বঙ্গবন্ধু তো বঙ্গবন্ধুই। তবে বঙ্গবন্ধুর চাইতেও অনেক বেশী শক্তিশালী মনে হয় এই নারীকে।

শুধু একবার ভাবেন। স্বামী তার বিরাট বড় নেতা। মূলত জেল আর আদালতেই বেশী সময় কাটে তার। বাকি সময় সারা দেশ চষে বেড়ান রাজনৈতিক কাজে। স্বামী যখন জেলে তখন কোলে বাচ্চা। স্বামী যখন বাইরে তখনও। বিভিন্ন বয়সী ৫ টি সন্তানকে সুশিক্ষিত এবং মানুষ করা। পরিবার সামলানো। স্বামীর অবর্তমানে দলের সাথে নানাভাবে যুক্ত থাকা যাতে বেইমানরা শৃংখলা ভাঙ্গতে না পারে। সেভাবে জমানো টাকা নেই। স্বামী যখন জেলে তখনও বাংলার আর দশটা মায়েদের মতো সন্তানদের কোন এক যাদুতে অভুক্ত না রাখা। তিনি বোধহয় স্বশিক্ষিত ছিলেন। কিন্তু নিজের ক্ষুরধার ব্যাক্তিত্ব দিয়ে মাকরশার জালের মতো সবাইকে আটকে রেখেছেন। ফলে কেউ হারিয়ে যায়নি উদাসীন পরিবারের মতো।

বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কারণে জেলে যেতেন। সেখানে উনার কম-বেশী ভক্ত হয়ত জুটে যেতো। নেতাকে হয়ত কম-বেশী সময় দিতো বিশেষ গারদে বন্দী সময় ব্যাতিত। ফলে বিশেষ সময় ব্যাতিত উনি কম-বেশী মানুষের দেখা বা খবরাখবর পেতেন। কিন্তু এই মানুষটির স্ট্রাগল যে কোন কিছুর উর্দ্ধে। হিসেব মেলানো কঠিন।

নারীবাদী, পুরুষবাদী, মৌলবাদী ইত্যাদি যত রকম ‘বাদী’ বাজারে কাটতি রাখে তার কোনটাই এই নারীকে স্পর্শ করার স্পর্ধা রাখে না। কারণ এই নারীর জীবন বিশ্লেষণ করলে বাঙ্গালী নারী, বাঙ্গালী মা, বাঙ্গালী স্ত্রী দের মাঝে যে একটা দানবীয় শক্তি থাকে অসুর নিধনের সেটা স্পষ্ট। দেবী দূর্গার যে স্বরূপ বিদ্যা, বুদ্ধি, শক্তি, মমতা ইত্যাদি সবকিছুর মিশেল যেন এই নারী।

শুভ জন্মদিন বঙ্গমাতা, বাঙ্গালী নারীর পথিকৃত বেগম ফজিলাতুন নেছা।

৪০৭জন ৩১৯জন
0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ