
হৃদয়ারণ্যে আবেগ উন্মনে, প্রচণ্ড ঝড়ের প্রাণোল্লাসে
সবুজাভ কুড়ি থেকে ক্রম গাঢ় সবুজ
হতে হতে পাতারা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে,
সবুজে সবুজ হয়ে দিগন্ত থেকে দিগন্তে
সারি সারি নন্দন-বনে।
পাতাদের চোখ-ইশারায় প্রণয় শিহরণ
কলিদের ঠোঁটে, উথাল-পাতাল উন্মুখ যন্ত্রণা কাঁপন।
প্রলয় তাণ্ডব শেষে বৃন্তচ্যুত ফুল-পাঁপড়ি
ঝরে পরে অ-বিস্মিত হাহাকারে,
গভীর হৃদয়গ্রাহী মধুক্ষরা বলে, বিদায়;
ঝরে পড়া হলুদ পাতারা উড়ে যাচ্ছে,
উড়িয়ে নিচ্ছে হাওয়ারা শুকনো পাতাদের মত,
কোলাহল-বাতাস অবিশ্বাস্য মিঠালো চাহুনিতে
ভাবছে, কে যে কার সওয়ারি!
২৪টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভালো লাগলো । কে যে কার সওয়ারি বিষয়টি সত্যিই ভাবনার । শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
আসলেই কে যে কার ঘাড় কখন মটকায় কে জানে!
ভাল থাকবেন আপনি।
ইসিয়াক
ফুল পাতার কাব্য খুব ভালো লাগলো ।
শুভকামনা জানবেন ভাইয়া্ ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার জন্য ও শুভেচ্ছা।
অনন্য অর্ণব
পাতাদের চোখ-ইশারায় প্রণয় শিহরণ
কলিদের ঠোঁটে, উথাল-পাতাল উন্মুখ যন্ত্রণা কাঁপন।।
ওয়াও…কি কথা। দারুন।
ছাইরাছ হেলাল
ধুর! কী না কী কন!
এগুলাইন আমি লিখি নাই!
সাবিনা ইয়াসমিন
সবুজ পাতারা বসন্তের স্বপ্নে বিভোর
হাওয়ায় উড়ে উড়ে বাসন্তী রঙে সাজিয়েছে নিজেদের
প্রতি-অঙ্গ,
হিম হিম হিমালয়ের ছন্দে
উত্তুরে হাওয়ায় গুন-গুন সুরে বেজে উঠে
ফাগুনের কন্ঠ।
বসন্ত আসছে আরও রঙ্গীন হয়ে……
ছাইরাছ হেলাল
কেউ ঝরা পাতা দেখে, কেউ পাতা ঝরা দেখে,
দেখে বসন্ত-স্বপ্ন! কেউ গুন গুন শোনে, কেউ কুন কুন করে ভাবে
ক্যামনে কি হয়!
আসুক বসন্ত স্বপ্ন-ডানার রঙিন উচ্ছাস-আলোয়! আসুক এবার!
রেহানা বীথি
বাসন্তীধ্বনি ওড়ে ঝরে পড়া পাতায় পাতায়।
চমৎকার কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই বসন্ত এসেছে দ্বারে,
আসবে আরও কাছে, গা ঘেঁষে।
ধন্যবাদ।
ফয়জুল মহী
অসাধারণ লিখনী । শুভেচ্ছা সতত ।
তৌহিদ
পাতা ঝড়া গাছে নতুন কুঁড়ি আসবে অচিরেই। মহা প্রণয়ের মিলন রচিত হবে পত্রমুকুলে। আর বেশী দেরী নেই।
ছাইরাছ হেলাল
সে তো বুঝতেই পারছি, বেশি দেরি নাই, যা কাঁদাকাটা করতেছেন!
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
বসন্তের এই জাগ্রত দ্বারে
প্রকৃতির সাড়া পড়ে।
ভালো লাগলো।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই বসন্ত দ্বারে এসেছে,
আপনাকেও শুভ কামনা।
পর্তুলিকা
বুঝিনি। এটাকি দুঃখের কবিতা?
ছাইরাছ হেলাল
না, এটি কোন দুঃখের লেখা না।
শুধু একটি প্রশ্ন,
ঝরে যাওয়া পাতারা কী নিজেরেই বাতাসে ভেসে যায়?
নাকি, বাতাস পাতাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়?
নিতাই বাবু
খুব ভালো লাগলো শ্রদ্ধেয় কবি ছাইরাছ দাদা। শুভেচ্ছা জানবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
মোহাম্মদ দিদার
অসাধারণ শব্দবুননে মনমুগ্ধ কর কাব্য, পাঠে বেশ তৃপ্ত হলো মন।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ অনেক।
জিসান শা ইকরাম
সবুজ পাতারা হাহাকার করে ঝরে পরলো,
এরমধ্যে মিঠালু চাহনি আসে ক্যামনে ! 🙂
ছাইরাছ হেলাল
“প্রলয় তাণ্ডব শেষে বৃন্তচ্যুত ফুল-পাঁপড়ি
ঝরে পরে অ-বিস্মিত হাহাকারে,”
অ-বিস্মিত হাহাকার, তাণ্ডব শেষে পাতাদের যা যা হয়,
আর এখানে বাতাস হাসে মিঠালো চাহুনিতে!
হচ্ছেটা কী! বুঝতে চায়!
বুঝতে হলে পড়তে হপে!