অকস্মাৎ ছুটে এলো দেখভালডাইনি
তড়িঘড়ি পড়িমরি, তলব পাঠিয়েছেন ডাইনিরানী,
ভয়ে হাতজোড় কাঁচুমাচু!
কাঠগড়ায় দাঁড়ানো সাক্ষাৎ চোর, কলা-কচু;
খোশগল্পে মত্ত কুলরানী
নূতন এসেছে বিদগ্ধ ইয়ার-দোস্ত ভারী ভারী,
হুকুম এলো, নূতন কবিতা বল এই মুহূর্তে এখুনি
নচেৎ ঘাড় মটকে দেবে জল্লাদডাইনি,
কী করি কী করি ভেবে মরি
ভেবেই মরি,
যাবে নাকি প্রাণ এবারই!
সভয়ে বলি, হঠাৎ দাঁড়াবে কবিতা?
যদিবা দাঁড়ায় বেরোবে কী প্রাণগাথা?
## কী বেরোবে
কী বেরোবে না তাই নিয়ে কিসের এত মাথাব্যথা?
চুপ, চুপ, একদম চুপ,
শুরু কর এখুনি, টাউক্কা ব্যাটার টেকোমাথা।
মাফি মাফি
সভয়ে প্রণামি রানীজির মোক্ষমূল
যদি হয়ে যায় ব্যাপক চুলবুল ভুলটুল,
** জল পড়ে পাতা নড়ে, জল পড়ে পাতা নড়ে না, পাতা নড়ে জল পড়ে না,
নড়ে না কিছুই, পাতাজল জলপাতা, পড়েও না, তবুও জল চাই-ই, চাই পাতাও।
অকাতরে প্রাণমন হয়েছে ম্রিয়মান প্রহরে প্রহরে, জিঘাংসু দুর্বৃত্তের অজ্ঞান হাতে,
মৃতের মিছিলে লুকিয়ে খুঁজি আঁধারের ঠিকানা;
—————————————————————————————
কী জানি কী হয় শুরু
ভয়ে বুক দুরুদুরু,
পাশে এসে দাঁড়িয়েছে
দাঁতাল এক ডাইনিগুরু,
যা বোঝার গেছি বুঝে
গেল বুঝি ঘাড় এবার ঝুলে,
কুট্টিডাইনি ছুটে এলো
এখুনি এখুনি
অন্যকিছু, ভাল কিছু বলে ফেলো।
—————————————————————————————–
** উন্মত্ত ষাঁড়ের চোখে লাল বেঁধাতে আসিনি
বৈরী হাওয়ার কৃষ্ণবাদুড়ও হইনি,
ভালোবাসার অনাবৃষ্টির বিরাণ ভূমিতে
দাঁড়িয়ে আছি গন্ধহৃদয়ে শিউলি মেখে।
মায়াবী স্নান হয়েছে দলছুট তেপান্তরের মাঠে
হিংসুটে বারোয়ারী সময়ের উৎকট চিৎকারে,
জলকাদা আর অসুস্থ অস্থির ঘূর্ণাবর্তে
রুদ্ধ আজ ;
স্পর্শকাতরতার ক্লান্তিতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
মরে যেতে যেতে ডাকি প্রাণপণে;
সাড়া দাও সাড়া দাও,
ছুঁড়ে দাও বুকসুগন্ধরুমাল, রানী;
শেকলবেঁধা জমাটবদ্ধ শীতের শীতে একটু উষ্ণ উষ্ণতা চাই,
দেবেনা? নিম নিম ক্ষতে মাখবে-না চাঁদপরাগ?
——————————————————————————————-
সহসাই সবুজাভ চোখ গাঢ়তম সবুজ হলো
টেবিল চাপড়ে সবাই হৈ হৈ করলো,
ভয়ে চুপসে এদিক ওদিক তাকাই
গেল কোথায় ডাইনি সই?
ছুটে এসে ফিরিয়ে নিয়ে গেলো,
আবার হাওয়াও হলো;
এলো এবার নূতন এক ডাইনি
হাতে তার সুসজ্জিত কয়েক ভাণ্ড পাগলাপানি,
নয় আর দেরি
ঢেলে দেই খটখটে গলায় নির্জলা অনেকখানি,
ঘাড়ে বসাবে দাঁত, একটু পরে তাও বিলক্ষণ জানি,
এবারে ছুটে-ফুটে এলো সেই কুট্টি দেখভালডাইনি।
দুরু বুকে ভাবি, কী জানি কী শুনি!
ডেকেছে ভোজে ডাইনিরানী !!!!!!!!!!!!!
**********************************************************************
পার্মানেন্ট রেসিডেন্সির আবেদন
রেখেছে ঝুলিয়ে বহুদিন!!
২৮টি মন্তব্য
নীহারিকা জান্নাত
ডাইনি ফাইনি দিয়ে আর ভয় না দেখালেই নয়?
ছাইরাছ হেলাল
আরে ভয় কোথায়!!
মিটমাট হয়ে গেছে, ফাইন ডাইনি!!
ইঞ্জা
বাহ বাহ, কি দারুণ লেখা, বিমোহিত।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা হা !!!
ইঞ্জা
:@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ডায়নী বুড়িরাও যে কবিতা পছন্দ করে তাই ভাবছি আবার কখনো যদি কবিতা লিখে বসেন।লিখুন নইলে খবর আছে।ছন্দ কবিতা ভালই লাগল।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও আপনার মতই অবাক!!
বলা যায় না, ডিজিটাল যুগে লিখেও ফেলতে পারে।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা তাহলে এই ব্যাপার !
ডাইনিরানীকে ভয় পান যথেষ্ঠ বুঝা যাচ্ছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভয় কেটে গেছে,
আর সমস্যা নেই।
গাজী বুরহান
কবিতা না লিখে যাইবেন কই?
.
.
নো বিরতি!! হলে চুপ
ডাইনিরানী দিবে ছুট!!
ছাইরাছ হেলাল
তাই তো ভাবি, কী করিলে কী হয়,
খুবই বিধঘুট!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার কাছেই কেন কবিতার কথা বললো? আপনি তো কবিতা লেখেন না, একান্ত অনুভূতি লেখেন।
তারপর অবশ্য যা কিছু বললেন তাতে তো কুবিতা-ই বুঝলাম। আচ্ছা কবে থেকে আপনি কুবিতা লেখা শুরু করলেন?
কত্তো কইরা বললাম একটু কুবিতা লেখা শিখাইয়া দ্যান, তা আর দিলেনই না। :@
এইবারে কুবিতা শিখাতেই হবে কইলাম কিন্তু কুবিরাজ ভাই। নাইলে শাঁকচুণ্ণীরে পাঠামু। 😀
ছাইরাছ হেলাল
এখন শাঁকচুন্নী এস্তেমাল কুনু ব্যাপার না,
কে যে কাকে কখন কী শিখিয়ে বসে কে জানে!!
দেখুন ওরা কী না কী কয় তার কোন ঠিক আছে!! জান বাঁচানো দায় তখন।
খুবই একান্তের অনুভুতি লেডিগুরু!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কি কইলেন শাঁকচুণ্ণী ব্যাপার না? :@
দাঁড়ান ডাক পাঠাইতাছি। তারপরে বুঝবেন কতো ধানে কতো গম(চাউল খাইলে ফিগার নষ্ট হয়)!
ছাইরাছ হেলাল
দেরি আর সহে না!!
প্রহেলিকা
নাহ এসব লেখা আমার মতো আমজনতার না। একবার দুবার পড়েও মাথার উপ্রে দিয়া গেছে। থাকে একান্ত অনুভূতি ডাইনি বুঝলেই হবে। আমজনতা হয়ে ভালোই হয়েছে। অতিথি মেঘ বুকে জড়িয়ে রাখি আমার দুপুরি আকাশে!
ছাইরাছ হেলাল
জনতার আম আর আম নেই, জনতা এবার পাকা বেল!!
ফাঁকি-ফুঁকি দেয়ার ম্যালা কায়দা!!
বৃষ্টি অপেক্ষা করছে, বুঝছি এবার!!
প্রহেলিকা
ফাঁকিবাজের তকমা লাগাইয়েন না আর। এইবেলা একটু ভালা হইতে দেন।
:@
চাটিগাঁ থেকে বাহার
নাহ এসব লেখা আমার মতো আমজনতার না। একবার দুবার পড়েও মাথার উপ্রে দিয়া গেছে। থাকে একান্ত অনুভূতি ডাইনি বুঝলেই হবে। আমজনতা হয়ে ভালোই হয়েছে। অতিথি মেঘ বুকে জড়িয়ে রাখি আমার দুপুরি আকাশে!
প্রহেলিকা লিখেছেন।
আমারও জটিল মনে হয়েছে!
ছাইরাছ হেলাল
ধুর, জটিল লেখা লিখতেই পারি না।
মৌনতা রিতু
মাথা ব্যাথা শুরু হলো। এখন দেখছি মারই টেকো মাথা হওয়ার অবস্থা ^:^
ডাইনিরানী এলোই তাইলে। ভয়ও কেটে গেছে।
বেশ বেশ
ছাইরাছ হেলাল
টেকো মাথা খুুউব উপকারী, কুল কুল সব সময়,
কী আর করা, আমার আবজাব-আউল-ফাউল ল্যাহা হ্যারা পছন্দ করছে!! (পরে কী হবে জানি না)
ভয় নাইক্কা,
অনিকেত নন্দিনী
বাহ বাহ বাহ! বেশ তো, আজকাল ডাইনিডুইনিও ছাড়ছেন না দেখছি! যাকে দেখছেন ধুপধাপ তারে নিয়েই কয়েক লাইন পিলেমের কুবতে ল্যাহাল্যাহি হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে ঢকাস ঢকাস করে পাগলাপানিও গেলা হচ্ছে।
লক্ষণ যা দ্যাখতে আছি তাতে কাহিনী সুবিধের লাগছেনা গো। ঘোর কলি! ;?
ছাইরাছ হেলাল
আমিও ঘোর কলিই মনে করি, কোন সায়-সুবিধা তো হলো না,
তাই ডাইনি-ই সই!!
দেখুন পিলেম-পেলেম থাকা লাগে, এগুলো ধারে পাওয়া যায় না, খুব দূর্লভ!!
আমার কাছেও কাহিনী সুবিধের লাগছে না,
অনিকেত নন্দিনী
কী ঘটনা? ঝেড়ে কাশুন দিকিনি! ;?
ছাইরাছ হেলাল
আমিও তো ভাবি ঘটুনা কী!!
শুন্য শুন্যালয়
এইবার তো বুঝলাম দুনিয়ায় এতো কেউ থাকতে টেকো মাথার লোকে এতো কেন খাতিনদারি!
তিনখানাতেই ভোজের অফার? সোনেলার গুষ্টিশুদ্ধ নিয়ে গেলে ভোজনের পর আর কোথায় কোথায় নিয়ে যাবে ঠিক নাই।
একবারে সিটিজেন বানিয়ে নেবে, রাখেন আপনার রেসিডেন্সির আবেদনপত্র।
ডাইনীগুলো কী লম্বাকেশী?
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন এ দুনিয়ায় কেউ পাত্তা-পুত্তা না দিলেও ওরা কিন্তু জহুর ঠিকই চিনে নিয়েছে!!
এদিকে তো কিছুই হইলো না লেখালেখি করে!
টাউক্কাদের কদর অনেক জায়গায়ই আছে, এখানে শুধু নেই।
সোনাদের সোনা সোনা করে রাখবে, আপনি চিন্তাইয়েন না।
ডাইনিদের চুল-ফুল থাকে কী না দেখার টাইম পাইনি, জীবন ওষ্ঠাগত তখন,