মেঘ পেতে দিয়েছে চাদর,
বেশ একটা আসর বসেছে।
ওখানেই আজ নয় বিকেলটা কাটুক চা কিংবা কফিতে চুমুক দিয়ে!
চিঠি দিয়ে খবর পাঠালো নীল পাহাড়
আর টেলিফোন করলো মেঘের বিদ্যুৎ।
ভেবেই নিলাম,
যদি বৃষ্টি হয় হোক, ভিঁজলামই নয় অঝোরে
অথবা হাল্কা টুপটাপ।
তারপর ফিনফিনে সন্ধ্যের সময় সূর্য যখন বিশ্রাম নিতে আসবে
ওকে এই চাদরটায় বসতে দিয়ে ভেবেছি
নীল পাহাড়ে যাবো।
তারপর ওখানে গিয়ে জ্যোৎস্না কুড়িয়ে নিয়ে মাখবো চোখে-মুখে-গালে
সবশেষে প্রাহরিক ধারাপা্ত গুণবো পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে।
আমাকে ছুঁয়ে ঝর্ণা্র জল গড়িয়ে যাবে পাশের নীল সমুদ্রে
আমি তাই নীল পাহাড়ের পাদদেশের একটা নাম রেখেছি
সামুদ্রিক ধবল জ্যোৎস্না।
ঝর্ণার জলকে আদরে আদরে জড়িয়ে নেবে চাঁদের ওই আলো।
আজ ওই মেঘ আর নীল পাহাড়ের সাথেই সময় কাটাবো
কোনো রাজহংস ছাড়াই,
ঝর্ণা-সমুদ্র আর জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১৩ আগষ্ট, ২০১৫ ইং।
৩৬টি মন্তব্য
নীতেশ বড়ুয়া
কেন জানি না বিষাদ ছুঁয়ে গেলো নীলাপু 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
ওমা কেন? অনেক আনন্দ মন নিয়ে লিখেছিলাম। সেদিন আবহাওয়াটাই এমন লিখিয়ে নিয়েছিলো।
দুঃখের নয়। 😀
নীতেশ বড়ুয়া
্ঠিক জানি না কেন তবে
১) মানুষ খুব ভাল লাগার কিছু হলে হঠাৎ বিষাদে আক্রান্ত হয়
২) হয়তো আপনার সমস্ত লাইন কোন না কোন কিছুর সাথে বা কোন ইচ্ছে সাথে মিলেছে তাই বিষাদে!
-{@
নীলাঞ্জনা নীলা
হরিষে-বিষাদ, এটা মনে হচ্ছে বুঝি?
কিন্তু ব্যাপার কি আজ আড্ডা দিতে এসে দেখি নেই আপনি নীতেশ দাদা?
মিজভী বাপ্পা
ভালো হয়েছে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ মিজভী বাপ্পা। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ছবি ও কথার ফুলঝুরির মাঝেও বিষাদময়তা দেখতে পাচ্ছি রাজহংস বিহীনতায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
হায় হায় আপনি আমার লেখা বুঝতে পারলেন না!!! 😮
বেশ মজা পাচ্ছি। \|/
এখানে বিষাদের “বি”ও তো নেই। রাজহংস থাকলেই আনন্দ কে বললো?
ঝগড়াও তো হতে পারে। তাই না? 😀
নীতেশ বড়ুয়া
প্রায় অধিকাংশ কমেন্টেই বিষয়াদের কথা!!! \|/
নীলাঞ্জনা নীলা
সেটাই তো বুঝছি না! ;?
প্রকৃতি নিয়ে লেখা আমায় অনেক আনন্দ দেয়। 😀
প্রজন্ম ৭১
ছবিতে এবং কথায় অনবদ্য এই পোষ্ট।
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবিগুলো তুলেছি কোনোকিছুই না ভেবে। ভালো যে লেগেছে,
তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। -{@
খেয়ালী মেয়ে
কোন রাজহংস ছাড়াই মেঘ আর নীল পাহাড়ের সাথেই সময় কাটানোর প্ল্যান, দারুনতো—আমারও যে যেতে ইচ্ছে করছে 🙂
সবগুলো ছবিই সুন্দর (y) তবে ২য় এবং শেষ ছবিটা একটু বেশি সুন্দর (y) (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
পরী আপু চলো যাই। \|/
দ্বিতীয় ছবিটি আটলান্টিকের। আর শেষেরটি আলবিয়ন ফলস-এর।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম চলো 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
\|/ “চলেছি একা, কোন অজানায়—খুঁজেছি তারে যে অচেনায়” 🙂
মেহেরী তাজ
একে তো পাহাড় সাথে আবার নীল মেঘ। রাজহংস না থাক আমি যাবো।
সারা বিকেল বৃষ্টি শেষে চা নয় এক কাপ কড়া কফি খাবো।
চা তো আমি রোজ খাই, আজ না হয় কফির বেশ
ঝর্না – সমুদ্র – জোৎস্না ছুঁয়েই রাতের শেষ। 😀
দাওয়াত পত্র কই??? :p
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার হাতের কফি :T (y)
বিজ্ঞাপন দেয়ার মতো।
আর পিচ্চি আপু তুমি সাথে থাকলে আমার তো \|/ -{@
রিমি রুম্মান
লেখার সাথে ছবিগুলো দেখার সময় মনের ভেতরে অন্য এক আবহ তৈরি করে।
আজ ওই মেঘ আর নীল পাহাড়ের সাথেই সময় কাটাবো
কোনো রাজহংস ছাড়াই,
ঝর্ণা-সমুদ্র আর জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে__ ছুঁয়ে গেলো আমাকেও। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু কতো বছর যে এমন একটা সময়ের মধ্যে কাটাইনি।
ইস ইচ্ছেটা দুটি পাখনা মেলে উড়তে চাইছে।
ভালোবাসা রইলো। -{@
জিসান শা ইকরাম
আকাশের সাথে কথা ভালোই লেগেছে।
সেল ফোন দিয়ে এত সুন্দর ফটো তোলা যায় তা ভাবতেই পারিনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
শিখতে চাও? তোমারে নানা শিখিয়ে দেবো।
তবে গুরু মানতে হবে আমায় আর গুরুদক্ষিণাও দিতে হবে। :p
লীলাবতী
দৃষ্টি নন্দন ছবি আর কবিতায় মন কেরে নিলেন নীলাদি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাবতী দিদি চেষ্টা করিনি লেখাটায়। এতো সুন্দর নান্দনিক আবহাওয়ায় সেদিন বাসে বসে লিখিয়েই নিলো।
ভালোবাসা দিদি। -{@ (3
সীমান্ত উন্মাদ
দুঃখের সঙ্গে আমার একটা সন্ধি আছে, তাই নীলের প্রতি আছে একটা নিরেট টান। আপনার নীল রঙ্গের ছবি আর লিখা কথা মালায় যে বিষন্নতা আছে তা তাই ছুঁয়ে গেছে আমায়।
শুভকামনা নিরন্তর আপু পরিশেষে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আর আমি দুঃখকে পাত্তা দেইনা। তাই আমায় দেখতেই পারেনা।
অফুরান ভালোবাসা উন্মাদ ভাইয়া। -{@
সীমান্ত উন্মাদ
আপনার জন্যও অফুরান ভালবাসা আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো থেকো ভাইয়া।
শুন্য শুন্যালয়
কি কপাল আপনার!! নীল পাহাড় আপনাকে চিঠি দেয়!! মেঘের বিদ্যুৎ টেলিফোন করে!! আবার শুনেছিলাম বিধাতাও আপনাকে অবতার বানিয়েছিল। আসুন কপালে কপাল ঘষি। রাজহংস ছাড়াও এমন একটি জ্যোৎস্না উপভোগ করা যেতে পারে। না কোন বিষাদ নয়, নিজের জন্য নিজের আনন্দ কে পেখম মেলতে দেখলাম। 2 নাম্বার ছবিটাতেই মজা পেলাম, এ যেন নিজেরই দুভাগ।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু নীল(গরমে সূর্য এমনভাবে ওঠে, নীল আকাশ দেখতেই পারিনা 🙁 ) আমার খবরই নেয়না। আর চিঠি! 🙁
তবে মেঘ টেলিফোন করে এটা ঠিক, কি যে জ্বালা যখন সে টেলিফোন করে। রেইনকোট-ছাতা নিয়েও বাঁচা যায়না।
আপনি কতো লেখা যে নিয়ে এলেন! কিভাবে মনে রাখেন এতো। আপনি জিনিয়াস (y)
“আনন্দ-ধারা বহিছে ভুবনে…” \|/
ভালো থাকুন। ভালোবাসা -{@ (3
ব্লগার সজীব
আপনার লেখায় কবিতা হাসে 🙂 ছবিগুলো অনেক সুন্দর। ৩ নং ফটোতে যেন আকাশে আগুন লেগেছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতা হাসে!!!
সজীব ভাইয়া আমি কিন্তু সবসময় হাসি। দুঃখ একটাই মডেল হতে পারলাম না দাঁতের। সত্যিকারের হাসি পেতো, অভিনয়ের হাসি নয়। 😀
কি শান্ত আটলান্টিক দেখতে, তাই না? টাইটানিককে গিললো তার এই অভিনয়ের রূপটাই। সূর্যটা অস্ত যাচ্ছিলো তখন।
ভালোবাসা অফুরান ভাইয়া -{@
অরণ্য
একা স্বর্গেও মজা নেই। তবুও মাঝে মাঝে একা হতে চায় মানুষ। আসলে সে ঠিক তখন একাও থাকে না; একটি হোমোসাপিয়েন সখ্যতা গড়ে প্রকৃতির অন্য আয়োজনের সাথে হোমোসাপিয়েনদের দূরে রেখে – পরে ফিরবে হোমোসাপিয়েনদের মাঝেই জেনেই। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
জানি একা ভালো থাকা যায়না। কিন্তু থাকতে তো হয় ভাইয়া। 🙂
ইমন
পাহাড় আপনাকে চিঠি দেয় 😀
বিদ্যুৎ টেলিফোন করে 😀 সব গুলা দেখার ইচ্ছা জেগেছে মনে। এখন আপনার উচিত ছোটো ভাইয়ের ইচ্ছা পূরণ করা :p \|/
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া টেলিফোন কি বিদ্যুৎ ছাড়া চলে? :p
আর আমার জন্ম সিলেটে, ওখানে পাহাড় আছে। ওখান থেকে চিঠিও আসে। 😀