ফ্রয়েডের ছবিতে নেশাগ্রস্ত কোনো নারীর শরীর কি দেখা যায়?
উফ ফ্রয়েড চিত্রশিল্পী না, জেনেও কেন নিজেকে এমন প্রশ্ন?
আচ্ছা একটি সভ্যতা তৈরীতে জরায়ূর দায়িত্ত্বে নিয়োজিত নারী শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
আকন্ঠ বিতৃষ্ণার কোনো রঙ কি কোনো পুরুষ কখনো দেখেছে?
হা হা হা হা! পুরুষ কখনো মন দেখেনা, অঙ্গ দেখে।
এ রাত্রি নিঃস্তব্ধ বড়ো, আজ চুমুকে চুমুকে হয়ে যাক না বিভাজন
এই অঙ্গ কিংবা প্রত্যঙ্গের!
যে ভ্রূণের সৃষ্টি হবে কেড়ে নেয়া চিৎকারে (শীৎকারে নয়),
তাকে দ্রাক্ষারসের ভেতর নুণ মিশিয়ে পান করিয়ে দিলেই তো হয়।
আবার…আবার…এবং, আবার…
পুনরায় : অসহ্য উত্তাপে একাকী পৃথিবীর মোহনীয় সৌন্দর্য ভদকার নেশায় ডুবে গেলে পর,
কালো কফির স্বাদ আর তেঁতো লাগবে না।
এবং শেষ : পুরুষ শরীরে একটিবার সভ্যতার জন্ম হোক,
নয়তো প্রমিথিউস এসো আরেকবার এ গর্ভে। অজস্র জিউস জন্মেছে এ সভ্যতায়।
হ্যামিল্টন, কানাডা
৩০ জুলাই, ২০১৬ ইং।
যে কোনো দোষ-ভুল করলেই মায়ের দিকে আঙুল তোলে এ সমাজ। আবার ভালো কিছু করলেই বলে “সন্তানের বাবা কে, দেখতে হবে না?” তাহলে মা কি শুধুই কামনা-বাসনা মেটানোর জন্য? সন্তান জন্ম দেয়াই কি শুধু মায়ের কাজ? নারীরাই মা হতে পারে। তার মানে এই নারী কি কামনার বস্তু নয়?? কেবলই একটা শরীর? সেক্স মেশিন? ভদ্র নারীর গুণাবলী কি কি, সেসব জানতে হয় ভদ্র(!) পুরুষদের থেকে। বহুবছর আগে আমার মেঝো মাসী বলেছিলো “বাবা ছাড়া পৃথিবীর কোনো পুরুষকে বিশ্বাস করিস না কখনো।” ঠিক একই কথা বলেছিলো আমার দিদিমা তার মেয়েকেও। কেন এমন লিখছি আজ জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়ই সবার? তনুর কথা খুব মনে পড়ছে। তনুকে মনে আছে তো?
**ছবিটি তুলেছিলাম ২০০৯ সালে বেলজিয়ামের ব্রাশেলসে। মাদার মেরীর এই স্ট্যাচ্যুর সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতাম। আর এ প্রশ্নটাই মাথায় আসতো সব ধর্মের প্রবর্তকই পুরুষ, তাহলে নারী কি শুধুই জন্ম দেয়ার একটা মেশিন?
৪০টি মন্তব্য
ক্রিস্টাল শামীম
” আপনার লেখাটা একটু বুঝার জন্য কয়েক বার খুব নীরবে চিন্তা করলাম আর লেখাটা পড়লাম !!..
.. নেপালিয়ন বুনাপাটঃ তিনি বলেছিলেন আমাকে একটা শিক্ষিত “মা” দাও আমি তোমাকে শিক্ষিত একটা জাতি উপহার দিবো। আসলেই কত বড় কথা তিনি বলেছিলেন সে দিন আজ আমি বুঝতে পারলাম!! একটা শিক্ষিত মাই পারেন একটা সভ্য সমাজ আর একটা শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে!!
” শুধুই একটা বিজ্ঞাপন নয়। একটা ইতিহাস!! যারা চোখে পরিস্কার দেখতে পায় ভবিষ্যত। তাদের জন্য পৃথিবী বার বার দিশেহারা হয়ে যাওয়ার পরেও আবার আলোর দিশারি খুজে পায়। তাদের কে কি শুধুই পিত বা মাতা বললেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হয় না ?? যাদের জন্য এই অগুছালো পৃথিবী বার বার সুন্দর হয়েছে তাদের কে, কি বলা দরকার আমার জানা নেই। শুধুই তাদের জন্য আমার মত মানুষ এই পৃথিবীতে সুন্দর শান্তির নিঃশ্বাস নেয় প্রতি নিয়ত তাদের প্রতি আমার হাজার স্যালুট তারাই এই পৃথিবীর মহানারী আর মহাপুরুষ!!… -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আমরা মায়েদের মনকে একেবারেই বুঝিনা। মেয়েরা তখনই বোঝে, যখন তারা মা হয়। অনেক মেয়ের সাথে কথা বলেই কিন্তু এটুকু জেনেছি। আমাদের সমাজ নারীকে শুধু শরীর ভাবে, পুরুষ তাদের চাহিদা মেটায়। কোনো ধর্ম নারীদের নয়। সবজায়গায় নারী শুধুই সেক্স মেশিন। বহু যুগ আগের প্রবাদ, “মা মরলে বাপ হয় তায়ৈ(তালোই)।” কিন্তু এ কথা কোনো পুরুষই মানবে না।
লেখার খাতিরে সকলেই নারীকে সম্মান জানাবে।
তবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
যে কোনো দোষ-ভুল করলেই মায়ের দিকে আঙুল তোলে এ সমাজ! ঠিকই তো, কেড়ে নেয়া চিৎকারে (শীৎকারে নয়) যে ভ্রূণের সৃষ্টি, তাকে দ্রাক্ষারসের ভেতর নুণ মিশিয়ে পান করিয়ে দিলেই তো হয়। তাও করবে না, দায়ও নিবে না। কিন্তু
বাহবা নেবার জন্য মুখিয়ে থাকবে।
জরায়ূর দায়িত্ত্বে নিয়োজিত নারী শরীরের ভাঁজে ভাঁজে আকন্ঠ বিতৃষ্ণার কোনো রঙ পুরুষ কখনো দেখে না, পুরুষ দেখে অঙ্গ।
নীলাঞ্জনা নীলা
রুবা আপু পুরুষের যখন শারীরিক প্রয়োজন পড়ে, নারীর রূপ দেখেনা। সে যেমনই হোক, তাতেই চলে।
কিন্তু স্ত্রী হিসেবে অবশ্যই সুন্দরী স্ত্রী চাই। আর শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য সেই সব স্ত্রীদের ধৈর্য চাই। আমরা কখনো কি আমাদের মাকে জিজ্ঞাসা করেছি, বাবা হিসেবে তোমার স্বামী কতো ভালো। কিন্তু মা স্বামী হিসেবে আমাদের বাবা কেমন? জানতেও চাইনি। সেদিন একটা প্রশ্ন পড়লাম, একজন পুরুষ স্বামী হিসেবে কেমন? এবং একজন নারী স্ত্রী হিসেবে কেমন? আমি উত্তর দিয়েছিলাম স্বামী বা স্ত্রী হিসেবে কোনো নারী/পুরুষের কাছে স্ত্রী/স্বামী কোনোদিনই ভালো নয়। পুরুষ সাধারণত ভালো একটাই দিকে, আর সে হলো বন্ধু হিসেবে।
আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ফুলেল শুভেচ্ছা। -{@
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
যে কোনো দোষ-ভুল করলেই মায়ের দিকে আঙুল তোলে এ সমাজ। আবার ভালো কিছু করলেই বলে “সন্তানের বাবা কে, দেখতে হবে না?” তাহলে মা কি শুধুই কামনা-বাসনা মেটানোর জন্য? সন্তান জন্ম দেয়াই কি শুধু মায়ের কাজ? নারীরাই মা হতে পারে। তার মানে এই নারী কি কামনার বস্তু নয়?? কেবলই একটা শরীর? সেক্স মেশিন? ভদ্র নারীর গুণাবলী কি কি, সেসব জানতে হয় ভদ্র(!) পুরুষদের থেকে।
(y) (y)
অঃটঃ লং উইকেন্ডে কোথাও ঘুরতে যান নি? 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি বুঝি কানাডায় থাকেন? নাহ লং উইকএন্ডে কোথাও যাইনি। এমনি শহরের ভেতরেই। শপিং মল, রেষ্টুরেন্টে খাওয়া।
আপনি কি করলেন?
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আজ আমরা কারো কথাই আর মনে রাখি না, রাখতেও চাই না,
প্রকৃত মর্যাদা দিতে পারার সক্ষমতা আমাদের তৈরিই হয়নি, তাই পাওয়ার আশা দূর বহুদূর।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিকই বলেছেন আপনি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
লেখার প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন,
পুরুষ হয়েছি বলে মাঝে মাঝেই লজ্জায় মাটিতে মিশে যাই,
তারপরেও কখনো কোন কুক্ষণে
হটাৎ সুযোগে পুরুষই হয়ে যাই, নারীকে দোষ দেই,
গলা চেপে ধরি,
সবকিছুর অনিষ্টের মুলে তুই নারী
বলি, আমিও পুরুষ
এ আমার লজ্জা, আমার পরাজয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা পৃথিবীটায় সেদিনই স্বস্তি ফিরে আসবে, যেদিন নারীকে কামনার বস্তু হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে গণ্য করা হবে।
আমার লেখায় তোমার এটি সেরা মন্তব্য। খুবই সুন্দর বলেছো। এই কথাটা পড়েছিলাম, যে স্বামী তার স্ত্রীকে সঠিক মর্যাদা না দেয়, তাদের সন্তান অমানুষ হয়। আর এ কথাটি চরম সত্যি।
মন ছোঁয়া মন্তব্য তোমার। -{@
জিসান শা ইকরাম
নীলাঞ্জনা নীলা, ধরা যাক আমি আপনাকে জানিনা এবং চিনিনা, সেক্ষেত্রে এই লেখার মন্তব্য হবে এমনঃ
আপনার এধরনের লেখাই আপনাকে অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে যায় লেখক হিসেবে
যে উচ্চতায় কেবল আপনিই, আর কেউ নেই।
আপনার লেখার কারনে, সোনেলা নিজেই গর্ব করে বলতে পারে ‘ নীলাঞ্জনা নীলা ‘ সোনেলায় লেখেন।
কতটা উপলব্দি করতে পারেন আপনি এটি, জানিনা আমরা।
তবে এটি সত্য,
নিয়মিত লেখুন এখানে, আমরা পাঠকরা ধন্য হই আপনার লেখা পড়ে।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
ও মাই গড! কি বলবো সত্যি বুঝে উঠতে পারছি না জিসান শা ইকরাম।
আপনি লেখেন ভালো, মন্তব্যও দারুণ।
আসলে লেখার চেষ্টা করি। কোথায় আর পারি লিখতে বলুন! এই সোনেলায় এতো এতো সোনালী মানুষের ভীড়ে আমি তো সামান্য একজন। তবুও এই যে আপনারা সকলে ভালোবেসে আমার লেখাকে আগলে নিয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ। আর এতোটা উঁচুতে ওঠাবেন না, শেষে ধপ্পাস করে পড়ে গেলে পেলভিক বোনস ভেঙ্গেছিলো, এরপর না আবার কোমড় ভাঙ্গে। 😛 😀
আপনার কথা শুনেছি আপনার নাত্নীর মুখে। আপনার নাত্নী ঠিকই বলেছে, আপনি নাকি ওর মতোই পাগল। 😀 এ কথায় প্লিজ মাইন্ড করবেন না। এটা আমার কথা না কিন্তু।
জিসান শা ইকরাম আপনার এমন মন্তব্যের জন্যে ফুল -{@ সহ (3 দিলাম। 🙂
আবু খায়ের আনিছ
আপনার কথাগুলো আমাদের পুরুষ সমাজের মনের ভিতরে লুকায়ীত বর্রবরতাকেই প্রকাশ করে। যখন মুখে কুলুপ এটে দেওয়ার মত কাজ হচ্ছে তখন একটা সুযোগ ত পেতেই হবে সেই বর্বরতাকে প্রকাশ করার জন্য। খারাপ কিছু হলেই মায়ের দোষ। লজ্জিত আমি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাই কবে যে এ সমাজের পুরুষের মন-মানসিকতার বদল হবে!
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।
আবু খায়ের আনিছ
শুভ কামনা আপু।
এই কবের উত্তরটা যত দ্রুত হবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক বলেছেন আনিছ ভাই। শুধু নারী জাতিকে সঠিক সম্মান দেয়া হচ্ছেনা বলেই সমাজে এতো বিশৃঙ্খলা।
ভালো থাকুন।
খেয়ালী মেয়ে
যে কোনো দোষ-ভুল করলেই মায়ের দিকে আঙুল তোলে এ সমাজ-ঠিক বলেছো আপু,
এধরনের লেখা পড়লে কেনো জানি মনের ভিতর এক ধরনের ভয় কাজ করে 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
পরী আপু মায়েদের যোগ্য সম্মান যে জাতি দিতে পারেনা, তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী।
ভয় নেই আপু। নিজের ভেতরে যে সততা আছে, তাকেই ধরে রাখো। জীবনে ধাক্কা খেলেও কোনোদিন পড়ে যাবেনা।
ভালো থেকো আপু। -{@
খেয়ালী মেয়ে
হুম ঠিক বলেছো,
নীলাঞ্জনা নীলা
পরী আপু, মহাজ্ঞানী আমি একজন 😀
ভুল বলতে পারি না। :p
ভালো থেকো খুব।
খেয়ালী মেয়ে
🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
-{@
মিষ্টি জিন
অসম্ভব ভাল লেখা আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি জিন আপু ভালো লেগেছে, তাতেই খুশী হলাম।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কি বলব আপনার এমন জিজ্ঞাসার উত্তর কেউ দিতে পারবে বলে মনে হয় না। মনে হয় এটাই চিরন্তন সত্য,,,,কেননা ধর্মের দিক দিয়ে দেখুন সব ধর্মেই পুরুষের প্রধান্য আর মানব সৃষ্টির শুরুতেও হযরত আদম(আঃ) পুরুষ এসেছেন পৃথিবীতে তার পর হাওয়া এটা ইসলাম ধর্ম মতে তেমনি অন্য ধর্মেও একই মত।
তবে নারী পুরুষ কেউ কাউকে গুরুত্বহীন ভাবা চলবে না।উভয় একে অন্যের পরিপুরক। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই নারী জাতির কি আদৌ কোনো ধর্ম আছে? একজন হিন্দু মেয়ের যদি বিয়ে হয় অন্য যে কোনো ধর্মের মানুষের সাথে, সে আর হিন্দু থাকেনা। আবার এই একই কথা মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, ইহুদি, জৈন, শিখদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
লালন ফকিরের ওই গান, “সুন্নত দিলে হয় মুসলমান, নারী লোকের কি রয় বিধান! বামন যিনি পৈতা প্রমাণ, বামনি চিনি কি করে!”
আমি মনে করি নারীর প্রকৃত বন্ধু একজন নারী-ই।
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ মনির ভাই। -{@
মৌনতা রিতু
নারীর শরীরের প্রতি ভাজে ভাজে পুরুষের লালায়িত দৃষ্টি। এ যেন এক চুম্বক আকর্ষন। শরীর যখন চেয়ে নিল, মাথায় তাজ হল নারীর শরীরটি। নিমিষে ছুঁড়ে দিল কোনো এক আস্তাকুঁড়ে। কখনো দৃষ্টির সেই কুচকানো নজরে কখনো ললুপ দৃষ্টির চাহনিতে, কখনো হিংসায় জ্বলে পুড়ে।
সত্যি আপু, জিসান ভাইর মতো বলতে চাই, তোমার এই লেখাগুলোই তোমাকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যায়। গর্ব হয় তোমাকে নিয়ে।
সব সময় পাশে থেকো, আমাকে ও তোমার মতো লেখার যোগ্যতা করে দিও।
নীলাঞ্জনা নীলা
মৌনতা আপু নারী ব্যবহারের সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই না। পুরুষ বিয়ে করতে গেলে ভালো মেয়ে খোঁজে। আর ধর্ষণ করতে গেলে সে যেমন চেহারাই হোক না কেন তাতে চলে। এতো জঘণ্য মনোবৃত্তি তাদের, শিশুসন্তানও রেহাই পায়না তাদের হাত থেকে। সত্যি বলতে কি ৯৯.৯৯% পুরুষই এমন।
উফ তুমিও বলছো নানার মতো? ধ্যত্তেরি কি যে সব ছাইপাশ লেখা! আর আমাকে ভালোবাসো, তাই লেখাগুলোকে ভালো বলো। ভালোবাসা জানো তো অন্ধ?
ভালো থেকো আপু।
গাজী বুরহান
আর এ প্রশ্নটাই মাথায় আসতো সব ধর্মের প্রবর্তকই পুরুষ, তাহলে নারী কি শুধুই জন্ম দেয়ার একটা মেশিন?
এ প্রশ্নের উত্তর পরে একটু বিস্তারিতভাবে লেখব।
শুধু এই অংশ ছাড়া সর্বাংশে আমি একমত।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
তবু যদি আমার ধারণা ভুল হয়, সবচেয়ে বেশী আমি-ই খুশী হবো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নাসির সারওয়ার
বেশ কঠিন এ লেখার ভাঁজে কিছু লেখার। আমরা বলি সভ্যতার ভিত আমরা ঘরেছি। কিন্তু এ প্রসংগে কথা বলতে অপারগ। জানিনা আমাদের ইহো কালে এই ধ্যান ধারনা বদলাবে কিনা।
অনেক শক্তিশালী লেখা। পাঠক আমি নিরবাক।
নীলাঞ্জনা নীলা
ইহকালে বদলাবে বলে আমারও মনে হয়না।
মানুষ আশা করে, আমার মনে এই আশার কোনো আলোই দেখিনা কোথাও।
আমরা সভ্যতা তৈরী করছি, ঠিক যেমন লিভিং রুম খুব সাজানো থাকে। ভেতর ঘর এলোমেলো।
আপনার মতো পাঠক আছে বলেই লেখার প্রেরণা পাই। আর আপনি কিনা বলছেন নির্বাক? 😮
ইঞ্জা
কঠিন প্রশ্নগুলোর উত্তর যেদিন আমরা দিতে পারবো, সত্যি সেদিন আমরা প্রকৃত মানুষ হবো।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক বলেছেন ইঞ্জা। কঠিন প্রশ্নের উত্তর কি আদৌ পাবো এই এক জীবনে?
কিংবা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অপার্থিব
দুর্দান্ত লিখেছেন। ধর্মের প্রবর্তকরা পুরুষ, ঈশ্বরের অবতার রুপে যারা জন্ম নেয় তারাও পুরুষ, পুরুষতান্ত্রীক পৃথিবীতে ঈশ্বরের কোন কন্যারও জন্ম হয় না। কত অদ্ভুত!!! ঈশ্বরটাই সম্ভবত পুরুষ!!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনাদের মন ছুঁয়েছে লেখাটি আমি কৃতজ্ঞ।
আসলে অনেক প্রশ্ন মনের মধ্যে উঁকি দেয়। প্রশ্ন করি, কিন্তু উত্তর পাইনা।
আসলেই মনে হচ্ছে ঈশ্বর বুঝি পুরুষ!
তা নইলে কেন এতো বৈষম্য নারী-পুরুষে?
ধন্যবাদ আপনার গুরুত্ত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।
মেহেরী তাজ
আপু আমার একটা কথা বারবার মনে হয় ” পুরুষের এক ফোটা বীর্যকে ফুলে ফেপে ৯মাস ১০ দিনে আস্ত একটা মানুষে/ প্রাণে পরিনত করে একটা মেয়ের শরীর”। তবুও সেই মানুষের/ প্রাণের পরিচয় হয় তার বাবার নামে!? কেনো?
পৃথিবীর কতগুলো শিশুর জন্ম ভালোবাসা থেকে আর কত গুলোর জন্ম কামনা/ চাহিদা থেকে তার হিসাব আমাদের জানা নাই। জানা হবেও না কোন কালে!
তনুকে কি ভোলা যায় আপু???
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু অনেক দামী কথা বলে ফেলেছেন। এতো অর্থবহ যে, আমায় ভাবাচ্ছে আপনার মন্তব্যটা।
হৃদয়গ্রাহী মন্তব্য। (y) :c
তনুকে ভোলা যায়না। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আমি প্রশংসা করে কিছু কইলেই এখন কইবেন হাওয়া দিচ্ছি!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আরেকটু প্রশংসা করেন না পিলিজ। কখনোই বলবো না হাওয়া দিচ্ছেন। একেবারে পরমিজ করে বলছি। 😀