কর্পোরেট দুনিয়ার হাত ধরে মিডিয়া অসভ্যতা-অসুস্থতাকে প্রমোট করে যাচ্ছে বহুদিন ধরে। কর্পোরেট দুনিয়ার চেয়েও অসভ্য-অসুস্থ এখনকার বাবা-মা। তারা তাদের সন্তানকে সভ্য হবার দীক্ষা দেয় না। তাদের সামাজিক-মানবিক আচরণ শেখায় না। তাদের শেখায় শুধুমাত্র আয় করার দীক্ষা। বাচ্চার হাতে পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বই তুলে দেয়া হয় না। এখনকার ৮-১৫ বছরের বাচ্চারা ‘প্রজাপতি প্রজাপতি/ কোথা পেলে ভাই/ এমন রঙিন পাখা’ গানটা শুনেই নি। বাচ্চাদের হাতে আমরা হারমোনিয়াম দেই না। যদি দেই, তাহলে তা রিয়েলিটি শো’র প্রস্তুতির লক্ষে। দুটো গান ভাল গাইলেই মঞ্চ থেকে আসবে টাকা আর টাকা। আমি ৮/৯ বছরের বাচ্চাকে মঞ্চে গাইতে দেখেছি ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে’।
বাচ্চাদের জন্য মাঠ নেই। বয়লার মুরগীর মতো এক জায়গায় বন্দী। পরিবারের আয় করা লোকগুলো হয় দূর্নীতি না হয় রাজনীতিতে ব্যস্ত। অবৈধ আয়ের টাকায় সবাই ভাত-মাংস খায়। পরিবার থেকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের কোন শিক্ষাই পায় না, এখনকার বাচ্চারা। অসভ্য বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের হাতে তুলে দিয়েছে মোবাইল ফোন। পাপাজি-গাবজি খেলতে খেলতে মানসিক জানোয়ার হয়ে উঠছে তারা। হাত থেকে মোবাইল নিয়ে গেলে পারলে মারতে আসে। বিশেষ করে মায়েদের স্বপ্ন একটাই। স্কুল-কোচিং-প্রাইভেট। তারপর আবার স্কুল কোচিং প্রাইভেট। সন্তানকে জানোয়ার হিসেবে দেখতে মায়েরা দিন-রাত প্রার্থনায় ব্যস্ত।
আমরা আমাদের বাচ্চাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শিক্ষা দেই না। শিক্ষা দেই ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিকৃত বক্তব্য কে।
এক মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় আমাদের কিছু মানুষ মৃত্যুর সাথে লড়ছে। আমরা তাদের জন্য প্রার্থনা করবো। একটু খোঁজখবর নেবো। কিন্তু না! আমরা তাদের গালিগালাজ করছি। তাদের মৃত্যু কামনা করছি। আমরা হাহা রিএ্যক্ট দিচ্ছি। তারা কি যুদ্ধাপরাধী? তারা কি জামাতী? তাদের প্রতি এত ক্রোধ কেন?
যারা এই কাজটি করছে তাদের পারিবারিক চিত্র খুঁজতে গেলে দেখা যাবে, প্রতিটা পরিবার নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত। পরিবারে সার্টিফিকেটধারী কেউ থাকলেও, মানসিক শিক্ষিত লোকজন নেই। পরিবারের সদস্যদেরই নিজেদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক নেই। তারা জীবনে ক্ষয় হতে হতে নর্দমার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। আর তাদের সেই ক্ষোভ এবং ক্ষোভ থেকে জন্ম নেয়া বিকৃত মানসিকতার বহি:প্রকাশ ঘটছে ফেসবুকের আনাচে কানাচে।
এত বর্বর আর বিকৃত মানসিকতার গড় পৃথিবীতে আর কোন দেশে আছে বলে মনে হয় না। এখানে কারো ভালো চেয়ে প্রার্থনা হয় না। এখানে প্রার্থনা হয় ধ্বংস চেয়ে। এখানে ভালবাসার জয় হয় না। এখানে জয় হয় দূর্নীতির। এখানে যে যত বড় ঠগ, সে তত বেশী সুবিধাভোগী।
বর্বর-অসভ্য জাতি হিসেবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবী করতেই পারি। জাতির দুর্বল-অসভ্য অংশ দিয়ে অন্ত:ত একটা কিছু অর্জন আসুক।
জামাতী আপনার ভাবনায় হয়ত রাজনৈতিক দল। কিন্তু আমি শব্দটাকে দেখি একটা নীতি হিসেবে। যে নীতি শিক্ষা দেয় নীতিহীন হয়ে নিজ স্বার্থে এবং লোভে নিজ মাটি-মানুষের সাথে প্রতারণা করা, হত্যার আয়োজন করা এবং হত্যা করাকে। যে নীতি একজন মানুষকে রাষ্ট্র-সমাজ এবং মানবতা বিরোধী হিসেবে গড়ে তুলে। যে নীতি মা-মাটি দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে মানুষের মনুষত্ব্যকে হত্যা করে, বিবেককে হত্যা করে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প দিয়ে মানুষের ভাবনার জগতকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে সেই দল না করেও, যে ব্যাক্তি এমন কাজে জড়িত তাকে আমি জামাতী বলি। আর এই ফ্রাঙ্কেনস্টাইন এর মৃত্যু কামনা অবশ্যই জরুরী।
ধন্যবাদ
আপনার দৃষ্টিতে জামাতি যেমন দেশের জন্যে ক্ষতিকর বলে আপনি তাদের মৃত্যু কামনা জায়েজ মনে করছেন, ঠিক একই যুক্তিতে এই চারজনের মৃত্যু কামনাও অনেকের কাছে জায়েজ মনে হয়েছে।
অন্যের চিন্তাভাবনা নিয়ে খোচা দেওয়ার আগে নিজের চিন্তার স্বচ্ছতা নিয়েও একবার ভাবা উচিৎ।
সব মৃত্যুতে মন কাঁদবে এমন কোন কথা নেই। মোস্তাকের মৃত্যুতে বা বাংলা ভাইদের মৃত্যুতে কান্না আসে নি। সেটা ছিল অভিশাপ মুক্তির আনন্দ। কিন্তু কারো জন্য ক্ষতিকর নয়, শুধুমাত্র গত ২০ বছরের বিকৃত ওয়াজের কল্যাণে বেড়ে ওঠা কিশোর-তরুণদের মধ্যে যে বিকৃতপনা এসেছে এবং তার দরুণ যে যে স্বাভাবিক বিবেক লোপ পেয়েছে সেটাই বলছে নষ্টদের সংখ্যা বাড়ছে।
এই নষ্টের জন্য প্রধানদায়ী কারা:
১. রাজনিতির ব্যার্থতা:- স্কুল, কলেজ, মাঠেঘাটে,
প্রসাশনে, এলেকশনে, সর্বোচ্চ আইন তোইরির কারখানায় সব জায়গায়।
২. বর্তমান সরকার মুক্তি্যদ্ধারের নিয়ে ব্যাবস্যা বা ভন্ডামি করছে অনেক এম পি মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধায় হত্যায় জড়িত বিচার হইনি।
৩. ঘরে ঘরে মাদক ও অবৈধ্য মোবাইল অনলাইন গ্যাম বন্ধ করতে পারছেনা অথঁচ বি টি আর সি নেট ব্যবস্যা নিয়ে অবৈধ্য কাজ করছে। সুবিখ্যাত মাদক ব্যবস্যায়ে নমিনেশন না দিয়ে দিল ঘরে লক্ষিকে। নেট মোবাইল কানেকশন বন্ধ করে দিক নিয়ন্ত্রন যখন করতে পারেনা।
৪. আওয়ামি পিটানো ব্যক্তি আজ ও আওয়ামি পীটাচ্ছে সালার আওয়ামিলীগ করায় দোষ। যে সব সময় বেদলে থেকেও পিটায়েছে দলে এসেও পিটাচ্ছে। কি মজা!
সব নিয়ত্রন করতে ব্যার্থ সরকার। সব দোষ সরকারের। ছাত্রলিগ দিয়ে শিক্ষক পিটাচ্ছে, আদর্শকে পিটাচ্ছে, নিতিকে পিটাক্সছে।
অন্যায় করছে একজন শাস্তই দিচ্ছে অন্যকে। রাজনৈতিক ও প্রসাশনের হাতে।
আমি ভিন্নভাবে দেখি ব্যপারটা। একটা বড় কারণ হচ্ছে: ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামীলীগ করে। এটা সরকারের অনেক বড় ভুল। সবাইকে লীগ করতে দেয়ার সুযোগটা আত্মঘাতি। এর বাইরে অভিভাবকদের অতি কোচিং প্রীতি এবং বাইরের দুনিয়ার সাথে বাচ্চাদের পরিচিত করতে অনাগ্রহ একটা ভয়াবহ ব্যপার। সেই সাথে আত্মীয়-পরিজনদের সাথে সম্পর্কের জায়গাটাও অনেকাংশে হারিয়ে যাওয়া।
ধন্যবাদ
কোচিং নিয়ে কি বলব? কোচিঙ্গের মালিকরা তাঁদের সন্তান্দের মাঠে নামিয়ে আন্দোলন করল। কোচিং এ ভালো শিখানো হয় কিন্তু শিক্ষক সমাজকে অপমান করা আবার শিক্ষকরাও এই কোচিঙ্গে জড়িত কাকে বুল্বেন ভাই।
হ্যাঁ এখন শহুরে সমাজে দাদা-দাদী, চাচা-চাচী, চাচাতো ভাই-বোন চেনেনা। ঈদে বা কালে কখন যায় তাও দুই একদিন থেকে চলে আসে, যেখানে পারিপারিক বন্ধন থাকেনা সমাজ অনেক দূরে!
আপনার সুন্দর মন্তব্যে ভালো লাগলো।
সুন্দরভাবে অবশ্যই সবার বেঁচে থাকার অধিকার আছে। কিন্তু এখন সবাই মিলে সুন্দরভাবে থাকার চিন্তা করার মানুষের সংখ্য খুবই নগন্য। বেশীরভাগ নিজে ভাল থাকার জন্য অন্যের ক্ষতি করছে। পারিবারিকভাবে ঘুষখোর বাবা বা সন্তান নিয়ে গর্বিত সবাই।
জীবনের অতি বাস্তবতা সুন্দর করে ফুটে উঠেছে — “বাচ্চাদের জন্য মাঠ নেই। বয়লার মুরগীর মতো এক জায়গায় বন্দী। পরিবারের আয় করা লোকগুলো হয় দূর্নীতি না হয় রাজনীতিতে ব্যস্ত। অবৈধ আয়ের টাকায় সবাই ভাত-মাংস খায়। পরিবার থেকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের কোন শিক্ষাই পায় না, এখনকার বাচ্চারা। অসভ্য বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের হাতে তুলে দিয়েছে মোবাইল ফোন। পাপাজি-গাবজি খেলতে খেলতে মানসিক জানোয়ার হয়ে উঠছে তারা। হাত থেকে মোবাইল নিয়ে গেলে পারলে মারতে আসে”।
– “বর্বর-অসভ্য জাতি হিসেবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবী করতেই পারি”— অবশ্যই এর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতেই হবে।
পারিবারিক সুশিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় এবং সামাজিক শিক্ষা জরুরী। সবচেয়ে বেশি জরুরি মানুষের নৈতিক শিক্ষা। কাউকে ভালোলোক বলতে গিয়ে আরেকজনকে তুলনায় ছোটলোক বলা যায় না। সহমর্মিতা প্রদর্শন করা মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ। এটা সকলের ক্ষেত্রে হওয়া উচিৎ।
হু, দুঃখজনক সত্যি। বর্তমানে অনৈতিক পথে উপার্জনকারীরা পরিবার/সমাজের কাছে গ্রহনযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এবং উৎসাহিত হচ্ছে নিজ পরিবার থেকেই।
অথচ মনে রাখা দরকার এসব কারো জন্যেই সুফল বয়ে আনে না। পরিবারের বিশেষ কেউ অতিরিক্ত দূর্নীতিবাজ হয়ে গেলে ক্ষেত্রবিশেষে সেই মাসুল অন্যদেরও ভোগ করতে হয়।
এই অসভ্য বর্বর জাতির দলে আমি বা আমরা সবাই। আমরা সবাই মিছে মরিচীকার পিছনে ছুটছি। যেকোনো উপায়ে আমাদের পাহাড়ের শীর্ষে আরোহণ করতে হবে। কিন্তু শীর্ষে আরোহণ করতে হলে যে পরিশ্রম করতে হয় তা করতে চাইনা। সবকিছুতে শর্টকাট পদ্ধতি খুঁজি।যা আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিচ্ছে। আরজু আপার সাথে একমত কাউন্সিলিং প্রয়োজন। শুভ কামনা রইলো।
২৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সাধারণ মানুষ সত্যিই অসভ্য,ইতরদের কাতারে যোগ দিয়েছে। এদের ভাষা, ব্যবহারে ব্যথিত হয়ে যাই, সুশিক্ষার অভাব প্রচন্ড ভাবে দেখা যায়।
তির্থক আহসান রুবেল
পারিবারিকভাবে বাচ্চাদের সুষ্ঠ শিক্ষা দেয়া হচ্ছে না।
ধন্যবাদ
আরজু মুক্তা
কাউন্সিলিং জরুরী। সেটা স্কুলে হোক। বাসায় হোক।
তির্থক আহসান রুবেল
নিয়মিতভাবে বাবা-মা-শিক্ষক এবং বাচ্চাদের এই কাউন্সিলিং জরুরী।
নাজমুল আহসান
আপনিই বললেন কারও মৃত্যু কামনা করা যাবে না। কিন্তু এই লাইনটার মানে কী? কেউ জামাতি হলে তার মৃত্যু কামনা করা যাবে? এই সভ্যতা কোন স্কুলে শেখায়?
তির্থক আহসান রুবেল
জামাতী আপনার ভাবনায় হয়ত রাজনৈতিক দল। কিন্তু আমি শব্দটাকে দেখি একটা নীতি হিসেবে। যে নীতি শিক্ষা দেয় নীতিহীন হয়ে নিজ স্বার্থে এবং লোভে নিজ মাটি-মানুষের সাথে প্রতারণা করা, হত্যার আয়োজন করা এবং হত্যা করাকে। যে নীতি একজন মানুষকে রাষ্ট্র-সমাজ এবং মানবতা বিরোধী হিসেবে গড়ে তুলে। যে নীতি মা-মাটি দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে মানুষের মনুষত্ব্যকে হত্যা করে, বিবেককে হত্যা করে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প দিয়ে মানুষের ভাবনার জগতকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে সেই দল না করেও, যে ব্যাক্তি এমন কাজে জড়িত তাকে আমি জামাতী বলি। আর এই ফ্রাঙ্কেনস্টাইন এর মৃত্যু কামনা অবশ্যই জরুরী।
ধন্যবাদ
নাজমুল আহসান
খেয়াল করেছেন, আপনার বক্তব্য স্ব-সাংঘর্ষিক হয়ে গেছে?
আপনার দৃষ্টিতে জামাতি যেমন দেশের জন্যে ক্ষতিকর বলে আপনি তাদের মৃত্যু কামনা জায়েজ মনে করছেন, ঠিক একই যুক্তিতে এই চারজনের মৃত্যু কামনাও অনেকের কাছে জায়েজ মনে হয়েছে।
অন্যের চিন্তাভাবনা নিয়ে খোচা দেওয়ার আগে নিজের চিন্তার স্বচ্ছতা নিয়েও একবার ভাবা উচিৎ।
মনির হোসেন মমি
যথার্থ বলেছেন-নষ্টদের দখলে এ জাতি আর কোন সভ্য হওয়ার লক্ষণ দেখছি না।
মানুষের মৃত্যুতেও কাদে না মন এ কেমন জাতি!
তির্থক আহসান রুবেল
হুম
তির্থক আহসান রুবেল
সব মৃত্যুতে মন কাঁদবে এমন কোন কথা নেই। মোস্তাকের মৃত্যুতে বা বাংলা ভাইদের মৃত্যুতে কান্না আসে নি। সেটা ছিল অভিশাপ মুক্তির আনন্দ। কিন্তু কারো জন্য ক্ষতিকর নয়, শুধুমাত্র গত ২০ বছরের বিকৃত ওয়াজের কল্যাণে বেড়ে ওঠা কিশোর-তরুণদের মধ্যে যে বিকৃতপনা এসেছে এবং তার দরুণ যে যে স্বাভাবিক বিবেক লোপ পেয়েছে সেটাই বলছে নষ্টদের সংখ্যা বাড়ছে।
মোঃ মজিবর রহমান
এই নষ্টের জন্য প্রধানদায়ী কারা:
১. রাজনিতির ব্যার্থতা:- স্কুল, কলেজ, মাঠেঘাটে,
প্রসাশনে, এলেকশনে, সর্বোচ্চ আইন তোইরির কারখানায় সব জায়গায়।
২. বর্তমান সরকার মুক্তি্যদ্ধারের নিয়ে ব্যাবস্যা বা ভন্ডামি করছে অনেক এম পি মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধায় হত্যায় জড়িত বিচার হইনি।
৩. ঘরে ঘরে মাদক ও অবৈধ্য মোবাইল অনলাইন গ্যাম বন্ধ করতে পারছেনা অথঁচ বি টি আর সি নেট ব্যবস্যা নিয়ে অবৈধ্য কাজ করছে। সুবিখ্যাত মাদক ব্যবস্যায়ে নমিনেশন না দিয়ে দিল ঘরে লক্ষিকে। নেট মোবাইল কানেকশন বন্ধ করে দিক নিয়ন্ত্রন যখন করতে পারেনা।
৪. আওয়ামি পিটানো ব্যক্তি আজ ও আওয়ামি পীটাচ্ছে সালার আওয়ামিলীগ করায় দোষ। যে সব সময় বেদলে থেকেও পিটায়েছে দলে এসেও পিটাচ্ছে। কি মজা!
সব নিয়ত্রন করতে ব্যার্থ সরকার। সব দোষ সরকারের। ছাত্রলিগ দিয়ে শিক্ষক পিটাচ্ছে, আদর্শকে পিটাচ্ছে, নিতিকে পিটাক্সছে।
অন্যায় করছে একজন শাস্তই দিচ্ছে অন্যকে। রাজনৈতিক ও প্রসাশনের হাতে।
সর্পরি সেখানে কি আশা করা যায়।
তির্থক আহসান রুবেল
আমি ভিন্নভাবে দেখি ব্যপারটা। একটা বড় কারণ হচ্ছে: ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামীলীগ করে। এটা সরকারের অনেক বড় ভুল। সবাইকে লীগ করতে দেয়ার সুযোগটা আত্মঘাতি। এর বাইরে অভিভাবকদের অতি কোচিং প্রীতি এবং বাইরের দুনিয়ার সাথে বাচ্চাদের পরিচিত করতে অনাগ্রহ একটা ভয়াবহ ব্যপার। সেই সাথে আত্মীয়-পরিজনদের সাথে সম্পর্কের জায়গাটাও অনেকাংশে হারিয়ে যাওয়া।
ধন্যবাদ
মোঃ মজিবর রহমান
কোচিং নিয়ে কি বলব? কোচিঙ্গের মালিকরা তাঁদের সন্তান্দের মাঠে নামিয়ে আন্দোলন করল। কোচিং এ ভালো শিখানো হয় কিন্তু শিক্ষক সমাজকে অপমান করা আবার শিক্ষকরাও এই কোচিঙ্গে জড়িত কাকে বুল্বেন ভাই।
হ্যাঁ এখন শহুরে সমাজে দাদা-দাদী, চাচা-চাচী, চাচাতো ভাই-বোন চেনেনা। ঈদে বা কালে কখন যায় তাও দুই একদিন থেকে চলে আসে, যেখানে পারিপারিক বন্ধন থাকেনা সমাজ অনেক দূরে!
আপনার সুন্দর মন্তব্যে ভালো লাগলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সুন্দর ভাবে বাঁচার অধিকার সবার আর নিয়ম কানুনও সবার জন্য সমান। সে বিএনপি, লীগ বা জামাত যেই হোক। আর সমস্যা ঠিক এখানেই!!!
তির্থক আহসান রুবেল
সুন্দরভাবে অবশ্যই সবার বেঁচে থাকার অধিকার আছে। কিন্তু এখন সবাই মিলে সুন্দরভাবে থাকার চিন্তা করার মানুষের সংখ্য খুবই নগন্য। বেশীরভাগ নিজে ভাল থাকার জন্য অন্যের ক্ষতি করছে। পারিবারিকভাবে ঘুষখোর বাবা বা সন্তান নিয়ে গর্বিত সবাই।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
জীবনের অতি বাস্তবতা সুন্দর করে ফুটে উঠেছে — “বাচ্চাদের জন্য মাঠ নেই। বয়লার মুরগীর মতো এক জায়গায় বন্দী। পরিবারের আয় করা লোকগুলো হয় দূর্নীতি না হয় রাজনীতিতে ব্যস্ত। অবৈধ আয়ের টাকায় সবাই ভাত-মাংস খায়। পরিবার থেকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের কোন শিক্ষাই পায় না, এখনকার বাচ্চারা। অসভ্য বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের হাতে তুলে দিয়েছে মোবাইল ফোন। পাপাজি-গাবজি খেলতে খেলতে মানসিক জানোয়ার হয়ে উঠছে তারা। হাত থেকে মোবাইল নিয়ে গেলে পারলে মারতে আসে”।
– “বর্বর-অসভ্য জাতি হিসেবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবী করতেই পারি”— অবশ্যই এর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতেই হবে।
তির্থক আহসান রুবেল
ধন্যবাদ
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনাকেও ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
পারিবারিক সুশিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় এবং সামাজিক শিক্ষা জরুরী। সবচেয়ে বেশি জরুরি মানুষের নৈতিক শিক্ষা। কাউকে ভালোলোক বলতে গিয়ে আরেকজনকে তুলনায় ছোটলোক বলা যায় না। সহমর্মিতা প্রদর্শন করা মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ। এটা সকলের ক্ষেত্রে হওয়া উচিৎ।
শুভ কামনা 🌹🌹
তির্থক আহসান রুবেল
সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে: পারিবারিকভাবে ঘুষখোর পিতা-মাতা বা সন্তান নিয়ে অন্যরা গর্বিত। দূনীতিকে পারিবারিকভাবে গ্রহণ ও উৎসাহিত করা হয়।
সাবিনা ইয়াসমিন
হু, দুঃখজনক সত্যি। বর্তমানে অনৈতিক পথে উপার্জনকারীরা পরিবার/সমাজের কাছে গ্রহনযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এবং উৎসাহিত হচ্ছে নিজ পরিবার থেকেই।
অথচ মনে রাখা দরকার এসব কারো জন্যেই সুফল বয়ে আনে না। পরিবারের বিশেষ কেউ অতিরিক্ত দূর্নীতিবাজ হয়ে গেলে ক্ষেত্রবিশেষে সেই মাসুল অন্যদেরও ভোগ করতে হয়।
তির্থক আহসান রুবেল
একদম
হালিমা আক্তার
এই অসভ্য বর্বর জাতির দলে আমি বা আমরা সবাই। আমরা সবাই মিছে মরিচীকার পিছনে ছুটছি। যেকোনো উপায়ে আমাদের পাহাড়ের শীর্ষে আরোহণ করতে হবে। কিন্তু শীর্ষে আরোহণ করতে হলে যে পরিশ্রম করতে হয় তা করতে চাইনা। সবকিছুতে শর্টকাট পদ্ধতি খুঁজি।যা আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিচ্ছে। আরজু আপার সাথে একমত কাউন্সিলিং প্রয়োজন। শুভ কামনা রইলো।
তির্থক আহসান রুবেল
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে অনিয়ম-দূর্নীতিকে আমরা পারিবারিকভাবে সমর্থন করছি। ঘুষখোর বাবা-মা-সন্তানকে আমরা আদর্শের জায়গায় রাখছি। কতটা বিকৃত হয়ে গেছি আমরা!
নার্গিস রশিদ
একটা অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। সুকোমল বৃত্তির মৃত্যু হয়েছে। শুভ কামনা।
তির্থক আহসান রুবেল
ধন্যবাদ