হঠাৎ জেগে উঠি রাম-চিমটির ভেদ করা অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে,জো নেই উহু আহা’র চিৎকার চেঁচামেচি, হাত চাপা মুখে। ঝুলে পড়া বেঢপ ভুঁড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে খুঁজি, খুঁজি ইতিউতি নাহ্,কোথাও কেউ নেই, টু শব্দটিও টের পাচ্ছি না,ভাঁড়ার ঘরে উঁকি দিয়ে ছানাবড়া চোখ নিয়ে দেখি—- নিপাট-গোছানো-দুঃখেরা আড়মোড়া ভেঙ্গে পাশ ফিরে শুচ্ছে!!
চোখে আগুন-পুষে ভাবি, দেব নাকি অগ্নি-বাণে ছারখার করে নিমিষে!
দুঃখ নিবারক শিরনি খেয়ে সবাই হেঁকেছিল সোল্লাশে, কেটে যাবে সমুদয় ব্যথা-যন্ত্রণা ,এবার থেকে।কত্থক নাচের তা ধিন ধিন তুলে-টুলে ফিরে আসি অকৃত্রিম ডেরায়!কী আনন্দ এবার আকাশে-বাতাসে! বজ্রাহত হয়ে দেখি দুঃখেরা গোল হয়ে বসে ঠোঁটের এক কোনে হাসি ঝুলিয়ে কোরাসে গান ধরেছে… মোরা আর জনমে হংস–মিথুন ছিলাম নদীর চরে যুগলরূপে এসেছি গো আবার মাটির ঘরে……………
বুকফাটা আর্ত-চিৎকার বুকেই চাপা দিলাম।
ভাবলাম,ধনুর্ভাঙ্গপণ নিয়ে আড়ি মিটিয়ে মিটিয়ে মিশে যাব গলায় গলায় দুঃখ-দৈত্যদের সাথে! ভেসে বেড়াব নিসর্গের নীলাকাশের নীলে, অশোভন যাওয়াযাওয়ির নিষিদ্ধ যুদ্ধযুদ্ধ এলাকায়,ভালোবাসা-হীন প্রহসনপরাঙ্গমতার নিশ্চিত অভয় নিলয়ে।
ফেলে আসা মৃদু মায়াময় নিগুঢ় জ্যোৎস্নার শেষে,অকস্মাৎ কোন এক নৈমিত্তিক কাক-ভোরে স্নিগ্ধতা-হীন দৃষ্টিতে জানলার সুখ-শার্শিতে পাথর ছুড়ে জানতে চাইব,নির্ভুল সংলাপে,এ-বেলায় কেমন আছ সুখ-পাখি? সব ঠিক চলছে তো? যেমন চলার কথা ছিল?
সোনেলা,আমি/আমরা তোমার সঙ্গে যাই
১৮টি মন্তব্য
মাছুম হাবিবী
লেখার প্রতিটি শব্দ যেন স্বর্গ থেকে কুড়িয়ে আনা। অমায়িক শব্দযুগলে ভরপুর লেখাটি। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। শুভ কামনা অহর্নিশি।।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ, এ এমন কিচ্ছু না।
ইঞ্জা
মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভাই।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার দেখছি ইচ্ছের তালিকা বিশাল বড় মহারাজ। চোখের অগ্নিবাণে কি আসলেই কাউকে ছারখার করা যায়? ট্রাই করে দেখতে হবে।
আর কিসব বললেন, চাইলেন কিছু বুঝলাম, কিছু ভুলে
গেলাম।
মহারাজ, এটা কি রম্য লিখেছিলেন? কেন জানি, লেখাটা পড়ে হাসি পাচ্ছে! রম্য হলে একটু যুৎ মতো হাসতাম। 😀😀
ছাইরাছ হেলাল
চশমিশরা অগ্নিবাণ ট্রাই করতে পারে না।
ইচ্ছেদের তো ধরে/মেরে বন্ধ করে রাখতে পারি না।
যা ভুলে গেছেন সেটুকু বাদেই ঝেরে কাশি দিন।
আমি কী আর আপনাদের মত রম্য করতে পারি!! আপনি রম্য ভেবে হাসির বাকিটুকু হেসে ফেলুন
যুত করেই।
সাবিনা ইয়াসমিন
চশমিশ!!! মহারাজ আমার চশমা দেখলেন কই?
ছাইরাছ হেলাল
সেই হেথায়!
যেখানে আপনি/আপনারা দেখেন/দেখান!!
সাবিনা ইয়াসমিন
ইংলিশ গান দিলেন ক্যান? ইউটিউবে কি বাংলা গানের দুর্ভিক্ষ চলছে? গান শুনেছি, এখন গানের অনুবাদ করে দিন। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
বাংলা গান-ও তো দিয়েছি! কোন দুর্ভিক্ষ নেই কবিতা-জি।
ভাবানুবাদ দিয়েছি তো, মন দিয়ে পড়ুন/শুনুন।
তৌহিদ
দুঃখ দৈত্তের সাথে না হয়ে জলপরী কিংবা মেঘকুমার হলে ভালো হতোনা? আমি কিন্তু জলপরীকে নিতাম ☺☺
চোখের ইশারায় ভস্ম করা যায় কিন্তু!! আমি করেছি, আমাকেও কেও করেছে!!
ইচ্ছের কি আর শেষ আছে!!
ছাইরাছ হেলাল
জলপরীর চুবানি খেলে এই ইচ্ছে পালিয়ে যাবে।
নিজে ভষ্ম হয়ে অন্যকে ভষ্ম করা যায় না।
ইচ্ছেরা তো লাগামহীন।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আপনার লেখা এবং সুপ্রিয় ব্লগারদের মন্তব্যগুলো পড়লাম। ভালো লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
তাতেই অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে।
শাহরিন
এতো দুঃখ দুঃখ শব্দ পড়ে তো দুঃখিত হয়ে যাচ্ছি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
উহ্ দুঃখ একেবারে বাদ রাখুন,
এখানের গান দু’টো মন দিয়ে শুনুন।