
কোন এক ব্যক্তিগত সন্ধ্যা-আচ্ছন্নতার নরম আলোয়
বিশুদ্ধ পরোপকারী মত ডেকে জানতে ইচ্ছে করে
পালের মাঝি কৈ যাও? উজান-গাঙ্গে পাল উড়িয়ে?
পিছলে পড়া লুকোনো নক্ষত্রের- আলো এসে পড়ার আগে!
তন্দ্রা-লাজুক, পুলক-বধির ঘোমটা টানায় ওত পেতে থাকা
এলো-চুলে ফুঁসে উঠে চাপা ঠোঁটের সম্মুখ ভালোবাসা!
ঝুঁটি-কাকাতুয়ার বেশে আক্ষেপ অপেক্ষায় আছে বুঝি কেউ?
৪২টি মন্তব্য
এস.জেড বাবু
তেমন মাঝি আর নেই আজকাল-
মিস করি এমন মিষ্টি লিখা।
সাঁজের মাঝি কি জবাব দিলো ?
পরের প্রজন্ম লিখবে- “কই যাও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া, হোন্ডার ইন্সুরেন্স এক্সপায়ার, ধরা খাইও না। হাহাহা-
মিষ্টি কবিতা
সুরাইয়া পারভিন
“কই যাও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া, হোন্ডার ইন্সুরেন্স এক্সপায়ার, ধরা খাইও না। হাহাহা-বাস্তবতা।
অনন্য অর্ণব
Best comment chilo…
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই বাস্তবতা।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক সুন্দর ছিল এটি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দারুন একটা মন্তব্য
এস.জেড বাবু
প্রিয় সুরাইয়া আপু, অর্ণব দা এবং ফাল্গুনী আপু-
এই লিখকের সাথে এই ইট্টুখানি খুনশুটি করি আমি, উনিও খুবই মজার মানুষ, রাগ করেন না কখনো।
মনে মনে রাগ করেন কি না জানিনা।
উনার মন্তব্য আমার খুউব প্রিয়।
আপনাদের ভাল লেগেছে জেনে অত্যন্ত খুশি হয়েছি।
দিন দিন সোনেলা কেমন আপন হয়ে যাচ্ছে।
কৃতজ্ঞতা সবার প্রতি।
ছাইরাছ হেলাল
মাঝির উত্তর জানা গেলে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে বৈকি!
ডিজুস জেনারেশন তো এমন কথাই ভাববে।
দারুণ মন্তব্য আপনার।
নুর হোসেন
তন্দ্রা-লাজুক, পুলক-বধির ঘোমটা টানায় ওত পেতে থাকা
এলো-চুলে ফুঁসে উঠে চাপা ঠোঁটের সম্মুখ ভালোবাসা!
-আমি আবার আরেকটি বার তার প্রেমে পড়তে চাই।
ছাইরাছ হেলাল
বারে বারে প্রেম পড়া ঠিক না, ঠিক না।
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার উপস্থাপন
হয়তো এখন আর নেই পাশ তোলা মাঝি, বিশুদ্ধ পরোপকারীও নেই। তবুও ইচ্ছেরা পূর্ণতা পেয়েছে যাক।
ছাইরাছ হেলাল
পাল তোলা মাঝি আছে তো, এ ছবি আমার তোলা।
তবে পরোপকারীরা উধাও হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ।
মাহবুবুল আলম
ছাইরাছ হেলাল!
“ঝুঁটি-কাকাতুয়ার বেশে আক্ষেপ অপেক্ষায় আছে বুঝি কেউ?”
পড়ে ভাল লাগলো। শুভেচ্ছা জানবেন!
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা তো আমাদের থাকেই কম বা বেশি।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
পালতোলা নাও এখন আর দেখা না গেলেও, আপনার কবিতা পড়ে তখনকার সময়ে কিছুক্ষণ হারিয়ে যাই। সত্যি ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
পালতোলা নৌকা প্রায় হারিয়েই গেছে, কিছু আছে, এটি আমার তোলা ছবি।
নিয়মিত আপনি পড়ছেন, অনেক ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
অপেক্ষেরা ধূসর ধূলিকণায় মিশে আছে আসলেও আসতে পারে কল্পনায়-বাস্তবতায় ব্যার্থ চাওয়া। দারুণ মুগ্ধ।
ছাইরাছ হেলাল
সকল ব্যর্থতার মাঝেও কিছু চাওয়া-পাওয়া আশা থেকেই যাই।
অনেক ধন্যবাদ ।
মোঃ মজিবর রহমান
পাইছি বুহুদিন পর রসালো বার্তা
রশহীন কবি থাক কেমনে নির্জন একা
ঘোমটা আলপনা রঙ্গিন আলোক রস্নি আঁকা
জীবন আলোময় ভরুক সকল ত্রিপ্তি ভরা।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা, আমিও পাইছি দারুন মন্তব্য, রসপূর্ণ!
মোঃ মজিবর রহমান
খুশি হইলাম । তাইলে আরও একটি আবার পাব ইন শাল্লাহ।
ছাইরাছ হেলাল
কথা দিচ্ছি না, এমন লেখায় আমি সাচ্ছন্দ্য না কিন্তু।
তবুও মনে থাকল।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভালো লিখেছেন
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে ধন্যবাদ, আর একটু বাড়িয়ে বলুন!
তৌহিদ
মাঝির বুঝি ঘর সংসার বৌ কেউ নাই? সেতো চটজলদি বাসায় যেতে পারলেই শান্তি খুঁজে পায়।
তবে আপনার প্রশ্নের কি উত্তর দিলো মাঝি সেটা জানতে বড্ড মনে চায়।
ছাইরাছ হেলাল
মাঝির কী আছে বা নাই, আপনি জানলেন কেমনে!
আপনাকে তো সুবিধার মনে হচ্ছে না!
মাঝি উত্তর দিলে অবশ্যই শেয়ার পাবেন, কিন্তু মাঝিদের মনের নাগাল পাওয়া সত্যি কঠিন।
কামাল উদ্দিন
আপনার কবিতার হেডিং পড়ে পদ্ধা নদীর মাঝির কথা মনে পড়ে গেল। কুবেরকে কপিলা ডেকে বলেছিল আমারে নিবা মাঝি লগে?
ছাইরাছ হেলাল
হায়রে কপিলা, কত মাঝির জীবন ত্যানা ত্যানা করেছে কে জানে!
কামাল উদ্দিন
আর কেউ না জানলেও আপনার তো জানার কথা বড় ভাই 😀
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি বলছি, কিচ্ছুটি জানি না!
জিসান শা ইকরাম
অপেক্ষায় তো আছেই, থাকেও কেউ কেউ,
সংকল্পের মাঝির পরের লেখা নাকি এটি?
কবিতায় মোট সাত লাইন,
আবার প্রতি লাইনে সাতটি শব্দ!
ক্যামনে মিলান এমন করে!?
টাসকিত,
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, সংকল্পের মাঝির পরের লেখা এটি।
আসলে পরিকল্পনা করে এমন সাজাইনি, লেখা শেষ করে দেখি এমন হয়েছে,
একটি লাইনে একটি শব্দ বেশি ছিল, সেটি ঠিক করেছি মাত্র।
যদিও প্রায় এমন টাইপ লেখা এখানে আছে, আগে যা লিখেছি।
রেহানা বীথি
মাঝি মাঝগাঙে দিশা হারিয়ে ফেললো নাকি ঝুঁটি-কাকাতুয়ার এলোচুলে?
দারুণ লিখলেন।
ছাইরাছ হেলাল
মাঝি দিশা হারিয়েছি কীনা জানতে পারিনি এখন ও!
জানলে অবশ্যই জানাবো।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার লেখা, পড়ে ভালো লাগলো ।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
অনন্য অর্ণব
অসাধারণ রচনাশৈলী
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ভাল থাকবেন আপনি।
শাহরিন
মাঝি কই যায়?
কেন জানি বুঝি নাই মানে।
ছবি অনেক সুন্দর লাগছে।
ছাইরাছ হেলাল
বুঝেও না বুঝে থাকতে পারাটা কম কিছু না।
জ্বি, ছবিটি এই অধমের তোলা!
সাবিনা ইয়াসমিন
উজানে ভাসাইয়া নৌকা
শক্ত হাতে বৈঠা বাও,
রঙ্গিন পালের সুজন মাঝি
মাঝ নদীতে ডুবাইওনা নাও,,
ভাটির বাতাস লাগাম ছাড়া
তীরে ফেরার নিও তাড়া,
প্রবল ঢেউয়ের প্রতাপ দেখে
পার করো না সান্ধ্য-বেলা..
মাঝি তুমি কৈ যাও?
ডুব-চর সামাল রেখে
সময় পালের নৌকা খানি
যতনে চালাও…
ছাইরাছ হেলাল
এই কবিতার জবাব দেয়ার সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোবে না।
তবে মনে হচ্ছে মাঝি আপনার অনেক চেনা!
মাঝি,
এ যাত্রা যদি বাঁচতে চাও
অন্য ঘাটে নাও ভিড়াও;