হঠাৎ করেই ফেইসবুকে অনেকের প্রফাইল পিকচারে দেখি রঙধনুর সাত রঙের ছোয়া। ভালো লাগছিল দেখে এমন প্রফাইল পিকচার গুলো। সাথে সাথে চিন্তা এলো মাথায়, কোন কিছু কি মিস করেছি? এরা কি কোন গ্রুপে এড হয়েছে? নাকি কোন ইভেন্টে এ যাচ্ছেন সাত রঙের ছোয়ায় নিজ প্রফাইল পিকচার রাঙিয়ে ?
এরপর খোঁজ দ্যা সার্চঃ
যা পেলাম তাতে টাস্কিত হয়ে গেলাম। রংধনুর সাত রং ফেসবুকে যোগ করেছেন ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মার্ক জ্যুকারবার্গ। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেলিব্রেট প্রাইড’। কেন যোগ করলেন রংধনুর সাত রং ? কাহিনী হচ্ছে, ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সে দেশে সমকামী বিয়েকে বৈধতা দেওয়া হয়। আর সেই উপলক্ষেই জ্যুকারবার্গ চালু করলেন নতুন এই টুল। সাত রং দিয়ে এখানে বোঝানো হচ্ছে মানবসমাজে বৈচিত্র্য আছে এবং তাদের সবারই রয়েছে সমান অধিকার। জ্যুকারবার্গ ফেসবুকে নিজের এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি আমার সব বন্ধু এবং কমিউনিটির লোকজনের জন্য আনন্দিত, যাঁরা এখন প্রকাশ্যে নিজেদের ভালোবাসার কথা সবাইকে জানাতে পারবেন এবং ভালোবাসা উদযাপন করতে আর কোনো বাঁধা থাকবে না। আইনের চোখে এখন সবাই সমান অধিকার পেল। তবে এখনো সমতাভিত্তিক সমাজ গড়তে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। তবে ভয় নেই, কারণ আমরা সঠিক পথেই আছি।’
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শুধু ফেসবুকই নয়, অ্যাপলও সমকামীদের সহায়তা দিয়ে আসছে। ১৯৯৩ সাল থেকেই নিজেদের লভ্যাংশের একটি অংশ তারা সমকামীদের কল্যাণে ব্যয় করে থাকে। অ্যাপলের সিইও টিম কুক অনেক আগেই প্রকাশ্যে নিজেকে সমকামী বলে দাবি করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন এ নিয়ে তিনি গর্বিত। এ ছাড়া গুগল, অ্যামাজন এবং মাইক্রোসফট এ বিষয়ে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে।
কেউ যদি সমকামী বিয়েকে সমর্থন করেন তবে প্রোফাইলে রং লাগাতে পারেন তিনিও। শামিল হতে পারেন উৎসবে।তাহলে যেতে হবে এই পেজে। সেখানে গেলেই আপনার প্রোফাইল পিকচার রংধনুর রংয়ে বদলে যাবে এবং আপনি চাইলে সেটাকে প্রোফাইল পিকচার করতে পারেন। অন্তত গিয়ে দেখতে পারেন কেমন লাগে আপনাকে দেখতে।
আমি গিয়েছিলাম, দেখলাম আমাকে কেমন দেখায়।
******************************************************************
কি দিনকাল আসলো এখন? আমাদের স্কুল কলেজ জীবনে সহজ স্বাভাবিক প্রেমকেও সহজে স্বীকার করতো না কেউ।ছেলেরা যাও বা কিছু স্বীকার করতো মেয়েরা তো একদম চুপ। কেমন একটি লজ্জার বিষয় ছিল প্রেম প্রকাশ হওয়া।
আর এখন?
ছেলে মেয়ে উভয়েই ফেইসবুকে লিখে রাখে ইন এ রিলেশনশিপ।কদিন পরেই দেখি আবার ওপেন রিলেশনশিপ/কমপ্লিকেটেড ইত্যাদি ইত্যাদি। সকালে আরম্ভ বিকেলে ব্রেক-আপ। কত স্মার্টলি লিখে ফেলে সব,জানিয়ে দেয় সব কিছু। হয়ত এই প্রকাশ করা ভালো, তবে রিলেশনের এই দ্রুত ভাঙ্গা গড়া রিলেশনশিপকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। এত সহজ আর সস্তা একটি সম্পর্ক?
লজ্জা কিছুটা কি থাকা উচিৎ না আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়? আমেরিকা বা কানাডার সমাজ ব্যবস্থা কি আমাদের এখানে আছে? আমরা ফেইসবুকের এবাউট মি তে লিখি ইন্টারেস্টের স্থানে , পুরুষ এবং মহিলা। এই ঘোষনা তো আমেরিকা বা কানাডায় ভিন্ন অর্থ বহন করে।
সমকামিকতাকেও প্রকাশ্যে সমর্থন দেয়া বন্ধুর পরিমান ফেইসবুকে কম নয়। লজ্জা একটি সময়ে আমাদের অভিধানেই হয়ত থাকবে।বাস্তবে নয়।
আগত দিনঃ
মর্তুজা সাহেব বন্ধু বাৎসল্য একজন মানুষ।সুন্দরী স্ত্রীর চাপে থাকেন সব সময়। কোন মহিলার দিকে তাকালেই বাসায় কুরুক্ষেত্র। পুরুষ বন্ধুদের সাথে সময় কাটান মাঝে মাঝে।
এখন তাও বন্ধ। ‘এসব পুরুষ বন্ধুও বাদ আজ থেকে, বিশ্বাস করা যায় না’ – মর্তুজা সাহেবের স্ত্রীর শক্ত কথা এটি।
সোহাগী এখন আর তার বান্ধবীদের সাথে বিয়ের পর আড্ডা দিতে পারেন না। স্বামীর সন্দেহ হলের রুমমেট এই সব বান্ধবীদের সাথে অন্য সম্পর্কও থাকতে পারে সোহাগীর।
সুস্থ্য সুন্দর স্বাভাবিক সম্পর্কের মাঝেই থাকি আমরা। কোন অসুন্দর না আসুক আমাদের মাঝে।
৪২টি মন্তব্য
লীলাবতী
আগত দিনগুলো হয়ত সন্দেহের মাঝেই থাকবে সবাই।” সুস্থ্য সুন্দর স্বাভাবিক সম্পর্কের মাঝেই থাকি আমরা। কোন অসুন্দর না আসুক আমাদের মাঝে। ” (y)
জিসান শা ইকরাম
কোন অসুন্দর না আসুক আমাদের মাঝে।
খেয়ালী মেয়ে
সাত রঙের ছোঁয়ায় তো আপনেকে দারুন লাগছে ভাইয়া (y)
প্রেম ভালোবাসা এখন অনেক সস্তা হয়ে গেছে–এখন কাউকে ভালোবাসি কথাটা বলতে আর ভাবতে হয় না, কনফেশন পেইজে কিছু মেগাবাইট খরচ করে ইচিং বিচিং চিচিং যা টাইপের যাতা লিখে দিলেই ভালোবাসা হয়ে যায়—আর এই কথাটা যতো প্রচার করা যায় ততোই নিজের মাঝে সেলিব্রেটি টাইপের ফিল আসে :@
সুস্থ্য সুন্দর স্বাভাবিক সম্পর্কের মাঝেই থাকি চাই আমরা -{@
সব অসুন্দর নিপাত যাক……….
জিসান শা ইকরাম
নাজমুল আহসান এর শতর্ক বাণী তে ফটো মুছে ফেলেছি।
ফটো নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হলে মহা কেলেংকারী 🙁
*কিছু মেগাবাইট খরচ করে ইচিং বিচিং চিচিং যা টাইপের যাতা লিখে দিলেই ভালোবাসা হয়ে যায়* কত সস্তা হয়ে গিয়েছে আজকালকার ভালোবাসা।
সুস্থ্য সুন্দর স্বাভাবিক সম্পর্কের মাঝেই থাকি চাই আমরা -{@
সব অসুন্দর নিপাত যাক……….
খেয়ালী মেয়ে
খুব ভালো করেছেন ছবিটা সরিয়ে দিয়ে-কেউ ভুল বুঝুক সেটা চাই না……..
-{@
নাজমুল আহসান
শুধু কমেন্ট করার জন্যে লগইন করলাম।
আপনি আপনার নিজের যে ছবি দিয়েছেন জাষ্ট দেখা কেমন দেখায় যাচাই করার জন্যে, এটা এক সময় ভুল তথ্য প্রচার করবে। কারণ, অল্প কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই ছবিটা গুগলে (এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে) ইনডেক্স হয়ে যাবে। গুগল সার্চে হয়তো দেখাবেও। পরিচিত কেউ দেখলে আপনার সম্পর্কে বিরূপ ধারনা পোষণ করবে। কারণ, আপনার ব্যাখ্যাটা গুগল সার্চে দেখাবে না, দেখাবে শুধু ছবি।
জিসান শা ইকরাম
আরে খাইছে , ছবিটা এখনই মুছে দিচ্ছি 🙂 ধন্যবাদ।
অরণ্য
:D)
মাসুদ আলম
বেশ ভালভাবে বলেছেন।
জিসান শা ইকরাম
কি যে হবে ভিবিষ্যত সম্পর্কগুলো !!
ছাইরাছ হেলাল
প্রায় বছর খানেক আগে জার্মানিতে ইনসেন্স কে আইনি বৈধতা দেয়া হয়েছে, যা আগে তিন বছরের
কারাদণ্ডের বিধান ছিল। ভিন্ন দেশ ভিন্ন সংস্কৃতি, তবুও অনেক প্রশ্ন এসেই যায় বিশ্বায়নের যুগে।
মর্তুজা ও সোহাগীদের খবর আছে এবার।
জিসান শা ইকরাম
মর্তুজা আর সোহাগীদের পুরাই খবর আছে —
সীমান্ত উন্মাদ
মামা আমিত ভাবছিলাম, আমার সিরিয়াস কবিতা সিরিজের জন্য সাতরঙ্গ নিয়া একটা কবিতা লিখবো, প্লেন করার পর দেখি, হেমিরিকা রংধনুর বারোটা বাজাইছে আইন কইরা। প্লেন বাদ দিলাম ডরে, আবার না সাধারন এবং স্বাভাবিক সম্পর্কের উন্মাদরে আবার না কেউ ভুল বুঝে।
জিসান শা ইকরাম
ভুল বোঝাবুঝি চলবে ভবিষ্যত, কেউ ঠেকাতে পারবে না 🙂
অনিকেত নন্দিনী
যা শুরু হয়েছে তাতে করে সম্পর্কের কোনো মূল্যবোধ বা পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবেনা। ছেলেতে-ছেলেতে আর মেয়েতে-মেয়েতে প্রেম করে বেড়াবে, ভাই-বোন খুব স্বাভাবিকভাবেই শারীরিক সম্পর্ক করে বেড়াবে, সেই সম্পর্কের পরিণতিতে কোনো সন্তান এলে তার পরিচয় কি হবে?
এসব দেখে ভয় পাচ্ছি খুব। তাহলে সেই দিন কি দূরে নয় যখন ভাই-বোন আর বন্ধুত্বের সুন্দর সম্পর্ক থাকবে কেবল স্মৃতিতে আর অভিধানে?
জিসান শা ইকরাম
বিশ্বাস নষ্ট হয়ে নরক যন্ত্রণা ভোগ করবে সবাই–
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি আবার এই সমকামিতাকে খারাপ চোখে দেখিনা। আমার কাছে মনে হয় ভালোবাসাটাই মুখ্য, তারপর শরীর। ওটা হলো চাহিদা। আর তাছাড়া খুণ-জখম-ধর্ষণ-টিজিং এসবের থেকে সমকামি ভালোবাসা অনেক উপরে। পবিত্রও। আমি জানি আমাদের দেশে এসব মেনে নেয়াটা অনেক কঠিন, কারণ আমাদের মন-মানসিকতা। তাহলে তো কলগার্লও মেনে নেয়া যায়না। বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কও নয়। একসময় গোপনে প্রেম হতো, ছোঁয়াছোঁয়ি হতোনা। আরোও অনেক কিছু আছে, বলতে গেলে বিশাল বড়ো লেখা হয়ে যাবে। তাই সহজ করে এক কথায় আমি সমকামিতার পক্ষে। হুম এর জন্যে আমায় নিয়ে আবার অনেকে অনেক কিছু ভাববে। তা বলে কি মিথ্যে করে লিখবো, ছিঃ! ছিঃ!! এসব আমি মোটেও মেনে নিতে পারিনা?
জিসান শা ইকরাম
২০১০ এ আমি যখন কানাডা টরেন্টতে ছিলাম, তখন বিশ্ব সমকামী স্মমেলন হয়েছিল ওখানে।
সমস্ত বিশ্ব হতে হাজার হাজার সমকামী সমবেত হয়েছিল।
বিশাল এক মিছিল দেখলাম এদের,ফটো তুলেছিলাম অনেক, ফটোগুলো নেই এখন আর 🙁
চিন্তার পার্থক্য হতেই পারে,কিন্তু আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থা এটিকে গ্রহন করবে না
বরং জটিলতা সৃষ্টি করবে।
আমরা এখনো বাবা মা এর সাথে থাকি,পারিবারিক বন্ধন অত্যন্ত ঢৃর আমাদের, এসব কিন্তু উন্নত বিশ্বে নেই।
আমরা আমাদের মত, তারা তাঁদের মত।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সমকামিদের পক্ষ বিপক্ষ নয় সবার জন্য ভালবাসা উমুক্ত।এ সব আমাদের সমাজে অচল। -{@
জিসান শা ইকরাম
স্বাভাবিক সম্পর্ককে আমরা উৎসাহ দেবো।
অরণ্য
“অন্তত গিয়ে দেখতে পারেন কেমন লাগে আপনাকে দেখতে।” – একা একা বেশ হাসলাম।
শেষে আমিন বললাম-
“সুস্থ্য সুন্দর স্বাভাবিক সম্পর্কের মাঝেই থাকি আমরা। কোন অসুন্দর না আসুক আমাদের মাঝে।” 🙂
জিসান শা ইকরাম
গিয়ে দেখেছেন নাকি? তাজের মত ভুল করে প্রফাইল পিক বানিয়ে দিলে পার্তেন 🙂
কোন অসুন্দর না আসুক আমাদের মাঝে।
অরণ্য
না, জিসান ভাই। তাজের মত আমি যাইনি। তবে অনেকে যাবে তা বুজে হাসছিলাম সেদিন। 🙂
ব্লগার সজীব
সমকামী নারী পুরুষ তো আল্লাহই সৃষ্টি করেন,একটি লেখায় পড়েছিলাম এদের শরীরের মধ্যে কি একটা রাসায়নিক উপাদানের জন্য এরা এমনি।এই রাসায়নিক উপাদান তো তারা নিজেরা তৈরী করেননি।ঐ রাসায়নিক উপাদানের কারনে এরা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কোন আকর্ষন বোধ করেন না।
এদেরকে ঘৃণা করলে তো ফেইসবুক বাদ দিতে হবে,গুগল ব্যবহার করা যাবেনা,এপেল এমনকি মাইক্রোসফট সমকামীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে।আপনার ল্যাপটপের অপারেটিং সিস্টেম জানি কি জিসান ভাইয়া?
আমি কিন্তু আবার সমকামী না :p তবে এরপর হতে স্বামী/স্ত্রী,প্রেমিক/প্রেমিকা একে অন্যকে ভিন্ন মাত্রায় সন্দেহ করা আরম্ভ করবে।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় একটি পোষ্ট আছে এ সম্পর্কে, তারা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হন না।
আমাদের দেশে এটি স্বাভাবিক হলে সন্দেহ বৃদ্ধি পাবে।
মেহেরী তাজ
আপনার “এই পেইজ ” দেখতে গিয়ে বিচ্ছিরি এক কান্ড ঘটে গেলো। ^:^
নাকে মাটি এসব উল্টা পাল্টা পেইজে আমি আর ঢুকছি না।
ব্লগার সজীব
কি বিচ্ছিরি কান্ড ঘটে গেলো জানতে চাই ওস্তাদ ^:^
জিসান শা ইকরাম
দেখলাম তোমার পোষ্টে :D)
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো আপনার রংধনু ছবি মিস করে ফেললাম 🙂
আমাদের দেশে এটা অচল ঠিকই বলেছেন, কিন্তু এদেশে কতো পার্সেন্ট ছেলেরা গে তা কি জানেন ভাইয়া? 2003 সালে বন্ধু অর্গানাইজেশন ভিজিট করেছি আমি কেয়ারে জব করতে গিয়ে। এটি গে দের অর্গানাইজেশন। তাদের সংখ্যা আতংকিত হবার মতো। পার্থক্য এই এরা অন্য দেশের মত প্রকাশ্যে আসছেনা। তবে কতদিন? আমার দৃষ্টিভঙ্গি ও ওদের সাথে কথা বলে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আমরা যারা শিক্ষিত মোটামুটি সবারই হিজরাদের দেখলে এড়িয়ে গেলেও সহানুভূতি নয়, তবে এদের জন্য নয় কেন? তবে এদের মধ্যে কিছু আছে শুধুমাত্র বিকৃত রুচির বলে এমন। বৈধতা দেয়া হোক বা না হোক, এমন ছিলো, থাকবেই। কেউ সাপ দেখলে গা ঘিনঘিন করে, কারণ তার শরীর, ব্রেইন এভাবেই তৈরি আবার কেউ সাপুড়ে। সৃষ্টির রহস্য অনেক। সবারই তার পৃথিবীতে তার মতো করে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তবে সবাই বিকৃত রুচি পরিহার করুক। বেশি বকে ফেললাম 🙂
জিসান শা ইকরাম
কিছুটা ধারনা আছে আমাদের দেশে এদের সংখ্যা সম্পর্কে
তবে আপনার কেয়ারে চাকরীর সুবাদে ধারনা আরো অনেক বেশী।
আসলে আমাদের দেশের পরিবেশ,সামাজিক অবস্থা,ধর্মীয় অবস্থান এবং মানুষের চিন্তা ভাবনার সাথে এই অবস্থাটি এখনো যায় না। যেখানে একটি ছেলে মেয়ের বন্ধুত্বকে আমরা সহজ ভাবে নিতে পারিনা এখনো,সেখানে এটি কিভাবে গ্রহন করবো আমরা?
পুরুষ প্রধান সমাজে আমরা একজন নারীর নির্মল বন্ধুত্বকেই তো মানতে পারিনা,সেক্ষেত্রে এটি মানা অত্যন্ত কঠিন হবে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা আর উন্নত বিশ্বের সমাজ ব্যবস্থা এক নয়।শিক্ষা এবং মন মানসিকতায় আমরা যেদিন তাঁদের মত হতে পারবো,সেদিন হয়ত এমন লেখার দরকারই হবে না।
মিথুন
সমর্থন করা আর হওয়া তো এক নয় ভাইয়া। যদিও আমি মানতে পারিনা এমন সম্পর্ক কিছুতেই। আপনার ছবিটা দেখতে চাই 😀
জিসান শা ইকরাম
আমার ছবিটা দিয়ে আবার একজনের মন্তব্যের পরে মুছে ফেলেছি।
ওটা দেখানো উচিৎ হবেনা।
কিছুটা এক বলা যায়-
রজাকারদের সমর্থক হওয়া আর না হওয়ার মধ্যে কতটুকু পার্থক্য আছে? 🙂
রাসেল হাসান
পৃথিবী ধ্বংস হতে আর বেশী দেরী নাই!
জিসান শা ইকরাম
ছোট বেলা হতে শুনে আসছি, আর বেশী দেরী নেই, ধ্বংসই তো হয় না 🙂
পারভীন সুলতানা
নিজেকে মাঝে মাঝে খুব সেকেলে মনে হয় । কত ভাবনা আসে মনে , এক একবার মনে হয় এখনকার দিনে আমি বুঝি একেবারেই অচল। ধর্মের ডঙ্কা বুঝি স্তব্দ হতে যাচ্ছে ! আমরা কি ডেড সী’র কথা ভুলে গিয়েছি ? আজো আল্লাহ’র লানত সেখানে, কোন প্রাণ বাচে না । দেশে দেশে বিস্তার হতে হতে চলেছে , অপ্রাকৃতিক যত কর্মকাণ্ড । এর মানে কি ? পৃথিবীর দিন শেষ হতে চলেছে । সন্দেহ নেই …………………।
জিসান শা ইকরাম
আমিও সেকেলে ভাবি নিজকে
সেকেলে অবস্থায় ভালই আছি।
”দেশে দেশে বিস্তার হতে হতে চলেছে , অপ্রাকৃতিক যত কর্মকাণ্ড ।’ – কোন সন্দেহ নেই,এতে জটিলতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।
ইমন
😮
জিসান শা ইকরাম
.
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আগে আমার ধারনা ছিলো সমকামিতা এক ধরনের বিকৃত রুচির মানসিকতা। কিন্তু পরে যখন জেনেছি এটা মানুষের ইচ্ছাকৃত কোন কর্মকাণ্ড নয়,তখন অনেকটাই খারাপ লেগেছে সৃষ্টিজগতের রহস্য নিয়ে। আর শুকরিয়া আদায় করেছি স্বাভাবিক জীবন লাভের জন্য।
“সুস্থ্ সুন্দর স্বাভাবিক সম্পর্কের মাঝেই থাকি আমরা। কোন অসুন্দর না আসুক আমাদের মাঝে।”
জিসান শা ইকরাম
সমকামিতা ইচ্ছে কৃত নয়।
আর শুকরিয়া আদায় করেছি স্বাভাবিক জীবন লাভের জন্য (y)
বন্দনা কবীর
আমাদের সামাজিক অবস্থান,ধর্মীয় মুল্যবোধ এ ধরনের সম্পর্ককে নিরুৎসাহিত করে।তবে এদের জীবন যাপন গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করলে এদের প্রতি সহানুভুতি আসবে।এরা তো ইচ্ছে করে এমন নয়।সৃষ্টিকর্তা এদের মধ্যে এমন বোধ না দিলেই পারতেন।
জিসান শা ইকরাম
সহমত আপনার মন্তব্যে।