যতখানি গা’য়ে পড়া ভাব নিলে হ্যাংলামি হয় তার সামান্য বাইরে থেকে অনতিদূরবর্তী হয়ে সভয়ে অনুচ্চ কণ্ঠে জানতে চাইলাম, ‘ঢাকা যাচ্ছেন?’ উত্তর পেলাম ‘হুম’, এতে তো হচ্ছে না, উসখুস চেপে রেখে আবার জানতে চাইলাম, কোথায়? এবারে উত্তর ‘পোস্ত’, ইয়ে মানে পোস্ত কী? এবারে রাগি চোখ তুলে তাকিয়ে হাত ইশারায় তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে বিরক্ত না করার ইংগিত দিয়ে পুনঃপুন চাপতে শুরু করে দিলেন, যা তিনি এতক্ষণ ধরে করে আসছিলেন হাসিমাখা মুখে লাগাতার ভাবেই।
ঢাকার পথে যেতে সুপরিসর লঞ্চের কেবিন থেকে হেঁটে ওয়াশ রুমে যাবার পথে একবার দেখি, করিডোরের আলোআঁধারিতে বসে ব্যস্ত ছিলেন, না-না , মধুমেহ নয় যে বারে বারে হেঁটে ও অব্দি যেতে হয়েছে। একবার হাওয়া খেতে দরজায় দাঁড়িয়ে একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি দেখে সামান্য হকচকালাম, রুমে ফিরে এসে ‘ভাবে আছি ভাবে থাকি’ এই ভাব নিয়ে বন্ধুর সাথে উজির- নাজির মেরে মেরে তক্তা বানিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম পেটুক হয়ে।
ঢেকুর তুলে করিডোরে এসে টাস্কি খেলাম, একই জায়গায় একই ভাবে গ্যাঁট হয়ে চেপেই যাচ্ছেন, ভূমণ্ডলে নেই হয়ে। নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে খেয়াল করে বোঝার চেষ্টা করলাম হচ্ছেটা কী!! এভাবে কেউ টেপে!! তার বিস্তর কর্মকাণ্ড দেখে যা বুঝলাম তাতে মনে হলো তিনি কিছু লিখছেন ইঞ্চি তিনেকের মোবাইল ফোনে উজাড় হয়ে উজাড় করে, লেখার ফাঁকে ফাঁকে মনে হলো মেসেজ ও দিচ্ছেন নিচ্ছেন, এটা কি করে সম্ভব ঘুণাক্ষরে ভাবতে পারিনি, এই দেয়াদেয়িতে ও প্রকট আলস্যহীনতা (পারে কেমতে!!)। এই বোঝাবুঝিটাও সহজ ছিল না। অতি ক্ষুদে কী-বোর্ডে পোটকা আঙ্গুল তাল-লয় সহ নিপুন ভাবে নেচে বেড়াচ্ছে এক অতি বিরল ব্যবস্থাপনায়, এবারে আবার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, একটু কথা বলতে পারি? উত্তর এলো–আবার? আমি বলি হ্যাঁ। মৌনতায় সাহস নিয়ে বললাম কী লিখছেন? তড়িৎ উত্তর ব্লগে লিখছি। ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায় এর মধ্যে এসে পড়লাম!! ভাবছি। ফোন দিয়ে এমন করে বাংলা লেখা যায় এই গতিতে? দেখতেই তো পাচ্ছেন। একই সাথে ঐ এ্যাপ গুলো ও? কেন সমস্যা কী? আপনার কী ফোন এটি? এটি খুব সাধারণ ফাত্রা Walton ফোন। আচ্ছা ব্লগে লিখে কী হয়? বেশ ট্যাকা-টুকা দেয় বুঝি?
এবারে সুপ্রভ চোখে সুবাস ছড়িয়ে সরাসরি তাকিয়ে সুমিষ্ট স্বরে জিজ্ঞেস করলেন ‘আপনি কী করেন?’ বললাম আমি এই লঞ্চের সুকানির এসিস্ট্যান্ট, ও তাই বলুন। যে একখানা কুলোপানা চক্কর ভাবলাম কেষ্টবিষ্টু কেউ হবেন, যান ভাগুন, দূরে গিয়ে …………খান।
কথোপকথন এভাবেই শেষ হতে পারত লেখাটিতে, বলা বাহুল্য তা করা গেল না।
পরে কখনো বলা যাবে পরেরটুকু।
৫২টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
ভেটো দিলাম!
তিন ইঞ্চির ফাত্রা ফোনে বলগ দিয়া ইন্টারনেট চালাইয়া ট্যাকাটুকা পায় তাইলে আমি ক্যান পাইনা? ;(
লেখায় কিসের জানি গন্ধ পাই! :@
আমার নবীশ কই?
জিসান ভাউ কম্মে?
মারামারি হপে কিন্তুক! ^:^
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালান নাকি!!
মোটেই ট্যাকাটুকা পান না, বললেই হপে নাকি!! আমার তো বিশ্বাস হয় না।
আপনি ফাত্রা ফোন ব্যাবহার করেন এ ও বিশ্বাস করতে হবে।
আমিও খুঁজি নবীশরে।
আপনার ভাউকে আমিও তো খুঁজি, কৈ কৈ যে থাহে।
মারামারি ভালু না, শান্তি শান্তি।
অনিকেত নন্দিনী
আমিও অতি ক্ষুদে কী-বোর্ডে পোঁটকা আঙ্গুল দিয়ে টাইপ করি। উহা তাল-লয় সহ নিপুন ভাবে এক অতি বিরল ব্যবস্থাপনায় নেচে বেড়ায়না। 🙁
বিশ্বাস করেন, ট্যাকাটুকা কিস্যুই পাইনা। আমি হতদরিদ্র মানুষ, কিঞ্চিৎ ট্যাকাটুকা পাইলে নেহাত খারাপ হইতোনা। 😀
নবীশরে বিকালে অন লাইনে দেখছিলাম। ঘাপটি মাইরা আছিলো। কুনুহানেই কথাবার্তা কিছুই কয় নাই। এদ্দিন ধইরা হুদাই টিচার টিচার কইরা ফাও ঘুরলো, কিছুই শিখে নাই দেখতাছি। ;?
খবর লইয়া জানলাম ভাউ হেড অফিসে আছে। আইজকাইল হেড অফিসে নাকি কীসব ঝামেলা হইতাছে। :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনার আঙ্গুল বিশমাকৃতির পোটকা হলেও অতি ক্ষুদে কী-বোর্ডে উহা তাল-লয় সহ নিপুন ভাবে
এক অতি বিরল ব্যবস্থাপনায় নেচে বেড়ানো কোন সহজ কাজ নয় বুঝতেই পারছেন।
আমিও দীনহীন ভাবে ট্যাকা-টুকার লাইন খুঁজতাছি, উহার খোঁজ পাহিবা মাত্র যথাস্থানে খপর দিব।
নবীশ রুটি-রুজিতে অতি ব্যস্ত,
আপনার ভাউর হেডাপিসে টাইট চলতাছে, অতএব দৌড় চালু আছে।
জিসান শা ইকরাম
আমার ঠিকানা সোনেলা
এখানেই পাবেন আমাকে @অনিকেত নন্দিনী
অনিকেত নন্দিনী
আম্রেও এহেনেই পাওয়া যায়। খাইয়াদাইয়া কাম নাই হুদাই বলগ দিয়া ইন্টারনেট চালাই। 😀
অন্যেরা নাকি ট্যাকাটুকা পায়, আমি তাও পাইনা। ;(
ছাইরাছ হেলাল
খাইয়াদাইয়া কাম নাই হুদাই বলগ দিয়া ইন্টারনেট চালাই।
অন্যেরা নাকি ট্যাকাটুকা পায়, আমি তাও পাইনা।
সাধু সাধু।
জিসান শা ইকরাম
আমিও ট্যাকাটুকা পাইনা,
কেমনে পায় ট্যাকাটুকা? ^:^
অনিকেত নন্দিনী
জানিনা। বহুত চিন্তাভাবনা কইরাও উপায় খুঁইজ্যা পাইনাই। 🙁
মাইনষে ক্যাম্নে বলগ দিয়া ইন্টারনেট চালাইয়া ট্যাকাটুকা কামায়, আম্রে কেউ কইয়া দেয় না ক্যা? ;(
ব্লগার সজীব
ওয়ালটন ফোন দিয়ে এতকিছু সম্ভব? সামান্য এক ঘটনার অসাধারন উপস্থাপনা আপনাকে দিয়েই সম্ভব। লঞ্চের সুকানির এসিস্ট্যান্টের এত খোঁজ খবর নেয়ার দরকারটা কি? :p
ছাইরাছ হেলাল
এখন থেকে ফাত্রা ফোন ই কিনতে হবে দেখছি, এক ফোনে এত্ত কিছু!!
আপনার এমন একটি মোপাইল খুব দরকার,
সুকানির অ্যাসিস্ট্যান্টের দুরে দিয়া কিছু খেতে থাকাই ঠিক আছে।
উপস্থাপন আর করতে পারলাম কৈ!! কত কি যে দেখি, লিখতে তো পারি না।
তা আপনার কী খবর?? কোথাও কোন রফা হলো,
বসন্ত জর্জর চলছে চৌদিকে।
ব্লগার সজীব
আমিও ভাবছি এমন একটি মোবাইল কিনবো, যা হ্যাভি ডিউটি সহ্য করতে পারে। বসন্ত চলছে চারদিকে। চকি শক্ত করছে সবাই পেরেক মেরে। আমার চকিই নেই তাই পেরেকের চিন্তাও নেই 🙂 পোষ্ট আসবে সহসাই 😀
অনিকেত নন্দিনী
বসন্তের সাথে পেরেকের কি সম্পর্ক সজু ভাইয়া? :p
চৌকিতে পেরেক মারতে হয় কেন? 😮
ছাইরাছ হেলাল
ফাত্রা ফুন ও কিন্তু হেভী ডিউটি, ট্রাই মেরে দেখতে পারেন।
সিমেন্টের খাট হলে আর আপনাকে পেরেকের চিন্তা করতে হবে না।
জিসান শা ইকরাম
এমন মোবাইল/ নেট পোকা মাঝে মাঝে দেখা যায়। আমার কিন্তু এদেরকে ভালোই লাগে। এদের নিষ্ঠা অনুকরনীয়।
তা আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর নেয়ার কি দরকার ছিল?
মুড়ি খেতে যেতে বলছে, ভাগ্য ভাল যে মুড়ি খাইয়ে দেয়নি।
ওয়ালটন মোবাইলে ব্লগ সহ অন্যান্য এপ্লিকেশন সব সুষ্ঠ ভাবে করা গেলে দামী মোবাইলের কি দরকার।
কোন দ্রব্যের ভাল/মন্দ নির্ভর করে তার কার্যকারিতায়, দেখা গেল অনেক দামী মোবাইল, সব ফিচার কাজ করেনা, দামী মোবাইল তখন আকাইম্যা মোবাইল হয়।
আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে, সিম্বিয়ান মোবাইল যুগে অত্যন্ত কমদামী নকিয়া একটি সেট দিয়ে একটি ব্লগে আমাদের অত্যন্ত পরিচিত এক ব্লগার পোষ্ট এবং কমেন্টে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। তার পোষ্ট প্রতি গড় মন্তব্য ছিল ২৬৮, যা বর্তমানেও কেহ অতিক্রম করতে পারেনি। অথচ আমার ২৬ হাজার টাকা দামের নকিয়া দিয়ে বাংলাই লিখতে পারতাম না। আমার ঐ দামের মোবাইল আকাইম্যা মোবাইলই ছিল। পরে তো নিজেই কম দামী একটা নকিয়া কিনলাম।
সজীবের কথাই কপি করলাম’ সামান্য এক ঘটনার অসাধারন উপস্থাপনা আপনাকে দিয়েই সম্ভব।’
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপারী আদার হলেও রঙ্গীন জাহাজের দিকে চোখ না দিয়ে পারা যায় না।
চোখের ও তো সাধ আহ্লাদ বলে একটা কথা আছে।
মোবাইল পোকারা মনোহর হলে মজা ব্যাপক।
ভাবছি ফাত্রা ফোনের দিকেই নজর দিমু, অহেতুক ট্যাকা ক্ষয় আর নয়।
আসলে টেপার দক্ষতা থাকলে সবই সম্ভব, তা আবারো প্রমাণিত।
পাঠক হয়ে নিজেই পড়েছি ভাললাগার এ লেখাটি।
সজীব রকস্, সব সময়ই।
জিসান শা ইকরাম
যা দিয়া সব কাম করা যায় সুনিপুণ ভাবে তাই ভাল
ললিপপ এ প্যাট ভরে না
মোডা চাউল লাগে।
অনিকেত নন্দিনী
খাওয়া আপেল আর ভুংভাং রাজাকার ফোন কিন্যা পকেট খালি না কইরা কমদামে দেশি পণ্য কিনলে যদি কঠিন সেবা-সুবিধা পাওয়া যায়, তাইলে কমদামি দেশি জিনিসই ভাল।
“ললিপপ এ প্যাট ভরে না
মোডা চাউল লাগে।”
কপি করলাম।
ছাইরাছ হেলাল
মোডা চাউল কিন্তু সব সময় পেটে সয় না,
বৃদ্ধ বয়সে হলে তো কথা নেই।
নাসির সারওয়ার
ফাত্রা Walton ফোন! এইটা দিয়ে ব্লগে লেখা লিখি। আবার অনেকগুলো এপ্স। বলেন কি! তা এই ফোন কোম্পানি কি আমাকে একটু বাংলা শিখাবে!
এতো ভালো মোবাইল আছে বাজারে, আর আমার অফিস কি এক্ষান ফোন আমারে দিলো। একটা বাংলা কীবোর্ড আছে তাহা চালানো আমার মত নির্বোধ মানুষের জন্য বেশ কষ্টকর। আমি আবার বানান লিখতেও বানান ভুল করি। এইটা দিয়ে যুক্তাক্ষর লেখা বেশ দুর্বিষহ। আরো অনেক …।
আহারে, আমি যদি তাহার ছাত্র হইতে পারতাম। সুকানির এসিস্ট্যান্ট সাহেব, একটু যদি ব্যবস্থা করে দিতেন!!
ছাইরাছ হেলাল
চলুন না সবাই ফাত্রা ফোনের লাইনে যাই,
টিচার নিয়ে ভাববেন না, সে হয়ে যাবে তবে সামান্য চা-চু খাওয়ালেই হপে।
মূল্য বিনা কিছুই হবে না, মনে রাইখখেন।
অনিকেত নন্দিনী
“চোখের ও তো সাধ আহ্লাদ বলে একটা কথা আছে।” বটে! ;?
“মোবাইল পোকারা মনোহর হলে মজা ব্যাপক।” কী মজা শুনি? 😮
“ভাবছি ফাত্রা ফোনের দিকেই নজর দিমু” ফাত্রা ফোনের দিকে নজর দিতে দিতে ফোনওয়ালীর দিকে নজর দিয়েননা যেনো! তাইলে সুকানির এসিস্ট্যান্টগিরিও হাতছাড়া হপে। :p
সামান্য চা চু খাওয়ালেই টিচার পাওয়া যায়? এমন টিচার আমারও লাগপে। ;(
কোথায় পাবো তারে? ;?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ফোনওয়ালী পেলেন কৈ!!
আহারে ভাতে মারবেন্না প্লিগ,
আমারে কেউ পড়াইতেই চায় না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি তো ফোনের সাথে অন্য কিছুরও গন্ধ পাচ্ছি। তা লেখকের এতো জানার ইচ্ছে কেন? ;?
ভালো কথা হতেই পারে জানার ইচ্ছে, তা এতোবার উঁকি-ঝুঁকি কেন?
বুঝলাম উঁকি-ঝুঁকি দেয়ার ইচ্ছেও হতে পারে, তাহলে এতো আমতা-উমতা কেন বাপু?
আমতা-উমতা করলেন সেও ভালো, তা আধা করে ঘটনা ঝুলিয়ে রেখে এভাবে চলে যাওয়া মানা যায়না।
আচ্ছা আরেকটি কথা আপনার মোবাইলটা কি? কোনো এপস নেই? ব্যবহার করেন না?
আমি আবার প্রচুর এপস নিয়ে চলি, দুঃখ একটা ব্লগে লগিন করতে পারিনা।
একটা ওয়াল্টন দরকার।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এখন গন্ধটাইম, ডানে বায়ে উপ্রে এমন কী নীচেও সুঘ্রাণ পাবেন।
উঁকি-ঝঁকি দিতে হয় না, এসে যায় এমতেই,
পরের গপ্প এসে যাবে কোন এক দিন, আসবেই।
আমার কুন মুপাইল নাই, এপ্স ও নাই, তবে এখন ভাবছি ফাত্রা লাইন ধরতে হপে।
আপনিও ট্রাই মারেন, এটি এখানে এখন পাঁচ হাজারে পাওয়া যায় বলে শুনেছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিকই বলেছেন। আপনি আমি এখন শুধু গন্ধ পাই।
আপনি অনেক ভালো একজন মানুষ আপনার মুপাইলে কুনু এপস নাই।
ছাইরাছ হেলাল
উহ্ এভাবে বললে তো হবে না,
আমি কিন্তু লুক সুবিধার না,
কুনু এপস এখন আর কাজে আসে না।
অরুনি মায়া
হা হা হা এপ্স মোপাইলে নাই কিন্তু মোবাইলে জায়গা নাই ,বুঝেছ আপু :p
ছাইরাছ হেলাল
সবাই মিডিয়ার সৃষ্টি।
আমি লুক খুব ভাল।
মিথুন
ভাইয়া, আপনাকে দিয়ে তো ওয়াল্টন মোবাইলের একটা ফ্রি বিজ্ঞাপন হয়ে গেলো 🙂
এত মজার করে বর্ননা করলেন, কিন্তু আসল কথাতো বুঝতে পারলাম না, মেয়ে না ছেলে? সুমিষ্ট স্বরে এভাবে কেউ …… খেতে বলে? 😀
চালাকি করে এমন এক জায়গায় লেখা ছেড়ে ভেগে যাওয়া কি ঠিক হলো? বুঝতে পেরেছি আপনার খুব হিংসা হয়েছে মোবাইলে তার টাইপ দেখে :p
ও আপনি মনেহয় জানেন না ভাইয়া, ব্লগে লিখে কোন ট্যাকাটুকা পাওয়া যাওনা, তাই আমি কম কম আসি। আকাইম্মা কাজে সময় নষ্ট করে লাভ কি? পরে কোনদিন আসতে হবে বলে দিন। না মানে, পরের অংশটুকু জানতেই হবে।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, আসলে আমি ফাত্রা ফোনের কথা বলছি, পরে ভাবলাম একটি নাম যোগ করে দেই,
আপনি কল্পনা করে নিন ছেলে না মেয়ে বা ছেলেমেয়ে না মেয়েছেলে, যেটা ভাবলে ভাল লাগে পড়তে!
ভাগিনি, চালাকের প্রশ্ন ও না, পরের অংশ অবশ্যই অবশ্যই আসবে,
একটু বড় লেখা, তাই ভাব নিলাম।
আমারে ও কেউ কিচ্ছু দেয় ই না, তাই সবার মত ভালু লেখা লিখতেও পারি না।
মোপাইল চালাতে কেউ শিখায় নি, তাই হিংসা তো করি ই।
অপার্থিব
ভাল লাগলো। বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় থাকলাম…
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
ব্লগিং করিয়া টাকা কামানো যাইলে জগতে শুধু ব্লগার ই থাকিতো :p
আপনে আপনার পরিচয় খানা গোপন করিয়া কি মজা পাইলেন!!
আমি হইলে শ্যাষ দেখিয়া চাড়িতাম 😀
ছাইরাছ হেলাল
আমাকেও শেষ দেখিয়েছে,
তা আপনারা জানিবেন অবশ্যই।
ও আচ্ছা, আপনিও ট্যাকাটুকা পান না!!
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যি বিস্তারিত বলতে চেষ্টা করব,
অরুনি মায়া
বলি এত আগ্রহ কেন হুম মোবাইলের মধ্যে কে কি করল না করল সেটা নিয়ে? একেতো বেচারি ফাত্রা ফোন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তার উপর আপনি কানের কাছে মাছির মত ভোঁ ভোঁ করে বিরক্ত করেছেন | রেগে গিয়ে কীট নাশক ছিটিয়ে যে দেয়নি সেই রক্ষে | কী-বোর্ড ক্ষুদে হলে কিহবে তার ধৈর্য্য সীমাহীন | সবাই কি আপনার মত ল্যাপু পার্টি নাকি |
হুহ ব্লগে লিখে গোপনে গোপনে সবাই ট্যাকা টুকা পায়, আমি খালি কিচ্ছু পাইনা 🙁
ছাইরাছ হেলাল
অন্যেরা করুক যা খুশি বা ইচ্ছে মত, কোন সমস্যা নেই, তবে উন্মুখতা দেখান ঠিক না,
গোপনে ফোন টিপলে কেউ কিছু দেখেও না, কিছু বলেও না। আমি কান পর্যন্ত আর যেতে পারলাম কই!!
তার আগেই মুড়ি খেতে পাঠিয়ে দিল,
বেশি বেশি রাগ হলে মন্দ কী, উহার ফাত্রাখানা আমার দিকে নিক্ষেপ করিলে মন্দ হত না।
অবশ্যই তার অনেক ধৈর্য্য!!
আফনে কিচ্ছু পান না, বলেন কী!!
ইস, হুদাই সময় নষ্ট।
অরুনি মায়া
ধৈর্য্য আছে বলেই তো সে মোপাইল পাবলিক | নাহ আপনাকে নিয়ে দু:শ্চিন্তা হচ্ছে, এইসব কৌতুহলের কারণে কখন না আবার বিপদে পড়েন | দেখুন দিনকাল কিন্তু ভাল নয় |
বলগ চালাইয়া কিচ্ছু পাইনা ,যদি কিছু ব্যবস্থা করতেন ;(
ছাইরাছ হেলাল
আমিও কিচ্ছু পাই না,
কোন ব্যবস্থা হইলে আমাদের জানিয়ে দিবেন।
ড্রথি চৌধুরী
সুকানির এসিস্ট্যান্টের :D) :D) :D)
মুপাইল টপ্তে টিপাতে কি চোখের মাথা খেয়েছিল গেটাপেও কি বুঝি নি?? ;?
কিছু মিসুর গন্ধ আমিও পাচ্ছি ;?
ছাইরাছ হেলাল
আমার ও আসলে কিরাম কিরাম জানি লাগতেছিল লেখার সময়,
সুকানিদের এসিস্ট্যান্ট কিন্তু মন না।
ফোন ফাত্রা হলেও ফোনের মালিক অতি পটু বলেই মনে হলো।
শুন্য শুন্যালয়
যতখানি গা’য়ে পড়া ভাব নিলে হ্যাংলামি হয় তার সামান্য বাইরে থেকে—ওহে জিরাফ পন্ডিত, এত্ত হিসাব!! অংক কি তবে শিখেই গেলেন? এইবার ঠিকঠাক সময়ে বৃষ্টিতে ভেজার নিমন্ত্রন দেবেন। :p
পারলে তো মনে হচ্ছে, মোপাইল খানা কেড়েই নিতেন, এত্তো হাউশ জানার? :p উচিৎ ছিল এমন কিছু কওনের যে মোপাইল খানাই ছুড়ে মারে কপাল বরাবর।
আপনি তাইলে সুকানির এসিস্টেন্ট? এই পরিচয় এতদিন গুপন করে ঠিক করেন নি, যা একখান কবি কবি কুলোপনা চক্কর আপনার, হুহ।
মোবাইলধারীদের নিয়ে বেশ একখান গল্প ফেঁদেছেন, আবার এক্কেরে কমার জায়গায় দাড়ি দিয়ে বলছেন, পরে কখনো বলা যাবে? :@
সুকানির এসিস্টেন্ট দেখি এইসবই ভালো লেখে, কবিতার দরকার কি 🙂 না মানে আপনাকে অন্যদিকে ফুসলে, চান্সে আমরা যদি কবিতার কিছু রফা করতে পারি।
অনিকেত নন্দিনী
শুন্যাপু, জিরাফের ভাবগতিক সুবিধার না গো। এরে চাইপ্প্যা ধইরা জিগাইতে হপে কাহিনী কী।
সুকানির এসিস্ট্যান্ট সাহেব রঙিন জাহাজের দিকে চোখ-চিন্তা সব সঁপে দিয়ে বসে আছে দেখতে পাচ্ছি গো আপু! :p
অরুনি মায়া
জিরাফ কে শুধুই সবুজ পাতা দেখতে বলা হোক | ইতি উতি ঘোরা ফেরা ঠিক নয় :@
ছাইরাছ হেলাল
সব ই মিডিয়ার সৃষ্টি!!
ছাইরাছ হেলাল
আমিও বলি ঘোরাঘুরি করা ঠিক না।
শুন্য শুন্যালয়
বেশি চাইপ্পাচুইপ্পা ধরতে হবেনা নন্দিনী আপু, একটু সবুর করুন। জিরাফ মুখে কম কতা কয়, ল্যাহে বেশি। সব বের হয়ে যাবে কত ধানে কত মুড়ি।
শুন্য শুন্যালয়
ইনি উতি মোপাইলধারী মায়াধারী হইলে উঁকিঝুঁকি না দিয়া করবে কি? ইয়ে মানে একটু উঁকিঝুঁকি দিলে এমুন করো ক্যান মায়াপু? তুমিও দাও, তারপর দেখো সাইজ হয়ে যাবে 😀
অনিকেত নন্দিনী
তাইলে ঠিক আছে। আমরা কত ধানে কত মুড়ি উহা দেখিবার অপেক্ষায় রহিলাম।
ইয়ে মানে শুন্যাপু, আমরা কি ঝালমুড়িও খাপো? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ভাইয়া, এভাবে বলে অবুঝ হৃদয়ে চোট দবেন্না।
শিক্ষকের অভাবে অংক বৃষ্টি শেখা হল না, খুপ দুঃখ,
এমন কপাল সবার হয় না, তাই কপাল বরাবর কেউ কিচ্ছু ছুড়েও মারে না।
আপনি তো কিছুই শেখালেন না, তাই ঐ চক্কর দেখিয়ে ভাব নেই, তবে সুবিধা বিশেষ হয় ই না।
পরের পার্ট অবশ্যই বলা হবে, বড় হয়ে যাচ্ছিল তাই লিখিনি, তবে এখন মনে হচ্ছে লিখে দিলেই বেঁচে যেতাম।
আপনার চান্স সব সময় ই উন্মুক্ত, এগিয়ে যান।
শুভ্র রফিক
এরে ভাইছাব,আফনে যিতা লেকচইন ইতা হাচা নি?আমার মনে লয় আফনে বাড়াইয়া লেকচইন।যাই হোক বাক্কা সুন্দর লেকছইন।
ছাইরাছ হেলাল
আরে নাহ, একটু ও বাড়িয়ে বলছি না।
আপনাকে ধন্যবাদ।