কোন কোন রাত জোছনার সোনালী আলোতে উদ্ভাসিত, জোছনার সিড়ির পর সিড়ি চাঁদের সাথে মিলে যায়।
কোন কোন রাত অন্ধকারের অন্ধকারে ডুবানো থাকে, চোখ থেকে পাপড়িকে চোখ খুলেও দেখা যায় না। নিকষ কালো অন্ধকারে দূর থেকে ভেসে আসা শিয়ালের ডাক, কিছুটা দূরের কুকুরের বিরক্তিকর ঘেউ ঘেউ ডাক, জানালার পাশের গাছের ফল খেতে আসা বাদুড়ের ডানা ঝাপটানোর খস খস শব্দেরা সাথী হয়। অথচ অতি তাজা স্মৃতিতেই রাতগুলো ছিল নিজেকে ফিরে পাবার একান্ত আপন সময়। রাত্রির গভীর তলদেশের প্রতি পদক্ষেপে নিজ সত্ত্বার অনু পরমাণুর অযুত নিযুত কোটি ভগ্নাংশও যেন একটি আমি হয়ে যাওয়া।
সবচেয়ে প্রাচীন স্মৃতির সেই ডাইনোসর যুগের উড়ন্ত লাল কালো সাদা পশমের, রক্তিম ঝুটির ডাইনোসর আমার মাথা ছুঁই ছুঁই উপর থেকে কক কক কক করে উড়ে যাওয়া আতংক ফিরে আসে বারবার প্রতিবার। ডোরা কাটা লোমহীন পায়ের দশটি ধারাল নখ যেন বিদ্ধ হয়ে আছে আমার মাথার খুলিতে, যে কোন সময়েই উড়িয়ে নিয়ে যাবে আমাকে।
ড্রাগনের মুখ থেকে নিঃসৃত আগুনের গোলা পুড়িয়ে, ঝলসে দিতে চায় আমাকে অঙ্গার বানানোর আকাঙ্ক্ষায়। হাওয়ায় ভেসে ভেসে কক্ষের চার দেয়াল ঘিরে ঢেউ খেলিয়ে চলা ড্রাগনটির পরিভ্রমণ শেষ হবার নয়।
নিকট প্রাচীন স্মৃতিতে দড়ি টানা ফেরি ছিল দুই জেলার সীমানায়। ছোট নদীতে একটি ছোট ফেরী যানবাহন পারাপারের। নদীর দুপারে দুটো মোটা কাঠের খুটিতে বাঁধা থাকতো অজগর সাপের মত মোটা এক বিশাল পাটের দড়ি। ফেরির পাটাতনে দাঁড়িয়ে ক্রীতদাসের মত একঘেয়ে ভাবে দড়ি টেনে যেতো একঘেয়ে ভাবলেশহীন মুখের ছয় জন মানুষ। আমাদের মত যারা অধৈর্য্য যাত্রী, ফেরির দীর্ঘ সময়ে অপেক্ষা না করে ছোট ডিংগি নৌকায় নদী পার হয়ে চলে যেতাম অন্য পাঁড়ে। গাড়ি থেকে নেমে কার আগে কে নৌকায় উঠে অন্য পাঁড়ে যাবে এমন একটি হালকা স্নায়বিক যুদ্ধ লেগেই থাকতো। সব সময় সবকিছু যে ঠিক ঠাক হবে এমন তো না। একদিন জিগিরি দোস্ত আর আমি গাড়ি থেকে নেমেই নৌকার উদ্দেশ্যে দৌড়। যাত্রী পূর্ন দুটো নৌকাই ছেড়ে দিল। পাড় হতে কিছুটা দূরে যাবার পরে দেখা গেল জিগিরি দোস্তের দু পা দুই নৌকায়। নৌকা নিকটবর্তী সমান্তরাল হয়ে চলা অত্যন্ত কঠিন। নদীর ঢেউয়ে দুই নৌকার দুরত্ব বাড়ছে। আহারে আমার দোস্তের দু পা দুদিকে ফাঁক হতে হতে ছিড়ে যাবার মত অবস্থা। যখন প্রায় ছিড়ে ছিড়ে যায় যায় কোনভাবে লাফ দিয়ে উনি এক নৌকার পা ছেড়ে দিয়ে দাঁড়ালেন আমার বিপরীত নৌকায় একটি নৌকায়। ফলাফল চমৎকারঃ যে নৌকায় উনি দাঁড়ালেন, নৌকা কাত হয়ে গেলো ডুবে, ডুবে যাবার আগে আগে ঐ নৌকার সমস্ত যাত্রী লাফ দিয়ে আসলেন আমার নৌকায়, গেল আমার নৌকাও ডুবে। এরপর নদী সাতরে পানি পুনি খেয়ে অন্য পাঁড়ে পৌঁছলাম। দুই নৌকায় পা রেখে চলার কি পরিণাম তা দেখার সৌভাগ্য হয়ে ধন্য হয়ে গেলাম।
বিশাল আকৃতির অক্টোপাসটি জাপটে ধরেছে আমাকে। জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে একবার শুধু দেখেছি একজোরা টকটকে লাল চোখ। চোখের পাতা গুলো কুঁচকানো, কপাল, মুখমণ্ডলে সহস্র বছরের চামড়ার ভাঁজ।
কিভাবে যে কক্ষের ভিতরে আসল এটি বুঝলাম না। চিন্তা করারও তো সময় পাচ্ছি না। ওর শরীরের ওজনে চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছি আমি বিছানায়। এক হাত সরিয়ে দিচ্ছি তো অন্য হাতে পেঁচিয়ে ধরছে। আমার দুই হাত দুই পা দিয়ে সর্বশক্তিতে নিজেকে মুক্ত করার নিষ্ফল চেষ্টা করে যাচ্ছি। হাতির শুঁড়ের মত আটটি হাত পায়ের সাথে পারবো কিভাবে আমি!
সেই ছেলেটি এসেছিল আমার কাছে, আহা সেই গোল গাল মায়ার হাসি মাখানো ছেলেটি। দশ বছর মাত্র বয়স। বিকেলে সাথীদের সাথে টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল। সজোড়ে ব্যাট চালানোয় বল চলে যায় এক জানালা গলিয়ে এক বাসায়। ছেলেটি নিয়ে ঐ বাসায় গিয়ে বল নিয়ে আসে, মুখে চকলেট। পকেটেও আছে আরো কয়েকটা। চকলেটে এত স্বাদ সে কোনোদিন পায়নি। সন্ধ্যার আগেই খেলা শেষ। সবাই বাসায় চলে গেলেও ছেলেটি যায় বল চলে যাওয়া সেই বাসায়। আরো চকলেট পাওয়া যাবে, আর কি একটা খেলনা দেবে বলেছে লোকটা। গাল টিপে দেয় লোকটা। মিষ্টি খেতে দেয়, আরো চকলেট এনে রাখে টেবিলের উপর। এবং তারপর ছেলেটিকে সে নিজের কোলে বসায় পরম আদরে। একসময় ছেলেটির প্যান্ট খুলে ফেলে, …………… আতংকিত ছেলেটি কাউকে বলতে পারেনি একথা। এই যুবক বয়সেও ঐ লোকটি যে এখন বৃদ্ধ হয়েছে, তাকে দেখলেই ছেলেটির সবকিছু থমকে যায়। নীল আতংক সরীসৃপ এর মত বয়ে যায় মস্তিস্কে, উড়ে যায় জীবনের সমস্ত আনন্দ, সুখ।
হাল ছেড়ে দেয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে শরীরের সমস্ত মনযোগ কেন্দ্রীভূত করলাম আমার হাতের আংগুলে। ভুলে গেলাম আমার শরীরের উপর বিশাল এক অক্টোপাস। অনুভব করছি আমার শরীরে অন্য কিছুর অস্তিত্ব নেই। আমার পা নেই, পেট নেই, বুক নেই, মাথা নেই, মুখ নেই, আছে কেবল দুই হাতের মধ্যমার দুটো আঙ্গুল আর দুটো চোখ। সমস্ত ইচ্ছে শক্তি একত্রিত করে আঙ্গুল দুটো সোজা পেরেকের মত ঢুকিয়ে দিলাম অক্টোপাসের দুচোখে, অপ্রত্যাশিত এই আক্রমনে অক্টোপাস থমকে গেল কিছুটা। এরপর সজোড়ে আট হাত পা দিয়ে পিষে মারার চেষ্টা। বাঁচার শেষ চেষ্টা আমার। চোখ টেনে বের করে ফেলেছি। বিকট চিৎকারে ছেড়ে দিল আমাকে।
দৌড়ে গিয়ে রান্না ঘর থেকে মাংশ কাঁটার ছেনি এনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলেছি এর সম্পূর্ণ নরাচরা বন্ধ হবার আগ পর্যন্ত। অবাক হয়ে দেখলাম সবুজ রক্তে রুম ছপছপে হয়ে গিয়েছে।
ভোরের আলো দেখা যাচ্ছে। খুব দ্রুত অক্টোপাশের গোশতের বেশ কয়েকটি টুকরা বারবিকিউ করে, পেট পুর্ন করে ঘুমিয়ে গেলাম। আবার আবার বার বার প্রতি ভোরে,
৫৫টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
কী লিখেছেন? আমি আতংকিত হয়ে গেছি। বোধশুন্য, অসাড় লাগছে এক একটি বর্ননায়। ভোরের আলো তো এমন হবার কথা নয়! সেই ড্রাগন, অক্টোপাস তবে আজীবনই বেঁচে আছে, থাকবে, পুড়িয়ে দেবে? বারবিকিউ ই চাই। সরিসৃপ স্মৃতির বারবিকিউ, লাল চোখের ভেতর আঙ্গুল দিয়ে বের করে আনা হিংস্র পশুর বারবিকিউ! আঙ্গুলের জড়তা কাটছেনা লেখা পড়ে।
আজ এক নতুন জিসান ভাইকে দেখলাম আমি। এ লেখা আপনার নয় মোটেই।
জিসান শা ইকরাম
দুঃস্বপ্নের রাত জাগা আর জেগে থেকে কিছু স্মৃতি, অবশেষে রাতকে পেটপুরে খেয়ে ঘুম,
যা ইচ্ছে তাই জগা খিচুড়ি , লেখা নাকি এটি?
অলিভার
অসাধারণ!
বার বার মোড় ঘুরে অনেক কিছু চলে এসেছে বর্ণনায়। আর উপমা গুলিও হয়েছে একদম মানানসই। এসব নিকৃষ্ট এভাবেই অক্টোপাসের মত আঁকড়ে রাখে, বার বার ফিরে আসে। তবে খুব অল্প লোকেই পারে এসব অক্টোপাসকে কাবু করে একটা নতুন ভোরের জন্যে প্রস্তুত হতে।
এমন লেখা আরও চাই -{@
জিসান শা ইকরাম
যাক লেখাটা সঠিক ভাবে বুঝে গেলেন, ভাবছিলাম কি না কি লিখলাম 🙂
চেষ্টাইব -{@
অলিভার
জিসান ভাইয়ের ‘আপনি’ ডাক! (-3
নিপাত যাক! নিপাত যাক!!
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা , ঠিক আছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন পর ভিন্নরকম লেখা পড়লাম,
জলে ডুবে যাওয়াটুকু বাদ দিলে একাধিক নৌকার আনন্দ কিন্তু মন্দ নয়।
অক্টোপাস আছে, থাকবেও,
আলো আসবেই।
জিসান শা ইকরাম
ডুবে তো যাই দুই নৌকায় উঠলে……
আলো আসবেই।
মেহেরী তাজ
দাদা দুই নৌকায় পা দিয়ে আপনার জিগরী দোস্ত দ্বিপার্শ্বিয় প্রতিসম হয়ে ভাগ হয়ে যাই নাই এই ভাগ্য। দোস্তোর জন্য একটু না হয় নদীর ঘোলা পানি খেলেনই কি এমন বিশেষ হলো?
আক্টোপাস, মক্টোপাস,কালির মহাজন কে আমার পছন্দ না! কেমন একটা সাপ সাপ ভাব!
ব্যতিক্রম লেখা লিখলেন অনেক দিন পর! শুন্য আপুর সাথে একমত দিন মনে হচ্ছে ভালো যাবে। সুন্দর দুটা লেখা…… 🙂
জিসান শা ইকরাম
” দ্বিপার্শ্বিয় প্রতিসম হয়ে ভাগ হয়ে যাই নাই ” — হা হা হা হা , মজা পেলাম। ঠিক আল্লাহ্ বাঁচিয়েছেন।
জিগিরি দোস্তের জন্য কিছুটা পানি খেলেই বা কি। সবই করা যায়।
আক্টোপাস, মক্টোপাস,কালির মহাজন কে খুন করে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে।
পোষ্ট দিয়েছ দেখলাম অনেক দিন পর 🙂
শুভকামনা।
মেহেরী তাজ
পানির টেস্ট কেমন ছিলো তা পরের বার বলবেন প্লিজ!
অনেকদিন পর পোষ্টটা দেওয়া সম্ভব হলো দাদা….!
ধন্যবাদ! 🙂
জিসান শা ইকরাম
নদীর পানি ঘোলাও ভাল, গভীর নদীর পানি খেতে ভালই লাগে।
পোষ্টে ক্রিয়েটিভিটি দেখিয়েছ ভালই
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাই পড়লাম আবার পড়েই দিব আমার মন্তুব্য।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা আবার পড়ুন, অন্যের মন্তব্য পড়লে লেখাটা বুঝতে সহজ হবে ভাই 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
আমি অটাই এখন বেশি করি ভাইয়া।
খুব সুন্দর ভাল কথা বলেছেন।
জিসান শা ইকরাম
ঠিকাছে 🙂
মৌনতা রিতু
পোষ্ট টা সকালে ঘুম থেকে উঠেই পড়েছিলাম।
প্রতিটা কথা কিন্তু একটা ম্যাসেজ। দুই নৌকাতে যে পা রাখে সে তো ডোবেই অন্যদেরও ডোবায়।
শিশুদের সরাসরি কাউন্সিলিং দরকার।
অক্টোপাসের মতো এই যে জরাজীর্ন হাহাকার আমাদের আঁকড়ে ধরে, তাকে সত্যি কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলতে ইচ্ছে করে।
অসাধারনভাবে বুঝালেন সমস্যাগুলো।
জিসান শা ইকরাম
আপনি যে প্রতিটি লেখা মনযোগ দিয়ে পড়েন, আপনার মন্তব্যই তা প্রমাণ করে,
ধন্যবাদ আপনার এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খেয়ালী মেয়ে
প্রথমে লেখাটা সহজভাবে পড়ছিলাম, আমার জন্য অবশ্যই সহজ ছিলো,,,মাঝে গিয়ে অনেককিছু কঠিন লাগছিলো, আর শেষের দিকে গিয়ে থমকে গেলাম,,অনবদ্য লেখনী (y)
অক্টোপাসে চারপাশ ছেঁয়ে গেছে 🙁
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ পরী,
সোনেলার সবাই ব্যস্ততাকে পাস কাঁটিয়ে চলে আসছে নিজ বাড়িতে, দেখে সত্যি ভাল লাগছে।
খেয়ালী মেয়ে
🙂
জিসান শা ইকরাম
🙂
শুন্য শুন্যালয়
সত্যির সাথে নিজের কল্পনাকে মিশিয়ে লেখা। সত্যিগুলো রূঢ় হলেও সত্যি, আর কল্পনাগুলো সেই না ভোলা রূঢ়তা, নিজের রাগ, ক্ষোভ, অক্ষমতাকে ফুঁটিয়ে তোলা। জগা খিচুড়ি রান্না করেছেন কখনো? ভাবছেন খুব সহজ জিনিস? ট্রাই করে দেখুন, ব্যালেন্সড ডায়েট হিসাবে যুগ যুগান্তর ধরে চলে আসছে। এবং হ্যাঁ লেখার মতই অসাধারন।
মন যদি একটু বেশি দিতেন লেখায় তবে আমরা নিয়মিতই এমন লেখা পেতাম। মন কই কই থাকে কে জানে!!
জিসান শা ইকরাম
লেখার ভিতরের কথা আপনি টেনে আনবেনই এ জানা কথা,
জগা খিচুড়ি ব্যালেন্সড ডায়েট! তাহলে তো এটিই রান্না করা শিখতে হবে প্রথমে।
মনের কোন ঠিক ঠিকানা নাই, সারাদিন টৈ টৈ করে কত স্থানে যে ঘুরে বেড়ায় 🙂
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
এক কথায় অসাধারণ, ভাইজান যে এমন লেখাও লিখতে পারেন এই প্রথম জানলাম, লিখে যান ভাইজান শুভকামনা রইল। 🙂
জিসান শা ইকরাম
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রাশি রাশি 🙂
নাসির সারওয়ার
এ রকম লেখাও আপনার কাছে আছে! না মানে কেমন যেন ভুত ভুত লাগছে নিজেকে।
দুই নৌকায় দুই পা, ব্যপারটা কিন্তু মন্দ নয়, ডুব না মারলেই ভালো কিছু হতে পারতো।
অক্টোপাশের গোশতের কিন্তু ভালো স্বাদ। তবে বারবিকিউ করে খাইনি। আপনি যদি একটু বলতেন স্বাদ টা কেমন!!!
জিসান শা ইকরাম
নিশি পাওয়া মানুষের লেখা,
আগের রাতে ঘুম হয়নি বিভিন্ন স্মৃতি কাতরতায়, ল্যাপি অন করে লিখে রেখেছি কিছুটা কাট ছাট করে।
থাইল্যান্ডে খেয়েছি অক্টোপাস, তবে ছোট সাইজ। আমার কাছে ভাল লাগেনি।
আর যেটাকে বারবিকিউ করেছি, নিশি চলে যাবার পর আর খুঁজে পাইনি 🙂
নাসির সারওয়ার
নিশি সবাই পায়না আর সবুজ রক্তও দেখা অত সোজা না। তাও জাপটা জাপটি দিয়েই শেষ হয়েছে, তা ই মংগল।
জিসান শা ইকরাম
নিশিকে পরাজিত করতেই হবে কবি।
মোঃ মজিবর রহমান
আমাদের চারপাশে মানব্রুপী অক্টোপাস সমজ দেশ জাতিকে কুড়ে কুড়ে, মুচড়ে মুচড়ে, লন্ডভন্ড করে যাচ্ছে।
এথেকে পরিত্রাণের উপায় বলেছেন কিনু কয়জন পারবে তাদের এভাবে নখদর্পণে শায়েস্তা ক=রতে।
লেখার গভীরে প্রচুর রক্তক্ষরণ এই খরন সমাজে দেশে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আরও চাই এমন লেখা।
জিসান শা ইকরাম
এদের থেকে আমাদের দেশ, সমাজ, পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতেই হবে মজিবর ভাই,
সমূলে ধ্বংস করে দিতে হবে।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
তাইত ভাইয়া।
তানা হলে ভবিতস্যত প্রজন্ম অন্ধকারে।
রাদের সুরক্ষা জীবন দিতে না পারলে আমরা ব্যারথ উত্তরসূরি হয়ে।
শুভেচ্ছা রইল।
জিসান শা ইকরাম
ঠিক বলেছেন, একমত আপনার সাথে।
সিকদার
লেখা বর্ণ খুজে পাচ্ছি না ।অন্তরের অন্তস্থল থেকে আবেগ মথিত লেখা্র বিপরীতে জবাব দেওয়ার ভাষাই খুজে পাচ্ছি না । -{@
জিসান শা ইকরাম
এত্ত কিছু? বাপ্রে বাপস……
মিষ্টি জিন
প্রথমে বলে নেই, ছোট বেলাত এই টানা নৌকা আমিও দেখেছি.. ভুলেই গিয়েছিলাম প্রায়,আপনার লেখা পডে মনে পরলো।
দুই নৌকায় পা দিলে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনাই
বেশী ।
অক্টোপাস চোখ পাকিয়ে ভয় দেখিয়ে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে, এঁখন ই সমঁয় একে প্রতিহত করে কেটে কুটে সুপ/ বারবিকিউ/ কারী বানানোর।
নিয়ম মাফিক খাবার খেয়ে মুখের স্বাধ যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন জগাখিচুরী অমৃতর মত কাজ করে।
অনেক ভাল লেখা ।
জিসান শা ইকরাম
ছোট নদীতে এমন দড়ি টানা ফেরী বা নৌকা ছিল একসময় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে, এখন অবশ্য নেই আর।
” নিয়ম মাফিক খাবার খেয়ে মুখের স্বাধ যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন জগাখিচুরী অমৃতর মত কাজ করে।” ভাল বলেছেন, ধন্যবাদ।
আবু খায়ের আনিছ
লেখা কেমন হয়েছে সেই বিষয়ে মন্তব্য করে মূর্খতার প্রমাণ দিতে চাইছি না। যে বিষয়ে কথাগুলো বলেছেন তাই বলি।
ড্রাগনের মুখ থেকে মুক্তি। পাকিদের প্রতি শুধুই ঘৃণা।
নদী ঠিকই থাকল, ডুবে গেলো মানুষ আর নৌকা। রূপক অর্থ যদি দাড়ঁ করাই মানুষ গেলো, উন্নয়ন গেলো দেশের বুকে আর কিছুই থাকল না।
অশুভ শক্তির সাথে লড়াই করা কঠিন, কিন্তু তাই বলে কি হাল ছেড়ে দিলে চলবে। অক্টোপাসের আট পা, তাই বলে কি সে মানুষের উপরে যেতে পারে? কখনোই না কোনদিন না।
লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে লোভ দেখিয়ে………………… নির্যাতন আগেও ছিল এখনো হচ্ছে। আগে প্রকাশ হতো না এখন হচ্ছে, আর যেহেতু প্রকাশ হচ্ছে বিচার একদিন হবেই।
চোখ উপ্রে ফেলতেই হবে, নয়ত এদের চোখ থেকে রেহায় নেই যে। প্রতিটা মানুষেরই সচেতন হতে হবে।
মাঝে মাঝে কিছু নিউজ পড়ি আর হাসি, ধর্ষণ করতে গিয়ে ……………………. মনে হয় বেশ করেছে, প্রতিটা ধর্ষক এর শাস্তি এই হওয়ার ছিল, আগে থেকেই যদি হতো তাহলে এত ধর্ষণ হতো না।
সর্বোপরি গুরুত্বপূর্ণ একটা পোষ্ট, অনেক কিছু বলেছেন, বুঝার আর উপলব্দি করার দ্বায়ীত্ব এবার আমাদের। শুভ কামনা ভাইয়া, এমন লেখা আমরা আরো আশা করি।
জিসান শা ইকরাম
লেখার নাড়িভুঁড়ি তো টেনে বের করে আনলেন, বাকী তো কিছুই রাখলেন না 🙂
ধন্যবাদ, শুভ কামনা।
আবু খায়ের আনিছ
শুভেচ্ছা নিবেন ভাইয়া।
লীলাবতী
কি ভীতিকর অবস্থা! ভয়ের একটি স্রোত বয়ে গেলো মেরুদণ্ড বেয়ে। অশুভকে পরাজিত করে শুভকে জয়ী হতেই হবে। ভিন্ন ধরনের লেখা ভাল হয়েছে ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
অশুভকে পরাজিত করে শুভকে জয়ী হতেই হবে (y)
শুভ কামনা।
লীলাবতী
এমন লেখা চলুক আরো। থেমে গেলে চলবে কেন?
সুস্থ্য হয়ে ফিরে আসুন দ্রুত।
অনিকেত নন্দিনী
আবারো সেই অক্টোপাস!
এই অক্টোপাস আমাদের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে। সুযোগ পেলেই এরা হামলে পড়ে, আমাদের পিষে দেয়। আমরা আর তার বাহুর পিষ্টন থেকে মুক্তি পাইনা। পাবো কেমন করে? ঘটনার চাইতে স্মৃতি যে অনেক বেশি জ্বালা দেয়!
দশ বছর বয়েসি ছেলেটির জন্য খারাপ লাগলো খুব। একটা পোস্টে বলেছিলাম পরিসংখ্যানটা, মনে আছে? মেয়ে এবং ছেলে যথাক্রমে ৪:১ ও ৬:১। এদিকে আমরা কী করছি? আমরা কি আমাদের সন্তানকে এই অক্টোপাস নিয়ে যথেষ্ট শিক্ষা দিচ্ছি? আমরা কি তাদের শেখাচ্ছি কোন মানুষটার ভেতর একটা অক্টোপাস লুকিয়ে আছে তা কেমন করে বুঝবে? এই প্রসঙ্গ তুললেই তো অনেকের গায়ে ফোস্কা পড়ে যায়। সেদিন কথায় কথায় এই প্রসঙ্গ উঠে এলে পর আমার এক বয়ষ্কা কলিগ বললেন যে এগুলি নাকি শেখাবার দরকার নেই, যারা চালাক বাচ্চাকাচ্চা তারা নাকি এগুলি এম্নিতেই বুঝে ফেলে। জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছিলো তার হাতের পাঁচ আঙুল সমান কিনা। বয়ষ্কা বলে কিছু না বলেই ছেড়ে দিলাম কিন্তু মনের ভেতর তার জন্য অশ্রদ্ধা তৈরি হয়েছে।
সচেতনতা তৈরি করাটা খুব বেশি জরুরি।
জিসান শা ইকরাম
আপনার লেখাটি আমার উপরে খুব প্রভাব ফেলেছে,
ছোট বেলায় এই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এমন অনেকেই আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন,
জীবনে এই কথা প্রথম আমার কাছে শেয়ার করে দু একজনে কেঁদেছেন, এখনো তারা ঐ দুঃস্বপ্ন ভুলতে পারেননি,
ঐ বিষয়ে আরো লেখার ইচ্ছে আছে।
আপনার বয়স্কা কলিগের মানসিক চিকিৎসা দরকার।
সচেতনতা তৈরি করাটা খুব বেশি জরুরি (y)
ব্লগার সজীব
ভিন্ন ধরনের লেখায় আপনাকে পেলাম এবার। চলমান থাকুক।
জিসান শা ইকরাম
চলমান থাকিবেক……
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা প্রথমেই ওয়াও। এ কোন লেখককে দেখছি?
দূর্দান্ত লেখা। (y)
জিসান শা ইকরাম
দুর্দান্ত বিশাল এক ধন্যবাদ…
ইলিয়াস মাসুদ
এই সব নিকৃষ্ট সমাজ থেকে বারবি কিউ করে খাইয়া ফালামু…. চরম॥।
এই লিখা লিখার জন্য প্রয়োজনিও দ্রবাদি নিশচয় ছিল,এমন সরেশ চিন্তা করার জন্য সময় আর স্থান কেমন ছিল তাই ভাবছি…….
অসম্ভব সুন্দর একটা লিখা (y)
জিসান শা ইকরাম
বারবি কিউ চলমান থাকবে,
ধন্যবাদ মাসুদ ভাই -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ লেখার গুরু আছে শেষ আছে কি?সব অশুভ অক্টোপাস নিপাত যাক প্রকৃত ভোরের আলো মুক্তি পাক।সুন্দর লেখা যা ভিন্ন এক জিসান ভাইকে উপস্থাপন হলেন।
জিসান শা ইকরাম
এ ঘটনার শেষ নেই, তাই লেখারও শেষ নেই
চলমান।
ইকরাম মাহমুদ
লেখার প্রতি একটা টান অনুভব করি সবসময়। আমাদের জানার বা দৃষ্টির বাইরেও অনেকেই আছেন নিজের জন্য হলেও কলম কালিতে ছবি আঁকেন শব্দ,বর্ণ,যতিচিহ্ন দিয়ে। বন্ধু আনিসকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটা ছবি চোখের সামনে তুলে ধরার জন্য।সেদিন রাত থেকেই আপনার লেখা পড়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছিলাম।ধন্যবাদ আনিসকে। এমন একটা জায়গা যেটা আমি খুঁজেছি তার সন্ধান ও সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। অনেক মুগ্ধ হয়েছি লেখাটা পড়ে। অারো মুগ্ধতার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। -{@