আজকের টপিক,,,,,
হোয়াইট বোর্ডে বড় বড় করে লেখা “বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পোশাক।”
আলো ক্লাসে গিয়েই পড়ানোর টপিকে চলে গেল। স্টুডেন্টদের বলতে লাগল,জানো আদিম যুগে মানুষ কাপড়ের ব্যবহার জানত না, সেইসময় মানুষ গাছের লতাপাতা দিয়ে লজ্জা নিবারন করত। তারপর ধীরে ধীরে শিল্পবিপ্লব হওয়ার পর এখন আমাদের দেশ সবক্ষেত্রে এগিয়ে।
আজ তোমাদের নানাধরনের পোশাক নিয়ে বলব,,,
যেমন জামদানী, মনিপুরী,টাঙ্গাইল তাঁত,রাজশাহী সিল্ক ইত্যাদি। এছাড়া নৃগোষ্ঠীদের পোশাকের ধরন আলাদা যেমন,চাকমাদের ছেলেদের পোশাক,ধুতি,পাঞ্জাবী, গামছা,মাথায় পাগড়ী,মেয়েদের পোশাক,স্কার্ট,ব্রেস্ট ক্লোথ।খাসিয়া ছেলেদের পোশাক,পকেটবিহীন জামা লুঙ্গী,মেয়েদের পোশাক কাজিম পিন।এছাড়া প্রত্যেক উপজাতি রুপা, সোনা যেকোনো অলংকার মেয়েরা খুব পছন্দ করে, কপালে টিপ পড়ে নিজেকে দারুন পরিপাটি করে রাখে।
এই যা!!! বেল পড়ে গেল, ঠিকআছে আজ এ পর্যন্ত কাল আবার পড়াবো,ভালো থেক সবাই।
কথাগুলো বলেই আলো তার অন্ধকার কুপে বই, খাতা রেখে বাসায় যাওয়ার জন্য বেড়োবে ভাবতেই প্রচন্ড বৃষ্টিতে কলেজ এক নিমিষেই থৈ থৈ করতে থাকে। অগত্যা আলো অপেক্ষা করে বৃষ্টি থামার,,,,,,
আলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফুড এন্ড নিউট্রিশন বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স কম্পলিট শেষে খুব ভালো রেজাল্ট নিয়ে এন জিও তে জব শুরু করে। আলোর টার্গেটই ছিল সমাজের অসহায় নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করবে তাই সে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইডে মনিটরিং অফিসার হিসেবে কাজ শুরু করে। কথায় বলে,সুখ যখন আসে তখন নাকি আশেপাশের যাইহোক না কেন সুখের বন্যা বইতে থাকে। আলোর ক্ষেত্রেও তাই হল,ধীরে ধীরে আলো সাজেদা ফাউন্ডেশন, সেভ দা চিলড্রেনসহ আরও অনেক ইন্টারন্যাশনাল এন জিওতে টপ লেভেলে চলে গেল। সুখের বন্যা হিসাবে ৫ বছর পর আলোর ক্যারিয়ার আরও তুঙ্গে উঠে গেল। ভালোই কাটছিল নির্যাতিত নারী পতিতা ও পথশিশুর সাথে নিয়ে কাজ করা।
আলোর কেন জানি ছোটবেলা থেকেই শিক্ষকতা পেশা ভালো লাগেনি। হয়ত পরিবারের বাবা মা কে দেখেই তার এই পেশার প্রতি শ্রদ্ধা থাকলেও সে এই জীবনে প্রবেশ করবে তা ভাবেনি। কিন্তু অনেক সময় আমরা যা চাই তা ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও পরিস্থিতির কারনে করতে পারি না। তাই বাবা মায়ের চাপেই আলো ১২ বছরের ঢাকা ছেড়ে এলাকায় এসে মফস্বলের এক কলেজে জয়েন করে।
আলোর কলেজ বাসা থেকে ৪০ কিঃ মিঃ দূরে। শুরু হল আলোর নতুন জীবন। আলো বরাবরই শাড়ীতে খুবই কম কমফোর্টেবল তাই প্রথমদিন শখ করে শাড়ী পরলেও পর পর দুদিন আলো সালোয়ার কামিজ,গলায় সিম্পল মালা,হাতে একটা চুড়ি আর কপালে ছোট টিপ এই ছিল আলোর সাজসজ্জা। আলোর কলেজটি কমবাইন্ড কলেজ হওয়ায় আলো স্টুডেন্টদের মাঝে সেই ড্রেসে মিলিয়ে যেত।
দুদিন সালোয়ার কামিজে আলো নিজেই রিয়ালাইজ করল ওরে বাবা!!!এবার যতকষ্টই হোক রেগুলার শাড়ী পরতেই হবে।
এরপর থেকে আলোর পরনে শাড়ী,থ্রি কোয়াটার কলার দেয়া ব্লাউজ তবে হাতে খাঁজকাটা ডিজাইন করা,কপালে ম্যাচিং ছোট্ট একটা টিপ, ঠোটে লিপস্টিক, গলায় ম্যাচিং মালা, এক হাতে ম্যাচিং কাঁচের চুড়ি আরেক হাতে ব্রেসলেট অথবা ঘড়ি। আলোর এই শাড়ী পেঁচাতে প্রায় ৮ টি সিপটিপিন লাগে যাতে করে শরীরের কোন অংশই দেখা না যায়। তবে আলোকে এই পোশাকে দেখতে দারুন লাগে, তবে সবকিছুতেই তার শালীনতা বজায় থাকে। এরপর থেকে আলো কোনরকম নিজেকে নতুন জায়গায় এডযাস্ট করতে চেষ্টা করে।
আলো প্রতিদিন দূর থেকে সকালে তাড়াহুড়ো করে বেঁড়োয় বলে কলেজের কাছাকাছি একটা রেস্টুরেন্টে সকালের খাবার খায়। খাওয়ার সময় আলো প্রতিদিন খেয়াল করে তার আশেপাশের মানুষ এমন ড্যাব ড্যাব করে তার দিকে তাঁকিয়ে থাকে যেন ঐ রেস্টুরেন্টে এর আগে কোন মেয়ে একা কখনো খায় নি। এছাড়া অনেকেই এমনভাবে শকুনের মত তাঁকায় যেন তাদের সামনে এমনকিছু আছে যে দেখলেই খাবলে পড়বে!! জীবনে এই শকুনেরা হয়ত শাড়ী পড়া মেয়ে দেখেনি???ভাগ্যিস শাড়ী পরা দেখে এদের এই অবস্থা,যদি ঢাকার মত লং ফতুয়া,ওড়না,আর জিন্স পরা দেখত ! হয়ত একেবারে ফিট লাগত🥰।
আজব শহরতো!!! আচ্ছা হোক! মফস্বল শহরতো এখানকার মানুষ একটু অন্যরকম হতেই পারে এই ভেবে আলো নিজেকে শান্ত্বনা দেয়।
কলেজে নতুন জয়েন করায় প্রত্যেক কলিগের আলোর প্রতি অসীম আগ্রহ ছিল। আলো ছোটবেলা থেকে মিশুক ছিল বিধায় খুব সহজেই কিছু কলিগকে আপন করে নেয়। আলোর বেশিরভাগ কলিগই তার বাবার বয়সী। যাইহোক আলো তাদের সাথে আড্ডায় ভালোই সময় পার করছিল।
এরপর শুরু হয় কালো ছত্রের আসল ঘটনা,,,,মুখোশের আঁড়ালে হাজার রকমের সমালোচনা!!! সমালোচনার সাথ পাঁচে সায় দিতে শুরু করে পুরুষ মহিলা সহ বেশিরভাগ কলিগ। এছাড়া হুজুর দুজন কলিগ আলো কে দেখলেই পিছনে নাউজুবিল্লাহ,আস্তাগফিরুল্লাহ বলে আবার সামনে আলোর সাথে ছবিও তোলে পরক্ষনেই সব কলিগ মিলে বইয়ে দেয় সমালোচনার বন্যা।।।
এহ!! ঢাকা থেকে আসছে?? এত লিপস্টিক দেয়!!চুলগুলো সবসময় ছেড়ে দেয়!!কপালে টিপ!! এর কতগুলা শাড়ী?? শুনেছি ঢাকায় পতিতা নিয়ে কাজ করত!! পুতির মালা এই বয়সে??? শাড়ী একটু উপরে উঠে গেলেই ছি! ছি! কাপড় উপরে উঠছে!! কিসব ব্লাউজ!!! ঢং যতসব উফফ!!! এরকম হাজার সমালোচনা!!!
যদিও আলোর আঁড়া্লে কথাগুলো হলেও তার কানে আসত! এমনিতেই নতুন জায়গা, তার উপর এতসব সমালোচনায় আলো একা একা খুব কষ্ট পেতে শুরু করে। হয়ত এমন কিছু মানুষ ও থাকে যারা সমালোচনা করার বাইরে। এরকম দু একজনের সাথে আলোর ভাব হয়ে যায়। সবাই উপরে উপরে আলোর প্রশংসায় ভাসলেও সমালোচনার মুখরোচক খাবার তারা আঁড়ালে চায়ের সাথে ঠিকই গেলা শুরু করে।
আলো ধীরে ধীরে আঁকড়ে ধরে দু তিনজনকে কেননা আলোর ধারনা তারা আলোর ভালো চায়।এইখানেই আলো জীবনের প্রথম ভুল করে।
যাইহোক, এরকমভাবেই সেখানে আলোর খুব ভালো একজন বন্ধু হয় যার সাথে আলো সব শেয়ার করা শুরু করে, তার পাশে থাকে, ভালো মন্দে সুখ দুঃখের সাথী হতে চায়। ভালো সময় কাটতেই তাদের নিয়ে আরও নোংরা সমালোচনা শুরু হয় বাকিদের । তবুও তাদের বন্ধুত্ব থাকে ৫ বছর। এরপর আলোর বন্ধুর জীবনে নতুন কেউ এলে সে আলোকে এভয়েড করতে শুরু করে। আলো এটা মেনে নিতে না পেরে তার বন্ধুর কাছে এভয়েড করার কারন জানতে চাইলে তার বন্ধু সবার সামনে তাকে যা তা বলে অপমান করে। পরদিন আলোর বিচার হয়,,, আলো বাজে মেয়ে, সে এইসব সাজগোজের পোশাকে তার বন্ধুকে সিডিউস করেছে, বাজে প্রস্তাব দিয়েছে,পতিতা জন্যইতো বন্ধু তাকে দাম দেয় নি। এই মেয়ে তো লোভী,এইসব শাড়ী,চুড়ি পরে সুন্দর করে কথা বলে মানুষকে পটায়,আরও হাজারটা কথা!!!
আলো প্রতিবাদী হলেও তখন আলো মুখ ফুটে একটা উত্তর ও দিতে পারে নি। কেন ! কি কারন! কি সম্পর্ক! কিচ্ছু বলতে পারেনি। শুধুমাত্র বন্ধুকে সত্যিকারের ভালোবাসে বলে। আলো লজ্জায় সব অপমান নিজের ভেবে মাথা নিচু করে থাকে। সেখানকার একটা মানুষও আলোর কোন কথা জানতে চায় নি। কেউ একবাররের জন্য আসল ঘটনা জানতে চায়নি। আলো শুধুমাত্র বন্ধুকে ভালোবাসে বিধায় সেদিন কোন প্রতিউত্তর করতে পারেনি।
শুরু হয় আবার আরও অনেক রং বেরংগের সমালোচনা যেখানে শুধু পুরুষ কলিগরাই নয় মেয়ে কলিগরাও তাদের সাথে যোগ দিয়ে আলোকে ঠেলে দেয় নিস্তব্ধ কুপে।। ছি! ছি! এর ছড়াছড়ি!!! আলো এই সমালোচনার ভয়ে সুইসাইড এটেম্ট করতে গিয়েও ফিরে আসে কারন জীবনটা আলোর। অন্যের কথার জন্য নিজকে কেন বিসর্জন দেবে??? কাউকে বিশ্বাস করা ভালোবাসা যদি দোষ হয় তবেতো প্রতিদিন আলোর মত লাখ লাখ মেয়ে সুইসাইড করবে।
আলো নিজের উত্তরন চায় বিধায় নিরবে নিশব্দে সেইদিন থেকেই নিজেকে এমনভাবে গুটিয়ে নিয়েছে যে,,,,,,,
আর যাইহোক ভালোবাসা নিশ্চয়ই আত্নসম্মানের চেয়ে বড় কিছু না😭😭😭
ভালোবাসার মানুষের সব অপমান মেনে নেয়া যায় কিন্তু অন্যদের অপমান মেনে নেয়ার কিচ্ছু নাই।।”
“সিডিউস”,আরে ভাই একটা মেয়ে এতদুর থেকে কলেজ করে তারপরেও এত পরিপাটি হয়ে যায় শাড়ী একটু উপরে উঠতেই পারে!! ঠান্ডায় পেডিকোটের ভিতরে টাইটস বা জিন্স পড়ার পর জিন্স দেখা দিলেও হা হা😭???অথচ আলোর আপু কলিগ যারা!! বয়স ৪৭/৫০ নানা রঙ্গের স্টাইলিশ বোরখা,মাথার চুল খোলা, ঠোটে লিপস্টিক তাদের নিয়েতো আলো কখনো কিছু বলা তো দূরে থাক এইসব ভাবেইনি কখনো বরং বার বার তাদের বলত আপনাদের সুন্দর লাগে।
আসলে শুধু ছেলেরাই মেয়েদের উত্তক্ত করেনা অনেক মেয়েও মেয়েদের সম্মানহানী করে।।।
ভাবতে অবাক লাগে শাড়ী পরে,সেঁজেগুজে গেলে,একা হোটেলে ক্ষুধা নিবারনের জন্য নাস্তা খেলে,চুল খুলে রাখলে,কাউকে ভালোবেসে প্রত্যাখিত হলেও সব আলোর চরিত্রের দোষ,,,,, আপনাদের ভাস্যমতে, এভাবেই অশালীনভাবেই আলোর মত অনেক মেয়ে সিডিউস করে পুরুষ পটায় নাকি??? আলো ও তো তার বন্ধুকে ভালোবেসেছিল সে কি বলেছে যে তার বন্ধু তাকে সিডিউস করেছে? হায়রে সমাজ!! ধিক্কার!!!
এসব পুরনো কথা ভাবতে ভাবতেই আলোর চোখের কোনে চিক চিক করছে জল,,,,,
ম্যাডাম বৃষ্টি কমেছে বাসায় যাবেন না???
আলোঃ হুম থেমে গেছে? টেরই পাইনি।
ম্যাডাম খালি পত্রিকায় মেয়েদের পোশাক নিয়ে কত কথা!!! দেশের আর কোন টপিক নাই? ছোট বাচ্চারা পোশাকের কি বোঝে??তারা ধর্ষনের শিকার হয় কেন? আবার বোরখা পড়া মেয়ে কেমনে সিডিউস করে বলেন দেখি??? রাস্তায় পড়ে থাকা মানসিক রোগীর কেমনে বাচ্চা পেটে আসে?
ম্যাডাম এইসব পোশাক টোশাক কিচ্ছু না সবার আগে মানুষের মানসিকতা।
আলো অবাক হয়ে আয়ার দিকে তাঁকিয়ে আছে আর মনে মনে বলছে আই স্যালুট ইউ,আপনার মত কয়জন আছে যারা এভাবে চিন্তা করে?? মনের শিক্ষাই আসল শিক্ষা।
ম্যাডাম কি ভাবছেন????
আলোঃ মুখে সেই পুরনো হাসি,,,,,কি জানি ভাই! জানি না এইসবকিছু!!! গেলাম আখি আপা থাকেন। কাল দেখা হবে।।।।।
ছবিঃ নিজের ( সিডিউস করার কোন চেষ্টা নাই🥰🥰🥰)
৬টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি কিন্তু সিডিউসড হয়া গেছি। এখন কি হবে? শুনুন এভাবে ছবি টবি দিবেন না ম্যাম! বহুত সমেস্যা🤪
বন্যা আপুর কথাটা বলতে ইচ্ছে করছে, তোগো কিছুই করা লাগে না তোরা ঘরে বইসাই সিডিউসড হয়ে থাকোস!
পাছে লোকে অনেক কিছু বলবেই তা বলে কানে নেয়া যাবে না। গল্পের শেষটা বোধহয় দ্রুত করে দিলেন। আরও কিছু ঘটনাবলীর আশা করেছিলাম।
অশেষ শুভকামনা 🌹
রেজওয়ানা কবির
হা হা হা😃হায় আল্লাহ আপনি সিডিউস হইয়া গেছেন?আমার ভুল হইয়া গেছে মাফ করে দিয়েন। বন্যা আপুর ঐ দিনের কমেন্টের প্রত্যেকটা শব্দই আমার মনের কথা ছিল। হুম আলো উত্তরন না ঘটালে সেদিনের সমাজের সমালোচনার ভয়ে খাইরুনের মত ভুল করে চলে যেত! এক্ষেত্রে আলো সাহসী। গল্প তাড়াতাড়ী শেষ করলাম সিডিউস হওয়ার ভয়ে থাক বাবা🥰।
ধন্যবাদ আর অশেষ কৃতজ্ঞতা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শুভকামনা।
বন্যা লিপি
@ রোকসানা খন্দকার রুকু & রেজোয়ানা কবির,,, আপনাদের মন্তব্যে আমার একটা গান মনে পড়লো…..
“আমি থাকি বা না থাকি….
তবু বাতাস হয়ে
সুবাস হয়ে তোমার কাছে আসব ফিরে”…..
কিছুতো অন্তত রেখে গেছি,,,আজ আপনারা দুজনেই সেটুকুর উল্লেখ করলেন। এটুকুই আমার হয়ত প্রাপ্য।
রেজোয়ানা কবির,,,আপনার পোষ্ট মন্তব্যে পরে আসছি। মন শরীর কোনোটাই ভালো যাচ্ছে না। দোয়া করবেন আমার জন্য। দুজনের জন্যই অজস্র ভালবাসা❤️❤️
রেজওয়ানা কবির
আহা! গানটির লাইনগুলো খুবই সুন্দর আপু। হুম অবশ্যই রেখে গেছেন তাইতো মনে করি বার বার। সত্যি আপু সেদিন রুকু আপুর লেখায় মন্তব্য পড়ে লিখতে গিয়ে মনে হচ্ছিল আপনি সবকিছু আমার মনের কথা শুধু না বেশিরভাগ মেয়ের মনের কথাই তুলে ধরেছেন তাই আর আমি কোন কমেন্টই করিনি সেদিনের পোস্টে। কিন্তু আমি রুকু আপুকে বলেছিলাম আপনার কথা। দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ী সুস্থ হয়ে যান ইনশাআল্লাহ। আর আদতে মন ভালো না থাকলে কিচ্ছু ভালো লাগে না আমি তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। মন ভালো হোক এই দোয়াও রইল। ভালোবাসা রেখে গেলাম আপু ♥️।
যত্ন নিবেন,শুভকামনা।
হালিম নজরুল
“ভালোবাসার মানুষের সব অপমান মেনে নেয়া যায় কিন্তু অন্যদের অপমান মেনে নেয়ার কিচ্ছু নাই।”
“আসলে শুধু ছেলেরাই মেয়েদের উত্তক্ত করেনা অনেক মেয়েও মেয়েদের সম্মানহানী করে।”
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আর শুভকামনা ভাইয়া। আমাদের সমাজটাই মাঝে মাঝে কেমন জানি বিরক্ত লাগে।
ভালো থাকবেন।