
প্রত্ন-জীবন নিয়ে ভাবি,
লুকিয়ে/গুটিয়ে রেখে দেব প্রাণের গভীর-গহীন গোপন কথায়
প্রাণিত নিগুঢ় আড়াল-হীন অনুভবে।
ভুলে যাওয়াযাওয়ির দীর্ঘশ্বাস-ঝলকে স্বেদার্ত হৃদয়ে বাজে
হেঁয়ালিপূর্ণ বিষাদ-সুর,অহেতুক ঝরা বৃষ্টির বাঁকে
দুলে যাওয়া/দুলতে থাকা শত-শুভ্র-কাশবন
তুচ্ছ করি অক্ষর সচেতনতায়;
সাগর-শিথানে কী দেখ তুমি ঐ দূর-দিগন্তে, দূর-আকাশে!
করুণ আকাশে অব্যক্ত নীলের বিভীষিকা শুধুই,
প্রাণ-যাত্রার ক্লান্ত-ধূসর অভিসারে;
৩০টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
নীলের বিভীষিকা। বেদনার পাত্র হাতে দাঁড়ানো পথিককুলের ফেরাবার পথ নাই। জীবন বড়ই দূর্বিসহ।
মৃত্যু কখন হানা দিবে বোঝা মুশকিল। সৌন্দর্য না দেখে যে যার কাজ শেষ করে প্রস্থান করি।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, খুব সুন্দর করেই তো বলে ফেলেছেন।
নীলের ছোবল নিয়েই আমাদের প্রবেশ ও প্রস্থান।
ধন্যবাদ, প্রথম হলেন বলে।
আরজু মুক্তা
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
মনির হোসেন মমি
নীলপরীকে জিগাইয়া লই এর তরজমা কি? হেরপর আসছি।
জীবনই জীবনের আফসোস রেখে প্রস্তান নেয়।এটাই হয়তো চিরসত্যি।
ছাইরাছ হেলাল
আহা জীবন, আহারে জীবন!
শুধুই আফসোস আর আফসোস।
হে কী কয় কইয়া যাইয়েন কিন্তু।
মনির হোসেন মমি
নীলপরী কতদিন থাকবে না জানি না। যাবার দিন বলবেন বলে বলেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
আহারে!
এখানেও অপেক্ষা/আক্ষেপের ঝুলি!!
হৃদয়ের কথা
কিছু কথা আড়ালেই রেখে দেই আমরা। আপনার শিরোনাম গুলোই এক একটি কবিতা।
ভাইয়া প্রথম লাইনে ‘ প্রত্ন-জীবন নয়ে ভাবি, ‘ এখানে কি নিয়ে ভাবি হবে?
ছাইরাছ হেলাল
আড়াল ই আমাদের শর্ত, তা আমাদের মানতেই হয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আসলে ওটি ভুল ছিল, ঠিক করে নিয়েছি।
রেহানা বীথি
তবু আকাশেই চোখ পেতে খুঁজি আশ্রয়।
বিশালতায় চাই এতটুকু ঠাঁই।
ছাইরাছ হেলাল
এ দেখছি কবিতা দিয়ে ফেলেছেন!
হ্যা, ঐ বিশালতার কাছেই সামান্য ঠাঁই চাই।
তৌহিদ
কবিসাব কি পাথরের মূর্তি হয়ে গেলেন? আবেগ অনুভূতিরা সব শক্ত হয়ে গেলো কেন? বিরহ বিচ্ছেদে পৃথিবীর সৌন্দর্যকেও অবহেলা করছে কবি। কবিতা লেখা কিন্তু বন্ধ করা যাবেনা ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, আবজাব লেখা চালু না রাখলে তো চলিবে না।
মূর্তি হলে পারলে তো ভালই হতো, তা তো পারলাম না।
ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে মজা নিতাম!
নিতাই বাবু
পৃথিবী থেকে বিদায় নেবার আগে পৃথিবীর সবকিছুতেই অভক্তি আসে। শত চাওয়া-পাওয়াকে তুচ্ছ করে একসময় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ সবাই করে সবাই চলে যায় পরপারে।
আপনার কবিতায় মুগ্ধতা রেখে শুভ বিজয়াদশমীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও বিজয়ার শুভেচ্ছা।
আসলে পরপার-ই একমাত্র গন্তব্য যা নির্দিষ্ট। এড়ানোর উপায় নেই।
ভাল থাকবেন আপনি।
ইঞ্জা
অন্যদের মতো সুন্দর করে কবিতার কথা বলতে পারিনা, এর জন্য সত্যি আমি দুঃখিত ভাইজান।
অপূর্ব লেখাটির জন্য ভালো লাগা রেখে গেলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অন্যদের মত হতে যাবেন কোন দুঃখে!!
আপনি আপনি-ই।
আসেন, পড়েন, এটাই যথেষ্ট, ভাই।
এখানে তো আমরা আমরা-ই।
ইঞ্জা
ভাইজান আমি শিখছি, ইনশা আল্লাহ দেখবেন একদিন ঠিকই ভালো মন্তব্য দেবো আপনার কাব্যে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই অবশ্যই, ভাই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
কেন যে এতো কঠিন কঠিন কবিতা লিখেন বুঝিনা!
আমাদের মত পাঠকের জন্য লেখা আরো সহজ করে লিখলে ভালো হয়! আসলে জ্ঞানের ডিকশনারীতে শব্দ সংখ্যা খুবই কম, তাই এমনটি হয়। আপনার জন্য শুভ কামনা সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
ধুর!! আমি কবিতা লিখতে পারি না, তবে লিখে ফেলব কোন একদিন,
কো এক ক্ষণে!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
সাগর-শিথানে কী দেখ তুমি ঐ দূর-দিগন্তে, দূর-আকাশে!
করুণ আকাশে অব্যক্ত নীলের বিভীষিকা শুধুই,
প্রাণ-যাত্রার ক্লান্ত-ধূসর অভিসারে;….
নীলের বিভীষিকা দেখিনি। দেখেছি নীলের ক্যানভাসে সোনালী সূর্যের হাসি। দেখেছি অপরুপা সোনেলা।
মহারাজ, কক্সবাজার এলাম আমি, আর ছবি সহ লেখা দিলেন আপনি!!!! অভিভুত হলাম। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কবি, কবিতার চোখ দিয়ে বানিয়ে-টানিয়ে কত কী-ই-না দেখেন!
আপনি কক্সে! হতে পারে!
এ ছবি আমাদের, একান্ত আমাদের কুয়াকাটার!
কখন কী লিখি তার কী কোন ঠিক-ঠিকানা আছে!
ঠিক আছে, একটি সোনালী-সূর্যের-হাসি মেখে অপরূপা-সোনালা কবিতা দিয়ে ফেলুন।
শাহরিন
সাগর প্রাণের বিভীষিকা শুধুই স্বপ্ন দেখায়, আর মানুষ সে বিভীষিকাকেই মধুর স্বপ্ন ভেবে বেঁচে থাকে। ভালো থাকার আশায়।
ছাইরাছ হেলাল
বাঁচার আশা মানুষের আজন্ম,
ভুল-খড়কুটো হলেও তা আকড়ে থাকতে চায়।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
এতো কঠিন কথা কি বুঝতে পারি?
এমনিতেই আমি ছোট।
ছাইরাছ হেলাল
কেউ-ই ছোট না,
মন দিয়ে পড়লেই বুঝতে পারবেন,
আর লেখক তো হাজির-ই থাকে।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
তবে বুঝে নিছি,
ভালো লাগছে।
ছাইরাছ হেলাল
এই তো বুঝে গেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।