
সকাল দশটায় শান্তার ফোন: প্রবাল কি করছো? আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীন লাউঞ্জে আসবা, সন্ধ্যা ৬:১৫ তে ফ্লাইট, রাখছি। বলেই কল কেটে দিলো কোনো প্রশ্নের অবকাশ না দিয়েই। প্রশ্নের সাইক্লোন বয়ে যাচ্ছে প্রবালের মাথায়। বিমানে কোথায় যাবো? কয়দিনের জন্য যাবো? গত রাতেও ঘুমানোর পূর্বে শান্তা আর প্রবালের ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট হয়েছে, তখন কেন বললো না? প্রোগ্রামটা কখন করলো সে? কিছুই জিজ্ঞেস করার সূযোগ দিলো না। কল দিয়ে জানবে এসব তারও উপায় নেই। কারণ কল দেয়া মানা। বাসায় থাকাবস্থায় শান্তা কল দেবে সব সময়, প্রবাল দিতে পারবে না। ওয়ান ওয়ে টিকেট এর মত হচ্ছে মোবাইল কল।
এমন তার ছেড়া প্রেমিকা আর এই জগতে আছে কিনা কে জানে? অবশ্য প্রবালেরও তার ছেড়া কম না। গতবার কক্সবাজার গিয়ে সারারাত সৈকতে বালির উপরে শুয়ে থাকলো কিভাবে?
বিকেল ৪:৩০ এ আবার শান্তার কলঃ কতদূর এলে প্রবাল? এইত উবারে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ করলাম, কিছুটা জ্যাম সামনে, প্রবালের উত্তর। প্রতি উত্তরে শান্তাঃ পাঁচটার এক সেকেন্ড বিলম্ব হলে আমি কিন্তু তোমাকে বাদ দিয়ে একাই চলে যাবো, বলেই কল কেটে দিলো। প্রবালের মনে আতংক, সামনে ভালোই জ্যাম, নেমে হেটে যাবে নাকি? প্রতি সেকেন্ড যেন মনে হচ্ছে এক ঘন্টা। শেষ পর্যন্ত পাঁচটা বাজার দশ মিনিট পূর্বে পৌছাতে পারলো প্রবাল। গেটের সামনেই হাসি মুখে দাড়িয়ে ছিল শান্তা, প্রবাল সামনে যেতেই হাত ধরে টিকিট দেখিয়ে ভিতরে নিয়ে গেলো। জিজ্ঞেস করলো প্রবাল আমরা যাচ্ছি কোথায়? মুখে দুস্টামীর হাসি নিয়ে বলল শান্তা : ধীরে বৎস ধীরে, সময় হলেই জানতে পারবে। প্রবাল হাল ছেড়ে দিয়ে বলল: চলো কফি খাই। দুজনে গিয়েই দুইকাপ কফির অর্ডার দিলো। দুইশত টাকা প্রতিকাপ, কফি খাবার পরে দুজনেরই মুখ একদম তেতো হয়ে গেলো, কি ছিল কফিতে কে জানে, জিহবায় কেমন জ্বলুনি অনুভব করল দুজনেই।
বিমানের কাউন্টারের সামনে টেনে নিয়ে গেলো শান্তা প্রবালকে, ডিসপ্লে বোর্ডে সিলেট এর নাম দেখে প্রবাল বুঝলো সিলেট যাচ্ছে ওরা। বোর্ডিং করাল দুজনে, লাগেজ না থাকায় দ্রুতই বোর্ডিং হয়ে গেলো। লাগেজ বলতে দুজনের হাতে ছোট দুই ব্যাগ। ডিপারচার লাউঞ্জে গিয়ে প্রবালের প্রশ্নবোধক চোখ দেখেই শান্তা বলতে থাকলো, হঠাৎ প্লান, রিটার্ন টিকিটও কাটা। আগামিকাল সকালে জাফলং যাবে, সারাদিন জাফলং থেকে সন্ধ্যায় ফিরবে সিলেট। পরদিন সকালে আবার ঢাকা। সিলেট হোটেল, গাড়ি সবই ম্যানেজ করে রেখেছে। প্রবালের বিশ্ময় আর কাটে না, সব কিছু ম্যানেজ করে রেখেছে শান্তা! প্রবালের মনের কথা যেন জানতে পারল শান্তা, বলল: ভরসা রাখেন বস, শান্তা পারে সব।
সিলেট পৌছে হোটেলের গাড়িতে হোটেলে গেলো। কিছুটা ফ্রেস হবার পরে শান্তার তাগাদায় হযরত শাহজালাল এর মাজার জিয়ারত করতে ছুটলো। প্রবাল জিয়ারতের সময় ওদের দুজনের বিয়েটা যেন উভয় পরিবার মেনে নেয় এবং দুজনে যেন জন্ম জন্মান্তরের সাথী হতে পারে তা মোনাজাতে চাইল।
পরদিন সকাল নয়টায় গাড়িতে জাফলং এর উদ্দেশ্যে ছুটলো। পথে হযরত শাহ পরান এর মাজার এ গিয়ে মাজার জিয়ারত করলো। সারাপথ দুজনে একে অপরের হাত ধরে কিছুক্ষন নিরব কথা, আবার সরব কথা বললো। এই জগতে যেন সুধু শান্তা আর প্রবাল আছে, অবিশিস্ট জগত বলতে আর কিছুই ছিল না।
জাফলং নদীটা অনেক সংকুচিত হয়ে গিয়েছে দেখে মন খারাপ শান্তার। দুই বছর পুর্বেও কত শ্রোত ছিল নদীতে। এখন শ্রোত বলতে নেই। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত হেটেই যাওয়া যায়। উপর থেকে নামার জন্য পাকা সিড়ি করে দিয়েছে সরকার। নামতে ভালই লাগছিল। প্রবাল থেমে থেমে ছবি তুলছিল। শান্তা পিছন থেকে বলে উঠলো ‘ আমি তোমাকে সহই ধারন করব প্রবাল।’
ভারত থেকে আসা পর্যটক। সীমান্ত আছে এখানে, কে মানে এই সীমান্ত? একই ভাষার মানুষের মিলনমেলা যেন জাফলং জিরো পয়েন্ট। কে ঠেকাবে দুদেশের মানুষের মিলন? দুরে সেতু, সেতুর নীচে বহমান ছোট নদী। ভারত থেকে আসা নৌকাগুলো বেশ কালারফুল। যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট নিয়ে নৌ ভ্রমন করেন। বাংলাদেশের নৌকাগুলো তেমন আকর্ষনীয় নয়।
সময় একসময় গড়িয়ে সন্ধ্যা। শান্তা প্রবাল মুগ্ধ হয়ে দেখে সূর্যাস্ত। দুজনের মুখ উজ্জল সোনা রংয়ে। ভালোবাসি ভালোবাসি বলে একহাতে টেনে নেয় শান্তাকে প্রবাল। সোনালী আভায় ভালোবাসার তীব্র অনুভবে ডুবে যেতে থাকে দুজনে।
প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্য একসময় আধারে ঢেকে যায়, প্রেমময় মুহুর্তগুলোর স্মৃতি নিয়ে পরদিন সকাল দশটায় দুজনে ফিরে আসে ঢাকায়।
গল্পে রসকসহীন নির্দয় সেন্সরবোর্ড অনেক কাটাকুটি করেছে।
৭৩টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি প্রথম 😊
এবার প্রবাল দর্শন করে আসি 😊😊
জিসান শা ইকরাম
বাপ্রে এত্ত ফার্স্ট আপনি! ?
পোস্ট দিয়ে এডিট করার আগেই মন্তব্য 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, আমি জানি এই পোস্ট অন্য ব্লগাররা দেখা মাত্রই সুপার হিট হবে। তাই আমিও প্রথম হবার চাঞ্চ মিস করিনি। প্রাইজ পেতে হলে খিঁচে দৌড় দিতে হয়,, 😜
মোঃ মজিবর রহমান
ল্যাং মাইরা ফেইলা দিব। হা হা হা
তৌহিদ
হয় হয় এমনই হয় আফা!! আর কিছু কমুনা 😞😞
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রাইজ ভাই প্রাইজ, অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকেই প্রথম হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এমন সুবর্ণ সুযোগ ক্যামনে ছাড়ি? 😁😁
তৌহিদ
আফসুস আগে দেয়া পোস্টে কেউ প্রথম হতে চায় না। দুঃখে বিশাল হা হা দিলাম 😃😃
জিসান শা ইকরাম
বলেন বলেন তৌহিদ ভাই, সব আমরা আমরাই তো 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
@ তৌহিদ ভাই.. আরে! ব্লগে একদম উপরে যেটা ছিলো ওটাইতো আমার জন্যে প্রথম!! যদি একেবারেই প্রথম পোস্টে যেতে চাই তাহলে আমাকে মিনিমাম চারদিন আগের পোস্ট থেকে শুরু করতে হবে,,,,,,, আপনি নিশ্চয়ই চান না আমি এত্তত্তত্ত জোরে দৌড়াই 😎
জিসান শা ইকরাম
সাবিনা ইয়াসমিন, আপনার ফর্মুলা অনুসরন করতে হবে, শরীরের নরবরে কলকব্জা সহই খিচে দৌড় লাগিয়ে প্রথম হতে হবে আমারও 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
ইয়েস! যত গুড় ততো মিষ্টি,
খিঁচ-দৌড়ে আসবে তুষ্টি,,, ( প্রাইজ) 😂😂
জাকিয়া জেসমিন যূথী
হু হু, আমি ক্লাস নিতে ব্যস্ত থাকায় আপনি ফার্স্ট। ক্লাস না থাকলে আমি ঠিকই আগেই আসতে পারতাম, প্রিয় সাবিনা আপু। হিহিহি !
সাবিনা ইয়াসমিন
আঙুর ফল টক কেন লাগে তাতো আমরাও জানি,,, আফসোস চালিয়ে যান। আমিতো প্রাইজ পেয়েই হ্যাপি 😂😂
জাকিয়া জেসমিন যূথী
কখন কোন প্রাইজ পেলেন? আমিও চাই… আপু
সাবিনা ইয়াসমিন
আরে ভালো কথা মনে করিয়ে দিলেন !!!! তাইতো প্রথম হয়ে বসে আছি, আর আমার প্রাইজের এখনো কোনো খবর নেই!! লেখক গেলো কই? সে কি আমার প্রাইজ হাপিস করে দিলো নাকি? 😡😡
জিসান শা ইকরাম
প্রাইজ লেখক দেবেন কেন? লেখক কত কস্ট করে লেখেন, পাঠকরা লেখককে পুরস্কৃত করেন @সাবিনা ইয়াসমিন 🙂
জিসান শা ইকরাম
এবার পারেননি, পরেরবার নিশ্চয়ই পারবেন @যুথী ম্যাডাম
তৌহিদ
ছবিগুলি কিন্তু দারুণ তুলেছেন ভাই! তারছেঁড়া প্রবাল নামটি মোট্টেও পছন্দ হয়নি। প্রবাল ভালো ছেলে, আমার খুব পছন্দের।
সেন্টমার্টিন থেকে সিলেট! এরপরে কোথায়? শান্তা প্রবাল দু’জনের ক্ষণিক সময়ের ভালোবাসা সাথে প্রকৃতি সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
ভালো থাকবেন ভাই।
জিসান শা ইকরাম
কোথায় কখন প্রবাল যায়, এর ঠিক নেই।
হঠাৎ হঠাৎ একদিকে চলে যায় প্রবাল।
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
তার দুজনেরই ছেড়া, নইলে শান্তা শুধু বিমানবন্দরে আসতে বলেছে আর প্রবাল কিনা ব্যাক-প্যাক গুছিয়েই চলে এসেছে! তাও আবার কোনো কিছু আগাম না জেনেই! এরা মনে হয় ফোন / ম্যাসেঞ্জার কম, আর টেলিপ্যাথিতেই যোগাযোগ বেশি করে। 😀😀
এক মগ কফির দাম দু’শ!! ওটা কি আসলেই কফি ছিলো নাকি বিমানের যান্ত্রিক অংশের গুড়োও সাথে এ্যাড করা ছিলো!
যারা নিজেরা এত কিছু ম্যানেজ করতে পারে তারাও পীর-আউলিয়ার দরবারে গিয়ে মোনাজাত ধরে সম্পর্কের পরিশুদ্ধ পরিনতির জন্যে। তার মানে এরা যেকোন মুল্যে একজন আরেকজনের অস্তিত্ব হয়ে আজীবন কাটাতে চায়। গল্পের এই অংশটি সবচেয়ে ভালো লাগলো।
দেশের সীমানা দিয়ে মানুষের মনের সীমানা দেয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রে ভাষার কারনেও আন্তর্জাতিক আন্তরিকতা আটকে থাকে না। মন আর পরিচ্ছন্ন মানষিকতা থাকলে বিশ্বের সবাই সবাইকে আপন করে নিতে পারে।
প্রবাল আর শান্তার প্রবল প্রেমে ব্লগের মাটিও স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। সেন্সর বোর্ড ঘুমিয়ে যাওয়ার পর পোস্ট দিতেন, তাহলে আমরা একটি উচ্চ মাত্রার রোমান্টিক ভ্রমণ গল্পের স্বাদ পেতাম।
সব মিলিয়ে প্রবাল সিরিজের আরেকটি অন্যতম গল্প উপহার দিলেন। এই জন্যে বিরাট বড় একটা ধন্যবাদ।
★ ছবির লোকটিই কি প্রবাল! তাহলে শান্তার ছবি কই?
আকবর হোসেন রবিন
আপু, আপনি খুব সুন্দর করে মন্তব্য করতে পারেন। একেবারে লাইন ধরে ধরে বিশ্লেষণ করেন। আপনার মন্তব্য পড়েও ভালো লাগলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
অনেক ধন্যবাদ রবিন। লেখা যদি চমকপ্রদ হয়, তবে কমেন্টার নির্লিপ্ত কমেন্ট দিয়ে থাকতে পারবে কেমনে!! আপনিও খুব ভালো লেখেন, নিরন্তর শুভ কামনা আপনাকেও 🌹🌹
জিসান শা ইকরাম
রবিন, সাবিনা ইয়াসমিন সোনেলায় আসার পরে মন্তব্য দিয়ে যেভাবে সবাইকে উৎসাহ দেন তার তুলনা হয় না। প্রায় সবাই এখন বিস্তারিত মন্তব্য করেন বর্তমানে। ফাকিবাজী মন্তব্যের দিন শেষ 🙂
সুরাইয়া পারভিন
এক মগ কফির দাম দু’শ!! ওটা কি আসলেই কফি ছিলো নাকি বিমানের যান্ত্রিক অংশের গুড়োও সাথে এ্যাড করা ছিলো!,,,,হা হা হা হা আপু যা বলেছেন👏👏
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা , কি যে এড করে ছিলো কফির সাথে কে যানে! এমন কফি প্রবাল আর খায়নি কখনো। শুধু টাকার মায়ায় গলায় ঢেলেছে 🙂
@সুরাইয়া পারভিন।
জিসান শা ইকরাম
@সাবিনা ইয়াসমিন,
দুজনই পারফেক্ট তারছেড়া, টেলিপ্যাথিতেই যোগাযোগ বেশি করার সম্ভাবনা আছে 🙂
কফির স্বাদ এমন বিশ্রী যে মুখের স্বাভাবিক স্বাদ ফিরে আসতে সময় লেগেছে।
এরা জন্ম জন্মান্তরের সাথী হয়ে কাটাতে চায়।
সেন্সর বোর্ড সচল ছিলো বলে ভাগ্য ভালো, নইলে কত কি পড়তে হতো কে জানে 🙂
মন্তব্য দিয়ে ব্লগারদের উৎসাহ যোগাতে আপনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী, এই মন্তব্যে আবার তা প্রমাণ করলেন।
কি ছাইপাশ লিখলাম, আর তাতে আপনি কত সুন্দর মন্তব্য করলেন।
আমার গল্পের চেয়ে আপনার মন্তব্য ভালো হয়েছে।
ছবির লোকটিই মনে হয় প্রবাল, শান্তার ছবি প্রবালের কল্পনায়, শান্তাকে অন্য কেহ দেখতে পারে না।
শুভ কামনা সব সময়ের জন্য।
আকবর হোসেন রবিন
‘তার ছেড়া প্রেমিকা’ বাক্যটা দেখে মজা পাইছি।
আপনার ছবি ও গল্প ভালো লাগলো। নিজের মতো করে একটানা বলে গেছেন।
জিসান শা ইকরাম
শান্তা আর প্রবাল দুজনই তার ছেড়া প্রেমিক প্রেমিকা 🙂
ধন্যবাদ আর শুভকামনা রবিন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
রোমান্টিকতা ও রোমান্স দুটোই পেলাম। ধন্যবাদ দাদা ভাই
জিসান শা ইকরাম
আপনাকেও ধন্যবাদ ছোটদি।
নতুন লেখা দিন।
সঞ্জয় মালাকার
ছবি গুলো দারুণ লাগছে, সিলেট আমার জন্মভূমি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি, শুধু ছবি দেখে অনুভব করি সুন্দর দৃশ্য।
প্রবার আর শান্তার প্রবল প্রেমে গল্প পড়ে বেশ ভালো ভাইজনা।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ দাদা,
প্রবাসে ভালো থাকুন।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
তার ছেঁড়া প্রেমিকা হতে ইচ্ছে করে। 🙂
গল্পটা সত্যিই ভীষণ সুন্দর।
জিসান শা ইকরাম
আপনি না হয় হলেন, কিন্তু তার ছেঁড়া প্রেমিক লাগবে তো। তারে কোথায় পাবো?
গল্প আপনার কাছে শিখতেছি, অনেক ভালো গল্প লেখেন আপনি।
শুভ কামনা ম্যাডাম।
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্য একসময় আধারে ঢেকে যায়, প্রেমময় মুহুর্তগুলোর স্মৃতি নিয়ে পরদিন সকাল দশটায় দুজনে ফিরে আসে ঢাকায়।
সত্যিই দাদা
বেশ রোমান্টিক গল্প।
প্রকৃতির লীলাভূমিতে এমনি গল্প পরবর্তী পর্বে চাই।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ প্রদীপ,
শান্তা প্রবালের গল্প মাঝে মাঝেই আসবে।
কামাল উদ্দিন
ছয় ডলারে এক কাপ কফি নিয়েছিলাম সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে, সেটা এতো ভয়াবহ রকমের তেতো ছিলো যে আরো ছয় ডলারের চিনিও সেটাকে সারিয়ে তুলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত টাকার মায়া থুক্কু ডলারের মায়া ত্যাগ করে ফেলেই দিতে হয়েছিলো। তবে ইয়ের সাথে এমন সারপ্রাইজিং ভ্রমণ সত্যিই অতুলনীয়। ছবি আর ভ্রমণ মিলিয়ে খুবই চমৎকার পোষ্ট, তবে সেন্সর বোর্ডটাই যত্তোসব ঝামেলার মূল 😀
সুরাইয়া পারভিন
হা হা হা হা হা
জিসান শা ইকরাম
🙂
জিসান শা ইকরাম
হ্যা সেন্সরবোর্ড খুবই বেরসিক, রোমান্সের অংশই কেটে দিছে 🙂
কামাল উদ্দিন
জাফলং, তামাবিল, সংগ্রামপুঞ্জি, সারি নদী সিলেটের এই অঞ্চলটা আমার অত্যন্ত প্রিয় জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
জিসান শা ইকরাম
এই সমস্ত স্থান আমারো অত্যন্ত প্রিয়,
অনেকবার গিয়েছি এসব স্থানে।
কামাল উদ্দিন
ভালোলাগার জিনিস কখনো পুরোনো হয়না, বরং প্রতিবারই যেন নতুন রূপে ধরা দেয়……..ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
দমফাটা গরম কফি
দুইশত কাপ কফি
পরিশষে তিতা
প্রেম কাননে মিঠা।
হে আল্লাহ প্রেম দিলা
বিয়া করার ফন্দি দাও বইলা।
মন মাঝে কত স্বপ্ন দিলা তুমি
প্রেম কাননে ঘুরে ঘুরে চলি।
সিলেটি জাফ্লংগে
সুখে ঘুরি প্রেম্মনে
আছি দুইজনে
প্রেম কুঞ্জবনে।
জিসান শা ইকরাম
বাহ 🙂 মন্তব্যে কবিতা !
ভাল থাকবেন ভাই।
সুরাইয়া পারভিন
আমিও গিয়েছিলাম ঐ স্থানে। তবে প্রচণ্ড বদমেজাজির কারণে ভ্রমণ আনন্দ ও জাফলং এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারিনি। ইচ্ছে আছে আবার যাবো।
শান্তা প্রবালের ভ্রমণ কাহিনী পড়ে ভালোই লাগলো।
২০০টাকার কফি খেয়ে মুখ তেতো। হা হা হা হা
জিসান শা ইকরাম
বদমেজাজি ছিল কে আবার?
হ্যা আবার যাবেন, শীতে যাওয়াই ভালো,
কফির কথা আবার মনে করিয়ে দিলেন! মুখ আবার তেতো হয়ে গিয়েছে।
নিতাই বাবু
সময়টা ছিল ১৯৮৭ ইং। মাসের নাম মনে নেই। সিলেট ‘গোটাটিকর’ ইন্ডাস্ট্রিজ এলাকায় থাকা কশিয়ারা টেক্সটাইল মিল থেকে চাকরির অফার এলো। নতুন মিল। মাসিক বেতন বলতে কিছুই না, প্রোডাকশন যা হবে তা-ই হবে বেতন। তাও মোটামুটি সেসময়ে ভালো বেতনই হয়েছে। সেই কুশিয়ারা টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেছি প্রায় দুই বছর। তখন প্রতি সাপ্তাহে ছুটির দিনে শাহজালাল বাবার মাজার সহ জাফলং, মাধবকুণ্ড, ঢাকেশ্বরী, সুনামগঞ্জ যাওয়া হতো। আপনার পোস্টের ছবি ও লেখনী পড়ে আবারও নতুন করে যেতে ইচ্ছে করছে। তবে মনে হয় আর কখনোই যাওয়া হবে না। কারণ সময় আর সুযোগের জন্য।
জিসান শা ইকরাম
সময় আর সুযোগের অভাবের কারনেই আমাদের অনেক ইচ্ছেকে মেরে ফেলতে হয়।
শুভ কামনা দাদা।
ইঞ্জা
এই সেন্সরবোর্ডই যত নষ্টের গোড়া, লেখাটি আর কতদূর এগুতো, ভালোই লাগছিলো ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
সেন্সরবোর্ড খুবই খ্রাফ,
রোমান্সের অংশই বাদ দিয়েছে।
ইঞ্জা
ইশ 😑
নৃ মাসুদ রানা
প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্য একসময় আধারে ঢেকে যায়, প্রেমময় মুহুর্তগুলোর স্মৃতি নিয়ে পরদিন সকাল দশটায় দুজনে ফিরে আসে ঢাকায়।
জিসান শা ইকরাম
স্মৃতিগুলো সবসময়ই তাজা থাকে,
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
সেন্সর বোর্ডের নিকুচি করা লাগবে মনে হচ্ছে।
লুমান্টিক গল্প এত্ত সহজ না কিন্তু, বানিয়ে হলেও।
জিসান শা ইকরাম
নিকুচি করা লাগবেই,
আমাকে দিয়ে লেখাই হবেনা, ল্যাখা অনেক কঠিন কাজ।
মাহবুবুল আলম
মান-অভিমান, রাগে অনুরাগে ভালোবাসা এমনই হয়।
শুভেচ্ছা জানবেন জিসান ভাই!
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন আপনিও ভাই।
এস.জেড বাবু
এতো তাড়াতাড়ি শেষ ?
শুরু দেখে ভাবলাম চা কফি আর ঝালমুড়ির সাথে পড়বো।
ফিরতি ফ্লাইটে লাগেজ নিয়ে বিপত্তি হলেও গল্পটা আর একটু লম্বা হতো হয়ত। 😏
“তোমাকে সহই” ধারন করা চিত্রটা দারুন।
ছবিগুলি চমৎকার।
জিসান শা ইকরাম
সব লিখলে বিশাল পোস্ট হতো,
ছোট ছোট করে আরো লেখার ইচ্ছে আছে,
ভাল থাকবেন।
নুর হোসেন
আরও কিছু ছবি যোগ দিবেন,
আমি আশাবাদী আপনার ফটো ব্লগ থেকে আমিও ঘোরার কিছু রসদ পেয়ে যাবো।
হ্যাপি ট্রাভেলিং…
জিসান শা ইকরাম
ভ্রমন পোস্টে ছবি দেবো,
শুভ ব্লগিং।
রেহানা বীথি
বিনা নোটিশে জাফলং ভ্রমণ! এমন তারছেঁড়া প্রেমিকযুগলের তার যেন আজীবন ছিঁড়েই থাকে। তারা হুটহাট না বেরোলে আমরা এমন গল্প পাবো কোথায়?
ভালো থাকুন ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা , আজীবন তারছেড়া থাকবে ? 🙂
ভালো থাকবেন আপু।
সুপায়ন বড়ুয়া
গল্পের ছলে জানা হলো
এক নি:শ্বাষে পড়া ও হলো
এক বাক্যে অনেক ভালো
ধন্যবাদ ! শুভ কামনা
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকেও দাদা।
নতুন লেখা দিন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ !
বিজয় দিবসে চেষ্টা করব ,
না হয় পুরানো লেখা ফেইচ বুকের গুলি করি পেস্ট করতে হবে
মনির হোসেন মমি
খুব ভাল লাগল। ভাল থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
আপনিও ভাল থাকবেন মনির ভাই।
শাহরিন
প্রবাল কে চেনা চেনা লাগে 🤔
সান্তাকে চেনার একটু বাকি আছে আরকি!!!
জিসান শা ইকরাম
তাই নাকি? আমি তো কাউকেই চিনলাম না। গল্পের চরিত্রকে চেনাও যায়!!
সান্তাকে চিনলে জানাইও তো 🙂
শুভ কামনা।
শফিক নহোর
অনেক কিছু জানলাম । ভালবাসা ও শুভ কামনা রইল ।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ভাই।
শুভ কামনা।