
আজ ভোরটা অন্যদিনের মতোই চিরচেনা একইরকম যদি কোনো ছেদ না পড়ে। ঘুম থেকে উঠে বারান্দার চেয়ারে বসা,,,
রাতের অর্ধেক পড়া বই, ফোন আর এক কাপ মশলা চা নিয়ে। ভোরের মন ভালো করা গান ছাড়া মিউজিক ছাড়ি মৃদু সুরে। চেয়ারে বসে প্রথম কাজ নোটিফিকেশন চেক করা। ফেসবুক ও ব্লগে ঢু মারা। ফোন রেখে চুপচাপ ভোর দেখা। বারান্দার জবাগুলো একটু একটু করে ততোক্ষণে ফুটতে থাকে,, পাশের হাসনাহেনাগুলো ঝরে পড়া দেখি।
আমার এ সময়টুকু ভাবনাগুলো ঠিক যেনো গাছের ডালপালা শাখা উপশাখা, ঘাসবুকে ঝরে পড়া ভোরের শিশিরে স্নানে সেরে সজিবতায় হেসে ওঠার মতো। কিন্তু আজকের ভোরটা অন্যরকম। সোনেলা বলছে তার বুকে আমার ভাবনার বসত গড়ার আজ ২০০ তম পোষ্টের শব্দের ভীত বসানো।
ব্লগিংএ আজ আমার ২০০ তম পোস্ট! ছয় বছর পার করে ফেললাম ব্লগিং জগতে। ছয় বছর আগে ভীরু ভীরু হাতে আদি অক্ষর অ-অক্ষরে আমার া কার ি কার বসানোর চেষ্টা করেছিলাম এ সোনেলার বুকে। আনাড়ি শুব্দগুলোর প্রাণ দিতে পুরাতন যাদরেল(ভালো অর্থে) লেখক ব্লগারদের স্নেহাশিস পেয়ে হামাগুড়ি দিতে দিতে এখন একটু একটু হাঁটতে শিখেছে। হাঁটতে শেখা মানে সাহস করে ফেলে প্রবন্ধ কবিতা লেখার দুঃস্বাহস যাকে বলে। সে কি উৎসাহ উদ্দীপনা তাদের আমাকে ঘিরে। লেখার জগতে এমন স্নেহ কতোজন পেয়েছে আমার জানা নেই। সেই হিসেবমতে আমি বড় ভাগ্যবতী বলা যায়। আগে লিখে লিখে বিছানার নীচে রেখে দিতাম। ভাবি দেখে বলতো, সব কেনো বাক্সবন্দি করে রাখিস? মেলে ধর নিজেকে। দুই পরিবারে তখন কড়া অনুশাসনে আমি ফেসবুক বা ব্লগিংএ নাম লেখাব তা ভাবনার বাইরে। তবু ভয়ে ভয়ে ভিন্ন নামে শুরু করলাম ব্লগিং।
ছাইপাশ অখাদ্য শব্দমালাকে ছেঁকে টেলে তা সুস্বাদু খাদ্য বানানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগলো জিসান ভাইয়া। যেমন ধান থেকে তুষ ঝেড়ে বের করে আনা হয় চাল তেমন।আমি লিখতে লাগলাম। মন্তব্য করতে করতে নিজেও লিখতে লাগলাম তাদের অতি উৎসাহে। আজ লেখার জগতে আমাকে যদি কেউ একজনও চিনে থাকে সে হয়েছে সোনেলা ব্লগের জন্য।
দাদাভাইদের ভালবাসা,,, সব পেয়েছি এ শব্দের কারনে। আমি বড় বেশি অকৃতজ্ঞ সে আমি জানি, উপলব্ধি করতে পারি এই অকৃতজ্ঞ বোধটুকুকে। স্নেহ ভালবাসা ফিরিয়ে দেবার মতো সামর্থ্য যোগ্যতা আমার নেইস্নেহ ভালবাসাগুলো ধরে রাখার মতো যোগ্যতা, ক্ষমতাও আমার নেই। পেয়ে হারানোর মতোও অনেকটা। আমি বড় অগোছালো একজন মানুষ। সংসারটা ছাড়া আর যেনো কোনোকিছু আমি ঠিক সামলে উঠতে পারি না। তাই মাঝের তিনটা বছর আমি সোনেলা থেকে বাইরে ছিলাম। এ মধ্যবয়সে কিছু জিনিস শিখছি আর তা হলো,, অন্যের চোখে না দেখা,,,, নিজের শেঁকড় ছেড়ে যেতে নেই। শেঁকড় ছাড়া গাছ যতো বড় বটবৃক্ষই হোক সে মাটিতে লুটাবে,,, একটু একটু করে ক্ষয় হবে তার অস্থিত্ব। দণ্ডায়মান দাঁড়িয়ে তো থাকবে কিন্তু নতুন পত্রপল্লব, নতুন শাখা গজাবে না সহজে। কান্নাগুলো গলায় শক্ত দলা পেকে থাকে মাঝে মাঝে মাঝে হতে চায় না হাউমাউ করে।
সোনেলা ছাড়া আমি এ গাছটার মতো শেঁকড় ছাড়া প্রিয় জিনিস, প্রিয় স্থান ছেড়ে পারিযায়ি পাখি ছুটে চলে কোথায় কোথায় কিন্তু হাজার মাইল পাড়ি দিলেও দিনশেষে সে ঠিকই ফেরে আপনালয়ে। আমিও ফিরেছি আমার আপনালয়ে সোনেলা দিগন্তে জলসিঁড়ির ধারে।
প্রিয় সোনেলার পাঠক হয়ে, অক্ষরের প্রেমে পড়ে,
সোনেলার বুকে প্রত্যোক লেখকের হৃদয় হতে উঠে আসা শব্দের শীতলতা ছুঁয়ে সিক্ত হয়েছি
তার শব্দের মাতলতায় আমার তুষ্টি।vতার এ বুকের অক্ষর বিরহে আমার নয়ন কোনে জল ওঠে
তারকারাজি খসে পড়ে, সবুজ মাঠে কলরব ওঠে।
|
এ বুক বার বার আগলে জড়ো করেছে আমার এলোমেলো ভাবনাগুলি শৃঙ্খলিত করে।
সময়ের ক্লান্তি ভেঙ্গে আমার শব্দের পূর্ণ আকাঙ্খার দ্বীপ জ্বালিয়েছে বার বার।
অক্ষরের আদলে সাজাতে আমার শতো জড়ো ভাবনাগুলিকে প্রাণ দিতে দিবানিশি জল ঢেলেছে।
তাতে থাকে কিছু আমার নয়নের নোনাজল, আরো কিছু ঐ শিশির বিন্দু।
তার আপ্রাণ চেষ্টায় শব্দ গাঁথার আকাঙ্খা আমার বেড়ে যায় চুপি চুপি।
ভিজিয়ে রাখি ঐ সুশ্রী গোলাপের পাপড়ির মতো আমার সকল শব্দ সম।
হৃদপিণ্ড যেমন দেখা যায় না শুধু থেমে গেলে বোঝা যায় বুকের ভিতরে তার বাস ছিলো। তেমনি শেকড় ছেড়া গাছও উপড়ে গেলে বোঝা যায় কতোটা শেকড় গেঁথে ছিলো মাটির বুকে। এই অগোছালো আনাঢ়ি আমাকে লিখতে বসালো সে কতো আদর করে, এতো স্নেহ, মায়া, মমতা, ধৈর্য্য এ বুক কি করে পায় আমার জানা নেই।
আগে যখন মন খারাপ হত বা মনে নতুন কোনো ভাবনা এলে কাগজের বুকে যা ইচ্ছে লিখে ফেলতাম। কাগজ তো কথা বলতে পারে না, তাই সে কখনো বলেও না, লেখায় আমার প্রাণ আছে নাকি নাই। কোনো শব্দের মিল ছিল না তাই তাতে। ছিলনা কোনো ভাবনারও মিল। এ ভাবনা থেকে ও ভাবনায় হঠাৎই চলে যেতাম। কাগজ কথা বলতে পারে না বলে কলমও তাই ঘুরতে চাইত না।
কিন্তু সোনেলা শেখালো কলম না, তোমার আঙ্গুলের স্পর্শে তার বুকে লিখে ফেলতে, সেই-ই আমাকে বলে দিলো, এই পরিবারের সবাই বলে দিলো আঙ্গুলের স্পর্শের শব্দে প্রাণের স্পন্দন কি করে আনতে হবে। হলো ও তাই। কতো আদর করে বুঝিয়ে দিলো, শব্দ সাজানোর নিয়ম কানুন। ভাবনার আদান প্রদান। কাগজের বুকে প্রথম লেখাগুলো পড়ে এখন হাসি আমি। কতোটা পরিবর্তন করে দিয়েছে এই আমায়।
প্রখম প্রথম আমি যখন সোনেলার বুকে হ য ব র ল লিখতাম, পোস্ট কি করে করতে হয় তাও জানতাম না। তখন ভাইয়ার মাথার চুল ছেঁড়ার অবস্থা হয়। ছবি দিতে আমি এখনো শিখতে পারিনি। খুব কষ্ট হয় ছবি পোস্ট করতে। গানের কলি তো আরো ধারে কাছে যাই না পোস্ট করার।
এই পৃথিবী আজ বড়ই যান্ত্রিকতায় ভরে গেছে। আর এখন তো করোনায় আরো ভয়াবহ অবস্থা! কেউ বসে মনের দুইটা কথা শুনাবে ও শুনবে সেই সময়টুকু নেই। মন খারাপ হয় না এমন মানুষ নেই। সোনেলা সেই দিনগুলোতে মনের দুয়ার খুলে দিলে। বুক পেতে দিলো শব্দ সাজানোর। নিজের শব্দগুলো ছিলো আমার ঠিকানা বিহীন। সোনেলা দিলো তাদের একটা ঠিকানা।
সোনেলাকে দেখি কখনো বড় ভাই, কখনো ছোট ভাই, কখনো বোন, কখনো এমন এক বন্ধু, যার ঘাড়ে মাথা রেখে বলা যায় অনেক কথা। একজন মানুষের অনেক কিছুই বলার থাকে, তা দেশ, সংসার, সমাজ ও নিজেকে নিয়ে যা এক প্লাটফর্মে সবাই পড়তে পারবে। সোনেলা সেই প্লাটফর্ম।
প্রথম যখন সোনেলার কাছে শব্দ নিয়ে আসলাম, অন্যদের লেখা দেখে ভাবতাম, ইশ এটা যদি আমি লিখতে পারতাম! ভেবে ভেবে হেসে ফেলতাম। রাজ্যময় আনন্দ নিয়ে সোনেলার বুকে লিখে ফেলি আমার সব ভালবাসা, দুঃখ আনন্দের কথা। তার এই উৎসাহে আজ আমি অনেক বিশী আত্মবিশ্বাসী। আমাকে করেছো সাহসী প্রতিবাদী। সেই আত্মবিশ্বাসে বের করে ফেলেছি কবিতার বই। এ বাড়িতে আমার শব্দের হাতেখড়ি। তাই আমি বলি আমার মাতুলালয় আঁতুড়ঘর।
দেখতে দেখতে সোনেলার সাথে কেটে গেল আমার ছয় বছর তিনদিন! জীবনের আমির ও মরণের আমির এই সময়টুকুতে যদি কলম ও শব্দ থেমে যায় তবে ভুলে যেও না প্রিয় সোনেলা। যদি কখনো কোনো ভুল হয়ে যায় সবার কাছে আমি হাতজোড় মিনতি করে ক্ষমা চাচ্ছি।
সোনেলার বুকে সকল লেখক ব্লগারদের জন্য আমার আন্তরিক ভালবাসা। পরিশেষে একটা কথা না বললে হবে না। জিসান ভাইয়া যে মানুষটাকে অসহনীয় ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত জ্বালিয়েছি তার কাছে আমার চির ঋণ।
শেষ করছি ২০০ তম পোস্ট।
,,রিতু জাহান,,রংপুর।
উৎসর্গঃ সোনেলার সকল সোনালী মানুষদের যাদের ভালবাসায় আমি আমি হবার স্বপ্ন দেখি।
৩৪টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
প্রথম হতে আগেই হাজিরা দিলাম আপনার এই অভাবনীয় দুইশততম পোষ্টে। বাকি মন্তব্য পরে নিয়ে আসছি।
অভিনন্দন দুইশত তম মাইলফলক স্পর্শ করায়🏵️🌺🏵️🌺🌹🌹🏵️🌺🏵️🌺
রিতু জাহান
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু,,,, ভালবাসা জানবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
ছয় বছরে ২০০ পোস্ট, যদি মাঝখানের তিন বছর বাদ দিই তাহলে তিন বছরে ২০০ পোস্ট! সাথে ৩৭০৩ মন্তব্য। অভিনন্দন-অভিনন্দন
চাচ্ছিলাম বিশেষ কিছু লাইন এখানে উল্লেখ করে নিজের মতামত জানাবো। কিন্তু লেখার প্রতিটি অংশই মর্মস্পর্শী তাই উল্লেখ করার কিছুই বাকি রইলো না। শেকড় বিহীন হয়ে বেঁচে থাকা হয় না। গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে নিয়ে ফুলদানীর শোভা ক্ষনিকের জন্য বাড়ানো যায়, কিন্তু বাগান তৈরী করতে হয় বীজ দিয়ে, যত্ন ভালোবাসার মিশ্রণে। নীলকুরীঞ্জির শেকড় এখানেই, সোনেলায়।
সোনেলা আপনাকে কি কি দিয়েছে তা আপনি জানেন, কিন্তু সোনেলায় আপনার প্রদেয় যা কিছু সবই আমরা দেখেছি। শুধু এটুকু বলবো আপনার প্রত্যাবর্তনে সোনেলা সম্পুর্ন হয়েছে।
ভালো থাকুন, আবারও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন 🌹🌹
রিতু জাহান
নীলকুরিঞ্জি মনে আছে!!
আমি অভিভূত,,,, অনেক অনেক ভালবাসা রইলো। শুভকামনা সব সময়
কতো কথা কতো সময় এ ব্লগ জুড়ে !
কতো স্মৃতি!
ভালো থাকবেন সব সময়। 💛💛
রোকসানা খন্দকার রুকু
সোনেলা এমন একটি অঙ্গন যেখানে রাগ- অভিমান, অসুস্থতা, ব্যস্ততা, দুখ- সুখ কোনটিই আসা থেকে সরিয়ে রাখতে পারে না। আপনি যেকারনেই থাকুন বেশ কষ্ট হয়েছে থাকতে এটা বলতে পারি।
কারন আপনার মতো সোনেলার মানুষদের সবার একই অনুভূতি। সারাদিনের মন খারাপ শেষে কোন না কোন কারনে হাসতেই হবে।
নতুন করে শুরু করুন। আপনার লেখা যেমন অতুলনীয় তেমনি আপনার সুগঠিত মতামত সোনেলাকে সমৃদ্ধ করবে নি:সন্দেহে। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা অবিরাম। শুভ সকাল।
রিতু জাহান
একদম তাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। পাশে আছি পাশে থাকবেন,,,
ছাইরাছ হেলাল
মুক্ত পাখিটি নাচে/হাসে/ভাসে
রোদ-ডানায়, ঝিরি ঝিরি হাওয়ায়;
স্বপ্ন, স্বপ্নের সূর্য-ঝিলিক দীর্ঘ-দীঘল
নীলাকাশটি তার-ই, যেমন ছিলো;
রিতু জাহান
মুক্ত পাখিটাকে মুক্ত করাও মনের দরকার,,, নীল আকাশটা যে বড় দরকার ছিলো,,,
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয়কবি
আলমগীর সরকার লিটন
২০০তম পোষ্টের জন্য হাজারও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা রইল রিতু আপু
ভাল ও সুস্থ থাকবেন————
রিতু জাহান
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই,,, আপনিও ভালো থাকবেন পাশে থাকবেন।
মনির হোসেন মমি
প্রথমে অভিনন্দন ২০০ তম পোস্টের জন্য।
ঠিক আপনার মতোই আমিও বলব চলার পথে যদি কিছু ভুল হয়ে যায় সোনেলা যেন নিজগুনে ক্ষমা করে পাশে রাখেন আমৃত্যু।
সত্যিই আর বলার অপেক্ষা রাখে সোনেলা ব্লগ একটি সুখী পরিবার।এখানে আফা,বোন ভাই ব্রাদার সব আছে।সে সময়টুকু শুধু আপনাকে মিস করিনি মিস করেছি আমাদের আদুরে ভাগীনাদ্বয় এর ভালবাসা আপডেট।
কবিতার বইটির রিভিউ চাই।
ভাল থাকবেন থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।
রিতু জাহান
মেমনও অনেক খশি যে আমি আবারও লেখা শুরু করেছি ব্লগিংএ।।ওকে দেখালাম আপনার মন্তব্য রাতে খেতে বসে।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো ভাই❤️❤️
মনির হোসেন মমি
ওদের জন্য সব সময় মন থেকে দোয়া করি।ওরা ভাল থাকুক।সুস্থ থাকুক।
রেজওয়ানা কবির
প্রথমেই বলে নেই অনেক অনেক অভিনন্দন আপনার ২০০ তম পোস্ট শেষ করার জন্য আসি। আপনার এই লেখার প্রত্যেকটা লাইন মনে হলো আমার ভিতরের কথা। যেকোনো জায়গার শিকড়কে যে মনে রাখতে পারে সেইতো প্রকৃত মানুষ। লেখাটি পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম সোনেলা সবার কাছেই এত্তো যত্নের আর ভালোবাসার ভেবে আরও বেশি ভালো লাগছিল।যেখানে সবাই আকিবুকি করি। আসলে ভালোবাসতে গেলে দীর্ঘসময় শুধু নয় কয়েকমুহূর্তেই ভালোবাসা যায় সেটা এই সোনেলা,যেখানে সবার লেখা পড়ে শেখা যায়। আপনার লেখা পড়তে ভালো লাগে অনেক। আপনাকে আবার পেয়ে সোনেলা মুখরিত, আশা করি আর সোনেলাকে ছেড়ে যাবেন না😭।ভালো থাকবেন আপু, শুভকামনা সবসময়।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা 💘
রিতু জাহান
একদম ঠিক বলেছেন আপু। আমি কোনো এক কারণে বাপের বাড়ি ছয় বছর পরে গেছিলাম।
তবে গেছি কেঁদেছি নিভৃতে কেউ বোঝেনি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার এতো সুন্দর সুন্দর লেখা থেকে বঞ্চিত করার জন্য খারাপ লাগলো। ইস কত্ত সুন্দর করে লিখলেন সোনেলাকে নিয়ে, দাদাভাই কে নিয়ে, নিজের প্রাপ্তি কে নিয়ে। সত্যিই আপনার মতো আমার ও একই অবস্থা। এই সোনেলা, সোনেলার ব্লগারগণ আমাকে যা দিয়েছে তা আর কোথাও পাইনি, কত কিছু শিখেছি , জেনেছি ব্লগের নিয়ম-কানুন। ২০০ তম পোস্টের জন্য অফুরন্ত, অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন 💐💐💐💐💐💐💓💓💓💓🎉🎉🎉🎉। পাশেই থাকুন, পাশেই আছি। নিয়মিত লিখুন
রিতু জাহান
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো আপু।। পাশে পাবেন ইনশাআল্লাহ পাশে থাকবেন৷ ❤️❤️
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
অভিনন্দন এবং প্রীতিময় শুভেচ্ছা ডাবল চেঞ্চুরির জন্য। সোনেলা পরিবার আপনার নিকট থেকে প্রতিদিন লেখা আশা করে। আবেগঘন লেখার জন্য ধন্যবাদ — “দেখতে দেখতে সোনেলার সাথে কেটে গেল আমার ছয় বছর তিনদিন!
জীবনের আমির ও মরণের আমির এই সময়টুকুতে যদি কলম ও শব্দ থেমে যায় তবে ভুলে যেও না প্রিয় সোনেলা।
যদি কখনো কোনো ভুল হয়ে যায় সবার কাছে আমি হাতজোড় মিনতি করে ক্ষমা চাচ্ছি”।
রিতু জাহান
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই,,, ভালো থাকবেন সাবধানে থাকবেন। শুভকামনা
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
প্রীতিময় শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা রইল।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় ছয় বছর পূর্তি এবং দুইশততম পোষ্টের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
কত আন্তরিকতার সাথে পোষ্ট লিখলে তুমি। তোমার শিকড় আসলে সোনেলা।
শিকড় ছাড়া তুমি স্বাভাবিক বিকশিত হতে পারছিলে না। লেখার প্রতিটি লাইনে তুমি বুঝিয়েছ পাঠককে সোনেলা তোমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ আর জরুরী। তোমার লেখক স্বত্বার প্রাণ ভোমরা বলা যায় সোনেলাকে। তোমাকে সোনেলাও মিস করেছে প্রবল ভাবে। য়ামরা যারা তোমার লেখা পড়েছি, সবাইই তোমার লেখা পড়ার জন্য আগ্রহী ছিলাম।
লেখার প্রতিভা তোমার আছে। সোনেলার সবাই তোমার সেই প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলেছে।
তোমার প্রতিভা না থাকলে এই জাগরণ সম্ভব ছিলো না।
নিয়মিত লিখবে এই প্রত্যাশা করি।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
রিতু জাহান
ভাই আর বাপের বাড়ি ছেড়ে থাতা যায় না।
আমার লেখা অপক্ত হচ্ছিলো আরো। আমি আবারও লখব নির্দিধায়।
আমিও মিস্ করেছি খুব।
আগের মতো জ্বালাতে আসলাম আমি,,, ❤️❤️আপনার হাত ছাড়ছি না। ও হাতকে বলুন আপনার মনুর জন্য শক্ত থাকতে হবে।
মাছুম হাবিবী
দুবছরের উপরে এই সোনেলে ব্লগের সাথে জড়িত আছি। কখনো এই বন্ধন ছিন্ন করতে পারিনা। দেখা যায় ৬ মাস পর হলেও ফিরে আসি।
রিতু জাহান
অনেক ভালো করেন,,,
শুভকামনা রইলো, এভাবে সোনেলার পাশে থাকবেন।
আরজু মুক্তা
অভিমান করেছো তুমি
তোমায় নিয়ে কবিতা লিখিনি তাই? জানো তো অভিমানে পথের দৈর্ঘ্যই বেশি হয়। গোলাপ বাঁচে না।
এখন শুধু উপায়টা বলে দাও
কি করে এতো ভালোবাসা
দুই লাইনে বোঝাই?
রিতু জাহান
অনেক অভিমান,, তাইতো চিঠি ছিলো প্রিয় অভিমানের কাছে।।
তবে অভিমান ভালো অভিযোগের চেয়ে❤️
অভিমান ভাঙ্গা যায় অভিযোগ না।।
অনেক ভালবাসা নিবেন আপু
নিতাই বাবু
সোনেলা ব্লগে ছয় বছর পূর্তি ও দুইশততম পোষ্টের জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
রিতু জাহান
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। কৃতজ্ঞতা রইলো।
হালিমা আক্তার
অভিনন্দন ও লাল 🌹 এর শুভেচ্ছা ডাবল সেঞ্চুরির জন্য। আশা করি অচিরেই ব্রায়ান লারার চারশোতম রানের রেকর্ড অতিক্রম দেখতে পাব। শুভ কামনা রইলো।
রিতু জাহান
আপনার জন্যও শুভকামনা আপু,,, অনেক অনেক ভালো থাকবেন। ভালবাসা রইলো।
দালান জাহান
সোনেলায় ছয় বছর পূর্তিতে এবং দুইশততম পোষ্টের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আপনার আজকের লেখায় সোনেলা পরিবারের প্রতি এক অকৃত্রিম টান উঠে এসেছে। প্রাপ্তি -অপ্রাপ্তি আর ইথারের বন্ধনকে আপনি যেন হীরকের মোড়কে যৌক্তিক উপস্থাপন করলেন। একটা প্রবল কিছু বোঝা যাচ্ছে। আসলে লেখালেখির অবসাদ যাপন ভাবি আমি সোনেলাকে নির্মল বাতাসে দোল খেতে আসি সোনেলায়। যে বিষয়টা আমি নিজেও একসময় বুঝতে পারিনি। লেখালেখির জন্য সোনেলা এক নীরব বিদ্যাপীঠ। আপনাকে অভিনন্দন।
রিতু জাহান
কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকবেন সব সময়।
নার্গিস রশিদ
আমারও অনেক কিছু লেখতে ইচ্ছা করত। জানাতে ইচ্ছা করত নিজের অভিজ্ঞতা । যা পড়লাম, দেখলাম, শুনলাম, খুব কাছ থেকে মানুষের গল্প শুনলাম আর কাজ করতে গিয়ে মানুষের কষ্ট দেখলাম। এগুলো লেখে যেতে খুব ইচ্ছা করত। জানতাম না কোথায় পাঠাবো। এই জন্য সোনেলা কে অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জিসান ভাইকে। যার সহযোগিতায় আমি একটা প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পেয়েছি। ‘ উতসাহ প্রদান ‘ লেখকের আরও লেখার জন্য একটা বিরাট ব্যাপার। এই গুন টা কম মানুষের আছে। তাঁকে ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা নাই ।
রিতু জাহান
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়াকে আমি খুব যন্ত্রণা দেই। সত্যিই লিখতে মন, প্লাটফর্ম দরকার।