–
মাঝখানে একজোড়া পাথরের দেয়াল
ভীষণ শক্তি ও কৌশল প্রয়োগে তা ভেঙ্গে ফেলার পরে,
একজোড়া কংক্রীট এর দেয়াল…
তা-ও ভাঙ্গা হলো;
এরপর ভারী কাঠের কারুকার্য, যেন অজন্তা-ইলোরার গাছ-ভার্সন
নির্মম হাতে সেই দুই শিল্পও টুকরো করা হলো;
এরপর প্লাই-উড এর আধুনিক ডিজাইন…
সহজতর হলো সেই দুই-দেয়াল ভাঙ্গার পদ্ধতিটুকু;
এবার সামনা সামনি
দেখা যাচ্ছে চোখ, দেখা যাচ্ছে ঠোঁট
দেখা যাচ্ছে কপাল – যেখানে পরস্পরের নাম লেখা…
পা ফেলতেই হোঁচট… হাত বাড়িয়ে দেখা গেল অত্যন্ত স্বচ্ছ কাঁচ,
মাঝে দাঁড়িয়ে বিচ্ছিন্নতার একরোখা দাবীতে অটল, অনড়…
এই দেয়ালটা ভাঙ্গতে হবে একসাথে,
দু’জনের এক একাগ্রতায়
দেখা যাচ্ছে দু’টি শরীর
দেখা যাচ্ছে চোখের ভাষা
দেখা যাচ্ছে অস্থির আত্মার ক্লান্তি
তোমার-আমার মাঝখানের এই শেষ আড়াল
যা আপাতদৃষ্টিতে আদৌ আড়াল নয়, ভাঙ্গতে হবে সাবধানে
যেন, কাঁচের ধারে কেটে না যায় মন…
বিক্ষত শরীরের রক্তে না হেরে যায় এতদিনের ধৈর্য্য ;
এসো শরু করি
সাবধানে
খুব সাবধানে….
আঙ্গুল থেকে খুলে আনি আমাদের হীরক…
.
.
.
১০.৩০ সকাল
১৫জানুয়ারী ২০১৪
–
১১টি মন্তব্য
নীলকন্ঠ জয়
এসো শরু করি
সাবধানে
খুব সাবধানে….
আঙ্গুল থেকে খুলে আনি আমাদের হীরক…
অনন্যসাধারন (y)
মা মাটি দেশ
অসাধারন কবিতা (y) -{@
মোঃ মজিবর রহমান
একটি অসামান্য কবিতা ।
-{@ (y)
ছাইরাছ হেলাল
খোলা-খুলি শেষে আমাদের ও একটু চা-নাস্তার ব্যবস্থা করলে মনে হবে না ।
আফ্রি আয়েশা
হীরক যেহেতু আছে , কোন চিন্তা নেই , এক সময় কাঁচ কাটা পড়বেই । কিন্তু বেশির ভাগ “আমার-তোমার” হীরক থাকে না । ভালো লাগলো 🙂
খসড়া
ভাল।
জিসান শা ইকরাম
অনেক ভালো লাগলো ।
শুভ কামনা
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটি সত্যিই অসাধারণ ..
মুগ্ধ হলাম (y)
রিমি রুম্মান
খোলাখুলির পরে ক্লান্ত দুজন একটু জিরিয়ে নিলে ভাল হতো না? …… সুন্দর।
সীমান্ত উন্মাদ
সুন্দর একখান কাব্য কথনে ভাললাগা রেখে গেলাম। শুভকামনা নিরন্তর।
নীতেশ বড়ুয়া
“আঙ্গুল থেকে খুলে আনি আমাদের হীরক…” মানে কি! এতোক্ষণ যা ভেবেছিলাম তা নয়? পুরনো জীবন/অভিমান ফেলে নতুন করে পথ চলা?? ;?