সুতীব্র অভিযোগের শর পায়ের কাছে ফেলেছে ‘ভোর’।বুকে বিঁধিয়ে দেয়নি বলে সাকুল্যে একটিই প্রাণ আমার,তা এবারের মত রক্ষা পেল।হুট করে ফেলে যাওয়া,রেখে যাওয়া ঠিক হয়নি মোটেই।আড়ি পর্ব চলছে চলবে।ফেলে রেখে চলেই যদি গেলাম তবে এলাম কেন? না এলেই ভাল হতো।এসেই আবার ইতং-বিতং শুরু হয়ে গেল। ভোরের কথা কে আর ভাবে? যার কাছে রেখে গেলে সে এখন মেঘ বালিকা,বাতাস বালিকা,গাছ বালিকা,আরও কত কী।এই বুঝি রেখে যাওয়া?
‘চল না ভোর,এই বিকেলে বসফোরাসের তীরে বসে বালি ভাঁজা বাদাম খুঁটে খুঁটে খাই’।
‘হি হি,তা মন্দ হয় না। কিন্তু আড়ির কী হবে?চালু থাকবে কিন্তু।’
আচ্ছা,চালু থাকবে।
ভয় পেয়ে ভয় দেখিয়ে রেখেছিল খাঁচায় পুরে।না কোন উপদেশ,না কোন সতর্কীকরণ,না কোন জ্ঞানবানী,কোন নিষেধের আঙ্গুলের তোয়াক্কা না করেই তিতির পায়ে কায়দা করে হেঁটে এসেছি এলোমেলো পলায়নে। প্রখর রোদের বখাটেপনা এড়িয়ে,গন্ধ শুঁকে শুঁকে পিল পিল করে এসেছি চলে। হৃদয়ের স্পন্দমানতায় হাত রেখে বলছি,বুলবুলের অবিরাম গানের কথা ভেবে বলছি -তোমাকে ছাড়া কিছুতেই চলবে না।(সবজান্তা হাসি বিনিময়) আড়ি থাকবে।
সাদা আলখেল্লায় গা ঢেকে মুখভর্তি পানে সুগন্ধী দোক্তার ঘ্রাণ ছড়িয়ে দেবীরা বাতাসে ঘুড়ে বেড়ায় বুড়ির বেশে।বিষাধবোধাচ্ছন্নতায় এলোমেলো করে দেয় বসন্ত বাগান তিব্বতী স্তব্ধতায়,ছড়ায় নিবিড় নীল আগুন।
সাবধান।আড়ি আছে।
৪২টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
আপনাদের লেখায় প্রথম মন্তব্যকারী হওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই আসা। লেখা নিয়ে পরে আসছি একটু।
বনলতা সেন
এ এমন কিছু না। আচ্ছা।
প্রহেলিকা
আড়ি থাকা সত্ত্বেও এতো প্রেম দুজনের মাঝে! ভক্তকুল হিংসানলে জ্বলে।
ফিরে এসেছেন বলেই এমন লেখা পড়তে পারছি, না এলে বসফোরাসের তীরে বসে বাদাম খাওয়ার দৃশায়ন কোনদিনই হতো না এই আমাদের অধম পাঠকদের।
এমন লেখায় মন্তব্য করতে আসলে ইতিহাস জ্ঞান থাকা অনেক জরুরী, যদিও বিন্দুমাত্র নেই।
***যার কাছে রেখে গেলে সে এখন মেঘ বালিকা,বাতাস বালিকা,গাছ বালিকা,আরও কত কী।এই বুঝি রেখে যাওয়া?***
ক্ষোভ নাকি অভিমান? আড়ি চালু থাকুক আপনার তাতে এমন লেখা আসবে আরো বলা যায়।
“তিব্বতী স্তব্ধতা” “দোক্তার ঘ্রাণ” বাহ!!
এমন লেখায় আর কি মন্তব্য করবো বলেন!! যার সাথে আড়ি তিনিই জানেন এই আড়ির নিশুতি।
বনলতা সেন
আসতে হয়। আমরা আসি। এ এমন কোন লেখা নয়। অনেকেই এখানে অনেক ভাল লেখেন।
সম্পর্ক আছে বলেই আড়ি আছে। আবার চালুও থাকবে।
যা বলার তা বলেছেন। তাই যথেষ্ঠ ।
জিসান শা ইকরাম
একজনের ভোর,একজনের সন্ধ্যা,একজনের রাত—
আম জনতার জন্য দেখছি অবশিষ্ট আছে শুধুই কাঠ ফাটা,খটখটে দুপুর ……
বনলতা সেন
এক এক জনের এক একটা হয়েও রক্ষা নেই। এখন ভোরকে নিয়ে মধুর
ঝগড়া হচ্ছে। আম জনতার জন্য আছে। পেয়ে যাবেন।
জিসান শা ইকরাম
চলুক ঝগড়া 🙂
হৃদয়ের স্পন্দন
বিদায় বেলায় কারো লেখায় নিজের নাম দেখে ভালো লাগল 😉 ফাযলামো বাদ, লেখা ভালো হয়েছে
বনলতা সেন
বুঝতেই পারছেন আপনাকে বিদায় দিচ্ছি না।
শুন্য শুন্যালয়
বেঈমান, স্বার্থপর ভোর, পেয়ে নিই তোমাকে কাছে। ফিরে আসতে না আসতেই অভিযোগ অভিমানের ডালা নিয়ে পৌঁছে গেছো, মেঘ, বাতাস, গাছ কি সব বলে ঠাট্টা করছো আবার আড়ির ছলে বরফরাসের তীরে বসে বাদামও খাচ্ছো, বেশ। আর যাবেই বা না কেনো? প্রলোভনের মাত্রা তো আর যেই সেই না। কাকে যে দোষ দেই !!!! বুলবুলের অবিরাম গানের কথা ভেবে বলছি -তোমাকে ছাড়া কিছুতেই চলবে না। বাহ। বিশ্বাস করেছো তো মরেছো, কোনদিন তিতির পায়ে পলায়ন করবে ঠিক নেই কিন্তু। যদিও হুশিয়ারী ২ পেয়ে কথা দিয়েছে ফিরে আর যাবেনা।
হিংসে করতে গিয়েও করতে পারছিনা, তুমি ডুবেছো মায়াবিনীর ছলে, লেখায়। বিষাধবোধাচ্ছন্নতায় এলোমেলো করে দেয় বসন্ত বাগান তিব্বতী স্তব্ধতায়,ছড়ায় নিবিড় নীল আগুন, গুনী সতীন :)। থাকো কিছুদিন, ফিরে আসবেই এও জানি।
ঝগড়াঝাটি করতে গিয়ে প্রশংসা না করলে ভুলই করবো, হৃদয়ের স্পন্দমানতায়, দোক্তার ঘ্রান, তিতির পায়ে কায়দা করে হেঁটে আসা, প্রখর রোদের বখাটেপনা এড়িয়ে… এবং আরো অনেক অনেক। কবেই বলেছি আপনার লেখার হাতটি আমাকে দিয়ে দিন।
বনলতা সেন
আরে আরে করেন কি? এসেই ঝাঁপিয়ে পড়ে বকাঝকা করছেন?এখন মাসিদের রাজত্ব চলছে আপনি ভুলে গেলেন? তাছাড়া রেখে গেলাম আপনার আদর যত্নে থাকবে বলে। ভালবেসে দেখভাল করছেন বলে তো মনে হচ্ছে না। এটি কিন্তু ঠিক না। এজন্যই বেচারাকে তিতির পায়ে চলে আসতে হয়েছে। ভোরের সাথে রেগে গেলে তো হবে না। নরম নরম সুরে কথা বলুন। হাতছাড়া করে ফেলেছেন না?
হি হি।
দেখুন ভাল যা কিছু তা তো আমি কিছুই লিখি না।আপনারা সুন্দর করে ভাবেন বলেই লিখতে পারি। আপনাদের ভাবনার ফাৎনায় চোখ রাখি,আপনাদের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে ভাবনা গুলো কপি পেস্ট করি মাত্র। সামান্য নকল-নবিশ মাত্র।এই নকলের হাত আপনাকে দিয়ে আপনার সোনালেখা হাত নষ্ট হতে দেয়া কী ঠিক আপনি ই বলুন?
শুন্য শুন্যালয়
উড়নচন্ডী আমি, কথা দিয়েছিল আউলাঝাউলা হয়েই কাছে থাকবে, ভালোবাসবে। এতো যত্নআত্তি আর মন ভুলানো কথা শুনে সব ভুলে গেলো!!!!! হাতছাড়া যখন করেই ফেলেছি তখন আর নরম সুরে কথা নেই। এবার ফিরে এলে সত্যি সত্যিই খাঁচায় পুরে রাখবো। কুনজর থেকে বাঁচাবার জন্য এক গোছা তাবিজও পরিয়ে দেব। এতদিনে মন্ত্রওতো কিছুটা শিখে ফেলেছি দেবীর দয়ায়…
বনলতা সেন
চেষ্টা চালিয়ে যান, দেখুন তাবিজ-কবজের সাথে ঝাড়-ফকু চালু করে দেখুন
কিছু হয় কিনা। আমরা মন্ত্র ছাড়াই বশীকরণ করে ফেলেছি।
সোনার খাঁচা তৈরি হলে আমাদের জানিয়ে দিয়েন, পাঠিয়ে দেব। ভোর কিন্তু আমাদের
কাছে খাঁচা ছাড়াই থাকে মনে রাখবেন।
মরুভূমির জলদস্যু
ভালো লিখেছেন বনলতা সেন
বনলতা সেন
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ভোরের এত রূপ তা বলাই বাহুল্য।ভোরের মাঝে সাতার কাটে মন পবনের নাও।বেশ ভাল লাগল।
বনলতা সেন
বাহ্, খুব ভাল বলেছেন, ভোরের অনেক রূপ,আপনি ঠিক ধরেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপন আপনদের বার্তা বিনিময়ে দূরে দাঁড়ানোই নিরাপদ পন্থা।
তবে চোখ থাকবে।
বনলতা সেন
ঠিক আছে।তবে চোখদূরত্বে থাকতে হবে।
নাজমুল আহসান
একটা টেস্ট কমেন্ট করলাম, কিছু মনে কইরেন না 🙂
বনলতা সেন
সমস্যা নেই।
নুসরাত মৌরিন
ভোর তো প্রতিদিনই হয়।কিন্তু বনলতাদি আর শূন্য আপুর মত করে তাকে কয়জনে দেখে?দেখায়?
আমরা আমজনতা মুগ্ধ হয়ে দূরে বসে আপনাদের চোখে অপার্থিব ভোর দেখি।এর বেশি আর কি চাই? 🙂
বনলতা সেন
আপনি চাইলে এর থেকে আরো ভাল কিছুই দেখতে ও দেখাতে পারেন।
ইচ্ছে করেই দেখাচ্ছেন না। এবারে দেখতে শুরু করুণ।
শুন্য শুন্যালয়
তাই বলে এভাবে একজনের জিনিস আরেকজন নিয়ে যাবে, আর জনতা কিছুই বলবে না এটা কি ঠিক? 🙁 @মৌরিন আপু। ঘুষ দিতে হবে বুঝতে পারছি।
লীলাবতী
এখানে প্রবেশ নিষেধ কিনা বুঝতে পারছিনা।লেখার মর্ম মাথার উপরে দিয়ে চলে যেতে চায়।ধরি আবার ছুটে যায়।চালু থাকুক।
বনলতা সেন
আপনাকে ঠেকিয়ে রাখে সে সাধ্য কারও নেই।ভাল করে ধরে ফেলুন কিছুই ছুটে যাবে না।
লীলাবতী
ছুটে যাবে কোথায়? ধরে ফেলেছি কখন :p
বনলতা সেন
যাক ধরে ফেলেছেন যখন ভালই হল।
রিমি রুম্মান
সবাই তো সব মন্তব্য করেই ফেললো । আমার জন্যে যে আর কিছুই বাকি থাকলো না। শুভকামনা রইল। -{@ -{@
বনলতা সেন
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
মিথুন
কতো সুন্দর সব শব্দ এনেছেন লেখায়, এমন আমি আগে পড়িনি। আপনি চলে গেলে তো মনে হয় সবাই সমস্যায় পরে। আড়িতেই এতো ভালোবাসা থাকলে আড়িই চলুক————–
বনলতা সেন
সব শব্দ আনতে পারিনি,নিষেধ আছে। নাহ্, আর চলে যাবার উপায় নেই। বাঁধা পড়েছি ।
আচ্ছা আড়ি আপাতত চালিয়ে যাচ্ছি।
খেয়ালী মেয়ে
এতোকিছুর পরও আড়ি থাকবে ;?
বনলতা সেন
এ আড়ি সে আড়ি নয় । আপনাকে কিন্তু পাচ্ছি না ঠিক ভাবে।
অরণ্য
(y) “সাবধান।আড়ি আছে।” 🙂 চমৎকার লেখা।
বনলতা সেন
আচ্ছা,ধন্যবাদ আপনাকে।
স্বপ্ন
আড়িতে এত আনন্দ,তাহলে আড়ি বজায় থাকুক 🙂
বনলতা সেন
অনেক আনন্দ ,তাই চালুও থাকবে।
স্বপ্ন নীলা
সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে আছে ভোর ভাবনায় ——–দারুন লেগেছে
বনলতা সেন
আপনার সামান্য মন্তব্য অনেক প্রেরণা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আড়ি কি চলছে এখনো? আড়ি বজায় থাকলে মন্দ হয়না,ভালো লাগে এমন আড়ি। আড়ি থেকে সৃষ্টি হয় এমন লেখা। -{@
বনলতা সেন
আড়ি চলছে চলবে, লেখালেখিও চলবে।