
আমি আর কতো না শুনবো?
আর কতো বয়স বাড়লে একটি হ্যাঁ পাবো?
ছোট্ট বেলায় মা কতো কিছুতে না বলতেন,
কেন? জিজ্ঞেস করলে বিরক্ত হয়ে বলতেন
বড়ো হলে বুঝবি,বলতেন না আসল কারণ।
যে পোড়ামুখী তুই যে কন্যা সন্তান!
পুকুর পাড়ে একা যাওয়া বারণ,
বাড়ির দক্ষিণ দুয়ারে আধশোয়া নাককেল গাছটায় বসা বারণ।
জোরে কথা বলা মানা,
হনহনিয়ে চলা মানা।
অথচ ভাই ঠিকই ফুটবল, ক্রিকেট মাঠ জয় করে ফিরছে,তার বেলায় ঠিক ষোলোআনা।
মনের উচ্ছলতার কোনো লিঙ্গ হয়না,কিছুতেই আজও কাউকে বোঝাতে পারলাম না।
কারও কারও বার্ধক্যে ও মনের বয়স বাড়েনা।
এই মধ্যবয়সে এসে আবেগী হওয়া, আবেগি লেখা নাকি মানায়না,
নীল রঙটা নাকি রঙচটা সেটা পরাও মানা।
লাল, মেরুন কালার তো প্রশ্নই আসেনা?
আমার ও আছে একটি কন্যা,
আমি ও তাকে করি রোজ কিছু কিছু মানা।
এই যেমন তৃতীয় তলা থেকে পঞ্চম তলায় খালামনির বাসায় একা যেতে দেইনা।
বেচারি প্রশ্ন করে কিন্তু উত্তর পায়না।
আমি তো বাচ্চাকে বলতে পারিনা যে পথিমধ্যে ওঁতপেতে থাকতে পারে কোনো হায়েনা।
ওরা না থাকলে তনু,নির্ভয়াদের নির্মম মৃত্যু হতোনা।
আর কতো ‘না’ শুনবো মা?
আর কতো ‘না’?
আর কতো?
০৮/০৬/২০২০ইং
৪১টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
এখন প্রশ্ন নয়, জ্বলে ওঠার সময় হয়েছে সর্বদিকে। অসহায়ের মত আর কত প্রশ্ন করবো? কেন করবো? এখন প্রতিবাদের তীব্র সময় এসেছে। কন্যা শিশু রক্ষনাবেক্ষনেই বেড়ে উঠবে স্বাভাবিক। যুগে যুগে হায়েনা কুকুরের দল থাকবেই। প্রতিঘাতটাও শিখতে হবে যথাযথ ভাবে। একজন না পারলে শতসহস্র ছড়িয়ে পড়ার সময় এসেছে
খুব দরকার এখন, খুব দরকার।
খাদিজাতুল কুবরা
ঠিকই বলেছেন আপু এখন জ্বলে উঠার সময়। কন্যা শিশু এবং পরিবারে মহিলাদের সম্মান নিশ্চিত করে ও ছেলে শিশুটিকে সুশিক্ষা দেওয়ার উপর জোর দিতে হবে ।
এই আলোর মশাল আর যেন নিভে যায়।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।
ভালো থাকুন আপু শুভকামনা নিরন্তর।
খাদিজাতুল কুবরা
এই আলোর মশাল আর যেন নিভে না যায়।
ছাইরাছ হেলাল
এত এত সহজে জ্বলজ্বলে অনুভুতি লেখেন কী করে তাই ভাবি,
বাস্তবতা আমাদের অনেকগুলো না বলতে বাধ্য করে, জেনে বুঝে।
নগদা-নগদি লিখে একটি লেখা দিন তো।
খাদিজাতুল কুবরা
বাবা মায়ের অতি আদরের সন্তান হওয়ার পরও দেখেছি পদে পদে না। বাবা মা যে খুশিমনে না বলেন তা নয় বাধ্য হয়ে বলেন। দুরন্তপনা বশে আনতে পারিনি কখনো শুধু অগত্যা মেনে নিয়েছি।
সেই অন্তর্জ্বালা থেকেই লেখা।
একটা লেখা রেডি করেছি। কিন্তু পয়েন্টগুলো বড় অক্ষরে কিভাবে হাইলাইট করবো বুঝতে পারছি না।
সম্ভব হলে একটু বুঝিয়ে দেবেন ভাইয়া।
আপনার মন্তব্যগুলোই উৎসাহ। কিছু নাহোক অন্তত প্রকাশ করতে পারি না বলা কথা।
ছাইরাছ হেলাল
লেখা দিয়ে দিন, বড়-ছোট সব হয়ে যাবে নিমেষেই !!
মোঃ মজিবর রহমান
সবাই যেন থাকে সুখে সবাই যেন থাকে আনন্দে আশা রাখি।
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
তা-ই যেন হয়। কোন পুরুষের দিকে যেন ভয় শংকা নিয়ে তাকাতে না হয়।
মনির হোসেন মমি
না”
যেন নারী জীবনের সর্বোত্র শুনতে হয়।এ সমাজ এ ঘূণে ধরা রাষ্ট্র ব্যবাস্থা নারীর চলার পথে অন্তরায়।
খাদিজাতুল কুবরা
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। সমাজ তো পরিবার নিয়ে। তাই প্রতিটি পরিবার হোক নারীবান্ধব।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য।
সুরাইয়া পারভীন
জন্মের পর থেকে কন্যা শিশুর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাবা-মা। কিন্তু তারাও যে বড্ড অসহায়
মস্তিষ্ক বিকৃত নিকৃষ্ট মানুষরূপী হায়নাদের কাছে।
যখনই ভাবছি এবার সময় এসেছে সমস্ত না কে হটিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানোর তখনই জানোয়ার গুলো রাক্ষুসে দাঁত বাড়িয়ে তাড়া করছে, বেপোরোয়া উল্লাসে খুবলে খুবলে খাচ্ছে
খাদিজাতুল কুবরা
একদম ঠিক বলেছেন আপু। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার নেই। জানিনা এর শেষ কোথায়!
স্বয়ং বিধাতা যদি আমাদেরকে রক্ষা করেন তবেই হয়তো রক্ষা পাবো।
শুভকামনা সতত ভালো থাকুন।
অনেক ভালোবাসা রইলো।
সুপায়ন বড়ুয়া
যততত্র আজ ওৎ পেতে থাকে হায়েনা।
মেয়েকে করেছি ঘরকুনো তাই
মুক্তির দিশা নাই।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
হ্যাঁ দাদা আগে তো সামাজিক ভাবে বিচার আচার হেয় প্রতিপন্ন হতো এখনতো মানবাধিকারের নামে আইনের ফাঁকে সবই সম্ভব।
আর কোন আশা দেখিনা।
ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকুন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ভীষন পছন্দ হল। আর কত না শুনব। ইচ্ছে করে অনেক কিছু করতে। সমাজ করতে দেয়না।
“আমার মা আজ সকালেই দীর্ঘ বক্তব্যে ভরিয়ে দিলেন।
পরিবারে আমি অন্যতম ভদ্র বখাটে। আর ব্যাটা ছেলে পিটাইতে ওস্তাদ”।
লাল নীল সবুজ যা মন চায় করে ফেলতে হবে। মেয়ে বলে আটকে থাকব এমন বাধা মানিনা।
শুভ কামনা দিদিভাই।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সরি দিদিভাই হয়ে গেছে।
খাদিজাতুল কুবরা
ঠিক আছে কোন ব্যাপার না।
খাদিজাতুল কুবরা
মানতে তো ইচ্ছে করেনা আপু। তবুও মেনে নিতে হয়। অপরাধীর বিচার হয়না হয় নির্যাতিতার সম্মানের পোস্টমর্টেম। মেনে নেওয়া গা বাঁচিয়ে চলা ছাড়া উপায় কী?
ধন্যবাদ আপু শুভকামনা রইল।
আরজু মুক্তা
এখন না শুনি না
খাদিজাতুল কুবরা
শোনা উচিৎ ও নয়। তবুও তো কতো মা বোন লাঞ্ছিত হচ্ছে!
আল্লাহ সহায় হউন।
ভালো থাকুন আপু শুভকামনা রইল
শামীম চৌধুরী
বর্তমানের প্রেক্ষাপটে নারী হয়ে জন্মটাই দেখছি লোভাতুর কাম-চরিত্রের খোরাক। এদের রুখে দিতে হবে সম্মলিত ভাবে। নইলে আমার বোনরা নিরাপদ রবে না।
ভাল লাগলো আপনার অনুভুতি।
খাদিজাতুল কুবরা
একদমই তাই। নারী হয়ে জন্মানোই এখন অভিশাপ। আইয়ামে জাহেলিয়াত ফিরে এসেছে যেন।
সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে নিরসন হোক এই ব্যাধি।
ভালো থাকবেন শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ।
তৌহিদ
প্রতিবাদের ভাষা এমনই হওয়া উচিত। এখন আর চুপ করে থাকার সময় নয়। আমাদের নারীদের চুপ করিয়ে রাখতে গিতেই শিয়ালগুলো আর বড়ড বাড় বেড়েছে।
হোক প্রতিবাদ। চমৎকার লিখেছেন আপু। শুভকামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
আসলে ধর্মের বিধি নিষেধের নামে নারীকে অসম্মানই এ হীন মানসিকতার নরপশু জন্ম দেয়।
প্রতিটি পরিবার হোক নারীবান্ধব তবেই সমাজ বদলাবে।
অনেক ধন
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল ভালো থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
“আমার ও আছে একটি কন্যা,
আমি ও তাকে করি রোজ কিছু কিছু মানা”
এভাবে, আর এই ভেবেই আমাদের উপরেও চাপিয়ে দেয়া হয়েছে সব নিষেধাজ্ঞা। বণ্যপ্রাণীর মুখ থেকেও সন্তানকে বাচিঁয়ে আনা যায়, কিন্তু মানুষরূপী হায়েনার হাত থেকে মুক্তি নেই। যতদিন না নিজের কন্যাকে নিষেধের বেড়াজালের বন্ধন হতে মুক্ত করতে পারবো ততোদিন এই “ না ” আমি/ আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মরা উত্তরাধিকার সূত্রে বয়ে বেড়াবে।
সময় হয়েছে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।
হোক প্রতিবাদ সম্মিলিত ভাবে, মননে, কলমে।
শুভ কামনা 🌹🌹
খাদিজাতুল কুবরা
শেষ সত্যি তো এটাই। যতোই প্রতিবাদের ঝড় উঠুক ওদেরকে আড়াল করার লোকের অভাব নেই।
সেই নির্যাতিতাকেই বয়ে বেড়াতে হয় জীবন্মৃত দেহ।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।
আমীন
ভালো থাকুন শুভকামনা রইলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শিশু কাল থেকেই আমিও ‘ না’ শুনেই বড় হয়েছি তার উপর বড় সন্তান, আমার বেলায় যেন ‘না’ টা আরো বেশী কার্যকর হয়েছে। নরম হয়ে থাকতাম বলে সবাই পেয়ে বসতো এখনও বসে। মেয়ে শিশুকে প্রতিবাদী, আত্নরক্ষার কৌশলী আর ছেলেদের মতো করে মানুষ করাটাই সমর্থন করি। অফুরন্ত ধন্যবাদ ও ভালোবাসা এমন সত্য, কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য।
খাদিজাতুল কুবরা
দিদি ভাই আমি ও বড় সন্তান বলে বেশি বেশি না শুনেছি। এখনো শুনি এবং নিজের মেয়েকে ও বলি৷
আপনার সাথে আমি ও একমত মেয়েকে প্রথমেে মানুষ হিসেবে মানুষ করতে হবে তারপর মেয়ে। সেই সাথে পরিবারের মহিলার সম্মান নিশ্চিত করতে হবে যাতে ছেলে শিশুটি বড় হয়ে মহিলাকে সম্মান করতে শেখে।
আপনার জন্য ও অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা রইল।
রেহানা বীথি
না শুনতে শুনতে নারী যে মানুষ, সেটা তারা নিজেরাই ভুলে গেছে। প্রত্যেকে যদি নিজেদের অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়াতো, হয়তো এতটা চেপে বসতে পারতো না
‘না’ আমাদের ওপর।
রেহানা বীথি
লেখা খুব ভালো লাগলো আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
আপু আপনার মতো গুণিজনের উৎসাহ আমার মতো ঘরকুনো মহিলার জন্য পরম সৌভাগ্য।
অনেক ভালোবাসা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
নারী নিজেকে ভালোবাসতে, সম্মান করতে পারেনি আজও। সমাজব্যাবস্থাটাই এমন। আসলে সময় এসেছে পরিবার থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর,ছেলে মেয়েকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।
ভালো থাকুন আপু শুভকামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ একাত্মতা প্রকাশের জন্য।
জিসান শা ইকরাম
ছোট বেলা থেকেই কন্যা আর ছেলে সন্তানকে আলাদা ভাবে লালন পালন করা হয়,
কন্যা সন্তানের কখনোই আর মানুষ হওয়া হয় না, তাকে কন্যা নারী হয়েই থাকতে হয় আমৃত্যু।
নিষেধের বেড়াজালে না শুনতে শুনতে জীবন শেষ হয়ে যায়।
আর এখন তো হায়েনাদের কারনে না বলতেই হয় ইচ্ছে না থাকলেও।
না এর অবসান হোক, সকলের শুভ বুদ্ধি জাগ্রত হোক।
খাদিজাতুল কুবরা
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন। মহিলাদের পাশাপাশি যেসকল বাবার একটি কন্যা সন্তান আছে তিনি বলতে পারবেন এই বীভৎস খবরগুলো কতোটা যন্ত্রণার আতংকের।
তবুও চাই আল্লাহ পাক আমাদের সহায় হউন।
ভালো থাকবেন ভাইয়া শুভকামনা সবসময়।
শামীনুল হক হীরা
দারুণ।।। দারুণ।।
খাদিজাতুল কুবরা
পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন শুভকামনা রইলো
মোঃ মজিবর রহমান
বিচারে শাস্তি হওয়া ফরজ হয়ে দাড়িয়েছে। হয় অজ্ঞ কর্তন নয়তো মৃত্যি। এর বিকল্প দেখিনা।
খাদিজাতুল কুবরা
ধন্যবাদ ভাইয়া।
অপরাধীর কঠোর শাস্তিই এখন পরিত্রাণের পথ দেখাবে।
আল্লাহ সহায় হউন।
হালিম নজরুল
ভেঙে যাক এই অচলায়তন
খাদিজাতুল কুবরা
ভেঙে যাক!
আমরা ও চাই।
তবে তা ভাঙার জন্য নারী পুরুষ নির্বিশেষে সোচ্চার হতে হবে। পরিবার থেকে শুরু করা হোক নিজ পরিবারের মহিলাদের সম্মান নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ