
কুহেলি নয়,
জোনাকির কাঁচুলির মত কবিতা আজ-ও
জেগে/জ্বলে আছে বৈভবের জ্যোৎস্নাকাশে,
অপলক নেত্রে অন্ধকার উজিয়ে;
কক্ষচ্যুত অনন্ত-নিদ্রার লঘু চোখে,
শরমের মুণ্ডু ফাটিয়ে উন্মাতাল আকস্মিক অনুভবে
আনন্দ জ্যোতি এঁকে চলে, লাজুক মস্তকে।
যোগ-বিয়োগের নিত্য-পসার এখানে নেই,
নেই নিয়োগ-বিনিয়োগের ক্ষীণ-নোংরা-স্রোত,
নেই দূর রমণীর রমণীয় পায়রা বকবকুমের সশব্দ অস্থিরতা,
নেই কিশোরী-বাতাসের আলুথালু ওড়া-উড়ি,
নেই হঠাৎ কেঁপে ওঠা রমণ-শ্রমের অসার অমরতা;
হঠাৎ আলোর স্পন্দিত সৌরভের প্রতিচ্ছবিতে
সকল চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে একটুখানি কবিতায় গা এলিয়ে দেয়া,
লবণ-হ্রদে স্মৃতি-প্রবণ বৈকালিক আত্মহত্যা, কারণবিহীন নেপথ্যতায়;
৩০টি মন্তব্য
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার রচনাশৈলী কবিতা, পড়ে মন ভালো হয়ে উঠছে ভাইজান।
যদিও আমি সব গুলো শব্দ বুঝিনি, এতো কঠিন শব্দ আগে কখনো পড়িনি।
ধন্যবাদ দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও অনেক কিছুই না বুঝে-টুঝে লিখি।
নিয়মিত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সঞ্জয় মালাকার
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
জোনাকির কাঁচুলির
রমণ-শ্রমের
আগে শিখান ঐ শব্দগুলো কি অর্থ? পরে মন্তব্যে আসছি। যে করেই কবি হতে হবে হুম।
ছাইরাছ হেলাল
বেছে বেছে জুতমত শব্দ-ই নির্বাচন করেছেন, আমিও এগুলাইনের অর্থ ভালমতন জানি/বুঝি না।
ডিকশনারি দেখে আমাকে জানিয়ে দিয়েন।
খাইছে! আপনি কবি হইলে আওয়াজ দিয়েন। আমিও আপনার লাইনে ইট্টু ট্রাই দিমুনে।
মনির হোসেন মমি
তার মানে আপনি শেখাবেন না!!
ঠিক আছে দেহি অকবিতা মানে সোনেলা ইয়াসমিন আফায় কি বলেন।
ছাইরাছ হেলাল
আমি-ই তো শিখতে চাই! না জেনে-বুঝে লিখি, আপনি/আপনারা বলে-কয়ে না দিলে
ক্যামনে জানুম!
আমিতো আপনার গল্প পড়ি!
https://sonelablog.com/%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%9f%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0/
কামাল উদ্দিন
দাত ভাংগা কবিতা বড় ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আরে নাহ, সব পানি পানি।
কামাল উদ্দিন
হুম, ঠান্ডা পানি, দাঁত শিরশির করে
ছাইরাছ হেলাল
ইট্টু চা-টা খেয়ে নেবেন।
নিতাই বাবু
কবিতার শিরোনামের সাথে কবিতার শেষাংশ মিলেমিশে একাকার। সত্যি অসাধারণ একটা কবিতা পড়লাম। শ্রদ্ধেয় কবি ছাইরাছ দাদাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ করজোড়ে গৃহিত হল।
হ্যা, অবশ্যই মিল আছে।
হৃদয়ের কথা
কবিতার আত্মহত্যা না হয় আবার।
ছাইরাছ হেলাল
বৈকালিক আত্মহত্যা! বুঝতেও হবে, যেন তেন ব্যাপার না।
এস.জেড বাবু
বৈকালিক আত্মহত্যা-
এটা কি কবিতার / সাহিত্যেের নেশা ?
বুঝিনা এত উঁচুদরের লিখার সারমর্ম।
মমি ভাইয়ের সাথে আমিও শিখবো-
ও দুটি শব্দের অর্থ-
শুভেচ্ছা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
এমুন কঠিন করে প্রশ্ন-ফ্রশ্ন করলে ক্যামনে কী জবাব দেয়!
আমিও না বুঝে-টুঝেই লিখি, ভাবি আপনারা বুঝিয়ে দেবন, তা না কয়রে কঠিন কঠিন বাণ মেরে দিচ্ছেন!
আপনাদের শেখা হলে আমাকেও সাথে নিয়েন, শিখতে মুঞ্চায়!
এস.জেড বাবু
ভাই আমার
যেসব মুগ্ধকর শব্দ আপনি নিয়ে আসেন, সত্যি অবাক হই।
ভালো লাগে অনেক।
আপনি আপনার লিখার শৈলীতে- সম্পূর্ণ আলাদা কিছু উপহার দেন।
অন্য কেউ তা পারে না।
ছাইরাছ হেলাল
আরে এ শব্দগুলো তো আমার না, কুড়িয়ে-চুড়িয়ে(চুরিয়ে) নেয়া বলতে পারেন।
এ আকাম সবাই পারে, করে না, এই যা!
আমি তো আপনাদের মত সুন্দর করে লিখতে চাই।
পারছি কৈ!
শিরিন হক
চমৎকার শব্দের বিন্যাস এত সুন্দর করে উপমায় সাজিয়ে সাগরে কেনো আত্যহত্যা করালেন? নিয়মে যে বাধা তার কি মরণ হয়?
ভালো লাগলো প্রতিটি শব্দ গভীরতায় নিম্নগ কবির ভাববোধ।
ছাইরাছ হেলাল
এ মরণ মরণ নয়, তীব্র ভাবে ভালোবেসে কবিতায় বেঁচে থাকা।
আপনি মন্তব্যেও সুন্দর হচ্ছেন।
রুমন আশরাফ
দারুণ শব্দ চয়ন। ভাল লিখেছেন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
নৃ মাসুদ রানা
নেই কিশোরী-বাতাসের আলুথালু ওড়া-উড়ি,
নেই হঠাৎ কেঁপে ওঠা রমণ-শ্রমের অসার অমরতা;
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কথা কৈ!
কিছু না কিছু তো লিখুন।
বন্যা লিপি
হঠাৎ আলোর স্পন্দিত সৌরভের প্রতিচ্ছবিতে
সকল চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে একটুখানি কবিতায় গা এলিয়ে দেয়া,
লবণ-হ্রদে স্মৃতি-প্রবণ বৈকালিক আত্মহত্যা, কারণবিহীন নেপথ্যতায়;”
আর লাগেনা কিছু….. লবন-হ্রদে স্মৃতী-প্রবণ হতে রাজি আছি কারনে-অকারনে।
মাথার রোগ আছে এমনিতেই তারওপর আপনার এমন লেখা কপালের শিরা-উপশিরা টেনে হিঁচড়ে ব্যাড়াছ্যাড়া অবস্থা।
তবুও এক অন্যভূবণ দেখা হয়ে যায় আপনার লেখায়।
ছাইরাছ হেলাল
লবন-হ্রদকে স্নানে রাখুন,
উপশম পাবে শিরা- উপশিরা।
দারুন করে বলেন আপনি।
লেখা তো পাচ্ছি না!
সাবিনা ইয়াসমিন
বহুদিন আগে একবার এক লেখায় একখানা মন্তুব্য করেছিলাম, আজ কেন জানি সুরসুর করে সেটাই চলে আসতে চাইছে। থাকগে, ব্যাপার না।
কবিতায় সুখ
কবিতায় শান্তি
যাহা পাই তাহা লই
ভালো থাকি দিবস-রাত্রি,
স্ব-শব্দের আগমনে দিবা ঘুমের ঘটে পলায়ন
বিষের বঞ্চনায় হয় নাকো আত্মহরন,
পথিকের পাণ্ডুলিপি পরে রয় অবসন্নতায়
কিসে শান্তি, কিসে সান্তনা!
রুগ্ন কবি বিবস-নিরুপায়…
ছাইরাছ হেলাল
কবিদের কত্ত সুবিধে!
ব্যাপার না নূতন বা পুরনোতে,
বিষে বিষ ক্ষয়, হনন ইচ্ছেতে নয়!
অবসন্ন পাণ্ডুলিপির নিরুপায়তায়।