপনার লেখার মধ্যে নুহাশ পল্লী দেখা হলো কিছুটা কল্পনায়।
আপনি খুব ভালো লেখেন।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হাসিঠাট্টা টুকু আপনার জন্য। মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো মন্তব্য না পেয়ে। খারাপ লাগাটুকু পূরন হয়ে গেল বিস্তারিত মন্তব্যে।
সব ম্যাসেজ গুলোই আপনি বিস্তারিত আলোচনায় এনেছেন।।
ভালো সময় এলে ইনশাআল্লাহ সবাই মিলে ঘুরে আসা যাবে।অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা রইল ভাইয়া। আপনারা ভালো মন্দ না বললে লিখতে মন চায় না।
শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
কিছুটা অসুস্থ থাকায় নিয়মিত আসতে পারিনা ব্লগে,
তবে সমস্ত স্বপ্ন পোষ্ট গুলোতে মন্তব্য দেইই আমি।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
স্বপ্নে নুহাশ পল্লী ঘুরে আসা মন্দ নয়।
এর পরের বার খেয়াল রাখবেন, সবার খাওয়া দাওয়া যেনো হয়। এতো স্বার্থপর হওয়া চলবে না!
রোকসানা খন্দকার রুকু
বাবা সবাইকে নিয়েই তো খাওয়া দাওয়া। তারপরও মনে রাখব। শুভ কামনা ও ভালোবাসা নিরত্তর আপুনি।
ভালো থাকবেন।
রেহানা বীথি
আমি কি-না এত সুন্দর স্বপ্নটা মিস করে গেছিলাম! সরি আপু। আসলে বাবার বাড়িতে কাটিয়ে এলাম কয়েকদিন। আর ওখানে গেলে সাধারণত অনলাইন হই না।
প্রিয় লেখককে স্বপ্নে এনে আপনি আমার স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন। শুরু থেকে শেষ, লেখায় যে অপূর্ব টান আছে, মুগ্ধ করলো তা। কথোপকথন অংশগুলো দারুণ দক্ষ হাতে লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ, নুহাশ পল্লী আর প্রিয় লেখকের জন্য।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমিও অনেক সময় দেরি মন্তব্য করি। এটা হতেই পারে। মন্তব্য করেছেন এতেই আমি অনেক অনেক খুশি হলাম।
আর আপনাদের মত দক্ষ লিখিয়েদের সাহচর্যে এসে শিখছি।
অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা আপুনি।