প্রতিদিন একটি করে স্বপ্ন গেঁথে দেয় মেয়েটি
রংচটা ডায়েরীর পাতায়,
পাপের গন্ধগুলো মিলিয়ে দেয়
ছোট ছোট ভালোবাসার শুভ্র বল দিয়ে
ঠিক যেন ন্যাপথলিন।
দিন গড়াতে গড়াতে চাপা পরে যায় সে ডায়েরী
ছোট থেকে বড় হওয়া শিশুদের ভারি ভারি বইয়ের ভারে,
সংসারের ষড়যন্ত্রের কলে কাটা পরে সময়, নিজে।
বাহবা কুড়ায়, পেয়ে খুশি ছদ্মবেশীদের।
ভিতু নারী একদিন অসীম সাহসিকতায়
একা একা পাড়ি দিলো অচেনা অন্ধকার পথে;
সবাই কাঁদলো, বড় বেশি সহনশীল ছিল, কেউবা বললো
এমন আত্মত্যাগী মেয়ে আজকাল দেখাই যায়না, এমনি
আরো কত কি।
কোন একদিন এক ডায়েরী বেরিয়ে এলো,
ওটি তখন ছেড়া মলাটে
পোকাদের প্যালেস।
আধ মুছে যাওয়া জোড়াতালি শব্দ পড়ে
সবাই বলে উঠলো
ছিঃ এতো ছিল এক ভ্রষ্টা নারী…
৩২টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ডায়েরী না লিখলে চাপা পরে যেত একটি ইতিহাস
কত ইতিহাস চাঁপা পরে যায় মানুষের।
তারপরেও স্বপ্ন বোনা শেষ হয়না কখনো।
ছোট করে একটি জীবনের ইতিহাসের মত লাগলো পোষ্ট
আপনি সব সময়ই ভালো লেখেন।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
স্বপ্ন বোনা কি কোনদিন শেষ হয়!! হবেনা।
কতো ইতিহাস চাপা পরে যায় মানুষের, ভালো বলেছেন ভাইয়া। একজন মানুষেরই তো হাজার হাজার ইতিহাস থাকে, কে এত খুঁজবে।
আপনি সবসময়ই ভালো মন্তব্য করেন 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
হুম! এরকমই হই।
এক্টুকুতেই আমরা অবিশ্বাস আর গ্রিনা করি
ভুলে যাই তাঁর দান।
শুন্য শুন্যালয়
ঠিক ভাইয়া, এটুকুই ছিলো সারমর্ম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সীমান্ত উন্মাদ
একটা কথায় মনে হল তোমার লিখা পড়েঃ
রং জ্বলা দৃষ্টি
সপ্ন সওদাগুরী
অচিন ব্যামময়
খুঁজে পাওয়া সত্য ঘুড়ী।
আর ডায়রী লিখা যদি নায় হয়, তবে ভবিষ্যত স্মৃতির আনাগোনায় হারিয়ে যায় অতীত স্মৃতির রোমন্থন।
অনেক অনেক শুভকামনা তোমার জন্য বন্ধু।
শুন্য শুন্যালয়
এমনি কত স্মৃতি হারিয়ে যায়!! ডায়েরি পড়বার সময়ই তো নেই কারো রে। ভালো লিখেছ। শুভ কামনা তোমার জন্যেও।
লীলাবতী
যতক্ষন না জানি ততক্ষন সে ভালো।কিন্তু যেই জানি অমনি সে খারাপ হয়ে যায়।লেখার মাঝে কিছু বিষয় আবিস্কার করলাম।
*যার কথা বলা হয়েছে তিনি কি মৃত্যু চিন্তায় আক্রান্ত?মৃত্যু বলতে সব কিছু থেকে দূরে চলে যাওয়াও বুঝায়।
* তিনি দ্বৈত ভাবনায়ও আক্রান্ত হতে পারেন।
* সিদ্ধান্তহীনতার মাঝে থাকতে পারেন।
* স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেও দিতে পারেন,ডায়েরী পাওয়া যাবে এই আশংকায়।
সে যাই হোক এক কঠিন সত্য উচ্চারিত হয়েছে এই লেখায়।পাঁচ তারকা না দিলে লেখার প্রতি অবিচার করা হবে -{@
শুন্য শুন্যালয়
পয়েন্ট নাম্বার ওয়ান ঠিক আছে বাকিগুলা নয়। দ্বৈত ভাবনা কিংবা সিদ্ধান্তহীনতার কোন ব্যাপার নেই এই লেখায়। আর স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেয়া কি আদৌ সম্ভব?
বিচিত্র মানুষের ধ্যান ধারনার কথা বোঝাতে চেয়েছি। একজনের স্বপ্নের মর্ম অন্যেরা কী বুঝবে? অনিকেত আপুর এই লাইনটাই সবটুকু।
আপনার পাঁচ তারকা পাওয়া আমার জন্যে বিরাট সৌভাগ্যের ম্যাম। থাংকু।
অনিকেত নন্দিনী
ন্যাপথালিনের মতো শুভ্র ভালোবাসার বল দিলে সব গন্ধ দূর হয়?
স্বপ্নগুলো আজীবন ডায়েরিবন্দী হয়ে থাকাই হয়তো ভালো। একজনের স্বপ্নের মর্ম অন্যেরা কী বুঝবে?
আমাদের সব স্বপ্নেই ঘুণপোকাদের বসবাস।
লেখা অনেক ভালো হয়েছে। কান্না পাচ্ছে।
শুন্য শুন্যালয়
ভালোবাসার শুভ্র বল যেখানে সেখানে পাপ বলে কিছু মানিই না আমি। বড় বেশি সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপু।একজনের স্বপ্নের মর্ম অন্যেরা কী বুঝবে!! যে চলে যায়, সাথে করে নিয়েই যাক তার স্বপ্ন। আমি আপনার মন্তব্যেই আটকে আছি। ভালো থাকুন অনেক আপু।
ব্লগার সজীব
কেমন এক কষ্টের অনুভুতিতে ছেয়ে গেল মন।ভ্রষ্টা শব্দটিই কেবল নারীদের জন্য।এর পুরুষ বাচক কোন শব্দ নেই।যে স্বপ্ন গুলোর জন্য একজন নারী ভ্রষ্টা হয়ে যান,সেই একই স্বপ্ন একজন পুরুষের বেলায় গুনও হয়ে যেতে পারে।বা এটি যেন স্বাভাবিক এক ঘটনা।
কেন এমন লেখা আসে প্রিয় আপুর কাছ হতে?নারীর অক্ষমতা,সীমাবদ্ধতাও লেখায় পরিস্ফুট।
ভাল থাকুন আপু।
শুন্য শুন্যালয়
নারীর অক্ষমতা, সীমাবদ্ধতা হ্যাঁ এটা বোঝাতে চেয়েছিলাম, কিছুটা বোঝাতে পারলেই আমি খুশি। এই লেখায় একটা লাইন ছিলো যেটা বিশ্লেষনে নারীর অক্ষমতার কারন টা বোঝা যায় ” দিন গড়াতে গড়াতে চাপা পরে যায় সে ডায়েরী
ছোট থেকে বড় হওয়া শিশুদের ভারি ভারি বইয়ের ভারে,”… বোঝাতে পেরেছি কি?
নারীর শত্রু শুধু পুরুষ নয়, নারী নিজেও।
কেন এমন লেখা আসে তাতো জানিনা, হয়তো কিছুটা এলোমেলো। আপনিও ভালো থাকুন সজীব।
স্বদেশী যোদ্ধা
আমাদের সমাজে নারীদের আত্মত্যাগী করেই বড় করে তুলে! এটি আমদের নয় অনেক সমাজেরই সীমাবদ্ধতা, যে নারী মাত্রই আত্মত্যাগী হতে হবে। সমজের এই যাঁতাকল-নারীরা যুগের যুগ নিষ্পেষিতা হয়ে আসছে। এই যাঁতাকল থেকে মুক্তি পাওয়া যে বড়ই কঠিন।
শুন্য শুন্যালয়
এ বড়ই কঠিন। তবে চাইলে নারীর পক্ষেই সম্ভব এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসা। নারী ভিতু বলেই সমাজ এমন। সীমাবদ্ধতা নারীর। আপনার পোস্ট দেখিনা অনেকদিন ভাইয়া। পোস্ট দিন।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
কষ্ট হয় বড়! মেয়েরা তাঁদের নিজের মতো করে ভাবতেও পারবে না?
নিজের একান্ত মনের কথা ডায়েরীতে লিখেই সে মনের আনন্দ খুঁজে পেতো, তাতেই সে ভ্রষ্টা!!!
শুন্য শুন্যালয়
এমনটাই তো হয় আপু। কএকদিন আগে পেপারে দেখলাম, এক ব্যক্তি তার ওয়াইফ, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী সবাইকে খুন করেছে। তার ভাষ্যমতে তার ওয়াইফের রিলেশন ছিলো। হু উইল কাম টু জাজ? নোবডি।
আপু থ্যাঙ্কস পড়বার জন্যে।
ছাইরাছ হেলাল
ন্যাপথলিন ভাগ্য সবার হয় না। আবার একজনের ডাইরির খবর অন্যেরা রাখে ও না।
অনেক বলা নাবলা চাপা পড়ে রয় সময়ের টানে। তবুও স্বপ্ন দেখি,স্বপ্নেই বাঁচি।
শুন্য শুন্যালয়
স্বপ্নটুকুই তো সম্বল। নিজের খবরই তো কেউ রাখেনা, আর অন্যের!!
ন্যাপথলিনের ভাগ্য শুধু মিলিয়ে যাওয়াই ভাইয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
দিনপঞ্জিকা। লিখতাম।
‘গোপন কথাটি র’বে না গোপনে।’
খুব ভালো লেগেছে (y) -{@
শুন্য শুন্যালয়
অথবা গোপন কথাটি রাখবোনা গোপনে 🙂
আপনি ভালো বললেই লেখা উড়ে যেতে চায়। অন্নন্নন্নন্নন্নেক ধন্যবাদ। -{@
প্রজন্ম ৭১
এটি আমাদের বাঙ্গালী মানসিকতার সমস্যা।একটি ম্যাগাজিনে দেখেছিলাম একজন নারী ১০০০ এর বেশী পুরুষের সাথে সয্যা শেয়ার করেছেন।এটি তিনি বেশ গর্বের সাথেই ম্যাগাজিনে প্রকাশ করেছেন।আর আমাদের দেশে একজন পুরুষকে ভালোবাসলেও দ্রষ্টা হয়ে যায় নারী।
শুন্য শুন্যালয়
একজন নারী 1000 পুরুষের সাথে!! ;? ক্যাম্নে কি? ঐটা নারী না ড্রাকুলা?
হুম আমাদের দেশে একজন পুরুষকে ভালোবাসলেও সমস্যা। বিবাহিত হইলে তো কথাই নাই।
খেয়ালী মেয়ে
কতোদিন পর তোমার লিখা পড়লাম আপু–তাও আবার এমন হৃদয়ছোঁয়া…
বুঝি না সবাই মেয়েদেরকে নিয়ে এমন খারাপভাবে কেনো ভাবে? কেনো মেয়েদের এতো বাঁধা?এতো কষ্ট?…………
শুন্য শুন্যালয়
এটা জনম জনমের পুরুষদের বানানো নিয়ম। ভাংগা এতটা সহজ হবেনা। সময়ের অভাবে তোমাদের সাথে গল্প হচ্ছেনা অনেকদিন পরী। মিস করি সবাইকে। (3
আশা জাগানিয়া
জেনে গেলেই সব ভ্রষ্টা,না জানলেও প্রশংসা।অথচ স্বপ্ন গুলো তো জীবনের অংশ।জীবনের সব পাতা খোলা উচিৎ নয়, অস্থিরতা বৃদ্ধি পায় এতে।
শুন্য শুন্যালয়
আমার ভাবনাতেও হয়তো সমস্যা থাকতে পারে। তবে এসব অভিজ্ঞতা থেকে জানা। বর্বর স্বামী স্ত্রীকে খুন করার পর তার পরকীয়া রিলেশন ছিল এমন বলে বেড়ায়। সবাই সেটাই বিশ্বাস করে। জীবনের সব পাতা খুলে যাবার পক্ষে আমি আশা। অস্থিরতা বৃদ্ধি পায় পাক।আমার জীবন টাও একটা জীবন ছিলো।
অরণ্য
এক সময় জানলাম “ছেলেটি বা মেয়েটি খুব ভাল”। পরে এক সময় আমাকে বলতে শেখালো “ছেলেটি বা মেয়েটি দেখতে ভালো। কিংবা সে অমুক কাজে ভালো বা খারাপ। এমনও হতে পারে সে চুরি করে খুব ভাল – ভেরি স্মার্টলি”। এখন মনে হচ্ছে এর সাথে সময়টাও জুড়ে দিতে পারলে ভাল হবে এবং তাই হওয়া উচিৎ। কালকের আমি আজ বদলে যেতেই পারি। আমরা যাই করি না কেন আমাদের শেষটা ভাল হওয়া চাই। ফিনিশিং পয়েন্টটা খুবই ইম্পরটেন্ট। 🙂
ভাল থাকুন। বিশ্বাসে বাঁচুন। -{@
শুন্য শুন্যালয়
ফিনিশিং পয়েন্টের কারনে একটু পুরো জীবনের ভাবনাই ওলোটপালোট হয়ে যাওয়া ঠিক নয়, যদিও সেটাই হয়। কোন বন্ধুর সাথে আমার ব্রেক আপ হয়েছে, আদায় কাঁচকলা অবস্থা। তবুও আমার সাথে তার ভালো মূহুর্ত গুলো কিংবা আমার জন্য তার ত্যাগ গুলো আমি ভুলিনা। আপনিও ভালো থাকুন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
পাপের গন্ধগুলো মিলিয়ে দেয়
ছোট ছোট ভালোবাসার শুভ্র বল দিয়ে
ঠিক যেন ন্যাপথলিন। -{@
শব্দ ব্যাবহারে মুগ্ধতা দিয়ে গেলাম।ঈদ মোবারক
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ মনির ভাই। আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা।
মিথুন
আমিতো ডায়েরী লেখা ছেড়েই দিয়েছি। সোনেলা এমন ঝিমুচ্ছে কেন? হাসিখুশি শুন্য আপু আপনাকে এসব লেখায় মানায় না। যা বলিলাম সত্য বলিলাম………
শুন্য শুন্যালয়
লিখা বন্ধ করে দেব? হাসির লেখা আপনার মত শিখার চেস্টা করছি। পারি কিনা সেইটাই ব্যাপার। ভালো থাকুন।