নোট: ১০ মিনিট আগে এক বন্ধুর পোস্টে ছবিটা দেখে, ২ মিনিটে গল্পটা লিখেছি। অর্থাৎ গল্পটা এই গ্রুপে দেয়া আমার প্রথম ফ্রেশ গল্প।
দুজন এথলেট। একজন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে। কিন্তু সাধারণ মধ্যবিত্ত মানসিকতার। আরেকজন সাধারণ পরিবারের মেয়ে।
ছেলেটি ভাবছে, এত ভাল এথলেট মেয়েটা কি আমাকে পাত্তা দেবে! কিন্তু আমি তো তাকে মন দিয়ে বসে আছি।
অন্যদিকে মেয়েটা ভাবছে, আমার মতোই এথলেট, পার্সোনালিটি সম্পন্ন যুবক, ডার্ক এবং হ্যান্ডসাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছেলে। তাকে ভালবাসা যেতে পারে। কিন্তু তার ভালবাসা পাওয়া! সে তো অলীক ভাবনা।
তারপর একদিন দুরুদুরু বুকে কেউ কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারে নি। কিন্তু ‘চোখ যে মনের কথা বলে’। আমি তোমাকে ভালবাসি না বলেও দুটো মনের এন্টিনায় সিগনাল পৌছে গেল।
যেদিন বিয়ে হলো, তারপর ফটোসেশন, দুজনই কি বলবে বুঝতে পারছিলো না। তারপর হঠাৎ অট্টহাসিতে মেতে উঠে বলে: শুরু করতে অনেক সময় নিয়েছি। অনেক আলাদা থেকেছি। আজ থেকে শেষ নি:শ্বাস একসাথে থাকবো।
৫টি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
দুই মিনিটে চমৎকার ভাবনার গল্প। সত্যি দুজন একসাথে থাকবে বলে, একসাথে বিদায় নিয়েছেন। আল্লাহ তাদের জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।
তির্থক আহসান রুবেল
গল্পটা আরো কিছু জায়গায় পোস্ট করে ট্রলের মুখে পড়েছি। অনেকে ছবির এই দুজনকে চিনে না। এমনকি এটাও খুব হালকা লেগেছে যে, একসাথে মারা গেছে তো কি হয়েছে। যদিও একসাথে মারা গেছে এটাও অনেকে জানে না। কারণ চিনেই না, এরা কারা।
হালিমা আক্তার
আমরা ইতিহাস খুঁজি না। আর বর্তমান প্রজন্ম আছে টিকটক নিয়ে। কয়জন বই পড়ে। তাছাড়া আমরা জানতে আগ্রহী নই। এদের কাছ থেকে আর কি আশা করা যায়।
মোঃ মজিবর রহমান
মনের গভিরে যে ভাবনার আকুতি উকি দেই, গুরুতর হয়ে মনুচাটান, সেখানে কিছুই বাধ মানেনা। শুধুই চাইতেই দেরি।
সুন্দর উপস্থাপনা রুবেল ভাই।
তির্থক আহসান রুবেল
ধন্যভাদ ভাই।