শুধু আমার গুলটু,
আমি জানি তুই বাংলা পড়তে পারিস না, তা-ও তোকে চিঠি লিখতে বসেছি। আজ যে তোর পনেরোতম জন্মদিন। অথচ মনে হচ্ছে এই তো সেদিন তুই এলি! জানিস যেদিন তোর অস্তিত্ব টের পেলাম নিজের ভেতর, সেদিন ছিলো ২০০১ সালের ৬ জুন তারিখ। থরথর করে কাঁপছিলাম তখন। চোখে আমার এতো জল লুকিয়ে আছে, সেদিনই টের পেলাম। তুই এসে গেছিস তার মানে আমাকে আস্তে চলাফেরা করতে হবে। সাবধানে রাখতে হবে নিজেকে। অথচ নিজের ব্যাপারে কখনোই এতো যত্নশীল ছিলাম না আমি। রিক্সায় উঠে সবসময় বলতাম ভাই জোরে চালান। জীবনে ওই প্রথম বললাম ভাই খুব আস্তে চালান। জানিস পেটে হাত দিয়ে রাখতাম যেনো তোর একটুকুও ব্যথা না হয়। হঠাৎ একদিন লাফ দিয়ে উঠলি, সে যে কি আনন্দ! তোর দিদিমনি-ভাইয়া খুশীতে কি যে করবে! এরপরে যখন-তখন তুই নেচে ওঠা শুরু করলি। বিশেষ করে আমার ঘুম তোর কিছুতেই সহ্য হতোনা। আর তোর সাথে কতো কতো যে কথা বলতাম! তোর নৃত্যের মাত্রা বেশ বেড়েই চলছিলো। কলেজে ক্লাশ নিচ্ছি, লাফাচ্ছিস, টিচারস মিটিং চলছে তুই কত্থক নেচেই চলছিস। কি যে অবস্থা! আর কি যে ক্ষুধা লাগতো! উফ!! ‘খাই খাই’ রোগ হয়ে গিয়েছিলো। তোর দিদিমনিকে বললাম মামনি গরম গরম রসগোল্লা খেতে ইচ্ছে করছে তোমার হাতে। তোর দিদিমনি বিশাল সাইজের রসগোল্লা বানালো। মনে আছে আমি পাঁচটা খেলাম। অথচ রসগোল্লা অতোটা প্রিয় না আমার। তোর দিদিমনি বললো, “আর খাসনা রে। আমার ভয় করে তোর এতো খাওয়া দেখে।” সেই সপ্তাহেই ধরা পড়লো আমার ডায়াবেটিকস। ডাক্তার বললেন এটা থাকবেনা, সেরে যাবে। শুধু এখন আর নরমাল ডেলিভারির রিস্ক নেয়া যাবেনা। বুঝলাম অপারেশন থিয়েটারে ঢুকতেই হবে। আর তোর ভাইয়া আর দিদিমনির রোজ যেনো একটা ডিউটি সকালে এসেই খবর নেয়া আমাদের দুজনের মানে তোর আর আমার।
পুরো দশটি মাসের স্মৃতি সব কি আর লেখা যায়রে সোনা? প্রতি মাসে আলট্রাসনো করতে যেতাম মৌলভীবাজার। কে করতো জানিস আলট্রাসনো? তোর বড়ো মামা ডঃ অভিজিৎ রায়, অর্ঘ্য দাদার বাবা। আর গাইনি ডাক্তার উনি সম্ভাব্য তারিখ দিলেন মার্চ ১৭। দিন এগিয়ে আসছিলো, ওদিকে তুই তো নিশ্চিন্ত মনে নেচেই চলছিস। ১৩ তারিখ ঘুম থেকে উঠলাম সকালে, সেদিন তোর কোনো সাড়াশব্দ নেই। সময় পার হচ্ছে কিন্তু তোর ঘুম ভাঙ্গছে না। তোর ভাইয়া সেদিন বাসায় এলো সকাল এগারোটায়। আমার মুখটা দেখেই জিজ্ঞাসা করলো, “কিতা হইছে তোর? সব ঠিকনি?” বললাম বাপি ও তো নড়ছে না। আটঘন্টা হয়ে গেলো। বাপি বললো তখনই ফোন দিতে দাদাকে। ফোন দিলাম তোর বড়ো মামাকে, বললাম দাদা ও তো নড়ছে না। দাদা ডাক্তার হলে কি হবে অনেক নার্ভাস হয়ে গিয়ে বেশ উচ্চৈঃস্বরে বললো, “তুই ফোনে বলছিস এ কথা? গাড়ী নিয়ে এখুনি চলে আয়। একটা মুহূর্ত দেরী করিস না।” তারপর তোর বড়ো মামার নার্সিং হোমে গেলাম। চেক করার পর দাদা বললো সার্জারী লাগবে। কিন্তু ডাক্তার তো ঢাকায়। উনাকে খবর দেয়া হলো, পরদিন আসবেন। ১৫ তারিখ হবে সার্জারী। সেদিন তোর বড়ো মামার বাসায় গিয়ে থাকলাম। তোর বড়ো মামী কি যে যত্ন করলো। তীর্থ তোর বড়ো মামী, তোর বড়ো বৌদি, তোর ছোটদিদির(শিখা) কাছে আমি ঋণী। অনেক কষ্ট করেছিলো তখন। তারপর পরেরদিন ভর্তি হলাম, এক একটা মুহূর্ত কি অপেক্ষা। তোকে কখন দেখবো? পরেরদিন যখন আমাকে ওটিতে নেয়া হলো। বাইরে সবাই অপেক্ষায়। তুই এলি তখন ছিলো সন্ধ্যা। ওইটুকুনি একটা গালটু-গুলটু শরীর, কিন্তু কি যে তোর সেই গলার স্বর! তারস্বরে চিৎকার। জানান দিলি, ‘এলাম, এবার তুমি বুঝবে, মা হবার আনন্দ কতোটুকু আর কতোটা জ্বালা!’ আমি এদিক-ওদিক চাইছি, দাদাও ছিলো ওটিতে। বললো এভাবে মাথা না নাড়াতে। অবশেষে তোকে ঘুম ঘুম চোখে দেখলাম, এই আমার সন্তান? আমার রক্ত? কে একজন জানি বললো, ছেলে হয়েছে। ছেলে নাকি মেয়ে আমি কিচ্ছু জানতে চাইনা, শুধু জানি তুই আমার সন্তান, আমার রক্ত, আমার আত্মজ। গুলটু আরোও অনেকদিন বাঁচতে চাই শুধু তোর জন্যে।
তোর মাম
হ্যামিল্টন, কানাডা
১৫ মার্চ, ২০১৭ ইং।
৪৮টি মন্তব্য
মেহেরী তাজ
বাঘা বাঘা মন্তব্যকারী রা এসে খুটিয়ে মন্তব্য করবে আপু।
আমি শুধু বলি “শুভ জন্মদিন তীর্থ বাবা”।
মা হওয়ার ১৫ বছর পূর্তিতে আপনাকেও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপু…..!
ভালো থাকুন দুজনেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু এই শুভেচ্ছাটুকুই তীর্থর চলার পথের পাথেয়।
আর হ্যা তীর্থকে আপনার মন্তব্য পড়ে শুনিয়েছি। 🙂
এতো সুন্দর অভিনন্দন পেয়ে আমি মুগ্ধ।
আপনিও ভালো থাকুন।
নীহারিকা
এত বড় হয়ে গেছে বাবা?
শুভ জন্মদিন তীর্থ!
আচ্ছা, মা এত ভালো বাংলা জানেন তবে ছেলে কেন পারছে না?
অনেক অনেক শুভকামনা তীর্থর জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
নীহারিকা আপা সময় দেখতে দেখতে চলে যায়।
বাংলা আগে লিখতে পড়তে পারতো। কিন্তু এতো এতো দেশের ভাষা, তারপর কানাডায় এসে ইংরেজী আর ফ্রেঞ্চ। বাংলা পড়া ভুলতে শুরু করলো ২০১২ সালে এসে। তবে ও খুব সুন্দর বাংলায় কথা বলে। কেউ বুঝতেই পারবেনা যে ও দেশের বাইরে বড়ো হয়েছে। আমাদের বাসায় নিয়ম হলো বাসার ভেতর বাংলায় কথা বলা। তীর্থ কখনোই বাসায় ইংরেজী বলেনা।
আশীর্বাদ করবেন যেনো মানুষ হয়।
নীহারিকা
জি আপা দেশের বাইরে থাকা বাচ্চাদের এ সমস্যাটা হয়। ও বাংলা ভালো বলতে পারে শুনে খুব ভালো লাগলো। অনেক বাংলাদেশি পরিবার আছে যারা বাসায় বাংলার প্র্যাকটিসটা করেন না। ভাবেন কি দরকার। তবে আপনাকে তাদের দলের মনে হয়নি বলেই জিজ্ঞেস করেছি।
কিছু মনে করবেন না আপা।
অনেক ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
নীহারিকা আপা না না কিচ্ছু মনে করিনি। আমি চেয়েছিলাম পড়াটা ধরে রাখতে। কিন্তু দিনকে দিন এতো চাপ, তাই আর বলিনি। আর আমার কাছেও এতো খারাপ লাগেনা, অন্তত বাংলা তো বলতে পারে। আমি তো দেশে গিয়ে ছেলে-মেয়েদের দেখে অবাক, বাংলা উচ্চারণকে এমন এক জগাখিচুড়ী রূপ দান করেছে।
তবে হুম খারাপ লাগে বাংলা লিখতে/পড়তে পারেনা বলে। কি আর করা! তবে আপনার মন্তব্য পড়িয়েছি, ও আমাকে বললো মাম তোমার কি খারাপ লাগছে? বললাম লাগছেই তো। তারপর চুপ করে থেকে জড়িয়ে ধরে বললো, “স্যরি!” 🙂
ধন্যবাদ আপা। মন খুলে মন্তব্য করবেন। আমার ভালো লাগবে। 🙂 -{@
মিষ্টি জিন
শুভ জন্মদিন তীর্থ বাবা। অনেক বড হও, ভালো মানুষ হও বাবা মার মুখ উজ্জল কর।
নীলাদি প্রথম মা হওয়ার যে কি আনন্দ তা বলে বোঝানো যাবে না।
একটু একটু করে শরীরের মধ্যে একটা মানবশিশু বড হচ্ছে, এ আমার সৃষ্টি ,এ একান্তই আমার এই অনুভূতুটাই অন্যরকম।
তোমার রসগোল্লা খেতে ইচ্ছে করছিল ? খেয়ে আবার ডায়াব্টিকস ও বাধিয়েছিলে? হা হা হা
আমার কাঁচা আম খেতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু লজ্জায় কাউকে বলতে পারিনি।
চিঠিটা তীর্থ কে পডে শুনিও।
লেখার কঁথা আর কি বলবো?
চিঠি লেখায় তুমি ই শ্রেষ্ট।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু হায়রে এতো লজ্জ্বা তোমার? সেই সময় আমার প্রচন্ড মিষ্টির নেশা পেয়ে গেছিলো। যখন বেবী শাওয়ার হলো, আমি তো শাশুড়ী মাকে ফোন দিয়ে বলেছিলাম মা আমার জন্য রসকদম্ব নিয়ে আসবেন কিন্তু। শাশুড়ী মা সেই ঢাকা থেকে প্রায় প্রচুর রসকদম্ব নিয়ে এসে শুনলেন আমার নাকি মিষ্টি খাওয়া বারণ। শাশুড়ী মায়ের কাছে গিয়ে আব্দার মা প্লিজ একটা দিন, মামনিকে বলবেন না। উনি যেই আমার হাতে দিলেন ঠিক তখুনি মামনি আর তরুণ এসে সামনে দাঁড়ালো। হাহাহাহাহাহাহাহাহা। খাওয়া হলোনা। তবে চুরী করে খেয়েছিলাম। 😀 ওই কথা মনে পড়লে হাসি পায়। ধরাও পড়ে গিয়েছিলাম। মামনি শুধু বলেছিলো, “তোর সন্তান আসছে, তুই বুঝবি ওর ভালো-মন্দ।” সেই যে লোভ চলে গেলো, আর কখনোই মনে টানেনি। জানো তারপর এই আজ পর্যন্ত রসকদম্ব আর খেতেই পারিনা। 🙂
মিষ্টি আপু আশীর্বাদ করো ছেলেটা যেনো মানুষ হয়।
ইকরাম মাহমুদ
শুভ জন্মদিন, তীর্থকে।
কিছুই বলছি না এছাড়া। লেখাটা প্রিয়তে নিয়ে নিলাম। বারংবার পড়তে চাইব এমন লেখা।
নীলাঞ্জনা নীলা
“মা হওয়া কি মুখের কথা!”—-
আশীর্বাদ রাখবেন ও যেনো বড়ো মনের মানুষ হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
ইকরাম মাহমুদ
প্রার্থনা করি বড়ো মনের মানুষ হোক। মা হওয়া সহজ কথা নয়। মা শব্দটি ছোট হলেও অনেক অজানা কিছু আছে যা আপনাদের অনুভূতি প্রকাশেও জানতে পারছি। মা এর প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে যাচ্ছে আরো।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো চমৎকার এক মন্তব্য করলেন মনটা ভরে গেলো।
মায়ের তুলনা মা নিজেই।
ভালো থাকুন।
ইঞ্জা
আমি যেন ছিলাম ঐ সময় আপু, যেন চোখের সামনেই দেখছি, ছেলের কাছে মায়ের চিঠি, মুগ্ধ হলাম।
ছেলের জন্য অনেক অনেক দোয়া আর ভালোবাসা।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া প্রথমেই বলে নেই তীর্থকে বলে দিয়েছি আপনাকে যে আমি হ্যান্ডপাম্প ভাই বলে ডাকি। ও কি যে হাসলো।
আপনার মন্তব্যও পড়িয়ে শুনিয়েছি। 🙂
আপনাদের সকলের আশীর্বাদই তো ওর জীবন চলার পথের পাথেয়।
ভালো থাকুন।
ইঞ্জা
;( হ্যান্ডপাম্প ভাই, আমার ভাগিনাও শুনলো, ওরে বইন ইঁদুরের গর্তটা কই? ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প মামা ডাকটা ওর মুখে যদি শোনেন, আপনার সত্যি ভালো লাগবে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
লেখায় মাতৃত্বের সার্থক অনুভব টের পাওয়া যাচ্ছে, সুন্দর-সুচারু রূপে।
তীর্থকে একরাশ শুভেচ্ছা,
ওর গার্লফ্রেন্ডের পিক এ্যাড করে দিলে ভাল হতো!!
এতো বড় হই গেছে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
তীর্থকে মন্তব্য পড়িয়ে শুনিয়েছি।
আমাকে কি জিজ্ঞাসা করেছে জানেন? মাম আঙ্কেল কি ম্যারেড না সিঙ্গল?
এবারে উত্তর আপনি দিন, কাল তীর্থ যখন ট্রেনিং সেরে বাসায় আসবে, ওকে বলবো। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আরে!! এ কেমন কথা !! আজব!! ল্যাহা-লুহা দেইখ্যা বোঝেন্না কী অবস্থায় আছি!!
তাছাড়া আপনি তো জানেন-ই আমি সর্বদাই সিংকেল!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আইজকেই জানলাম আফনে যে সিঙ্ক-এল। 😀
প্রহেলিকা
গার্লফ্রেন্ডের পিক!! এইডা কিছু হইলো???? হাসাইলেন।
ছাইরাছ হেলাল
আরে হাসনের কী হইল,
আছে আছে, ডিজিটাল যুগ। জিজ্ঞেস করুন তার জননীর কাছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
হাসার কিছু নেই প্রহেলিকা। কুবিরাজ ভাই ডিজিটাল যুগে পড়ে আছেন কিনা, তাই উনি বেশী জানেন। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই সেটাই তো আপনি তো সবই জানেন। 😀
শুন্য শুন্যালয়
তীর্থকে জন্মদিনের এত্তো এত্তো শুভেচ্ছা জানাচ্ছি নীলাপু। ভালো করে পড়ে লেখা নিয়ে মন্তব্য করবো। আগামী বছর ছেলে ছেলেবউ এর একসাথে যেন ছবি দেখি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
তীর্থর কথাতেই বলি। “শুন্য আন্টি ১৬ তে বিয়ে করতে নেই। আর আমি এখন ১৫। আমার বিয়েতে তোমাকে ইনভাইট করবো।”
কি যে মুচকি হেসে হেসে বললো আমার কোলে মাথা রেখে। 🙂
বুঝেছো গো আন্টিমনি এবারে তুমি সামলাবে ঠ্যালা। 😀
মোঃ মজিবর রহমান
গুল্টু মামা শুভ জন্মদিন। বাবামার মনে থাকো ভালবাসা নিয়ে।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই আশীর্বাদ করবেন যেনো বড়ো মনের মানুষ হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রুম্পা রুমানা
শুভেচ্ছা জন্মদিনে । তীর্থ বেড়ে উঠুক ভুবন ভরা আলোয়। একজন মায়ের অনুভূতি , অভিজ্ঞতার কথা পড়লাম। কি অসাধারণ ! মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। দারুণ হয়েছে লেখা , আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
আশীর্বাদ করবেন যেনো মানুষ হয়।
প্রতিটি মায়ের ভেতর সন্তানদের জন্য প্রার্থনা থাকে। জন্ম দিলেই মা হওয়া যায়না। সেটা বুঝেছি মা হবার পর থেকে এখনও বুঝেই চলছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রুম্পা।
ভালো থাকুন।
সীমান্ত সৈকত
তীর্থ কে নাগকেশর পবিত্রতার সুবেচ্ছা জানিয়ে দিবেন আপু
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সীমান্ত।
আশীর্বাদ করবেন যেনো মানুষ হয়।
মৌনতা রিতু
আমার ভবিষ্যৎ সেরা অলিম্পিক বাস্কেট খেলোয়াড়কে দেখছি। ওরে বুড়া, এতো বাস্কেটবল খেলতি বাবা! মায়ের পেট বুঝি খেলার প্রথম যায়গা।
তোমার মুখের সব আনন্দ পড়ে আসলাম।
কি শান্তি না আপু! আমারটাও বলে দিলে।
বাবাকে আমার এত্তো এত্তো আদর।
ভাল থেকো। -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু গো তাইতো! বাস্কেটবল খেলা তো পেটের ভেতরে বসেই খেলেছে। সে কথা একবারও মাথায় আসেনি। উফ কি যে লাফাতো গো আপু। আজও ভাবি। মজার কথা বলি শোনো ওর এখনও সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হলো আমার পেট। পেটে মাথা রাখবে, আদর দেবে। এই তো এই পোষ্টসহ সবার মন্তব্য পড়ে শুনিয়েছি, পেটে মুখ গুঁজে শুনেছে। এখন ঘুমিয়ে গেছে। কাল তোমার মন্তব্য পড়ে শোনাবো। কথা বলে কম, মুচকি হাসে কেবল।
আপু গো আশীর্বাদ করো ও যেনো বড়ো মনের মানুষ হয়। ও যেনো ভালোবাসা পায়। আর ভালোবাসতেও যেনো পারে।
অনেক অনেক ভালো রেখো। -{@ (3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সীমাহীন কষ্টের করে মা বাবা সন্তান জন্ম দেন এবং মানুষ হিসাবে গড়ে তুলেন।তোমার জন্ম দিনে এটাই কামনা পৃথিবীর সকল সাফল্য যেনো তোমার মা বাবাকে দেখিয়ে দিতে পারো তাতেই তাদের সুখ তাদের পরম পাওয়া।শুভ হউক তোমার পথ চলা। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই অসাধারণ এক মন্তব্য।
আপনাদের সকলের আশীর্বাদ ওর জীবন চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। -{@
চাটিগাঁ থেকে বাহার
জন্মদিনের শুভেচ্ছা , সাথে অনেক অনেক দোয়া। -{@ -{@ -{@ -{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
শুন্য শুন্যালয়
কী সমস্যা ছিলো তাতো বললে না নীলাপু। দুদিন পরে অপারেশন করলে। আমার মনেহয় বেশি ওরিড হয়ে গিয়েছিলে।
তোমার নৃত্যশিল্পী কে আমার অনেক আদর। আর আমিতো হবু বউ এর কথা বলেছিলাম 🙂
তুমি যে ক্যান এতো ভালো লেখো? 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু যেদিন গেলাম চেক করার পর দেখা গেলো সব ঠিক আছে। আর আমার ডাক্তার ছিলেন ঢাকায়। উনাকে সব রিপোর্ট পাঠানো হবার পর উনি বললেন ১৫ তারিখ আসবেন, এসে চেক করবেন। ফোনে কথাও বললাম, দাদাও বললো। তখন সমস্যা ছিলোনা কিছু আর। কিন্তু আমার দাদা বললো সার্জারি যখন করতেই হবে, আর দেরী করার দরকার নেই। ১৫ তারিখ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ মিনিটে মহারাজ তীর্থ এলেন এই ধরায়। 😀
হবু বৌ মনে হয় আমাকে আর তোমাকেই খুঁজতে হবে। এই ছেলেকে দিয়ে মনে হয় না হবে। 🙂
তেলাপোকা রোমেন
শুভ জন্মদিন গুল্টু
(3 (3 (3 (3 (3 (3
“আমি জানি তুই বাংলা পড়তে পারিস না”
– হতাশ হলাম#
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি নীহারিকা আপাকে যা বলেছি, সেই কথাই কপি করে দিচ্ছি।
বাংলা আগে লিখতে পড়তে পারতো। কিন্তু এতো এতো দেশের ভাষা, তারপর কানাডায় এসে ইংরেজী আর ফ্রেঞ্চ। বাংলা পড়া ভুলতে শুরু করলো ২০১২ সালে এসে। তবে ও খুব সুন্দর বাংলায় কথা বলে। কেউ বুঝতেই পারবেনা যে ও দেশের বাইরে বড়ো হয়েছে। আমাদের বাসায় নিয়ম হলো বাসার ভেতর বাংলায় কথা বলা। তীর্থ কখনোই বাসায় ইংরেজী বলেনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রহেলিকা
তীর্থের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে দেরি হয়ে গেলো, এখন কি করা যায় বলুন। তবে এই আঙ্কেল শাস্তি যা দিবে তাই মাথা পেতে নিব (আপনি অবশ্যই নিশ্চুপ থেকে আমার পক্ষ নিবেন)।
মাতৃত্বপ্রেমের এক দারুণ উদাহরণ হয়ে থাকবে এই লেখাটি। বাড়িয়ে বলছি না কিছুই। প্রেম ভালবাসা প্রকাশের ক্ষমতা অনেকেরই থাকে না হোক তা উচ্চারণে কিংবা কলম বা কিবোর্ডে। আপনার রয়েছে।
শুভ জন্মদিন তীর্থ!
খুব বড় হও জীবনে। (3 -{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
তীর্থ কিছুই মনে করেনি। বরং হেসেছে। আমার ছেলের হাসি কিন্তু খুব দামী। ডলারেও পাওয়া যায়না। মানে আমার মতো বেহিসেবী হাসি দেয়না। 😀
প্রতিটি মায়ের মধ্যেই একই প্রেম সন্তানের প্রতি। সন্তান পঞ্চাশ বছরে গেলেও মায়ের কাছে শিশুই থেকে যায়।
আমার ছেলে এখন বারবার বলবে আমার এখন বয়স ১৫। মজা হলো ও যখনই আমাকে জড়িয়ে ধরতে চায় আমি বলি অসহ্য, যা তো! বলবে মাম মুরগীর মতো নেচোনা। চুপচাপ দাঁড়াও দেখি তুমি কতোটা ছোট। 🙂
ঈশ্বর আপনাদের সবার প্রার্থনা অবশ্যই শুনবে, আমি জানি।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
এত বছর হয়ে গিয়েছে তীর্থ মামা জন্মের পর! মামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
কত অজানা বিষয় জানলাম।
ভাল থাকিস সারাক্ষণ।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম নানা তোমার তীর্থ মামা এখন ১৫। ফেসবুকে অন দিস ডে’তে দেখলাম ২০১০-২০১২ সাল পর্যন্ত তোমার শুভেচ্ছা তীর্থকে। সেই ছোট্ট তীর্থ এখন নিজেই ফেসবুক খুলেছে। তবে ফেসবুকে একটুকুও নেশা নেই।
ভালো থেকো তুমি।
জিসান শা ইকরাম
বেঁচে থাকলে ইনশ আল্লাহ্ ২০১৮ সনে দেখা হবে।
ভাল থাকিস সবাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
বেঁচে তো থাকবেই। আমার নানা বলে কথা! 😀