অভিমান ছিটকে পড়ে অমার্জনীয় সভ্যতার ভেষজদ্রব্যের ভেতর
দূর্লভ অথচ মধ্যবিত্ত অনুভূতির দোলনায় দুলতে থাকে একটি ভেঁজাল হৃদয় একরকমের জড় পদার্থর মতো।
রাত্রির অন্ধকারে নিরুদ্দেশ জীবন যেনো পুড়তে থাকে তাপদগ্ধতার গন্ডিতে
সকলেই জানে কতোটা তীক্ষ্ণ হয় বিদ্রূপের ভাষা এবং অবহেলার মর্মকথা।
আত্মসংজ্ঞার উত্তর খোঁজা বড়ো কঠিন
অলস দুপুরের কোল ছুঁয়ে শত যুগের নীরবতা ভাঙ্গাও সহজ নয়
বিরল ঘুঘু পাখীর ডাক এখন আর কোথায়?
অবলুপ্তির তালিকা বড়ো ভারী এবং বহু দীর্ঘ—
সময়ের ইতিহাসে একেকটি ভোররাত জাবর কাটে,
মধ্যরাত ঢেকুর তোলে;
তারপর আকাশ নেমে আসে মাটির কাছে এবং অরণ্যের বুকে আত্মসমর্পণ করে।
কেউ কি জানে ওই অরণ্য এখন কংক্রিটে রূপান্তরিত হয়েছে?
এমনকি আকাশে নীলও নেই, ধূসরতা বিরাজমান।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ইং।
**ছবিটি এক্সিডেন্টের ঠিক আগের দিন তোলা। যে ক্লায়েন্টে যাবার পথে এক্সিডেন্ট হয়েছিলো ৮ জানুয়ারী। ৭ জানুয়ারী তারিখে সেই ক্লায়েন্টের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে তুলেছিলাম।
২৮টি মন্তব্য
ইকবাল কবীর
ভালো লেগেছে আপনার কবিতা। আরো নতুন কিছু পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলে লিখতে পারিনা আজকাল।
তবু চেষ্টা থাকে লেখার। তবে ব্লগে লগ ইন না হলেও আপনাদের সকলের লেখা পড়ি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
আর্বনীল
অনেক ভালো লাগল!
প্রতিটা লাইনে লাইনে মুগ্ধতা….
নীলাঞ্জনা নীলা
নিজেদের লেখা একেকটি সন্তানের মতো।
তাকে ভালো বললে ভালো লাগে খুব।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
লেখায় বিষণ্নতা……
ভালো লিখেছো অনেক অনেক।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা বিষণ্ণ সময় আসে আবার যায়। বোঝোই তো এক্সিডেন্ট, তারপর এখন আবার কাজেও ঢুকেছি।
মাথা কাজ করেনা। ;(
জিসান শা ইকরাম
সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে আবার আগের মত,
বিষণ্নতা কেটে যাক।
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে বিষণ্ণ আমায় ধরে রাখতে পারে নাকি নানা?
দীপংকর চন্দ
বিষাদ!!
সংযুক্ত আলোকচিত্রের প্রতি বিশেষ মুগ্ধতা!!
আমার শুভকামনা থাকছে। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
//অলস দুপুরের কোল ছুঁয়ে শত যুগের নীরবতা ভাঙ্গাও সহজ নয়
বিরল ঘুঘু পাখীর ডাক এখন আর কোথায়?//
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবিটার জন্যেই লেখাটা লিখতে পেরেছিলাম কিন্তু।
এতো সুন্দর মন্তব্য করেন আপনি।
প্রতি-মন্তব্য করতে গিয়ে হিমসিম খেয়ে যাই। 🙂
লীলাবতী
একটু অন্যরকম লেখাই বটে। আপনি বিষাদের কথা লেখেন না কখনো। ভালো হয়েছে হয়েছে নীলাদি। ছবিটায় তো বিষাদ লেগে আছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাবতীদি ছবিটা দেখেই লেখাটার জন্ম কিন্তু।
আমি বিষাদময়ী কন্যা হতে পারিনা কেন বলুন তো? 🙁
লীলাবতী
আমি সোনেলায় নিয়মিত হলাম আর আপনিও নিরুদ্দেশ নিয়ে এলেন। নিয়মিত চাই আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাবতীদি না গো নিরুদ্দেশ হইনি। অফিস ডিউটি শুরু করেছি। এখনও সুস্থ হইনি। বাসায় ফিরে খুব ক্লান্ত হয়ে যাই।
আছি, সময় পেলেই আসবো।
অপার্থিব
কবিতার লাইনগুলো ভাল লেগেছে। বিশ্ব জুড়েই অরণ্যগুলো আজকাল কংক্রিটে পরিণত হতে চলেছে। কংক্রিটের দালানে বসে নীল আকাশটিকেও আজকাল ঠিক যেন নীল বলে মনে হয় না।
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে নগরায়নের নীচে অরণ্যের দীর্ঘশ্বাস।
ব্লগার সজীব
নীলাদি আমাদের জীবনের রঙ কি ধূসর? আজকাল মাঝে মাঝে আমার এমনটা মনে হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া আমার জীবনের রঙ নীল। আমি নীলের কাছেই নিজেকে রাখি। 😀
মৌনতা রিতু
বিরল ঘুঘুর ডাক শুনতে আমার এই কুড়িগ্রামের বাসায় চলে আসুন।
জীবনটা আসলেই কেমন যেন এখন যন্ত্রিকতায় ভরা। কেন এমন হলো বলুন তো ?
আপনার কবিতার প্রতিটা লাইনই আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে।
ধুর, হিংসে হয় খালি। ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
মৌনতা আপু একসময় চা’ বাগানে ভর দুপুরে ঘুঘু পাখীর ডাক শুনতাম।
ইস আমার লেখায় আপনি হিংসিত হন? আমি যে মহাহিংসিত ^:^ আপনার লেখা পড়ে! :@
খসড়া
বাহ্ চমৎকার।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
প্রলয় সাহা
লেখাটা অনবদ্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনাদের এই প্রেরণাদায়ক মন্তব্যই লেখায় আমাকে। ধন্যবাদ।
প্রলয় সাহা
হাহাহাহাহাহাহা। আমি ওমন কেউ না দিদি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাই কি, সে তো জানে বোনই। তাই না?
মোঃ মজিবর রহমান
কষ্ট আর কষ্ট আপু।
ভাল লাগলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
“কষ্ট নেবে কষ্ট?”
মজিবর ভাই কষ্ট কারে কয়? ;?