
বহমান পাতাদের ছায়ায় দাঁড়িয়ে
ভেবেছি/ভাবছি, ঐ নীলাকাশ পুরোটাই আমার;
ডানা ম্যালা শঙ্খচিল, পাহাড়বাড়ী,
স্বপ্নের তলদেশে বিচূর্ণ দেয়াল,
বিস্মৃতিতে ফেলে রাখা ফেলে দেওয়া
কল্পকাহিনীর মত কিছু অর্থহীন দোলাচাল,
লিখে-টিখে ফেলে রাখা কিছু যতি চিহ্ন,
চিরন্তন মধ্যাহ্নের জ্বল-ছায়ায় ফেলে রাখা
সময়ের চকিত হৃদস্পন্দনের রেখাচিহ্ন;
অনিঃশেষ নীরবতার অনুভবে থেকে যায়
কিছু ঔজ্জ্বল্যের বিভা, অর্থহীন ঊর্ণাজালের মত।
ছবি…. নেট থেকে।
৪৭টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ফেলা না ফেলে হবে দ্বন্দ্বে আছি।অনিঃশেষ নীরবতার অনুভবে থেকে যায় কিছু ঔজ্জ্বল্যের বিভা,অর্থহীন ঊর্ণাজালের মত। দারুন লেগেছে ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
গুড, গুড; এই-ই চাই। ঠিক করে নিয়েছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ অ শুভেচ্ছা আপনাকে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
লিখে-টিখে ফেলা রাখা কিছু যতি চিহ্ন -তাহলে এখান ও ঠিক করা লাগবেনি কিন্তু 🙄🙄🙄 । অ শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য ও
সুপর্ণা ফাল্গুনী
জ্বল-ছায়া হবে? এটার অর্থ জানতে চাই। ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
জলন্ত ছায়া বোঝাতে অমন লিখেছি।
ছায়াটাও আগুনে এমন কিছু।
ছাইরাছ হেলাল
যতি চিহ্ন বুঝিনি, আরে, ভাল করেই বলুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
লিখে-টিখে ফেলা রাখা কিছু যতি চিহ্ন – ফেলা খান ঠিক করা লাগবে না!
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক করে দিয়েছি, অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলি, তিনটে বা সাড়ে তিনটে লেখা একবারে লিখলে মাথা একটু আউলা না হয়ে পারে না!!
অবশ্য ভুল-ভাল এমনিতেও লিখি-ফিখি।
আপনি আছেন, তাই নাই ভাবনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমি ও ধারণা করেছিলাম জ্বলন্ত হবে ক্লিয়ার হবার জন্যই প্রশ্ন করলাম। কঠিন বানান বেশি কেয়ার করি বলেই সহজ বানানগুলো সবার ই ভুল হয়। ‘ভুল’ বানান ইতো আমরা ভুল লিখি। 🤭🤭🤭 আর নেই ভাবনা !!!
ছাইরাছ হেলাল
আপনার ভাবনা সঠিক,
জ্বলন্ত কেই জ্বল বলেছি।
ধন্যবাদ, আর নেই ভাবনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
“বহমান পাতাদের ছায়ায় দাঁড়িয়ে
ভেবেছি/ভাবছি, ঐ নীলাকাশ পুরোটাই আমার;”
বিশাল হৃদয়ের মানুষরাই ভাবতে পারে
আপনার মতন করে।
বিশুদ্ধ নীলাকাশ হোক সবার।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
মাপ-ঝোপ করে দেখিনি, তবে এমন করেই ভাবি, সবাইকে নিয়ে, সব কিছু নিয়ে।
বিশুদ্ধ নীলাকাশের স্বপ্ন যেন স্বপ্নেই না থাকে, তা-ও চাই।
আপনিও ভাল থাকবেন, ভাই।
নাজমুল হুদা
ভাবনার সবকিছু আপনার, আমাদের। যেখানে কাঁটাতার দিয়ে আটকানো নাই।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, দারুন করে বলেছেন তো।
কে আর কাকে আটকায় বলুন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
সুরাইয়া নার্গিস
বাহ্ দারুন লেখা।
শুভ কামনা রইল ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ।
একটু বলি, সিরিজ লেখার ফাঁকে ফাঁকে অন্য লেখা ও দিয়েন, এজন্য বলছি, যেহেতু পড়িনি, এতগুলো পড়াও হচ্ছে না।
তবে এর পর দেখবেন ঠিক ঠাক প্রথম থেকেই ধড়ে ফেলব।
নিরাপদে থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
সেদিন সন্ধ্যায় একজন আমাকে বললো
এই যে আমার উপর ধূসর নীলাকাশ দেখছো
বলতে পারো ঐ আকাশটা কার?
আমি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম! কার?
উনি বললেন তোমার, তোমার নিজের আকাশ
তুমি ইচ্ছে মতো উড়তে পারো,বিচরণ করতে পারো ঐ আকাশে। নিঃশ্বাস নিতে পারো প্রাণভরে
আমি সেদিন বলেছিল আকাশ কালো নিজের একার হয় নাকি? যত্তসব অর্থহীন বাক্যালাপ
আজ আপনার কবিতা পড়ে মনে হচ্ছে নেহাত ই অর্থহীন ছিলো না সে বাক্য
ছাইরাছ হেলাল
আসলে প্রকৃতিকে কে কতটুকু আপনার করে নিত পারবে, কতটুকু আপনার হবে সে এক কঠিন হিসেব।
তবে হৃদয়ের প্রশস্ততা খুব জরুরী।
ভাল থাকবেন নিজ মনে।
সুরাইয়া পারভীন
আমাদের মাথার উপর
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা।
ফয়জুল মহী
পরিপক্ব ও পরিপাটি লেখা ।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ,
প্রদীপ চক্রবর্তী
চমৎকার কাব্যকথন দাদা
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সঞ্জয় মালাকার
বহমান পাতাদের ছায়ায় দাঁড়িয়ে
ভেবেছি/ভাবছি, ঐ নীলাকাশ পুরোটাই আমার;”
ভালো থাকুন নিরাপদ থাকুন শুভ কামনাদাদা 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও ভাল থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
অনেক দিন পর সত্যিই কিছু লিখলেন 🙂
কামাল উদ্দিন
সত্যিই তাহলে কিছু লিখল আজ! অথচ আমি ভাবছিলাম এতোদিন ধরে বুঝি লিখেই যাচ্ছেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, আরে ওসব কিছু না। তার সব লেখাই লেখা। তবে এটা মাথার উপ্রে দিয়ে যায়নি। ডাইরেক্ট চোখে মুখে ঝাপটা দিয়েছে। তাই বললাম 😀😀
ছাইরাছ হেলাল
@কামাল উদ্দিন, এসব কিন্তু কানপড়া!!
ছাইরাছ হেলাল
তাই নাকি!!
আমি তো এমনি এমনি লিখি।
নিরাপদে থাকুন।
কামাল উদ্দিন
আজ আপনার কবিতা পড়ার সময় ভাবনা এলো, এতো সুন্দর সুন্দর কবিতা আপনারা লেখেন কেন আমি বুঝিনা। এই কবিতার মতোই আমার কাছে আরো একটা জটিল জিনিস হলো যায়গা জমির কাগজ বুঝা। মানুষ কিভাবে এসব বুঝে তা আমার মাথায় কোনতেই ঢোকাতে পারি না
ছাইরাছ হেলাল
আমিও ঠিক আপনার মতই ভাবি, ক্যাম্নে কী!
ধুর, জটিল-ফটিল বলে কিচ্ছু নেই। সব ফকফকা
ধন্যবাদ।
হালিম নজরুল
প্রসংশা করার পরিধি অতিক্রম করতেই হয়।
আসলেই আপনি নান্দনিক এক শিল্পী।
ছাইরাছ হেলাল
আহা আহা!! সাধু সাধু।
ধন্যবাদ ভাই, নিয়মিত উস্কে দেয়ার জন্য, করোনাকালে।
ভাল থাকবেন।
রেহানা বীথি
অনিঃশেষ নীরবতার অনুভবে থেকে যায়
কিছু ঔজ্জ্বল্যের বিভা, অর্থহীন ঊর্ণাজালের মত।
আপনার কবিতা সবসময়ই উজ্জ্বল।
ছাইরাছ হেলাল
অনুপ্রাণিত বোধ করি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
শুধু ভাবছেন কেন, নীলাকাশ তো আপনারই 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ত হলে তো হয়েই গেল!
ইঞ্জা
ডানা ম্যালা শঙ্খচিল, পাহাড়বাড়ী,
স্বপ্নের তলদেশে বিচূর্ণ দেয়াল,
বিস্মৃতিতে ফেলে রাখা ফেলে দেওয়া
কল্পকাহিনীর মত কিছু অর্থহীন দোলাচাল,
লিখে-টিখে ফেলে রাখা কিছু যতি চিহ্ন,
চিরন্তন মধ্যাহ্নের জ্বল-ছায়ায় ফেলে রাখা
সময়ের চকিত হৃদস্পন্দনের রেখাচিহ্ন;
এই অকালে এমন কঠিন শব্দে মাথাডা গুরান্টি দিয়ে উঠলো কুবিরাজ ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা হা, বুঝছি ভাইজানে হ্যার মাথাডা দেয়ালে বাইড়া বাইড়ি করছে!
ভাল থাকবেন ভাই।
ইঞ্জা
হি হি হি।
শুভেচ্ছা ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
মাহবুবুল আলম
হেলাল ভাই!
কবিতাটি পড়লামবেশ ভাল লাগলো! শুভেচ্ছা জানবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি পরছেন জেনে ভাল লাগলো।
শুভেচ্ছা আপনাকেও, আপনি ও ভাল থাকবেন এই করোনাকালে।
তৌহিদ
আমাকেও এক টুকরো আকাশ দেবেন? বন্দীঘর আর অন্ধকার কুঠুরি ছেড়ে একটু নীল আকাশ দেখতে চাই।
ছাইরাছ হেলাল
দেরি কেন, বারান্দায় দাঁড়িয়ে সামান্য উঁকিঝুঁকি চালু করুন,
তবে অন্য কোন দিকে নয়, ঊর্ধ্মুখি হয়ে।
নিরাপদে থাকতে হবে।