
গিয়েছিলাম সেবারে সমুদ্রের আনন্দ বিহারে
ঝিনুক সমুদ্রে, অমৃতের লোভে;
উচ্ছল উত্তাল ঢেউয়ে গড়াগড়ির; মগ্ন আনন্দে;
মন্থন আনন্দের চৈতন্য অ চৈতন্যের মাঝে।
ডুবুরির বেশে, কুড়বো মুঠো মুঠো রক্ত প্রবাল আর স্বেদ-মুক্তো
হাতছানিতে ছিলাম মুক্তো/প্রবালের।
বিঘ্ন আনন্দে শুনতে পেলাম এইইইইইইইইইইইই,
কী কর?
আজব! কে আবার কাকে ডাকে এই ঘন-আনন্দে ছেদ ফেলে?
তিরিক্ষি মেজাজে, কে কে ওখানে!,
মিউ মিউ মিনি মিনি কণ্ঠে, এই যে এই এখানে আমি ‘লেখা’!
নিকুচি করি, বন চটকান সহ দেব টেনে এমন চড়,
টেঁসে যাবে জনম তরে, বকে দিলাম আচ্ছা করে।
মুখ চুন করে, টুন টুন করে ঘুরে-ফেরে ঘুর-ঘুর করে
কিন্তু দূরে চলে যায় না আমায় ছেড়ে,
তড়িঘড়ি করে শেষ হয় বিহার-সমুদ্র!
নীলকান্ত মনি আর পদ্মরাগ হেলায় পড়ে রয়।
খুঁজলাম লেখাকে, কোথাও কেউ নেই,
পড়ে থাকা চিরকুট তুলে নিলাম, আনন্দ উদ্দামে!
চিরকুটে আঁকা রয়েছে জ্বলজ্বলে কয়েকটি ‘হা হা’ এর ইমো!!
২৭টি মন্তব্য
নীরা সাদীয়া
লেখা তবে হারিয়েই গেলো! আহা!
বেশ লাগলো। শুরু থেকে শেষ অব্দি যেন একটা কাহিনী কাব্য ছিলো।বারবার মনে হচ্ছিল শেষ পর্যন্ত কি যেন হয়!
ছাইরাছ হেলাল
নাহ, লেখা দুষ্টুমি করছে,
ডেকে ডেকে পালিয়েছে।
মজা করে গল্প বলার চেষ্টা;
ধন্যবাদ।
তৌহিদ
আপনার সমুদ্রবিহার মাটি হয়ে গেলো!!
হা হা ইমো যে দিয়েছে সে বড্ড বেরসিক। লেখাকে সেই নিয়ে পালায়নিতো!”
ছাইরাছ হেলাল
লেখাকে হজম করা অসম্ভব, কেউ সে চেষ্টা নিলে সে নিজেই হাপিস হয়ে যাবে।
বিপদে ফেলে লেখা মজা নিচ্ছে।
তৌহিদ
লেখার কান ধরে টেনে আনুন☺☺
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাথা পাবে তো!!
শুন্য শুন্যালয়
লেখাকে কিনা আপনি বনচটকানোর হুমকি দিলেন!! হাহাহা 😀
আপনার তো দেখছি আম, ছালা দুই-ই গেলো।
মনিমুক্তার বদলে পাইলেন হাহা র ইমো! বিহার চাংগে উঠলো। আপনার লেখা নামের প্রেমিকা তো আপনাকে মরে গেলেও জ্যান্ত করে তুলবে ঠিক ঠিক, দেইখ্যেন আপনি।
মোবাইলে ইমো না থাকায় বাইচ্চা গেলেন।
পারেনও আপনি। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কাজের সময় উঁকিঝুঁকি দিলে মেজাজ খারাপ হবে/হয় না!!
নাহ্, আম-ছালা সব যাবে না, আপনি কান-পড়া দিলে আলাদা কথা।
আমার এই দুস্কের দিনে ‘কে দেবে আশা কে দেবে আশ্রয় কে দেবে কোমল পরশ’
এ সব না বলে মজা নিচ্ছেন!!
আপনার এ হেন আচরণের জন্য আপনাকেই হাহা দিলাম।
আমি কিচ্ছু পারি না/নাই ভাইয়া!!
শুন্য শুন্যালয়
এমনি এমনি তো আপনাকে বলিনাই, লেখা আপনাকে তাড়া করেনা এমন কোন সময় নাই। এ যে সেই রাঁধতে রাঁধতেও লেখা মনে পড়া তা কিন্তু বুঝেছি 🙂
কিন্তু রান্না তো চুলায় পুড়ে যাচ্ছে সেই হিসাব আছে?
দেখুন ছালা যে যায়নি তা ভালোভাবেই বুঝেছি, লেখা আপনার প্রণয়ী, সে আপনাকে ছেড়ে আর কোথায় যাবে, একটু ইটিশ পিটিশ দুস্টুমি করতেই পারে, কিন্তু আম কিন্তু ভাউ গেছেই। অথবা আম খাইছেন, কিন্তু কোন স্বাদ নাই। 🙂
কবিদের যে কেন প্রেমিকা থাকেনা, তা এইবার বুঝলাম। লেখা কিন্তু সব পারেনা, মাইন্ড ইট ( হাহা ইমু)
ছাইরাছ হেলাল
আপনি শিক্ষক মানুষ, অভিজ্ঞ-ও, ইশারায়-ই কাফি।
দেখুন রান্না যে দু’একবার পুড়ে যায়নি এমন না, তবে রান্না কপালে থাকলে আবার করা যাবে, খাওয়াও যাবে,
কিন্তু লেখা!! তা তো হারালে পাওয়া যায় না/যাবেও না। এটি ঠিক, মন দিয়ে না খেলে খাওয়াও না খাওয়ার মতই।
যাক ব্যাপার না, পরে আম পাওয়া যাবে/যায় ছালা সহ-ই, লেখাকে পেতে হলে কিছু এম তো ফিক দিতেই হ্য়/দেই-ও।
আপনার কি আমগাছে আম-জাম হয়/ধরে!! নিজেই কুড়িয়ে নেন হয়ত। সেই মঙ্গল।
কবিরা প্রেমিক না, তবে কোবিরা কিন্তু ভালু!!
কথা সইত্য বলেছেন, হাহা দিমু না।
প্রহেলিকা
খুব খারাপ দশা! আসবে আসবে করেও আসে না, ধরা দিবে দিবে করেও দেয় না। এভাবেই আসলে মজা লয়, তবে আপনার বেলাতে তো ফাঁকেফুঁকে ইমো ফেলে দিয়ে গেছে অনেকেতো তাও পায় না৷ কি যে অস্বস্তিতে ভুগতে হয় তখন!
সিম্পল একটা কথাকেও কিভাবে কবিতায় রূপান্তর করা যায় তা আপনার কাছেই শিখতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
এই মশাই!! কুন দুকানের সদায় খান!!
জাস্ট মজা করলাম, কঠিন কঠিন লিখি সেই বদনাম এড়াতেও দিচ্ছেন না।
আপনার তো দেখছি ম্যালা অভিজ্ঞতা!!
আপনি নিদেন পক্ষে কোবতে বলতে পারেন, এর বেশি কিছু না, হু!!
প্রহেলিকা
ম্যালা অভিজ্ঞতা না থাকলেও টুকিটাকিতো আছেই। প্যারাময় আসলে। আপনার মতো গুছিয়ে লিখতে পারলে লিখে ফেলতাম!
ছাইরাছ হেলাল
আরে প্রিয় কবি! গোছাতে হবে না,
একটু অগোছালোভাবে লিখে ফেলুন, কবরে তো নিতে পারবেন না,
আমরা একটু চেখে দেখি। আঁখেরে পূন্য হবে।
বন্যা লিপি
ইমো দিলাম না একটাও, মনিমুক্তোর সন্ধানে দিশাহারা আজো সমুদ্রের কিনারে যাওয়া হয়নি। লেখারা হাওয়ায় ভাঁজ হয়ে হারালো নিরুদ্দেশ যাত্রায়।
ছাইরাছ হেলাল
মনি-মুক্তো কোন ব্যাপার না, শুধু ইচ্ছে থাকলেই পেয়ে যেতে পারেন নিজ গৃহ কোনে বসে।
জিসান শা ইকরাম
ঐ সময় ডিস্ট্রাব!
এটি সহ্য করা যায়? লাঠি দিয়ে বাইরান দর্কার আছিলো।
আপনি শিশুদের জন্য অত্যন্ত ভাল লেখা লিখলেন।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও শিশু-তো, তাই শিশুতোষ লেখাই লিখি।
কঠিন কিছুই লিখি না।
বাইরাবাইরি করা ভালু না।
সাবিনা ইয়াসমিন
২৫শে মার্চ তারিখ দেখে ভেবেছিলাম কালরাত্রি নিয়ে লিখেছেন। লেখায় যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব থাকবে, স্বাধীনতার গান থাকবে। কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখি পুরোই উল্টো পথে গঙ্গা বইছে। বনরুটি হয় জানি,বনচটকানা মানে কি ? তা যাইহোক যুদ্ধমতন কিছু একটা হবে হয়তো।
যুদ্ধে জিততে পারেননি বোঝা যাচ্ছে। নইলে সমুদ্র তীরে ফেলে থাকা লেখার চিরুকুটের জ্বলজ্বলে হাসিতে হাসি দেখতে পেতেন না।
হাহাহাহা 😁😁
ছাইরাছ হেলাল
ওই যে ভীতুদের যা হয়, শুধুই হেরে যায়।
হাহাহাহা এর কী দেখলেন।
রিতু জাহান
আমাকে এমন করে কেউ এইইইইইইইই বলে ডাকলে সকল মুক্ত তোলা ভুলে যেতাম।
কিসের মুক্তা কিসের কি, এইইইইইইই ডাকে পড়ে রইতাম।
কিন্তু আপনি একি করলেন!! বকে দিলেন?
ছাইরাছ হেলাল
না বকে উপায় কী বলুন, বিঘ্ন হলে।
আপনার মত কী সবাই হতে পারে!!
রিতু জাহান
আমার মতো হওয়া খুব দুর্ভাগ্যের কথা।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, সৌভাগ্যবতী ভাবতে চাই।
মোঃ মজিবর রহমান
তুলে নিলাম ইমো, হ্যা যে লেখক এক একটি ইমোতেই পাবে লক্ষ কোটি লেখার খোরাক।
কবি তা পেয়েছেনই!
কত ডাক সুমধুর এই এই যে শুনছো………………।।
ছাইরাছ হেলাল
এ সব এমুন এমুন ই লাগে।
ইমো চালু থাকুক।
মোঃ মজিবর রহমান
ইমো পাইনি তো দাদা। তই থাক মনে কিছু।