
শবনম আপুর কিল খেয়ে বেঁচারা তৌহিদ ভাইয়ের অসহায় মুখখানা ভেবে মনের অজান্তেই হাসি পেল। শুধু হাসলে হবে ? সোনেলার সব ব্লগাররা ” স্বপ্ন ” নিয়ে এত সুন্দর সুন্দর পর্ব লিখছে যে, মাথাটাই ধরে যাচ্ছে। কেননা এবার তো আমার লেখার পালা। দুর ! বাবা ! মাথায় তো কিছুই আসছে না। উফ ! এই ‘স্বপ্ন’ শব্দটা মাথার মধ্যে শুধু ঘোরপাক খাচ্ছে।
‘ #স্বপ্ন ‘
একটা মানসিক অবস্থা , এছাড়া ধারাবাহিক কতগুলো ছবি ও আবেগের যোগফল। ঘুমন্ত অবস্থায় বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা যা অবচেতনভাবে মানুষ অনুভব করে সেটাই “স্বপ্ন”। স্বপ্নে মানুষ অধিকাংশ সময় যেকোন গত হওয়া ঘটনা সম্পর্কে দেখে, কেননা স্মৃতি অবচেতন মনে মস্তিষ্কে ছাপ ফেলে যায়। কিন্তু মানুষ যখন তার কল্পনাকে অবচেতন মনে দেখে তখন তা সত্যি মনে হয়। তাই আমিও স্বপ্ন দেখার জন্য মাথায় বালিশ নিয়ে অনেককিছু কল্পনা করতে লাগলাম এবং সাইড টেবিলে আমার ডায়েরীটা রাখলাম, যাতে মাথায় কিছু আসার সাথে সাথে লিখে ফেলতে পারি। ‘স্বপ্ন’ নিয়ে এক গবেষণায় পড়েছিলাম, পেটে কোন সমস্যা থাকলে বা উল্টাপাল্টা বেশি খেলে “স্বপ্নের” মাত্রা বাড়তে পারে। আমারতো আজ পেটে কোন সমস্যা নেই সেজন্য উল্টাপাল্টা খাবার বেশি খেলাম যেন ‘স্বপ্নটা’ দেখতে পারি। এত আয়োজন, কিন্তু সাঁধের স্বপ্নের দেখাতো মিলছে না। বিরক্ত লাগছে!!!! এই দুঃসময়েও দুই লাইন কবিতা মাথায় আসছে,,,,,,
“স্বপ্ন এ কেমন তোমার আজব বাড়াবাড়ি?
তাই তোমার সাথে আজ নিলাম আড়ি”।।।
আসলে হয়তো, স্বপ্ন নিয়ে এত চিন্তার ফলে মস্তিষ্কে আমার রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো ভাবনায় আর জড়ো হচ্ছে না। ফলাফল শুন্য। মাথা পুরাই এলোমেলো লাগছে।হায়রে ! “Oneirology” তোমার দেখা পাওয়া ঢের দেরী।
অদ্ভুততো? “স্বপ্ন” কি কলা আর মলা নাকি? যে ইচ্ছে হলো চাইলাম আর সাথে সাথে পাইলাম। পারিবারিক সূত্রে দাদী,বাবা,আম্মু,দাদা আমার ছোট ভাইটা সেও ভালো লেখে। সেই সুবাদে লেখালেখি একটু পারি, বলে’ স্বপ্নও’ কি খুব সহজে দেখতে পারবো? তাও আবার এই সেই স্বপ্ন না, সুন্দর স্বপ্ন হতে হবে? মাথা নষ্ট ম্যান ! আর ভাবতে পারছি না। তবু ভাবতে হবে ! ভাবতে ভাবতে হঠাৎ বড় বড় লেখকদের বইয়ে পড়া একটা শব্দ মাথায় আসলো। বাহ ! দারুনতো ! ইয়াহু,,,পেয়ে গেছি,,, কে বলেছে আমি পারি না? যেই ভাবা সেই কাজ,শব্দটি হলো
“প্লানচেট”।
আমি জানি পাঠকবৃন্দ, আপনারা অনেকেই এই শব্দের সাথে পরিচিত। কিন্তু তবুও একটু ভেঙ্গে বলি,,,,
“আত্না অবিনশ্বর”। যেকোন অশরীরি আত্নার সাথে কোন জীবিত মানুষের যোগাযোগের মাধ্যমকেই প্লানচেট বলে।
প্লানচেটের মাধ্যমে একজন মৃত ব্যক্তির আত্নাকে উপস্থিত করা যায়,কিন্তু তাকে দেখাও যায় না,ছোঁয়াও যায় না,তার কথাও শোনা যায় না,শুধু অনুভুতি হয়। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বুদ্ধদেব বসুর স্ত্রী সহ আরো অনেকেই এই প্লানচেট ব্যবহার করেছিলেন।
তাই ভাবলাম, আমিও এই প্লানচেটের মাধ্যমে কোন মৃত ব্যক্তি কে এনে, তার কাছে স্বপ্ন নিয়ে কি লিখবো? সেই ব্যাপারটি জেনে লেখা শুরু করি। তড়িঘড়ি করে সারাদিনের কাজ শেষ করে রাতের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। গভীর রাত হলো,বাইরে প্রচন্ডরকমভাবে বৃষ্টি হচ্ছে,আকাশে বিদুৎ চঁমকাচ্ছে,সাথে টিনের চালে ঝনঝন করে শীলা পাথর পড়ছে। বৃষ্টি আমার খুব ভালো লাগে, আজ খুব বিরক্ত লাগছে প্লানচেটের টেনশনে। সব চিন্তা বাদ দিয়ে ঘরের দরজা,জানালা বন্ধ করে, লাইট অফ করে আসন পেতে বসে পড়লাম।
আমার সামনে একটা চেয়ার রাখলাম আত্নাকে বসার জন্য। সাথে নিলাম একমগ কফি, আর চেয়ারে রাখলাম আরেক মগ কফি, আত্নার যদি খেতে ইচ্ছে হয় সেজন্য । সাথে ফ্রিজ থেকে বের করে চেয়ারের পাশে রেখেছি পিৎজা, বার্গার আর ডেজার্ট।
শুনেছি কবরেতো আত্নারা ভালো ভালো খাবার খেতে পারে না, ভাবলাম, এসব খাবার খেয়ে যদি দয়া করে আত্না আমাকে ‘স্বপ্ন’ লেখার ধারনাটি দেয় সেইজন্যই আমার এত আয়োজন।
এভাবে এত আয়োজন করে আজাদ কেও কখনো খাওয়াইনি।
যাইহোক, এখন একটা মোমবাতি জ্বালালাম,কেননা অন্ধকার ঘরে খুব ভয় ভয় লাগছিলো। চোখ বন্ধ করলাম,ভাবতে লাগলাম,হুমায়ুন আহমেদের আত্নাকে যিনি আমার আমার প্রিয় লেখক। ইশ ! তিনি যদি তাড়াতাড়ি এসে আমাকে সুন্দরভাবে লেখার idea দেয়, তাহলেতো সোনেলার সকল ব্লগাররা দারুন অবাক হয়ে ভাববে ! এই রেজওয়ানা এত ভালো লেখে ? ভেবেই আনন্দ হচ্ছে। কিন্তু কই হুমায়ুন আহমেদ আসছে না কেন? হঠাৎ জোঁরে শব্দ হলো।
চোখ খুললাম,জানালা লাগিয়েছিলাম কিন্তু ভালোভাবে লাগেনি, মোমবাতিটি বাইরের বাতাসে নিভে গেছে। পুনরায় জানালা লাগিয়ে ধ্যানে বসলাম।
এবার প্লানচেটের মাধ্যমে সমরেশ মজুমদার অথবা সৈয়দ শামসুল হক কে আনার চেষ্টা করলাম। দুজনেই বিখ্যাত লেখক,তাদের যেকোনো একজনের কাছে idea
পাওয়া মানে আরো অসাধারণ। তাছাড়া সৈয়দ শামসুল হক কুড়িগ্রামের মানুষ, সেই সুবাদে যদি idea দেয়তো দারুন হবে ! চোখ বন্ধ করে আবার ভাবতে লাগলাম,
আবার,,,! শব্দ,,উফফফফ,,,দরজায় আজাদ নক করছে,বিরক্ত হয়ে লাইট জ্বালিয়ে ওকে জোরেসোরে ধমক মারলাম,এই মুহুর্তে বলে কিনা তার সাথে বৃষ্টি দেখতে হবে? আজব আর অসময়ে অদ্ভূত আবদার । বেঁচারা আজাদ মন খারাপ করে চলে গেল। আচ্ছা যাক,ওকে পরে ম্যানেজ করে নিবো।
তারপর আবার দরজা লাগালাম,লাইট অফ করলাম। এবার মনে প্রানে আত্মার কামনা করছি। আয় বাবা আত্না তাড়াতাড়ি আয়, প্লিজ প্লিজ প্লিজ !
এবার যে মুখটা আমার সামনে ভেসে উঠছে সেটা আমার খুব চিরচেনা,তার গায়ের গন্ধটাও আমার খুব চেনা,তিনি যে পাউডার শরীরে মেখেছেন সেটা ও আমার খুব পরিচিত।এমনিতেই আমি ভূতে খুব ভয় পাই, তারউপর আবার মৃত ব্যক্তির আত্না আনার অভিযান?
ভাবেন, এই সোনেলায় লিখতে
গিয়ে কত ভয়ংকর ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছি? আমার দুচোখ কালো কাপড়ে বাঁধা, কাপড় পাতলা জন্য আবছা আবছা সেই পরিচিত মুখটি দেখতে পাচ্ছি,সে ধীর পায়ে এগিয়ে সেই চেয়ারে বসলো। প্রচন্ড ভয়ে আমি জঁড়োসড়ো হয়ে বসলাম, প্রচুর অস্বস্থি হচ্ছে,শরীর কাঁটা দিয়ে উঠছে। ভয়ে নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। কি ঘটছে কিছু বুঝতেছি না। দিপু মনি সেই আত্নার মুখে নামটি শুনে আমার বুকের ভিতর ধক করে উঠলো।
আরে এই কন্ঠও আমার খুব চেনা, এটাতো আমার দাদু ভাই। তার মানে দাদু ভাইয়ের আত্না এসেছে। আনন্দে আমার চোখে পানি এসে গেল। দাদু ভাইকে কাঁদতে কাঁদতে বললাম, দাদু ভাই কতদিন তোমাকে দেখি না,তুমি আমাদের কেন ছেড়ে গেলে? এরকম অনেক কথা নিজে নিজেই দাদু ভাইকে বলতে লাগলাম।
তারপর বললাম জানো দাদু ভাই আমি সোনেলায় যে লিখবো, আমিতো অত ভালো লিখতে পারি না,তুমি একটু বলোতো কি নিয়ে লিখবো ? ওপাশ থেকে কোন আওয়াজ নাই,চোখের কালো কাপড় খুলে ফেললাম,তারপর আশেপাশে দাদু ভাইকে খুঁজতে খুঁজতে কখন যে জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম টেরও পাই নি। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন দেখি আজাদ আমার মাথায় পানি ঢালছে, পানি ঢালা শেষ হলে আমাকে আজাদ বিছানায় শুয়ে দিলো।
আমি আবার ভাবতে লাগলাম কি লিখবো সোনেলায়? হঠাৎ আবার সেই রুমে গেলাম এবং দেখলাম আত্নার চেয়ারে একটা কাগজ মানে চিরকুট পড়ে আছে।চিরকুটটি হাতে লুকিয়ে আবার শুয়ে পড়লাম।
ঘুম আসছে না কি করা যায়? জিসান ভাইকে একটা ফোন দেই,আমার মাথায় একটা idea এসেছে। কিছুদিন আগে সোনেলার মিলনমেলায় রুকু আপুসহ গিয়েছিলাম। সারোয়ার ভাই,জিসান ভাই,ইঞ্জা ভাই,তৌহিদ ভাই,সুপায়ন দা,সাবিনা আপু,ফাল্গুনী আপু,বন্যা আপু,মনি আপু,নিতাই দা,লিটন ভাইসহ প্রত্যেক ব্লগারদের সাথে দেখা হয়েছিল,অনেক আড্ডা হয়েছিল, খুব ভালো লেগেছিলো সেই মিলনমেলা। তাই আর দেরী না করে ফোন দিলাম জিসান ভাইকে আমার আইডিয়ার ব্যাপারে জানানোর জন্য। কথোপোকথনের শুরুটা ছিল এমন,,,,,
আমিঃ হ্যালো ভাইয়া,কেমন আছেন?
জিসান ভাইঃ দীপ্তি আমি তো নাচতেই পারি না আপু,কিভাবে নাচবো?
আমিঃঃ একটু অবাক ! বলি
কি আর শোনে কি?
আমিঃ আবার ! ভাইয়া বলছি কেমন আছেন?
জিসান ভাইঃ আরে আপু এত রাতে আমি নাঁচবো কেন? বউ প্যাদানী দিবেতো।
আমিঃ বিরক্ত হয়ে ফোনটা কেটে দিলাম।
পরক্ষনেই মনে হলো,আহারে ! বেঁচারা জিসান ভাইতো কানে কম শোনে, তাই বলেছি কেমন আছেন ?শুনেছে কেমন নাঁচেন ? মুহুর্তেই তাকে সরি লিখে এস এম এস পাঠালাম। ভাইয়াও রিপ্লাই দিল ইট’স ওকে।
যাক বাঁচা গেল, ব্যাপারটি মিটলো তবে।
কিন্তু আমার প্লানের কথাতো বলা হলোনা,এবার কিছু না ভেবেই ইঞ্জা ভাইকে ফো্ন দিলাম।
ফোনে রিং হচ্ছে।।।।
আমিঃ হ্যালো ভাইয়া
ইঞ্জা ভাইঃ ওপাশ থেকে হ্যাঁ আপু কি অবস্থা?
আমিঃ ভাইয়া সামনে তো ‘স্বপ্ন’ বইটির মোড়ক উন্মোচন, সেটা নিয়ে আমার মাথায় একটা ভাবনা এসেছে।
ইঞ্জা ভাইঃ হ্যাঁ বলো
আমিঃ ভাইয়া আমি ভাবছি বইটির মোড়ক উন্মোচন আমাদের কুড়িগ্রামে করলে কেমন হয়? পাশাপাশি কুড়িগ্রাম শহরটাও আপনাদের দেখা হবে। দেশের সব বিখ্যাত লোকজনকে ইনভাইট করলাম।আমি সব এরেন্জ করবো,আপনারা শুধু কার্ড ছাপিয়ে গেস্ট ইনভাইট ,করবেন আর বাকিসব আমার দায়িত্ব।
ইঞ্জা ভাইয়াঃ বাহ ! অসাধারণ আইডিয়া আপু,তুমি যদি সব আয়োজন করতে পারো তবেতো ব্যাপারটি একদম ডিফরেন্ট ও সুন্দর হয়। কেননা সব প্রোগ্রামতো ঢাকায় হয়,এটা ওখানে হলে আরও ভালো। তুমি আয়োজন শুরু করো,আমি বাকি ব্লগারদের সাথে কথা বলে বাকিটা ম্যানেজ করছি।
আমিঃ ভাইয়া আরেকটা কথা, আমি জাস্টিন ট্টুডো কেও ইনভাইট করব, উনি এখন বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছে।
ইঞ্জা ভাইঃ কিছুক্ষন চুপ,তারপর বললো কোন জাস্টিন ট্রুডো ?
আমিঃ কানাডার প্রধানমন্ত্রী । উনি আমার ফুপির বন্ধু। ফুপির মাধ্যমে ওনাকে নিয়ে আসাবো
ইঞ্জা ভাইঃ একটু হেসে ! দেখ, আসলেই ভালো।
আমিঃ ভাইয়া আসবে না মানে?আসতে বাধ্য। বিশ্বের বড় বড় লেখকরা যত বই লিখেছে সবই নারীদের ঘিরে,কেননা পৃথিবীর প্রত্যেক পুরুষেরই মেয়েদের প্রতি একটা আকর্ষন থাকে,সেখানেতো জাস্টিন ট্রুডো ও একজন পুরুষ। তাছাড়া এত সুন্দর সুন্দর রমনী থাকবে,সুন্দরীরাতো মৌ মৌ করবে।
ইঞ্জা ভাইঃ হাসতে হাসতেই ঠিক আছে বলে রেখে দিল।
এত তাড়াতাড়ি রাজী হয়ে যাবে ভাবতেও পারি নি।
খুব ভালো লাগছে,কিন্তু আনন্দ হলেতো হবে না,সবকিছু সুন্দর ও ভালোভাবে করতে হবে। রুকু আপু,আজাদ, লিয়ন,বিপুল আবুল ভাইসহ অনেককেই ডাকলাম তারপর সেদিনের ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে, লাঞ্চ,বিকেলের নাস্তা,ভেন্যুসহ পুরো প্রোগ্রামের দায়িত্ব সবাইকে আলাদা আলাদাভাবে কাগজে লিখে ভাগ করে দিলাম।তারপর লিস্ট অনুযায়ী সেই কাজগুলো সবাইকে মুখস্থ করালাম,যেন তারা সঠিকভাবে কাজগুলো করতে পারে। দিন রাত পরিশ্রম করছি সেই পোগ্রামের কাজ,আর ভাবছি কোন মিস হলো কিনা? আল্লাহ যেন মিস না হ্য় কিছু। কুড়িগ্রামের মানসম্মান বলে কথা। অবশেষে ঘনিয়ে এল,সেই মোড়ক উন্মোচনের দিন। সারারাত সবকিছুর তদারকি আর টেনশনে ঘুম হয় নি ভালোভাবে। তবুও ভোরবেলা উঠে গোসল করে রুকু আপুর দেয়া নীল শাড়ী বের করে রেডী হতে শুরু করলাম। আজাদ কে ছাড়া আমি শাড়ী কেন কোন সাজগোজ করতে পারি না,এটা আমার গোপন রহস্য। শুরু করলাম সাজ। সাজগোজের প্রতি আমার অদ্ভূত দুর্বলতা, সারাদিন না খেয়ে থাকতে পারবো কিন্তু সাজ পরিপূর্ন নাহলে আমি কেঁদে অস্থির। আমি আবার ছিঁচকাদুনে স্বভাবের। কপালে নীল টিপ পড়লাম,হাতে নীল কাঁচের চুড়ি,গলায় নীল পাথরের মালা আর আজাদ দিয়ে দিল চোখে আইল্যানার। হায়রে ! আজাদ, বিরক্ত হলেও মুখে মেকি হাসি নিয়ে আছে,ভাবখানা এমন যে আমি বুঝতে পারছি না। আমি তোয়াক্কা না করে সাজগোজ পরিপূর্ন করলাম। উফ ! এবার শান্তি।
তারপর আজাদকে ম্যাচিং নীল পাঞ্জাবি বের করে দিয়ে ফোনে সবাইকে ভেন্যুর সব ঠিক আছে কিনা? সব জেনে নিলাম,রুকু আপুকেও নীল শাড়ী পড়ে আসতে বললাম।
এরপর চলে গেলাম সেই ভেন্যু “কুড়িগ্রাম ধরলা নদীর পাড়ে”।ধরলার পাড়ে হরেকরকমের তাবু টাঙ্গানো হয়েছে,পুরো ব্রিজ লাল নীল বাঁতিতে সাজানো, ছোট ছোট নৌকাগুলো সুন্দর করে সাজানো। নদীর মাঝখানে সুন্দর একটা স্টেজ সাজানো। সব মিলিয়ে ধরলা নদীর পাড় আজ আরও অসাধারণ লাগছে।সোনেলার সব ব্লগারদের রিসিভ করে তাদের আপ্যায়নের সব ব্যবস্থা আমার সহকর্মী আনোয়ারুল ভাই,খোরশেদ ভাই,রাজিমুল ভাই কে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সোনেলার সবাই সুন্দর করে সেজেছে।তাদের দেখতে সুন্দর লাগছে,হাজার হলেও’ স্বপ্নের ‘মোড়ক উন্মোচন বলে কথা।
সামনের সারিতে জাস্টিন ট্রুডো, (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়) প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, পনির এম পি সহ আরও অনেকে। আমি সুপায়ন দার কাছে জানতে পারলাম আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারে নি, প্রতিনিধি হিসাবে বাকিদের পাঠিয়েছেন। যাই হোক অনুস্ঠানকে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ভাগে। তার মধ্যে প্রথমে শুভেচ্ছা বিনিময়, তারপর কালচারাল প্রোগ্রাম, খাওয়াদাওয়া,লেট নাইট পার্টি সবশেষে ‘স্বপ্ন’ বইটির মোড়ক উন্মোচন। যথারীতি শুরু হল,একের পর এক আয়োজন । বড় বড় শিল্পীরা গান গাইছে,ফেরদৌস ওয়াহিদ, আসিফ,সাবিনা ইয়াসমিন রুনা লায়লা সহ এ প্রজন্মের সকল জনপ্রিয় শিল্পী। আজাদ ও তার ব্যান্ড দল নিয়ে গান গাইল। ব্লগের অনেকেই তাদের পারফর্মেন্স করল,সাবিনা আপু সুন্দর আবৃত্তি করল।খুব ভালোভাবেই কালচারাল প্রোগ্রাম শেষ হল,তারপর কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে সবাইকে আপ্যায়ন করা হল।
এরপর শুরু হল, লেট নাইট পার্টির আয়োজন। হঠাৎ দেখতে পেলাম, জাস্টিন ট্রুডোর আশেপাশে অনেক সুন্দরী মেয়েরা সেলফি তুলছে।
আমিও ছবি তোলার লোভ সামলাতে না পেরে চলে গেলাম সেখানে। এত মানুষের ভীড়ে কোন পাত্তা পেলাম না। ভীরে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনি, কে যেন আমার হাতটা ধরে আমাকে উঠিয়ে নিল।
আমি তার দিকে তাকাতেই দিশেহারা হয়ে গেলাম।
আরে ! এ কাকে দেখছি? স্বপ্ন নয়তো?
না,না না। সত্যিতো !
যিনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি হলেন ‘আরনেস্টো গুয়েভারা’ ।
‘চে গুয়েভারা’ ছিলেন একজন আর্জেন্টিনীয় মার্কসবাদী বিপ্লবী চিকিৎসক, লেখক, বুদ্ধীজীবি, গেরিলা নেতা ও একাধারে কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব।
তিনি এক সময়ে আমার জীবনের স্বপ্নের
নায়ক ছিল। তাকে আমি কলেজ জীবন থেকে লালন করেছিলাম।হোস্টেলে যখন ছিলাম,তখন তার সিগারেট ধরা একটা পিকচার আমার দেয়ালের সামনে টাঙ্গিয়ে রেখেছিলাম। আমি আমার ঘুম থেকে উঠে আমার প্রথম সকাল ‘চে গুয়েভারা ‘কে দেখে শুরু করতাম। আজ সেই মানুষটি আমার চোখের সামনে! স্বপ্ন
নয়তো???
পাঠকবৃন্দ, আজ আপনাদের একটা গোপন কথা বলি,আমি আজাদের প্রেমে পড়েছিলাম তার চুল দেখে,কেননা তার চুল ‘চে গুয়েভারা’র মতো ছিল হয়ত তাই !
যাইহোক তারপর ‘চে গুয়েভারা’ আমাকে বাংলায় বলল,চল্লল্লল্ল, ডা্ন্স কারি।।।আমি তার মুখে বাংলা শুনে আরোও অবাক ! তারপর কিছু না ভেবেই তাকে নিয়ে চলে গেলাম লেট নাইট পার্টির দিকে।
কাঁনে বাঁজছে সেই টাইটেনিক মুভির গান, সবাই যে যার মত ডান্স করছে,,,,,,
“Every night in my dreams
I see you, I hear you
That is how I know you go on
Far across the distance”।
কি যে ভালো লাগছে পাশে আবার আমার স্বপ্নের নায়ক ‘চে গুয়েভারা’। তার সাথে আমি নাচছি,এই অনুভূতির কথা কাউকে বলে বোঝাতে পারব না।
আঁচমকা জোঁড়ে বিকট এক ধরনের শব্দ হল,আশেপাশের সব রং বেরঙ্গের বাঁতিগুলো নিভে গেল,চারপাশটা অন্ধকার হয়ে গেল,চে গুয়েভারার হাতটা আমার হাত থেকে সরে গেল।
কি হল ! কোনকিছু বোঝার আগেই দেখি,, আমার হাতে অদ্ভুত দেখতে এক ভূতের হাত যার চোখগুলো লালচে আর দাতঁগুলো মারবেলের মত,ঠোটে বিচ্ছিরি হাসি নিয়ে বিস্ফোরক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমি ভয়ে বাকিদের খুঁজতে লাগলাম।আরে,একি দেখছি !
আশেপাশে সোনেলার ব্লগাররা নাঁচছে না, যারা নাঁচছে তারা হল মুন্ডহীন ভূত,মাথা কাটা লাশ,পিশাচ বুড়ি,গেছো ভূত,ন্যাঁড়া ভূত ট্যারা ভূত,ডাইনী শাখচুন্নি । এই নামগুলো আমি তাদের বুকে লাগানো নেমপ্লেট দেখে বুঝলাম। ভঁয়ে গা ছমছম করছে। আগের বাঁজানো গানটাও চেঞ্জ হয়ে যে গানটা শুরু হল,,,,,,
”
ঝালাক দেখে লাজা,একবার আজা আজা,
আজা আজা,তোরে খাইয়া ফেলামু আর করমু ভাঁজা ভাঁজা “।।
এসব কি হচ্ছে, ভূতেরা মাদূলী,শাড়ী, আলখাল্লা, বাঁশের গহনা, তেতুলের বিচির মালাসহ হরেকরকম সেঁজেছে। ভূতের রাজা আমাকে বলল,তুই প্লানচেটের মাধ্যমে এত বিখ্যাত মানুষদের আনতে চেয়েছিস। আমরা কি দোষ করেছি। এবার তোকে শাস্তি পেতে হবে হে হে হে। আরে,,,,”স্বপ্ন” এবার আমরা তোকে দেখাবো,হা হা হা হা,,,, বলেই আমাকে এক তুরিতে শুন্যে উঠিয়ে নিচে ফেলে দিল। প্রচন্ড ব্যাথায় কাঁতরাতে কাঁতরাতে চোখ মেলে দেখলাম বিছানা থেকে মেঝেতে পরে গেছি।
কিছুক্ষন ভয়ে নিস্তব্ধ ,,,,,,,,,, তারপর ‘স্বপ্নের ‘ভালোলাগাগুলো মনে করতে লাগলাম,,,,,,।
আহারে আমার’ চে গুয়েভারা ‘! কত সুন্দর স্বপ্নটি দেখছিলাম ।ধ্যাৎ তেরি ! এটা কোন কথা ! ভালোইতো স্বপ্ন দেখছিলাম, কি সুন্দর !’ স্বপ্ন ‘বইটার মোড়ক উন্মোচন ও হল না। কোথা থেকে ভূতেরা এসে সব গন্ডগোল করে দিল ভেবেই বিরক্ত লাগছে।
আমি আবার আমার চিন্তার জগতে হারিয়ে গেলাম,কিন্তু হঠাৎ আমার চোখ পড়ল,আমার বেডের পাশের সাইড টেবিলটায় দাদু ভাইয়ের একটা ছবি পড়ে আছে,আর তার পাশে আমার সেই ডায়েরী।
এবার সবকিছু আমার কাছে জলের মত পরিস্কার হয়ে গেল।
তারমানে,আমি কাল রাতে
দাদুভাইকে নিয়ে ডায়েরীতে লিখেই তার ছবিটা পাশে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম।
আসলে পাঠকবৃন্দ, আপনারা হয়ত জানেন,মানুষ যা নিয়ে কল্পনা করে তাই সে ‘স্বপ্নে ‘দেখে।
আমার ক্ষেত্রে ও তার ব্যতিক্রম হয় নি। স্বপ্নে যে চিরকুট টা দেখেছিলাম সেটা ছিল এই ডায়েরীর পাতায় লেখা চিরকুট।
আমি আমার আলমারি থেকে আমার লাল টকটকে তোয়ালেটা বের করে সোজা চলে গেলাম ওয়াশরুমে ফ্রেশ হওয়ার জন্য। দাদু ভাইয়ের কথা মনে পড়ে বুকের ভিতর চাপা কষ্ট মনে অক্টোপাশের মত আমাকে বিঁধছে।
আমার জীবনের প্রিয় ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম নামটাই আমার দাদু ভাই। আমার দাদু ভাই আমাদের ছেড়ে ৮ বছর আগে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন। খুব কাঁন্না পাচ্ছে দাদু ভাই।আজ আর কেউ আমাকে দিপু মনি বলে ঐভাবে ডাকে না,আর কেউ তোমার স্বরচিত কবিতা শোনায় না,কেউ আর সেই গানটি গায় না,,,।
“তুমি কি দেখেছ কভু
জীবনের পরাজয়?
দুঃখের দহনে,
করুন রোদনে,
তিলে তিলে তার ক্ষয়
জীবনের পরাজয়?”
আল্লাহ তোমাকে জান্নাত নসিব করুক দাদু ভাই ।
আমার যখন খুব কষ্ট হয় তখন আমি আয়োজন করে কাঁদি, তারপর আমার সেই টকটকে লাল তোয়ালে টা দিয়ে চোখ, মুখ মুছে বাইরে আবার সেই মেকি হাসি নিয়ে ঘুরে বেড়াই, যাতে কেউ আমাকে দেখে বুঝতেই পারে না যে আমি একটু আগে শিশুর মত কেদেছিঁ ! ব্যাপারটি অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হলেও এটা আমার নিজস্বতা।
আজও তার ব্যাতিক্রম করলাম না।
আমি বাথরুমের ঝর্নাটা জোরে ছেড়ে দিলাম,তার পাশাপাশি কলটাও ছাড়লাম, বাথরুমের মেঝেতে বসে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল,ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল ।আমার কান্নার সুরে সুরে আকাশের বৃষ্টির কান্নার শব্দ এত জোরে হচ্ছিল যে, সেই শব্দে আমার কান্নার শব্দ ম্লান হয়ে যাচ্ছিল।
এভাবেই শুরু হল, আমার আরেক ভাবনার নতুন সকাল।
৬৪টি মন্তব্য
রেজওয়ানা কবির
নিজেই আগে কমেন্ট করলাম,সোনেলাকে ধন্যবাদ আমাকে স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।কারন যেহেতু স্বপ্ন দেখলাম তাই বড় করে দেখলাম।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
একদম ঠিক কথা। পড়তে পড়তে হাপায় গেলাম।বেশি না হলে জমত না। ডাঃ বেশি রাত জাগতে নিষেধ করেছেন।শুতে গেলাম।কাল আবার আসব। শুভ কামনা।
রেজওয়ানা কবির
ঠিকআছে ঘুমায় যাও।
ইঞ্জা
অভিনন্দন সুপ্রিয় ব্লগার
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা অবিরত
রেজওয়ানা কবির
আপনার জন্যও শুভকামনা এবং ভালোবাসা ভাইয়া।
ইঞ্জা
ভালো থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ফাস্ট হয়ে নিলাম। পড়ি তারপর।
রেজওয়ানা কবির
অপেক্ষায় থাকলাম আপু।।
বন্যা লিপি
পড়তে পড়তে আসলেই হাঁফায়া গেছি। আমিও কাইল মন্তব্য করুমনে যদি বাঁইচ্যা থাকি।
শুভ রাত্রি।
রেজওয়ানা কবির
হাঁপানোর জন্যইতো এই আয়োজন আপু। ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকবেন।অপেক্ষায় থাকলাম।
সঞ্জয় মালাকার
স্বপ্ন – পড়ে আমি স্বপ্নে হারাইয়া গেছি।
বেশ মজা করে পড়লা আপু, ভালো লাগলো খুব।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া পড়েছেন এতেই আমার স্বার্থকতা।ভালো থাকবেন, শুভকামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
আমার যে কোন কাজ তোমাকে বলেই করি। সোনেলার কথা বললে,তুমি বললে তুমি তো অসুস্থ এত সামলাতে পারবে। আমি বললাম ওই সাবিনা আপুর জন্য থাকব আরকি! পুরা চেপে গেলাম।
তোমাকেও জয়েন করতে বললে,দূর আজাইরা কাম নাই।এমনি সামলাইতে পারিনা।অবশেষে কমেন্ট এ গিয়ে জিসান ভাই এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম॥
তুমি কিন্তু জয়েন করেছ আমার জন্য।অতি আবেগী ও ভুল করা আমাকে সবসময় পাহারা দেবার জন্য।যেমন-বাইরে গিয়ে বেশি বেশি করলে আপু…….বলে শাসন কর!
আমি জানতাম তুমি ভালো লিখ,লিখবে।লেখাটা রক্তে থাকে। আল্লাহ প্রদত্ত একটু ঘসা মাজা দরকার হয়॥কাজী নজরুল ইসলাম রুটি বেলতে বেলতে লিখেছেন অসাধারণ সব লেখা॥
এখন সেই আমার আজাইরা প্রেম,তোমারও প্রেমে পরিনত হয়েছে।সেটা তোমার স্বপ্ন পড়েই বোঝা যাচ্ছে॥কত দীর্ঘ সময়ের ভাবনার ফল॥
সময় সল্পতায় লম্বা কমেন্ট করিনা কিন্তু দুজন মানুষের লেখা খোজাই ব্লগে ঢুকে আমার প্রথম কাজ।
ভালো ভালো লেখা উপহার দিচ্ছ।আর তোমার আজকের এই স্বপ্ন ই বলে তুমি অনেক দুরে যাব।
শুভ সকাল ,শুভকামনা ও অনেক অনেক ভালোবাসা “ইকরি”।
মোঃ মজিবর রহমান
সৈয়দ শামসুল হক। এলাকার তাই স্বজন প্রিতির ইচ্ছা জাগল বুঝি!!!
দারুন উপস্থাপন। গল্পের পর এক্বক গল্প।
ভাল থাকুন
রেজওয়ানা কবির
হ্যা ভাইয়া,এলাকার মানুষতো তাই আর কি! ভাইয়া গল্পের ভিতর গল্প ইচ্ছা করেই লেখা যেন সবাই একটু সময় নিয়ে পড়েন। ধন্যবাদ শুভকামনা অবিরাম।
রেজওয়ানা কবির
সত্যিতো সোনেলায় তোমার জন্যই আসা আপু।আপু ভালো লিখি কিনা জানি না চেষ্টা করি।সবই আল্লাহর ইচ্ছা।বড় করে ইচ্ছে করে লিখেছি।ভালো থাক।ধন্যবাদ দিলাম না। ভালোবাসা দিলাম।পাশে থাকব সারাজীবন ইনশাল্লাহ।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
চে গুয়েভারার এক মজার কাহিনী মনে পড়ে গেল। পড়ে লিখতে হবে॥
আর ট্রুডোর সাথে আমার অসাধারণ সেলফি গুলো ভাবছি ফেসবুকে ছেড়ে দেব।আর তুমি চান্স পেয়েছ তো আমি যে টেনে ধরেছিলাম।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
তুমি তো ভালো জমায়া পার হইলা।আমার কি হবে তাই ভাবছি।মাথা পুরা হ্যাং হয়ে গ্যাছে।আমি কত নম্বরে তাও জানিনা।আর সোনেলায় আমার আগে যিনি লিখবেন তিনি যদি মনি কাশফিতা বা সারোয়ার ভাইয়ের মত ফাটাফাটি লেখে তাহলে তো মঙ্গলেই যেতে হবে আমার। ভালো থেক।
রেজওয়ানা কবির
আপু তুমিও ভালো লিখবে।একেকজন একেকভাবে লিখে আর সবার সবকিছু ভালো লাগবে এমন প্রত্যাশা করলে নিজেরই কষ্ট বাড়ে।আর আত্নতৃপ্তি থাকলে আর কিচ্ছু লাগে না।আমার আত্মতৃপ্তি হয়েছে,এটাই আমার আনন্দ।
রেজওয়ানা কবির
আর চিন্তা কর একমাত্র স্বপ্ন বলেই এত বিখ্যাত লোকদের আনতে পারছি,এর চেয়ে বেশি ভাললাগা আর হতে পারে?তোমার ট্রুডোর সাথে পিকগুলো দিয়ে দিব।
রেজওয়ানা কবির
তোমাকে নিয়ে কি লিখব কিভাবে গুছিয়ে লিখব তা বুঝতেছি না।তুমি আমার অনুপ্রেরণা।শুধু এটুকুই বলি।আর আমি যে কতটা অস্থির এটাও তোমার ভালোই জানা।আপনজনরা বেশি প্রশংসা করলে একটু বেশি লজ্জা লাগে।সবসময় পাশে থাক,অগাধ ভালোবাসা আমার প্রিয় টুকটুকি।
ছাইরাছ হেলাল
এতো এতো বাঁক নিতে নিতে বুঝতে পারছিলাম না, আসলে কোথায় নিয়ে যাছেন!!
স্বপ্ন সিরিজে এটি ই এপর্যন্ত সব থেকে বড় গল্প। আপনার ধৈর্যের প্রশংসা করতেই হচ্ছে।
আপনারা সবাই পারিবারিক ভাবে লিখিয়ে শুনে ভাল লাগল।
ধন্য প্লানচেট, দাদুর দেখা পেয়েছিলেন বলেই এ যাত্রা উত্রে গেলেন।
আহা চে!! ঝাকড়া চুলের!!
রেজওয়ানা কবির
ভাইয়া ভেবেছিলাম ভূত দিয়ে শেষ করব কিন্তু পরে ভাবলাম আমার নিজের আরেকটু লিখি,এইতো সুযোগ।জানি অনেক ধৈর্য্য ধরে পড়েছেন। আসলে কোন বাইন্ডিংস ছিলনাতো যে এত শব্দের মধ্যে লিখতে হবে?তাই এত বড় লেখা।ধন্যবাদ ভাইয়া।কৃতার্থ হলাম।
আলমগীর সরকার লিটন
আপনার স্বপ্ন ত বিশাল এরকম স্বপ্ন দেখা মানে তো অনেক বড় মানুষ স্বপ্ন দেখতে থাকেন একদিন স্বপ্ন বাস্তবতা হবে
অনেক শুভেচ্ছা রইল আপু
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া,স্বপ্নতো স্বপ্নই। এর আনাগেনাও একেকজনের কাছে একেকরকম।আর কোন বিখ্যাত একজন রাইটার বলেছিল,এই মূহুর্তে তার নাম মনে নাই,তবে উক্তিটি এরকম ছিল,,,
স্বপ্ন যেহেতু দেখি সেটা অনেক বড় করে দেখি কেননা তবেইতো স্বপ্নের খুব কাছাকাছি পৌছাতে পারব।
তাই আমিও এইটাতে বিশ্বাসী।ভালো থাকবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
জ্বি আপু আপনিও
শামীম চৌধুরী
স্বপ্নের শুরুতেই কেন তৌহিদ কিল খেল সেটার ব্যাখ্যাটা দিলে পাঠকদের বুঝতে সুবিধা হত। যাক সে কথা।
মিলন মেলায় আমিও উপস্থিত ছিলাম। নাম বাদ পড়ায় বুঝতে কষ্ট হলো না আরনার স্মরনশক্তি স্বপ্নের মতন ডুবে গেছে। যাক সে কথা।
পুরা বিশ্ব ভূমন্ডলে স্বপ্নে ঘুরালেন আমাদের। তা ভালই লাগলো বিনা পাসপোর্ট ভিসায় বিশ্বের নামীদামী লোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ায়। সব মিলিয়ে আমার কাছে লেখাটির তাল ঠিক মতন ধরে রাখতে পারেননি। আরেকটু মনযোগী হলে মনে হয় ভাল হতো।
ভাল থাকবেন।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া। তৌহিদ ভাইয়ের কিল খাওয়ার ব্যাখ্যা আগের পর্বেই আছে আমি শুধু চেইন মেইনটেইন করেছিমাত্র।আর দুঃখিত আপনার নাম বাদ করায়।কিন্তু সোনেলার সকল ব্লগারের মাঝে আপনিও আছেনতো।আর আমার মনে হয় তালগোল পাকাই নি, আসলে গল্পটা বড় হয়ত তাই আপনার এরকম ধারণা। আর যদি তা না হয় তবে মানুষ নিজ নিজ জগতে আলাদা।তাইতো কেউ জাফর ইকবাল আর কেউ হুমায়ুন আহমেদ।ভালো থাকবেন।শুভকামনা।
শামীম চৌধুরী
সুন্দর প্রতিউত্তরের জন্য কৃতার্থ রইলাম।
রেহানা বীথি
বিশাল স্বপ্নে বিখ্যাতদের আনাগোনা। চে’র সঙ্গে আপনি নেচেছেন দেখে হিংসা হচ্ছে। স্বপ্ন বিশাল হলেও ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময়।
রেজওয়ানা কবির
ভালো লাগাতে পেরে আমার খুব ভালো লাগল।আপু আমি চে কে আপনার কমেন্ট পড়ে বলে দিয়েছি,উনি বলেছেন এরপর আসলে আপনার সাথে নাঁচবে।ভালোবাসা রইল।ভালো থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভূত, শাকচুন্নী এদের ঝালাক গানের সাথে নাচতে দেখে আমি নিজেই হাসতে হাসতে শেষ। জাস্টিন ট্রুডো, চে গুয়েভার এদের দেখে পুরাই বেহুঁশ। আপনার ভালোই ধৈর্য্য, মনোবল আছে তাই এতো এতো আয়োজন করলেন আমাদের জন্য। দাদুর আত্না যদি এভাবে প্লানচেট করে ফিরিয়ে আনা যেত আমিও নিয়ে আসতাম। আপনাদের সবাই লেখালেখির সঙ্গে জড়িত এটা শুনে আমার সত্যিই খুব ভালো লাগলো। নীল সোনেলা নাম দেয়া হোক আমার ও নীল খুব পছন্দের। আপনার লেখাই প্রমান করে আপনি শুধু সাজুগুজু তে নিখুঁত নন , লেখাতেও ধৈর্য্য নিয়ে নিখুঁত লিখেন। আরো সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখুন, বড় লেখক হোন এই শুভ কামনা রইলো
রেজওয়ানা কবির
আপুরে আপনার এত ভালো ভালো উৎসাহমূলক কথা শুনে সত্যি আমি বিমোহিত।আসলে আপনাদের মন্তব্যই আমার বড় পাওয়া।সত্যি যদি ফিরিয়ে আনতে পারতাম দাদু ভাইকে তবে খুব ভালো হত।আপু বেহুশ হইয়েন তা বেহুশ হলে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য কে করবে?অনেক অনেক ভালোবাসা রইল।ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
প্রথমেই বলি, আমার বাবার বাড়ি কুড়িগ্রাম।
এতো বড় স্বপ্ন!! চোখ ব্যথা হলো পড়তে গিয়ে।
স্বপ্ন দেখা চলুক।
রেজওয়ানা কবির
বাহ! আপনার বাবার বাড়ি কুড়িগ্রাম শুনে ভালো লাগল।আমার শ্বশুর বাড়ি কুড়িগ্রাম।বাবার বাড়ি রংপুর।চোখ ব্যাথা হল,আহারে! আপু সামনে থাকলে একটু চোখে পানি দিয়ে দিতাম।কেমন লাগল সেটা জানালে আরও ভালো লাগত।ভালো থাকবেন আপু।শুভকামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
জেনে ভালো লাগলো আপনি কুড়িগ্রামের মেয়ে। অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো আপু।
রেজওয়ানা কবির
হুম আমারও ভালো লাগল।
তৌহিদ
স্বপ্নের আসলে কোন শেষ নেই। শুরু হয় একজায়গায় এবং শেষ হবার কোন নামগন্ধই নেয়না মস্তিষ্ক। আর এ কারনেই আমরা বিচিত্র সব সব স্বপ্ন দেখি।
প্লানচেটে সাহিত্যিক থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী অনেককেই নিয়ে এসেছেন। প্রকৃতিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। নিজের পরিবার, জীবন যাপন, সোনেলাকেও নিয়ে এসেছেন। এমন গল্প লিখতে অনেক ধৈর্য্যের প্রয়োজন। যা আপনার লেখায় স্পষ্ট দেখতে পেলাম।
তবে দাদুকে দেখতে পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। এক্ষেত্রে আপনি সফল। চমৎকার লিখেছেন আপু। বই প্রকাশ নিয়ে দেখা স্বপ্ন সত্যি হোক এটাই চাই।
আর হ্যা, লেখায় idea কে আইডিয়া এবং শুধু চে গুয়েভারা লিখলে মাধুর্য ফুটে উঠতো আরো বেশি। ইংরেজী শব্দ যথাসম্ভব পরিহার করে বাংলায় গল্প পড়তেই আমার বেশি ভালো লেগে।
সুন্দর গল্প লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু। শুভকামনা রইলো।
রেজওয়ানা কবির
ভাইয়া আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে মানে আমার অনেক বড় পাওয়া, আর পড়তে আমি খুব ভালোবাসি,তাই সোনেলায় সবার লেখা পড়ি সেটা অনেকবার করে যেন শিখতে পারি।শুধু সোনেলায় না যেকোনো বই আমি ছোটবেলা থেকেই অনেক ধৈর্য্য নিয়ে পড়ি।তাই ধৈর্য্যটা একটু আছে বৈকি😋আহারে! শবনম ভাবীর কিলটা বেশি লেগেছিল, এইটা ভাবতে ভাবতেই এত বড় স্বপ্ন দেখা।আসলে স্বপ্নেরতো সত্যি কোন নিয়ম নাই,তাই এত বড় করে দেখলাম।আর চে গুয়েভারা,আইডিয়া এগুলো ভেবেছিলাম ঠিক করব, কিন্তু এত বড়তো তাই হয়ত রিভাইজ দিয়েছি কিন্তু চোখে পড়েনি।আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুব খুশি হলাম।ধন্যবাদ ও অনেক অনেক শুভকামন। ভালো থাকবেন।
তৌহিদ
আরে আপনি আবার কিছু মনে করলেননা তো! আমি চাই বাংলা সাহিত্যে আমাদের সকল ব্লগারগণ নিজের অবস্থান তৈরি করুন। আর সে কারনেই শব্দগুলি এডিট করতে বলেছিলাম। রিভাইজ দেয়ার পরেও চোখে পড়লোনা! এই নিন –
যিনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি হলেন ‘Ernesto Guevara’ – আরনেস্টো গুয়েভারা বা চে গুয়েভারা লিখলেও হবে।
ইঞ্জা ভাইকে নিয়ে যেখানে লিখেছেন –
দেশের সব বিখ্যাত লোকজনকে Invite করলাম- আমন্ত্রণ করলাম।
আপনারা শুধু কার্ড ছাপিয়ে Guest Invite করবেন- অতিথি আমন্ত্রণ করবেন।
উপরের দিকে আরো আছে এরকম-
ব্যাপারটি একদম Different ও সুন্দর – ভিন্নতর এবং সুন্দর
It’s ok- ইটস ওকে অথবা ঠিক আছে।
শব্দগুলি এভাবে লিখতে পারেন।
আসলে বাংলা সাহিত্য চর্চায় বাংলিশ লেখা ঠিক গ্রহণযোগ্য নয়। এতে লেখাটি পাঠক বিমুখী হতে পারে। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
ভালো থাকুন আপু।
রেজওয়ানা কবির
আপনি বলার পর চেক করেছি ভাইয়া।কিন্তু এখনতো এডিটের অপশন নাই।তাই কি করব?কিছু মনে করিনি।আমিতো বুঝতে পেরেছি আমার ভুল্।ধন্যবাদ ভাইয়া, শুভকামনা।
তৌহিদ
লেখার শিরোনাম এর নিচে সম্পাদনা লেখাতে ক্লিক করলেই হবে। এটাই এডিট অপশন আপু।
আর হ্যাঁ আমি ছাড়া যেহেতু অন্য কেউই আর এডিট করতে বলেনি লেখা, তাই আপনার ইচ্ছা হলে এ রকমই থাকুক ।শুভকামনা আপু।আপনিও ভালো থাকুন সবসময়।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া।অবশেষে এডিট করতে পারলাম।
মনির হোসেন মমি
স্বপ্ন গল্পের বাক যদিও বার বার পরিবর্তন হয়েছে তবুও পড়তে খুব ভাল লেগেছে।দৃশ্যের পরিবর্তনে লিখুনির দক্ষতায় গল্পটিকে স্বার্থক করে তুলেছে। সোনেলার এমন একটি জাঁকজমক আড্ডা পড়তে পড়তে নিজেই এক স্বপ্নের মাঝে পড়ে গেলাম।আহা এমন আয়োজন যদি বাস্তব হত!
প্লানচেটে এতো এতো গুণীদের আগমন অবশষে স্বপ্নের মতই ভয়ার্ত পরিবেশে দৃশ্যের পট পরিবর্তন।প্রতিবাদী চেগুয়েভার মত মানুষ পৃথিবীতে খুবই কম হয়।তার চুল সহ পুরো স্টাইলই আমারও খুব প্রিয়।
আপনার দাদুর জন্য রইল ওপারে শান্তি কামনা।যেখানেই থাকুক তিনি ভাল থাকুক।
রেজওয়ানা কবির
আপনার লেখা পড়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে গেলাম ভাইয়া।সত্যি এইটা আমার পাওয়া আপনার কাছ থেকে সেরা মন্তব্য এই পর্যন্ত। ভাবিনি এতটা পাবো ভাইয়া।আমি একটু বেশি আবেগপ্রবণ তাই আপনার লেখা পড়ে আনন্দে পানি এসে গেল।ভালো থাকবেন।আরও লেখার উৎসাহ পেলাম।শুভকামনা।
বন্যা লিপি
আমার জন্য একটু শুয়ে বসে মন্তব্য লেখার ব্যাবস্থা করেন। কোমড়ে খুব ব্যাথা বেড়েছে বেশ কদিন ধরে। এত স্বপ্নে কি কি মন্তব্য করা যায় চিন্তা ভাবনা করে তারপর মন্তব্য করি। মাথা গুবলেটে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। জাস্টিন ট্রুডো আসছে দেখছি! চে রে আপনি নিয়া নাচেন। ট্রুডো’রে একটু সুপারিশ করেন, আমার সাথে একটু বাংলা কবিতা ডুয়েট আবৃত্তি করতে।
রেজওয়ানা কবির
আপু আপনার কোমড়ের ব্যাথা শুনে ভূতের কাছে মালিশের তেল চেয়েছি।শীঘ্রই সেটা পাঠিয়ে দিব।আর প্লানচেটের জন্য যে আসন পেতেছি আপাতত সেখানে শুয়ে পড়েন।শুভকামনা।
রেজওয়ানা কবির
ও হ্যা জাস্টিন ট্রুডোকে কল দিলাম রিসিভ করল না,আমি ওনাকে এফ বি তে নক দিয়ে বলব আপনার সাথে আবৃত্তি করতে😋😋😋
বন্যা লিপি
আপনার ট্রুটো ফ্রুটো নিয়া আপনি থাকেন। ভূতের মালিশও আমার লাগবে না। আমি নিশ্চিন্তে আরামে আছি বিশ্রামে। তাই থাকি। প্লাচেট ফেটের আসন আমার পছন্দ না। ওসবের ধারেকাছে যাইনা আমি। তারচে বরং থাক। আমি আমার আসনেই থাকি।
ইঞ্জা
সোনেলার জন্য এতো সুন্দর স্বপ্ন পড়ে খুব ভালো লেগেছে, জাস্টিন ট্রুডো, চে গুয়েভেরার সাথে নিজেদের পেয়ে খুব আনন্দই লাগছিলো, পরে ভূতের দেখা পেয়ে আমার আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার যোগার, আমার আবার ভূতে ভয় বেশি, তাই দিলাম ভৌঁ দৌড়।
বেশ মজা পেলাম লেখাটা পড়ে, খুব পছন্দ হয়েছে।
রেজওয়ানা কবির
ভাইয়া আপনারও পছন্দ হয়েছে এবার শান্তি।কারন আপনিতো সবাইকে পড়ার জন্য আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন।যদি আপনার ভালো না লাগত তবেতো আমি মাঠে মারা যেতাম।তার মানে বলতে পারি আমি স্বার্থক নাকি😋😋😋😎???ভালো থাকবেন।শুভকামনা ভাইয়া।
ইঞ্জা
অবশ্যই স্বার্থক হয়েছে আপনার লেখা।
শুভকামনা অনিঃশেষ।
নাসির সারওয়ার
আমি স্বপ্নের মাঝে স্বপ্ন দেখি। আর আপনি গল্পের মাঝে গল্প। তাও আবার এক দুটো নয়! এগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিলেতো আমরা অনেক গুলো গল্প পড়তে পারতাম।
ঝাঁকড়া চুলের গোপন রহস্য! এই রহস্যটা না হয় ঝাঁকড়া চুলওয়ালার জন্যই থাকুক!!
ভালো থাকুন।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া ভাবছিলাম আপনি এখনো আসছেন না কেন?এইতো এসে গেছেন।ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিলেতো সবাই এত ধৈর্য্য সহকারে পড়তেন না?আপনার মত অত ভালো লিখি না কিন্তু চেষ্টা করি।ভালো থাকবেন।
খাদিজাতুল কুবরা
বড়ো লেখা হলেও ভালো লেগেছে। আপনার স্বপ্নে আমিও যেন হারিয়ে গেলাম। ভূতে ভয় পাই। আপনার নিজের গল্প ও জানলাম। প্রিয়জনের বিয়োগ কষ্টদায়ক।
ভালো থাকুন সব প্রিয় মানুষেেেেরা এপারে এবং
ওপারে
রেজওয়ানা কবির
আপনার মন্তব্যেও কৃতার্থ হলাম। ধন্যবাদ আপু।ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
আমার কিন্তু কানে সমস্যা নেই, সব খুবই ভালো ভাবেই শুনতে পারি।
এমনকি ফিসফিস করে কথা বললেও শুনি।
আমার সমস্যা চোখে। পড়তে পারিনা সমস্যায়। যে কারন ব্লগে কারো লেখা পড়তে পারিনা।
লেখার মধ্যে যে আমাকে অন্য কিছু বানাননি, এটাই ভাগ্য 🙂
পেট খারাপ হলে স্বপ্ন দেখে বেশি, জানলাম এটি। পেট খারাপ করার উপায় জানালে ভালো হতো।
প্লানচেটে বড় লেখকরা না আসুক, তাতে কি? আপনার প্রিয় দাদু এসেছিলেন, এটিই তো বড় তৃপ্তি।
জাস্টিন ট্রুডো, চে গুয়েভারা এসেছিলেন। চে এর সাথে ড্যান্সও করেছেন। বাহ স্বপ্ন এমনই দেখতে হয়।
তবে সোনেলার ব্লগাররা ভুত! দেখা হোক আপনার সাথে সবার। কিভাবে ঘাড় মটকাতে হয় দেখবেন 🙂 অবশ্য ব্লগারদের চটপটি খাওয়ালে ভুতের আছর আর থাকবে না।
নীল রঙের প্রতিও আপনার আসক্তি আছে, শুধু লাল নয়।
লাল তোয়ালের সাথে কিছু একটা আছে আপনার।
অনেক অনেক ভালো হয়েছে আপনার স্বপ্ন পর্ব।
শুভ কামনা রাশি রাশি।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। মনটাই ভালো হয়ে গেল।কানে শোনার ব্যাপারটা শুধু মজা দেয়া।আর পরে পেট খারাপের উপায় জানিয়ে দিব।দেখা হলে সবাইকে চটপটি খাওয়াবো কথা দিলাম।আর সোনেলার সব ভূত আমার ঘার মটকালেতো তাদের কষ্ট হবে তাই এইটা করবে না আমি জানি।আসলে নীল আমার প্রিয়।কিন্তু লাল রং ও ভাল লাগে।খুব ভালো লাগল আপনার কমেন্ট পেয়ে।শুভকামন, ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
আপনিও ভালো থাকুন সব সময়,
আপনি সোনেলার নিয়মিত একজন হয়ে উঠেছেন দেখে ভালো লাগছে।
শুভ ব্লগিং।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া।
উর্বশী
মা শা আল্লা। এতো ভি আই ভি গন সোনেলা পরিবারের প্রোগ্রামে সামিল হয়েছেন।আমাদের প্রধানমন্ত্রী অসুস্থতার জন্য যেতে পারেন নি। পড়ে বেশ মজা পেয়েছি। নাচানাচিও কম হয়নি তাইনা? প্লানচেট দাদু এটাই বড় ব্যাপার।সব মিলিয়ে চমৎকার লিখেছেন । আগামী মিলন মেলায় সোনেলায় বেঁচে থাকলে হাজির হবো আশা করি বাস্তবতায়।
অনেক শুভ কামনা রইল।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপু, আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব আনন্দিত হলাম। খুব ভাল থাকুন,অনেক অনেক শুভকামনা।