পিরিয়ড চলাকালীন সময় নারীকে অপবিত্র বলে দীর্ঘ্যদিন যাবৎ প্রচারণা চলিয়ে আসছে এক শ্রেণীর অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত-বর্ণবিদ্বষী (সার্টিফিকেট থাকলেই কেউ শিক্ষিত হয় না)। সাঈদীর মতো রাস্তাঘাটে জন্ম নেয়া কুকুরগুলো ওয়াজের নামে নিয়মিত করে গেছে রসময়গুপ্তের চন্ডিপাঠ। সে সময়টাতে সহবাস করতে মানা করতে গিয়ে, নারীকে বিকৃত-অপবিত্র হিসেবে প্রচার করে গেছে এরা।
অথচ এ সময়টাতে প্রকৃতি কর্তৃক নির্ধারিত একটি সময় অতিক্রম করে নারীরা। এবং স্বাভাবিক ভাবে তারা হয়ত কিছুটা দূর্বল বা অসুস্থ্য থাকে সে সময়। কিন্তু এটাও কি বুঝতে দেন তারা! আমাদের মায়েরা কখনো কি এজন্য একটা বেলার জন্য রান্না বন্ধ রেখে আমাদের না খাইয়ে রেখেছেন! নাকি ঘরের এমন কোন কাজ বাকি রেখেছেন, যা অন্য সব সময় করেন!
আপনার মা, আপনার বোন, আপনার বান্ধবী, আপনার প্রেয়সী, আপনার কন্যা…….. সবই তো আপনার। তারা আপনার কাছে অপবিত্র হয় কিভাবে! সে প্রাকৃতিক অসুস্থতার দরুণ অবশ্যই সেসময় শারিরিক কষ্ট অনুভব করেন। আপনার দায়িত্ব সে সময়টাতে তাকে সাহায্য করা। তার পাশে থেকে কাজ কমিয়ে অন্ত:ত কিছু কাজ নিজেই করে নেয়া। আপনার আপনজনের পাশে আপনিই না থাকলে নিশ্চয়ই জাতিসংঘ থেকে কেউ আসবে না।
বিশেষ কোন দিবস কখনই আমাকে সেভাবে স্পর্শ করেনি। বরং প্রতিটা দিনই আমি বিশেষভাবে কাটাই। নারীকে নিয়ে আলাদাভাবে ভাবি নি কখনো। এটাই জানি যে, নারী তোমার জন্য শুধুই ভালবাসা। শুধু সম্পর্কভেদে কখনো তা অসভ্যের মতো, কখনোবা খুব কোমল, কখনোবা খুব মমত্ব-স্নেহ মাখা। যে কোন পরিচয়েই তোমার মাঝে অল্প-বেশি মা-ই থাকে। আর তাই হয়ত সবকিছু ছাপিয়ে তোমার প্রতিই ভালবাসার তীব্রতা বেশি।
পরিবারের বাইরেও আছেন আরো কষ্ট করা মা। সিঙ্গেল মাদার……… তোমাদের প্রতি একইরকম ভালবাসা….. সম্পর্কভেদে তোমরা মা-তোমরা বন্ধু-স্বজন।
(বি.দ্র.: দয়া করে আমাকে কেউ ভদ্রলোক ভেবে বসে থাকবেন না। আমি কখনই সেটা নই। হতেও চাই না।)
১৫টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনি সব সময়ই দারুণ লেখেন ।
আজকেরটিকে কি অসাধারণ বলব ?
তির্থক আহসান রুবেল
আমি আসলে মনে যা আসে, সেটাই লিখি…………. তাই হয়ত আপনাদের মনের কতাটাই উঠে আসে…….
মশাই
হেমায়েতপুরের ঠিকানা কি জানা আছে? লেখার কোনো আগা মাথা নাই। ভদ্রলোক সাহেব শুরু করেছেন পিরিয়ড দিয়া আর শেষ করছেন মা রে টেনে এনে। ভদ্রলোক সাহেব কোন যুক্তিতে এই কথা বললেন আপনি? রান্না বান্না করে, ঘরের সব কাজ কর্ম করে দেখে কি সহবাসও করতে হবে? নারী সত্তা আমরা সবাই বহন করি। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।
তির্থক আহসান রুবেল
সহবাস করতে হবে কোথায় বললাম!!!!! হয় আপনার বোঝায় সমস্যা হয়েছে??? না হয় আমার ভাবনার লেভেলে পৌছতে পারেন নি………… অতি ভক্তি আসলেই চোরের লক্ষণ……..
জিসান শা ইকরাম
লেখায় অনেক ভালো লাগা জানালাম ।
একজন ব্লগারের দেখার চোখ এমনই হতে হয় ।
ঐ সময়ে নারীকে অপবিত্র ভাবার লোকের অভাব নেই এখনো ।
শুভ কামনা ।
তির্থক আহসান রুবেল
আসলে ইসলাম ধর্ম মতে, সে সময় নারী যেহেতু শারিরিকভাবে দূর্বল এবং কিছুটা বিব্রত থাকে…… তাই তার প্রতি স্রস্টা তার উদারতা প্রকাশ করেছেন, সে সময় তাকে নামায-রোজা-কোরআন পাঠ ইত্যাদি যাবতীয় ধর্মীয় কাজ থেকে ছুটি দিয়েছেন আপনগুণে। নারীকে তিনি সে সময় বিশ্রাম দিয়েছেন। বলেছেন, আরাম করতে এবং দূর্বলতা কাটাতে পুষ্টিকর খাবার খেতে।
কিন্তু কিছু অপ-শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত (মেধা এবং মননগত) সে সময় নারীকে অপবিত্র বানিয়ে ফেলেছে। মানে তার মা-তার বোন-তার কন্যা সবাই-ই তখন অপবিত্র।………. অপবিত্র কিছু কিন্তু ঘরে রাখতে নেই। যেমন, কুকুর অপবিত্র হওয়ায় বাড়রি আঙিনাতেও কিন্তু তার স্থান নেই।
মশাই
হয়তো কিছুটা বুঝার ভুল ছিলো সহবাসের ক্ষেত্রে আর হওয়াটাই স্বাভাবিক সাইদীর মত রাজাকারের নাম দেখলে মাথা গুলিয়ে যাবারই কথা। তার মত রাজাকারের কথায় কান দিতেই বা হবে কেন?
***আসলে ইসলাম ধর্ম মতে, সে সময় নারী যেহেতু শারিরিকভাবে দূর্বল এবং কিছুটা বিব্রত থাকে…… তাই তার প্রতি স্রস্টা তার উদারতা প্রকাশ করেছেন, সে সময় তাকে নামায-রোজা-কোরআন পাঠ ইত্যাদি যাবতীয় ধর্মীয় কাজ থেকে ছুটি দিয়েছেন আপনগুণে। নারীকে তিনি সে সময় বিশ্রাম দিয়েছেন। বলেছেন, আরাম করতে এবং দূর্বলতা কাটাতে পুষ্টিকর খাবার খেতে।
কিন্তু কিছু অপ-শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত (মেধা এবং মননগত) সে সময় নারীকে অপবিত্র বানিয়ে ফেলেছে। মানে তার মা-তার বোন-তার কন্যা সবাই-ই তখন অপবিত্র।………. অপবিত্র কিছু কিন্তু ঘরে রাখতে নেই। যেমন, কুকুর অপবিত্র হওয়ায় বাড়রি আঙিনাতেও কিন্তু তার স্থান নেই।***
সম্পূর্ণ সহমত।
তির্থক আহসান রুবেল
হা হা হা…………. যাক অবশেষে বুঝতে পারলেন………. \|/
লীলাবতী
ভালো লেগেছে । বোকারা আর সাইকোরা আজকাল এমন ভাবে ।
তির্থক আহসান রুবেল
ধন্যবাদ………….. আসলে দিন দিন প্রতিটা জিনিসেরই নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপনটা খুব বেশী চলছে….
খসড়া
ভাল লাগল।
তির্থক আহসান রুবেল
ধন্যবাদ……….. সময় দিয়ে পড়লেন……………
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ভালো লাগলো পোস্ট।। দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর সময় হয়েছে।।
যে কোন পরিচয়েই তোমার মাঝে অল্প-বেশি মা-ই থাকে। আর তাই হয়ত সবকিছু ছাপিয়ে তোমার প্রতিই ভালবাসার তীব্রতা বেশি। সুন্দর অভিব্যক্তি।। মাঝে মাঝে সোনেলায় এলে খুশি হবো ভাইয়া, ভালো থাকবেন ।
তির্থক আহসান রুবেল
আসলে আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের ভাষা এখন একদমই ভোতা হয়ে গেছে…….. তাই সেভাবে লিখি না….. তবে হ্যা…. জিসান ভাই মাঝে মাঝে ধমক-টমক দিয়ে লিখতে বলে………… তাই হঠাৎ করেই ফিরে আসি
শুন্য শুন্যালয়
ধমকে যখন কাজ হচ্ছে, আমরাও না হয় ধমক-টমক দেয়া শুরু করবো… 🙂