সখি অনুপমা শাহাজাদি

ছাইরাছ হেলাল ১৬ অক্টোবর ২০১৫, শুক্রবার, ০৯:১৮:৫২অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৫৩ মন্তব্য

আর্লি টু রাইজ এন্ড আর্লি টু বেড………অনেক কিছু হয়, হোক। কথা সেটি নয়, কথাটির মধ্যে বেশ ছন্দের ভাব আছে, থাকুক; নন্দলাল খুব সকালেই ঘুম থেকে ওঠে, উঠতে তাকে হয় ই, পুরনো অভ্যাস, অবশ্য অভ্যাস না হয়ে উপায় নেই, সুর্য্য দিক পরিবর্তন করে করে ফেলবে যে, অগত্যা এই খুব সকালে উঠে ভোর দেখার মহান দায়িত্ব তার স্কন্ধে।
দুই সহচরীর সহিত বৃক্ষবাটিকাতে উপস্থিত হইয়া আলবালে জলসেচন করিতে আরম্ভ করিলেন, বল্কল পরিহিত মনোহরিণী শকুন্তলা; গাছের আড়াল থেকে সম্রাট দুষ্মন্ত শকুন্তলার রূপ দর্শণ……শকুন্তলার অধরে নবপল্লবশোভার সম্পূর্ণ আবির্ভাব, বাহুযুগল কোমল বিটপের বিচিত্র শোভায় বিভূষিত, আর নব যৌবন বিকশিত কুশুমরাশির ন্যায় সর্বাঙ্গ ব্যাপিয়া রহিয়াছে।
এখন কথা হলো এই রাজা মহাশয় গাছের আড়ালে কেন!!
অন্য কেউ রাতের আধারে বা মেঘলা দিনে এমন কী কুসুম ভোরে বা সোনা বিকেলে হাল্কা উঁকিঝুঁকি দিলে মহাভারত উল্টে যাওয়া ঠিক না। অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে রাত-দিন ব্যাপিয়া সকল কর্মকাণ্ড জারি রাখিতেই হইবে।
তাকাতাকি চলুক, অন্য দিকে গমন করা যাক।
এখানে এক তথাকথিত যুগলের আলাপচারিতা লক্ষ্য করা যাক, না এটাকে ঠিক পাপ্পারাজি স্টাইল বলা যাচ্ছে না…………

নীরব ও সখ্যতা;
স… সারাদিন কোথায় ছিলে? কী কী করেছ?
নী…,ছিলাম, কিছুনা।
স……মানে?
নী……কী?
স……মেসেজের উত্তর দেওনি কেন?
নী……হুম
স…… যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দাও।
নী…… দেখেছি তো।
স……আগে তো শুনেছি কত কত কত কথা, এখন? একবার হয়ে গেলে এমন ই হয়!!
নী…কী হয়!!
স……আজ মেরেই ফেলব, পেয়েছো কি আমাকে………

দেখুন, এরপর এখানে থাকা শোভন বা সমিচীন কোনটাই ঠিক হবে না, সাত চরে রা না করা পাবলিক এবার মনে হয় রক্ষা পাবে না। অন্য গাত্রে চলুন।
দাঁড়ান দাঁড়ান, কেমন যেন দৃশ্যপট পরিবর্তনের আভাস পাচ্ছি যেন…

স……এতো এতো রাগ!!
হৃদপিন্ডের সলতে আগুনে ছুঁয়ে জ্বালাবো প্রদীপ এ মন্দিরে,
ধ্রুব তারা হয়ে জ্বলে থাকবে আমার আকাশে।
দুঃখের কূহকে নয়, হাসির দমকে নতজানু হব এই হৃদমন্দিরে।
নী…………………………………

এ নৈসর্গিক দৃশ্য একান্তই একান্তের, আমাদের যাত্রা অন্যনন্তরে…………

গলে পড়া মায়া মায়া জোছনায় অঙ্গ ভিজিয়ে আমরাও ভিজি গল্পে গল্প।(কম কমের চেয়ে ও বেশি বেশি কম ভেজাই উত্তম, শেষে আবার ডেঙ্গু-ফেঙ্গু না বাঁধে)

এক চিলতে রোদ্দুর হাসে
ঐ মেঘাকাশে, ঝিকিমিকি চোখ মেলে,
প্রাণের বীনায় কী আনন্দ বাজে
আহা আহা, মরি লাজে লাজে
জ্যোৎস্নার অবগাহনে আদিম সুরায় মত্ত প্রাণে
ছেড়া তারে;
কী সুর বাজালে রাতের এ শেষ প্রহরে!!
সখি অনুপমা শাহাজাদি;

ঘোর সকালেই ফিরে যাই,
খুটখাট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল, জানালাময় ফুল সহ গাছের দিক থেকে শব্দ ও ক্ষীণ আলোর রশ্মির উৎস খুঁজে চক্ষু চড়কে, চেনা এক পুজারী ফুল তুলছে নিজের ও অন্যদের জন্য,
‘সুনীল, সব নিয়ে গেলে তো হবে না…………
কী যে বলেন দাদা!! আমি তো রোজ ই নেই এই ফুল, কিন্তু আপনার চোখে যা পড়ে না তাই ই নেই, আপনি ফুল পছন্দ করেন তা আমরা সবাই জানি।’
আজ এ পর্যন্তই, খুব বিজি!! কাকাতুয়াটি খুঁজতে বের হব, লাপাত্তা,
এ পাখিটি ছাড়া আমার চলেই না……

কিছুতেই ছ্যাঁত করে নামল না, ছ্যাঁত করা খুব কঠিন।

৮২৮জন ৮২৮জন
0 Shares

৫৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ