
ঘুম-চোখ চেয়ে আছে কত রাত অব্দি!
চেয়ে-চেয়ে দ্যাখে, নক্ষত্র রাত, নক্ষত্রের রাত,
ঐ দূর পানে, যদি খসে পড়ে দু’একটি তারা;
টের পাই রাত-পাখির-ডানা;
ঘুমিয়ে থাকি চোখ মেলে, অবশ-বিবশ-ঘুম-চোখে।
মনে পড়ে, মনে পড়ে; এই তো সেদিন, সেদিন;
সুস্থ-সবল হৃদয়ে ঘুমেরা নোঙর ফ্যালে, নোঙর ফেলে রাখে,
দিনে, রাতে, স্নিগ্ধ রূপসী স্বাদে,
মিহি হিমের জাঁকালো কাশফুল শরতে,
যন্ত্রণার ঘুম-সমুদ্র মেলেছিল ডানা ঐ উঁচুর নীলাকাশে
ইটের ফাঁক গলে চুপিসারে।
৩০টি মন্তব্য
শাহরিন
সুস্থ মন কাহাকে বলে!!!
ঘুমিয়ে থাকি চোখ মেলে!!! বাব্বারে ডরাইছি।
ছাইরাছ হেলাল
কুটি টাহার প্রশ্ন!
ভয়ের কিচ্ছু নেই, আসলে ঘুমের সাথে চোখের সম্পর্ক একটু জটিল।
যার চোখ নেই বা পাথর চোখ! সে কি ঘুমুবে না!
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ঘুম-চোখ চেয়ে আছে কত রাত অব্দি!
রাত জাগা পাখিরা শুধু জানে রাত কতো নির্মম।
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দর করে বলার জন্য ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
আবহাওয়া টাই এমন। ঘুম ঘুম। সাথে বিবেকও হয়েছে শরৎ। চোখ মেলে ঘুম দেই। জাগুক সবার হিমায়িত মন।
শরৎ কেমন জানেন ছেলেদের কাছে? হাফ প্যান্ট আর স্যান্ডো গেন্জি পরা ইংলিশ।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা, হাফ পেন্টুল আর গেঞ্জি!
দারুন বলেছেন,
শরৎ আসুক মিহি হিম-ঘুম নিয়ে সবার অন্তরে, এ অপেক্ষাই করি।
তৌহিদ
মনের ভাবনাগুলো ডানা মেলে উড়ে যাক ঐ নক্ষত্ররাজির কাছে। একটি দুটি নক্ষত্র বুকে টেনে নিক, আশায় ভালোবাসায়। শান্তির ঘুম পায়রার ডানায় ভর করে শান্তি বয়ে আনুক কবির মনে এটাই কাম্য।
ছাইরাছ হেলাল
ফুল-চন্দন পড়ুক আপনার মুখ-বুক জুড়ে।
শান্তির পায়রা ডিগবাজি দিক মনের আকাশে।
আহা শান্তি!
মোহাম্মদ দিদার
অসাধারণ কাব্য নির্মাণ
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখার মন্তব্যে পরে দিবো। আগে বলুন এত সুন্দর ছবি কই পেলেন? কিভাবে তুললেন? তোলার সময় ক্যামেরা কোন হাতে ছিলো? পাশে কে ছিলো? সব গুলো ডিটেইলস দিন মহারাজ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
পরে পড়ে-ই আছে।
নিজের ছবি নিজেই চুরি করেছি, তাই বলা ঠিক হবে না মনে হয়।
শিক্ষানবীশ তোলক মাত্র!
সাবিনা ইয়াসমিন
বুঝেছি আসল রহস্য বলতে চাচ্ছেন না। তাজমহল বানানোর পর সম্রাট যদি কারিগরদের আঙুল কেটে নিতে পারে, তাহলে আপনি মহারাজ তথ্য ফাস বন্ধ করার জন্যে আপন মুখ বন্ধ রাখতেই পারেন। 😂😂
শিক্ষানবীশ!! গুরু কে???
ছাইরাছ হেলাল
এই স্থানে কুন রহস্য-টহস্য খুব-ই অনুপস্থিত। তবে প্রশ্ন খুব কঠিন কঠিন লাগতেছে।
অগামগা ছাত্রকে কেউ কেয়ার করে/কেয়ার নিয়ে শিখাইতে চায় নাই/চায় না।
সেহেতু ভালু কিছুই হেকতে পারলাম না। তবে মনোবল হারাই নাই/না। অটুট।
রেহানা বীথি
স্মৃতির সেদিন ধরা থাক হদয় গহীনে। যন্ত্রণা উড়ে উড়ে চলে যাক নির্ঘুম রাতের ওপারে। হিম আসুক, টুপটাপ ঝরে পড়ুক শিশির, সোনাঝরা দিন সামনেই।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা তেমন সোনাঝরা দিনের অপেক্ষা-ই থাকব।
অনেক সুন্দর বলেন আপনি।
ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
এই শরতে আবহাওয়া সাজে ভিন্ন সাজে। আকাশও রূপ নেয় রূপালী সাজে। আর মানুষ রূপ বদলায় সকাল সাজে। শরৎ বলে কথা!
কবি দাদার কবিতায় ভালোবাসা রেখে গেলাম। সাথে শরতের শুভেচ্ছাও থাকলো।
ছাইরাছ হেলাল
বাপ্রে! কবিতায় উত্তর দিয়েছেন!
শরতের একরাশ শুভেচ্ছা আপনাকেও।
নব সাজে সাজি আমরা এই অপরূপ শরতে।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
শরৎকাল আমার প্রিয় ঋতু। আপনি এটাকে যন্ত্রণা বানিয়ে দিলেন?
শরতের আগমনে নেশাতুর প্রত্যেক্ষদর্শীর বিবরণ দক্ষ হাতে অংকিত করলেন বলে মনে হল।
আপনার মনের ব্যাকুলতা জানতে মুঞ্চায়…
ছাইরাছ হেলাল
সরতে।আমার তো সব ঋতু পছন্দ!
দক্ষ হতে পারলে তো যন্ত্রণার উপশম হয়েই যেত।
মন ব্যাকুল হয় বলেই লিখতে পারি, লিখিও।
ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
বর্ষার পরে শরৎ আনলেন সোনেলায়।
আপনি হচ্ছেন সোনেলার সিজন ঘড়ি 😉
আপনার মাধ্যমে ঋতুর আগমনী বার্তা পাই।
ছাইরাছ হেলাল
উহ্,
আগের লেখায়-ই শরৎ এসেছে, মন দিয়ে না পড়লে যা হয় আর-কী!!
অবশ্য মনের-ই বা দোষ কী! যা চাপ-চুপ যাচ্ছে!
দেখুন, একটু পরেই এবার বলে না বসেন, এর শরৎ আর কাশ বন নিয়ে
ব্লগবাসী কী করিবে! কোথায় রাখিবে!!
তৈরি থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
আগের লেখা পড়াই হয়নি, তাই এই ভুল হয়েছে।
যে চাপ চুপ যাচ্ছে।
স্ক্রীন শট দিয়ে বুঝাতে হচ্ছে নতুন ব্লগারদের ঘন্টার পর ঘন্টা।
পচ্চুর নতুন ব্লগার আসছে।
ছাইরাছ হেলাল
কাউকে কেউ কিছু শিখিয়েছে এমন কোন ইতিহাস এখন ও জানতে পারি নাই।
হয়ত ইতিহাসের নূতন অধ্যায় শুরু হবে!
চাপ-চুপে কুল কুল থাকতে হবে।
নীরা সাদীয়া
আপনার লেখায় একটা নিজস্বতা আছে, যতবার পড়ি ঐ একই সুর খুঁজে পাই। আজকের বিষয় তবে শরৎ।
ছাইরাছ হেলাল
মনের আনন্দে লিখি, অবশ্য আপনারা পড়েন বলে-ও।
হ্যা, শরৎ এসেছে লেখাটিতে।
ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
শরৎ বেলায়..
কবির কবিতায় শরতের প্রতি প্রেম আর প্রেম ভাসে,
উদাসীর চোখে নীল রঙ প্রকট হয়,
বালিকার মুগ্ধ দৃষ্টি ঘন-মেঘ দিয়ে কাশফুলের মালা গাঁথে,
শারদীয় যাতনায় কতযে মধু থাকে, তা কেবল পতঙ্গ জানে 😉
আপনি কি পতঙ্গ হয়ে এই লেখা লিখেছেন মহারাজ 😉
ছাইরাছ হেলাল
একটু মন দিয়ে পড়ুন! (পড়েছেন অবশ্যই)
এটি আমার অতি প্রিয় লেখা,
পাঠক হিসেবে মুগ্ধতা তৈরি করেছে।
আকবর হোসেন রবিন
ছবি ও কবিতা দুইটাই বেশ ভালো লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ।