
বৃক্ষ দাঁড়িয়ে আছে, তা অনেক কাল তো হবেই, বেহিসেবে। শেকড় গুলো ভেতর-মাটি ফুঁড়ে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, কেউ কেউ ছড়িয়ে পড়েছে, ছড়িয়ে যাচ্ছে, ক্রমাগত। অনেক তো থাকা হলো আধার বিক্ষেপে, এবারে একটু হাওয়া জলের গন্ধ শোঁকা, জল, বাতাস ।
চিকিৎসা রহিত রোগে বাকল বাকলে ফাটলে ফাটলে দগদগে যন্ত্রণা, কীটের বসতি। ফুল-ফল
পাখি-মানব শিশুরা, বয়স্ক শিশু, যুবক, যুবতী, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা আসে, যায়, নিয়ম মেনে।
বৈদ্যুতিক তার, ইট, কাঁটাতার, সুতো, দড়ি জড়িয়ে-ছড়িয়ে আছে গলা অব্দি, পেরেকে-পেরেকে ঝুলে আছে সাহায্য বস্ত্র, শিশু, ছোট, বড়, মেজ ও বুড়োদের। বাচ্চাদের ঝকঝকে পুতুল। বাতাস ছড়িয়ে দিচ্ছে, বিষাক্ত ধোয়া-ধুলো, ডালে ডালে ঝুলে আছে অজস্র সবুজ-মিনিট, ক্রমাগত ভারী হতে হতে। অকস্মাৎ নিজ ডাল নিজের গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যায় ব্যস্ত হয়ে পরে। করা হয় না, মহাপাপের জ্ঞান নেই। গাছের তলায় বসায়-নি কেউ বিবিবিলাস বা বিশ্রাম-পথিক, প্রমোদ কবিদের আনাগোনা।
অকস্মাৎ এক খড়-দুপুরে নেমে আসে এক প্রচণ্ড-প্রলয়-বজ্র।
৪২টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
হইলাম প্রথম
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি
সবাইকে এমন দিনে সতর্ক থাকতে হবে।নতুবা বিপদ আছে।ভাল লাগল।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, বলা যায় না কখন কী হয়ে যায়।
সাবিনা ইয়াসমিন
কয়েকটি যায়গায় বানান ভুল হয়েছে। মনে হচ্ছে মহারাজ এগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছেন। সমালোচনা নিতে মন চায় ? 😂😂
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, বানাম ভুল অইতে পারে না?
এই দেখুন দুটো কিন্তু ঠিক করে দিয়েছি।
এমন পাঠক আমি চাই। ধন্য এবং কৃতার্থ বোধ করছি।
আশা করি চালু রাখবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
” ডালে ডালে জুলে আছে অজস্র সবুজ মিনিট ”
জুলের স্থানে ঝুলে হবে।
” এক খড়- দুপুরে মেনে আসে এক প্রচন্ড -প্রলয়-বজ্র ”
মেনে না ,নেমে হবে। 🙂
প্রহেলিকা
মাত্র দুইখান দেখলেন! আরও আছে আরও আছে অন্তত হালি খানেক।
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজের এতো ভুল ধরলে ক্লাসে যায়গা পাবো ? টিফিন বক্স নিজের কাছে নিয়ে রেখে দিলে আমরা কি খেয়ে লিখবো প্রহেলিকা !!
ছাইরাছ হেলাল
সাহায্য করুন প্লিজ, আপনারাই আপন জন। কবিরাই কবি।
তাহারা হয় দয়ালু।
বলা মাত্র ঠিক করে ফেলব, খাতায় লিখেও রাখব।
ছাইরাছ হেলাল
যে যত বেশি ভুল ধরতে পা্রবে সে শুধু সামনের বেঞ্চেই নয়
শিক্ষকের চেয়ারেও বসবে।
প্রহেলিকা
উনি কবি মানুষ, কবিরা উদার হয় জানি। এমনিটা উনি করতেই পারে না।
যায়গা-জায়গা
প্রহেলিকা
ভুল ধরতে “পাড়বে” হবে না’কি “পারবে”?
এত্তো এত্তো ভুল!
সাবিনা ইয়াসমিন
আহা!! এই না হলে সহপাঠী!! পরীক্ষায় পাশ হতে আর কেউ ঠেকাতে পারবে না 😂
ছাইরাছ হেলাল
কে পুত্তম আর কে দিত্ত তা আগে নিজেরা ঠিক করে নিন।
টিফিন খাওয়ার আগেই।
সাবিনা ইয়াসমিন
@ মহারাজ, আপনি বেল–দূর্ঘটনায় সবই ভুলে গেছেন। তাই আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি,
প — প্রহেলিকা প্রথম ( সে প্রথমে আসবেই)
স — সাবিনা সমাপ্ত ( সে প্রহেলিকার সাইডে বসবে, এটা কিন্তু প্রহেলিকা কাউকে বলতে নিষেধ করেছে 😂)
মনে থাকে যেনো।
প্রহেলিকা
আপনি কি খেতে চান তালিয়ে দিয়ে দেবেন। আমিওতো বলি আমি প্রথম হই কিভাবে। এ দেখছি নামগত প্রভাব।
আপ্নাকেও দিব তাইলে টিফিনের ভাগ।
প্রহেলিকা
তালিয়ে- তালিকা
প্রহেলিকা
ছবির তরজমা পড়লাম, গল্প কই! কবি আজকাল গল্প লেখা শুরু করলো, গল্পকারেরা তো সব পানতা ভাতে মরবে।
ছাইরাছ হেলাল
গপ্পো লেখা খুব কঠিন এক কাজ, এ সবাই পারে না,
এর পর ভাবছি অন্যান্যতে ফেলব। গল্পের ছল মাত্র। না লিখলে হাত বিষ, মাথা বিষ হয় শুনেছি,
তাই আগেই লাইন ক্লিয়ার রাখলাম।
বিরাট গপ্পো ফেঁদে বসে আছি।
আপনার কাব্য কলা কৈ? দ্রুত নেমে পড়ুন।
প্রহেলিকা
উস্কানি বহুত হইছে আর না। ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায়।
তা গল্প তো গল্পের মতোই হলো, এরচে ভাল অণুকে ট্রাই মারা যায়। এ সবই নখদর্পণে আপনার।
ছাইরাছ হেলাল
ন্যাড়া এবার না হয় তাল তলায় যাবে, সমস্যা কী, আমরা আছি না।
নাহ, এখনই অনুতে নামছি না, আরও দু’একটি লেখার ইচ্ছে আছে।
সাবিনা ইয়াসমিন
বৈশাখে আমতলায় যেতে হয়। ভাদ্রের তাল এখন খুঁজে কি লাভ?
ছাইরাছ হেলাল
ফাইন বলেছন,
পাকা আম-জামের মধু মধু রসে
মুখ হবে রঙিন,
কিন্তু বৈশাখের আম কাঁচা খেতে হবে, চাক্কুস চাক্কুস করে।
সাবিনা ইয়াসমিন
নুন–ঝালে কাঁচা আম, খাদকের রসনা বাড়ায়। পাঁকা পাঁকা আম–জামের মিষ্টিতে সেই জ্বালা কোথায় ?
ছাইরাছ হেলাল
বাপ্রে, খাদক ডরাই। শেষে আস্ত না খেয়ে ফেলে।
সাবিনা ইয়াসমিন
টাইম ছেড়ে বে–টাইমে শেকড়–বাকড় নিঃশ্বাস নিতে বেরুতে চাইলে ব্জ্র–সহ বৃষ্টিতে পুড়তে হবে বৈকি!
আরো আছে, রড–সিমেন্টের জমাট কাদায় আটকে থাকার পালা, রয়েছে কোদাল–মানবের বেশে বনদস্যুর দল। তার চেয়ে ভালো আপন ডালে ফাঁসির আসামি হয়ে থাকা।
ওওওও, এটা গল্প!! আমিতো ভেবেছিলাম এটা একটা গাল–গপ্পো 😂😂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো খুপ কঠিন এক জাতি!!
ঐ যা বলেন আপনি, গালের গপ্পো!!
মেহেরী তাজ
অবগুন্ঠন মানে কি? ঘোমটা?
এই শব্দটা খুব জ্বলাচ্ছিলো অনেক দিন ধরে। আপনিই লিখবেন ভাবিনি।
বিভাগ দেখি গল্প। গল্পটা কিসের? ছবির?
ছাইরাছ হেলাল
গল্পটা এক পিচ্ছি ভুতের!!
এবারে আপনি আর একটি অবগুণ্ঠিত লেখা লিখে দিন।
তৌহিদ
আমাদের এখনি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন, নাহলে এমন অবস্থা আসতে খুব বেশী দেরি নেই।
বিবিবিলাস কি ভাইয়া?
ছাইরাছ হেলাল
এবারে আমার না বোঝার পালা!!
আর একটু বুঝিয়ে বলুন।
বিবিবিলাস শব্দ থেকে বোঝান হয়, বয়স্ক গণিকা নবাগত গণিকাদের যেখানে শেখান, নানা কলা;
সেটি হতে পারে ৩২/৬৪/১২৮ কলা!! আবার জিজ্ঞেস করে বসবেন যেন একটু বুঝিয়ে বলুন।
তৌহিদ
বৃক্ষের যত্ন নেয়ার কথা বলেছি ভাইয়া, ভুল বললাম বা বুঝলাম কি?
একটু বুঝিয়ে বলুন প্লিজ। এই কলা শেখা কি আমারও হবে?
ছাইরাছ হেলাল
ভুল বা শুদ্ধের কিছু নেই, এ শুধু অনুভবের বিষয়, আপনার ভাবনাও সঠিক।
তবে লেখক যে কী বলে কে জানে!!
এ তো গুরুমুখী শিক্ষা, ভাল গুরু ধরুন, শেখালে শিখবেন!! সোজা নাহ!!
নীলাঞ্জনা নীলা
অবশেষে প্রবেশিলাম প্রবেশিকা দ্বারে। এই গল্পে মন্তব্য যতোবারই মন্তব্য করতে এসেছি, দেখি লগইন করা নেই। তারপর খেয়াল করে দেখলাম অন্য সব পোস্টেই আমি লগিন আছি, কুবিরাজ ভাউয়ের গল্প আর কোবতায় এলেই লগ আউট হয়ে আছি। কালা যাদু বুঝি ইহাকেই বলে।
তাই বিষয়ভিত্তিক মন্তব্য করা হইতে নিজেকে নিবৃত্ত করিয়া পরানখানি লইয়া পলায়ন করিতেছি।
ছাইরাছ হেলাল
এ কিন্তু ভারী অন্যায়।
পাওনা রহিল!!
জিসান শা ইকরাম
আজকাল গল্পও ভাল বুঝি না,
আমার মাথায় কিচ্ছু নাই বুঝা যাচ্ছে।
ছাইরাছ হেলাল
কোবতে বোঝেন না!! গল্প বোঝেন না!!
জেপন তের আনাই বৃথা।
রিতু জাহান
এ বৃক্ষ কি দাঁড়িয়ে থাকে কারো অপেক্ষায় নাকি প্রতিক্ষায়?
আচ্ছা প্রতীক্ষা আর অপেক্ষার মাঝে পার্থক্য কি?
কেউ হয়তো বরেছিলো, ঠকয় দাঁড়িয়ে থেকো আসব একদিন তোমার স্পর্শ নিতে।’
আসেনি হয়তো এ ছায়াতলে। ডাকেনি কেউ, চেঁড়েনি কেউ কচি পাতা সুর তুলবে বলে।।তবে কি কোনো পাখি নীড়ও বাঁধেনি?
তবু সে দাঁড়িয়ে থাকে ঠায় প্রতীক্ষায়। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত শতোবছর থেকে শতোবছর। কি বজ্রকন্ঠ কি বা ঝড় তুফান। এ তার প্রতীক্ষার প্রহর গোনা।
অসাধারণ বলব শুধু।
মুগ্ধতা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
মন্তব্য!! তাও তো অসাধারণ।
এখানে গাছ আসলে গাছ না, সময়ের প্রতীক,
এই সময়-গাছ আমাদের বয়ে নিয়ে যায়, আমরা হারিয়ে যাই কালের গভীরে।
শুন্য শুন্যালয়
নিজ ডাল নিজের গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা! বৃক্ষকার একজন মানুষের জীবন কতো সহজেই টেনে আনলেন।
অনেকদিন পরেই বোধহয় এতো ভালো লিখলেন।
আপনি যদিও অ-লেখক নন, অলেখক হওয়া আপনাকে দিয়ে হবেওনা।
সুন্দর। এরপর কী? গান লিখবেন?
ছাইরাছ হেলাল
সব ই আপনার খাছ দুয়ার বরকতে। আগে আম দুয়া দিয়েছেন!!
ইট্টি অ-লেখক বানিয়ে দিন, প্লিজ লাগে!! একটু কাবজাব করি!!
আপনি যা বলবেন তাইতো ল্যাক্মু!! তয় আপনার গোপন করে রাখা লেখা গুলো ল্যাক্তে মুঞ্চায়!!