পাখি পাখি

বনলতা সেন ১৮ জুলাই ২০১৪, শুক্রবার, ০৮:৪০:১৭অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৬ মন্তব্য

পড়ন্ত বিকেলের চকচকে দিগন্তরোদে চোখ রেখে নয় , নয় কোন চূর্ণী নদীতীরে নাট-মন্দিরের দাওয়ায় বসে সূর্যাস্ত চোখে মাখা।গুমোট গরমের সমাপ্তি এক পশলা বৃষ্টিতে। সতেজ সুশীতল স্বস্তিরতার শেষ বিকেল।
বোকা বাক্সের মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ চালু রেখে বই মন্দিরে ঝানু ঝাড়পোছ। এটিকে তৈলাক্তকরণও বলা যেতে পারে , অবশ্যই ক্যানাবিস(cannabis) ঘি বা তৈল সহযোগে নয়। অবস্থা হাল্কা কর্দমাক্ত ।

খুটখুট ক্ষীণ শব্দ কাচ ঘেরা সাত বাই বারো ফুটের বিশাল জানলার দিক থেকে। জানলার ওপাশে বাহারি সবুজ বৃষ্টিস্নাত ডানা মেলে রেখেছে।’ও কিছু না ‘ ভেবে কাজের মন কাজেই ফিরে যায়। আবার খুট খুট শব্দ হতেই তাকিয়ে দেখি ছোট্ট একটি নাম না জানা পাখি ততোধিক ছোট ঠোঁট দিয়ে কাচে ঠুকে শব্দ করছে। এরপর প্রায় কাচের সাথে চোখ মিলিয়ে ঘরের ভিতরে এদিক দিক তাকিয়ে কী যেন খুঁজছে মনে হোল। ক্ষুদ্র চোখে খোঁজার ঔৎসুক্য দেখে অবাক হলাম। সমস্ত মনোযোগ একীভূত করে লক্ষ্য করতে থাকলাম। পাখিটির চোখের দৃষ্টি অনুসরণ করে বুঝতে পারছি আমাকে দেখতে পায়নি। যেহেতু সামান্য দূরত্বে ও আধো আলোয় আমার অবস্থান। চোখ তুলে নিয়ে এখন নিজ মনে জানলার পাশে হাঁটাহাটি করছে ও পিচ্চি ঠোঁট তুলে বিচিত্র শব্দ করছে , এটি ওদের গান কিনা কে জানে , শুনতে মন্দ না। আমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে লক্ষ্য রাখছি চোখ না সরিয়েই। গান হঠাৎ যেমন শুরু হয়েছিল আবার তেমন করেই বন্ধ করে দিয়েই আবার কাচে খুট খুট করেই সরাসরি আমার দিকে তাকাল , আমাকে দেখে ফেলেছে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল , মনে হল যা খুঁজতে এসেছে তা যেন সে পেয়েছে। অবাক করে দিয়ে হুট করেই উড়ে চলে গেল। আমি ঝিম মেরে বসে রইলাম ।
মুহূর্তের মধ্যেই ফিরে এলো আর একটি পাখিকে সাথে নিয়ে । এবারে কোন খুট খুট নয় , আমাকে দেখাচ্ছে ঐ পাখিটিকে।এরপর দু’জনে মিলে নেচে নেচে গান , গান ।

স্থাণু আমি ,আমাকে ফেলে দু’জনেই চলে গেল !

৫৭২জন ৫৭২জন
0 Shares

৩৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ