একটি নতুন দেশে বসতি স্থাপন করে নিরুপদ্রবে বসবাস করা সহজ ছিল না মোটেই। অজানা, নাম জানা দেশটিতে প্রথম পদার্পন, অপরিচিত, অনভ্যস্ত প্রকৃতি, মানুষ, জীবজন্তু, পক্ষিকুলের মাঝে নবাগত একজনের পা রাখা, পিছনে অনুসরণ করা ততোধিক জড়সড় কিছু মানুষ, সংখ্যায় একেবারে কম নয়। আস্থা হেঁটে যাচ্ছে দৃপ্ত পায়ে, আস্থার সদ্য পদ চিহ্নর উপর পা রেখে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে সবাই নিশ্চিন্তে, পা দেবে যাবেনা, আস্থার পা পরেছে এখানে। একটি স্থান চাই, শক্ত অন- অপসারণযোগ্য একটি স্থান, বিশাল পাহাড় সম এক পাথরের মত, সহজে দুলে না ওঠে, নিজের জন্য, অনুসরণ কৃত সবার জন্য। কেউ কাউকে স্থান দিতে চায়না সহজে, জীবন যুদ্ধে লড়াই করে যোগ্যতমরাই টিকে থাকে।
পাখির ছানাগুলোকে বুকে আগলে রেখে সমস্ত ঝড় ঝঞ্ঝা জলোচ্ছ্বাস নিজে ধারণ করে বড় একখণ্ড ভূমির মালিক ততদিনে সেই আস্থা এবং তার অনুসারিরা। সমতার ভিত্তিতেই ভুমি বন্টন এবং গৃহ নির্মাণ। বহু রঙ এর সম্পর্কগুলো জোছনা হয়ে হাসে, নক্ষত্রের মত জ্বলজ্বল করে, জোনাকির মত একসাথে জ্বলে নিভে প্রাকৃতিক আলোকসজ্জায় সৃষ্টিশীলতায় মুগ্ধ সবাই। উঁচু পাহাড়ের জোড়া রংধনুতে ঢেকে থাকা সফেদ চুড়ার নাম সুখ আর আনন্দ।
সেই আস্থা হতে পারত বরফ দেশের মা শ্বেত ভাল্লুকের মত। প্রতিদিন শিকার করে নিয়ে এসে তার সন্তানদের আহার যোগানো সেই মা। মা শিকার করে নিয়ে আসবে, খেয়ে বেঁচে থাকে সন্তানেরা। একদিন মা যে গেল আর আসেনা। অভুক্ত সন্তানদের মা কৈ মা কৈ আহাজারি একদিন দুইদিন। দিন যত যায়, অভুক্ত সন্তানের কাছে মা এর আবেদন তুচ্ছ হয়ে বেঁচে থাকাটাই মুখ্য হয়ে ওঠে। অবশেষে বেঁচে থাকার তাগিদেই সন্তানেরা বের হয় খাবারের সন্ধানে, শিকারের সন্ধানে। বেঁচে থাকতে হবে এবং এভাবেই বেঁচে থাকা শিখে যায় একসময়। ঐ সময়ের নিরিখে নিষ্ঠুর মা কেন এমন করেছিল? আজীবন সন্তানরা মায়ের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতো মা চলে না গেলে। এভাবেই জীবন বহমান কঠিন বরফময় অঞ্চলে। টিকে থাকা বেঁচে থাকা শিখতে হয়, শেখাতে হয়।
আস্থার জীবনটা বরফময় দেশে নয়, স্নেহ ভালবাসা প্রেমের পালকগুলো অদৃশ্য সুতোয় শক্ত করেই বাঁধা। যে পালক খসে পরে তা আসলে মৃত পালক বা কৃত্রিম রঙে উজ্জ্বল।
মৃত্যু কি? শরীর থেকে আত্মার চলে যাওয়া। সমস্ত বন্ধন থেকে আত্মার চলে যাওয়া। সমস্ত আকুতিকে উপেক্ষা করে আত্মার চলে যাওয়া। আত্মা ভালবাসা ক্রোধ ঘৃণা স্নেহ প্রেম যাবতীয় আবেগ অনুভুতির সম্মিলন। এসবের এক একটি অংশ উধাও হওয়া তো খণ্ডিত মৃত্যু। একজনের প্রতি ভালবাসা শূন্য হওয়াও তো একটি মৃত্যু। শারীরিক জীবন থাকলেই বা কি আর না থাকলেই বা কি? কারো শরীর বেঁচে আছে, কিন্তু তার আত্মা, তার আবেগ, ভালবাসা, প্রেম, টান আর নেই কিছু জনের বা একজনের উপরে, সেই কিছুজন বা একজনের কাছে সে মৃতই।
কিছু মানুষ মরে গিয়ে মরে যায়
কিছু মানুষ বেঁচে থেকেও মরে যায়,
৪৫টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ঠিকই বলেছেন কিছু মানুষ বেচে থেকেও মৃত।প্রতিটি জীবেরই তার প্রথম শিক্ষক তার জন্মদাতা তার অনুকরনের শিশু থেকে বেড়ে উঠে কিছুটা ব্যাতিক্রম অভিজ্ঞতা নিতে এক সময় অনুকরন নয় উপস্থিত বুদ্ধির প্রয়োজন হয় সে জন্য হয়তো পশু পাখির জন্মদাতারা সর্বক্ষণ তাদের বগলে রাখেন না।সুন্দর একটি লেখা পড়লাম। -{@
জিসান শা ইকরাম
নিজের পায়ে দাড়ানোর জন্য মানুষকে ছেরে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয় তাকে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
লিখাটা সেরকম না বুঝলেও বুঝতে পেরেছি কিন্তু বিশ্লেষণ করতে পারছি না। কঠিন অনুভূতির প্রকাশ।
জিসান শা ইকরাম
একা একা ডায়েরীর পাতায় কিছু লিখে রাখার মত এটি। না বুঝলে সমস্যা নেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা খুবই সুন্দর লিখেছো। আজকাল তোমার লেখার মাত্রা অনেক বেশ উন্নত এবং ভিন্নমাত্রিক হচ্ছে। লেখায় বৈচিত্র্যতা না এলে লেখা ঝিমিয়ে পড়ে।
ঠিক বলেছো শরীর তো কোষ আর হাড়। অনুভূতিহীন হয়ে গেলে কোষ আর হাড়ের অস্তিত্ত্ব কি আর টের পাওয়া যায়?
একটা ছোট্ট গল্প বলি। যখন ক্লাশ ফোরে পড়ি। গ্রামের বাড়ীর পুকুরে বাপি আমায় নিয়ে নামলো সাঁতার শেখানোর জন্য। মধ্য পুকুরে যাবার পর বাপি হঠাৎ আমায় ছেড়ে দিলো। চিৎকার করে হাবুডুবু খাচ্ছি, আমি দেখতে পাচ্ছি ডুবে যাচ্ছি। বাপি কিছুটা দূরে দাঁড়ানো। অস্থিরের মতো দুই হাত দিয়ে জল সরিয়ে সরিয়ে এলাম। কখন যে সাঁতার কেটেছি!
ভালো লেগেছে লেখা।
জিসান শা ইকরাম
সাতার এমনি ভাবে আমিও শিখেছি, বাড়ির পুকুরে হঠাৎ আব্বা আমাকে ছেরে দিলেন বানিতে।
নীলাঞ্জনা নীলা
তবে নানা বাপি আমাকে জলে ছেড়ে দিয়েও সাঁতার শেখা হয়নি। 🙁
অবশ্য আমি খুশী এ কারণে আমার ছেলেটা দারুণ সাঁতার পারে। 😀
জিসান শা ইকরাম
এখন শিখে ফেলো।
প্র্যোয়োজনীয় একটি বিষয় পারবেনা এটি কেন হবে?
আবু খায়ের আনিছ
কিছু মানুষ বেচেঁ থেকেও মরে যায়,
কিছু মানুষ মরে গিয়ে মরে যায়,
আবার কিছু মানুষ মরে গিয়েও অমর হয়ে যায়,
কিন্তু বেচেঁ থেকে কি অমর হওয়া যায়?
জিসান শা ইকরাম
বেঁচে থেকে অমর হওয়া যায় না, মরে যাওয়া যায়।
শুন্য শুন্যালয়
যে পালক খসে পরে তা আসলে মৃত পালক বা কৃত্রিম রঙে উজ্জ্বল। হ্যাঁ এই কৃত্তিম রঙকেই আসল ভেবে আমরা দীর্ঘদিন ভুলে পথে পরিভ্রমণ করি। যা কৃত্তিম তা কোনকালেই আসল ছিলোনা, সবটাই দেখানো। শুধু মৃত্যু কেন চাই সেইসব ঝেড়ে ফেলুন একদম আস্তাকুড়ে ময়লা ফেলে দেবার মতো।
শ্বেত ভল্লুক পশু, তাদের বেঁচে থাকার পরিকল্পনাই জীবন, আমরা মানুষ, মানুষ বলেই আমরা আবেগের মধ্যেই থাকবো, কিংবা থাকতে চাই। তবে আবেগের সঠিক ব্যবহার হোক, এটাই চাই। সন্তানের প্রতি মমতা থাকলেও জংগী হলে তাকে কিক করে ফেলে দেয়াই উচিৎ, এমনটা।
আপনার এমন লেখা নতুন নয় আমাদের কাছে, আপনি কেমন লেখেন তা আমাদের জানাই, তবু যেন ফিরে পেলাম নতুন করে। অসাধারন আরেকটা লেখা। ও হ্যাঁ আপনি তো আবার অসাধারনের মানে জানেন না, অসাধারন মানে কিন্তু জগাখিচুড়ি মোটেও নয় 🙂
জিসান শা ইকরাম
পরিভ্রমন কালে আসলে বুঝা যায়না পালক গুলো কেমন। সময়ে চিনিয়ে দেয়।
পশুর মত মানুস পারেনা।
জংগী জংগীই, তারা নিজেরাই পরিবার থেকে চলে গিয়েছে। তাদের প্রতি কোন সহানুভুতি নাই।
আমার কোন লেখাটা আপনি খারাপ বলেন?
শুন্য শুন্যালয়
লেখা কোনটাই আপনার খারাপ হয়না, সব ভালো। কোনটা বেশি ভালো, কোনটা কম ভালো।
জংগীটা উদাহরন দিয়ে বলেছি, মৃত পালকের মতো খসে পড়া।
ডায়েরীতে এমন করে লেখেন আপনি? কিছু পেতে পেতে সবিকছুই হারিয়ে গেলো যেন।
পাখি বড় হয়ে গেলে মায়ের আগলে রাখার কথা কী আর মনে রাখে? বেঁচে থেকেও মরে যাবার কষ্ট অনেক, মৃত মানুষ হয়তো জানতেই পারেনা। প্রতীতি মানে বিশ্বাস না? আরেকটা বোধ হয় আছে, জ্ঞান।
ছাইরাছ হেলাল
ভালোবাসাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়! এ কথাটি অপত্য সত্য,
সুতোগুলো ছিড়ে যায়, ছিড়ে ফেলি, ছিড়ে ফেলে, তবুও বাঁধা-বাঁধি থাকে, করিও।
জিসান শা ইকরাম
হুম, তা ঠিক,
মানুস বলেই এত ভাবনা, আবেগ।
মৌনতা রিতু
আমার এ স্নেহের নিরাপত্তার বন্ধনের যে সুতা তক কিছুতেই কোনো ঝড়েই ছিঁড়তে দিব না। প্রতীক্ষায় থাকবে শুধু মায়ের বুকে একটু সময়ের নিঃশ্বাষ নেবার জন্য।
পাহাড়ের চূড়ায় ঐ যে রঙধনুর ঝিলিক, তা তো সুখেরই ঝিলিক।
মৃত্যুকে বলেছি এখনো সময় হয়নি। এ পালক খসে পড়তে সময়, এখনো অনেক। আমার বুকের যে ছানা মানিক জোড় এখনো শেখেনি হাঁটতে। উড়তে শিখছে আমারই ডানায়। তাই পালক খসে পড়তে দিতেও রাজি নই।
ভাইয়া, খুবই সুন্দর উপলব্দি। যদিও ব্যাথাতুর।
জিসান শা ইকরাম
আমরা শ্বেত ভল্লুক নই, তাই আমাদের আচরন আলাদা।
পালক কিন্তু এমনিতেই খসে পড়ে সময়ে,
শুভ কামনা।
মিষ্টি জিন
বিশ্বাস আস্তা হুরমুর করে কখন ও গায়ে এসে পরে না , যোগ্যতা দিয়ে অর্জন করে নিতে হয়।
প্রয়োজন বা বেঁচে থাকার তাগিদে অনেক কিছুই শিখে নিতে হয় বা শিখতে বাধ্য হতে হঁয় ।প্রয়োজনের কাছে স্নেহ মমতাও একসময় তুচ্ছ হয়ে যায়।
কিছু মানুষ বেচেথেকে মরে যায়
কিঁছু মানুষ মরে গিয়ে বেঁচে যায়
বুঁঝতে কষ্ট হচ্ছে , তবে অনেক ভাল লেখা ভাইয়া
জিসান শা ইকরাম
বুঝে তো গিয়েছেনই প্রায়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ,
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
অসাধারণ লিখেছেন ভাইজান, জীবনটা আসলেই কঠিন যেমন আমারটা দিয়েই আমি বুঝি, আমার আব্বার মৃত্যুর পরপরই ২১ হইনি তখন ব্যবসার হাল ধরা, ঘরের ১১ জন মানুষকে আস্থা দেওয়া যে আমি আছি, পুরা পরিবারকে একাই টেনে নেওয়া, ২২ বছর বয়সে মার চাপে পড়ে বিয়ে করা, এর সাথে নিজের পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া কি যে কঠিন সময় ছিলো সেইসব দিনগুলি।
জিসান শা ইকরাম
খুবই অল্প বয়েসে আপনি জীবনের হাল ধরেছেন,
জীবন যুদ্ধে আপনি লড়াকু বিজয়ী সৈনিক।
শুভ কামনা ভাই।
ইঞ্জা
বিজয়ী হতে পারিনি ভাইজান, ভাই বোনরা বড় হয়েছে তাই সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে মাত্র ৩৫০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় আসি ২০০৭ আর এরপর অনেক কষ্ট করে চায়নাই তারপর আবার ঢাকায় আর যুদ্ধ, হাঁ যুদ্ধ চলছে।
জিসান শা ইকরাম
আমার দেখায় আপনি বিজয়ী 🙂
নাসির সারওয়ার
আপনিও সেই দলে যোগ দিলেন যাদের লেখা আমি সহ অনেকেই বোঝেনা!!!
এখনতো চিমটে কেটে দেখতে হবে আমি জীবিত না মৃত।
জিসান শা ইকরাম
জীবন একটি বিমুর্ত অনুভুতি জনাব। বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়ার মধ্যে ব্যাবধান খুব সামান্য।
একে অপরের থেকে দূরে সরে যাওয়াও এক ধরনের মৃত্যু বরন।
এমন মৃত্যুর পরে আবার পুনর্জনমও হয় 🙂
উদহারনও আছে……..
বাইচ্যা আছেন।
নাসির সারওয়ার
জীবনকে জীবনের মত চলতে দিন। এত বেশী টানাটানিতে কোন লাভ নাই। সূতা ছিড়ে গিয়ে হোঁচট খেতে পারেন। আর উদহারন বা পুনর্জনম, কোনটারই দরকার নাই। পুনর্জনম হলে মানুষ না হয়ে অন্য কিছু হয়েওতো আসতে পারি!!!!
পাখি হলে খারাপ হবেনা। লাগামহীন উড়ে চলা নীল আকাশে মেঘের ভাঁজে …।
জিসান শা ইকরাম
পাখি হয়ে আসাই ভাল,
উড়ে যামু দেশ বিদেশ, পাখিদের জটিলতা কম,
কেনা কাটি নেই, গাড়ি ইলেক্ট্রনিক্স কেনা লাগেনা। খাবার খুজে নেয় প্রকৃতি থেকে।
পাখিদের জীবন বরই পছন্দের জীবন।
নাসির সারওয়ার
এইবার পক্ষী নিয়াই কিছু কন। আহারে, ওদের দেখে হিংসিত হই। কততত শুখ ওদের। আচ্ছা, ওদের কি হাজিরা দিতে হয়?
জিসান শা ইকরাম
পক্ষীকুলেরাই বহুত ভাল আছে, আমিও হিংসিত এদের সুখ দেখে।
মেহেরী তাজ
নাসির ভাইয়া!!! আপনার সাথে একমত….. 😀
নাসির সারওয়ার
পাখিরা অনেক ফ্রি। আমরা না।
খেয়ালী মেয়ে
জিসান ভাইয়া দেখি এখন সব কঠিন করে লিখেন 🙁 তবে কঠিন হলেও বুঝতে পেরেছি 🙂 আর শেষ লাইনটা যথার্থ বলেছেন কিছু মানুষ বেঁচে থেকেও মরে যায় (y)
জিসান শা ইকরাম
আমি যা লেখি তা তেমন কঠিন না। পরীর বোঝার মত করেই লেখা।
হ্যা, কিছু মানুষ বেঁচে থেকেও মরে যায়।
পরীর নতুন লেখা কই? কবে পাবো?
শুভ কামনা।
খেয়ালী মেয়ে
আমার সব লেখা যে অসম্পূর্ণ ভাইয়া, কি যে হবে আমার ;? দিন দিন আমি যে বিরাট টাইপের অলস হয়ে উঠছি 🙁 আমারে দিয়া যে কিচ্ছু হবে না ;(
জিসান শা ইকরাম
অনেক দিন লেখার মাঝে নেই, তাই এমন হতে পারে,
জাষ্ট কিছু একটা লিখে প্রকাশ করে দাও,
লেখা আছে তোমার মাঝে, শুরু করো আবার, এরপর লেখা বের হতেই থাকবে।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
হুম ভভাই, সকল বাবামার উচিত সন্তস্নদের এই খনিকের জীবনে নিজ স্বকীয়তায় বা নিজে নিজে চিন্তা ভাবনা করার বা চলার দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে জাতে তাঁরা সামনের পথ চলতে পারে একায়।
ভাল লাগলো।
জিসান শা ইকরাম
ভালই বলেছেন মজিবর ভাই।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল আছেন ভাইয়া।
গত ২৮/৭/১৬ তারিখে ফোন দিয়াছিলাম।
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ ভাল আছি,
ফোন তো খেয়াল করিনি মজিবর ভাই।
গাজী বুরহান
কিছু মানুষ মরে গিয়ে মরে যায়
কিছু মানুষ বেঁচে থেকেও মরে যায়,
ভালো বলেছেন
জিসান শা ইকরাম
হুম
মেহেরী তাজ
কাহিনী কিচ্চু বুঝি নি! 😀
তবে…..
“কিছু মানুষ মরে গিয়ে মরে যায়
কিছু মানুষ বেঁচে থেকেও মরে যায়,”
এই দুই লাইন মনে ধরেছে! 🙂
জিসান শা ইকরাম
কাহিনী একদম সহজ, আর একবার পড়লেই জলবৎ তরলং,
সময়ে কাছের কিছু মানুষ ঝরে পরে, পাখির পালকের মত।
শ্বেত ভল্লুকের মত প্রথম থেকে পরিত্যাগ করলেই মা এর কস্ট কমে যায়, সন্তানের ও মংগল হয়।
যতদিন বেচে আছি সাথে আছি, এই কথাও দু এক সময় অর্থহীন হয়ে যায়।
আত্মীক সম্পর্ক না থাকলে বেচে থেকেও তো মানুষ মৃত।
ইকরাম মাহমুদ
খণ্ডিত মৃত্যু… শব্দগুচ্ছতে আটকে আছি। বেঁচে থেকেও মানুষের বারংবার মৃত্যু ঘটে।এরূপ খণ্ড খণ্ড মৃত্যু যখন এক হয় তখনই বোধ করি তাকে জীবন্মৃত বলা যায়!
জিসান শা ইকরাম
স্বাগতম আমার ব্লগে।
খন্ড খন্ড মৃত্যু গুলো এক হলেই তা হয় জীবস্মৃত।