বুড়া গৌরাঙ্গ নদ পেলো ধরলার স্বাদ।
সরীসৃপ শরীর বয়ে বয়ে, ভেলায় ভেসে,
ভাসিয়ে নিয়ে রজকিনীর মানতের ফুল।
চিতাভস্মে জমে ছিলো এক নয়, তিন তিনটে জীবনের স্বপ্ন, দু:স্বপ্নগাঁথা
গত, আগত আর বর্তমান
সব ভাসিয়ে নিয়ে চলছে বুড়া গৌরাংগ নৌকার খলুইয়ে আধ ঘোমটা নতুন বউ নিয়ে
চলছে কোন সে ধরলার পিপাসা নিয়ে!!
ভেতরে তার ডুবন্ত প্রতিমা,
অতৃপ্ত বিসর্জনে ছিনিয়ে নেয়া আরো কতো দেহ
না থেমেই পার পেয়ে যাওয়া, সাপে কাঁটা নীলাম্বরী
বেলা শেষে বিষাক্ত বুড়া গৌরাঙ্গ মেটালো ভালোবাসার পাপ ধরলাকে বুকে পিষে নিয়ে
সবাই পেয়ে যাবে, যায় ”ঠিকানা” নাম যার।
সবাই!!!
পুনশ্চঃ পটুয়াখালী জেলার নদী -বুড়া গৌরাঙ্গ আর ধরলা -সুনামগঞ্জ জেলার। দুই প্রান্তের দুই নদী। এদের কখনোই মিল হবেনা, তাই অবাস্তবটাকেই ঘটিয়ে দিয়ে শেষের লাইনে “সবাই” এ বিষ্ময়সূচক চিহ্ন।
নদীর উপরেই আমরা সবসময় দেখি, তেমন কিছু বর্ননাতে। ফুল ভেসে যাওয়া, চিতার ভস্ম ছেড়ে দেয়া, প্রতিমার বিসর্জনের সাথে সাথে দুএকটি মৃত্যু তো সবসময় দেখি, নৌকাতে করে বিয়ে আর সিনেমাটিক সাঁপে কাঁটাকে ভাসিয়ে দেয়া। আর কিছু নেই লেখায়।
আমাকে নিয়মিত লেখার জন্য কানপড়া দিলে নিজেদেরই এমন কষ্ট পেতে হবে 🙂
৭০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
বাবারে, অভিশাপ দিচ্ছেন! তাও আপনি!!
‘দড়ি ফালাও বাইয়া উঠি’ ,এ জীবন আর রাখবো না।
শুন্য শুন্যালয়
গালাগালিখোরদের সঙ্গদোষ, আমাড় কুন দুষ নাই। 🙁
বলেন কি!! এত্তোগুলার ভাগবাটোয়ারা না করেই মরে যাবেন?
ছাইরাছ হেলাল
না না, আপনার কোনই ‘দুষ’ নেই থাকত্তেই পারেন্না। আপনার অভিশাপ নিয়ে পরকাল
যায় যাক, ইহকাল হারাতে পারব না, চাই ও না।
তব্বে এত্তোগুলার জন্যই মরিতে চাহি না এই ভুতীদের রাজ্যে।
এত্তোগুলো অভিশাপ দিতে পেরে মেজাজ বেশ খোলতাই………
পাঠক তাও লেখা পেল এটাই বা কিম কিসে!!!
শুন্য শুন্যালয়
তাতো বটেই মনে মনে গালাগালি তো আর আপনাকে শুনতে হবেনা!! দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো (গরু কি করে দুস্ট হয় কে জানে)
গেলে আম-ছালা দুইই যাবে, অভিশাপের জোর ঢিলাঢালা নয় মোটেই। তব্বে বেঁচে থাকুন চারপাশে ভূত্নীদের নিয়ে, দৃষ্টান্ত হয়ে যাচ্ছেন, খেয়াল রাইক্ষেন।
আরো আছে নাকি অবস্থা সঙ্গীন?
ছাইরাছ হেলাল
আরও আছে, তবে এবারে গভীর গুপনে রাখতে হপে, যেখানে টেলিস্কোপিক
চোখ না পৌছায়। সব মাথার উপ্রে উপ্রে চলপে।
ভাউ, আম-ছালা দুদু’টোর রিস্ক নেয়া ঠিক্ক না কইলাম।
আমারা কিনতু আমরাই।
হায় ঈশ্বর মৌমাছিরা মধু নিয়ে কি একেবারেই দেশান্তর হলো!!
দিল দেখছি শুস্কং কাষ্ঠং!!!
শুন্য শুন্যালয়
গোপন কথাটি রবেনা গোপনে। আমাদের চোখ হচ্ছে atlast, কোন কিছুই এড়াবে না, নিশ্চিত কিংবা আতংকিত থাকতে পারেন।
ঈশ্বরের আবার মধুর কি দরকার পরলো বুঝতেছিনা, সেও বোধ হয় পরকালের দিকটা গুছিয়ে নিচ্ছে, আপনার বক্রচক্র লেখা ওইখানেও গিয়ে চালাবেন, তাই পূর্ব প্রস্তুতি।
দিলের দোষ দেবেন না, বয়স যতই হোক, দিল তো বাচ্চা হে জি।
ছাইরাছ হেলাল
ভাউ,যাই বলেন বয়স কোন ব্যাপার না এটি খুব পছন্দ হয়েছে।
লেখা তো শেখালেন না তাই বক্রচক্রের দায় এড়াতে পারছেন না।
আপনি এবার থেকে মধু সহযোগে কুলকুচা করবেন নিয়মিত।
মুখেও চাকু নিয়ে বসে থাকে।
ছাইরাছ হেলাল
কিছু বলছেন না যে…………………………
শুন্য শুন্যালয়
বলবো কি করে, মুখে নাকি চাকু নিয়ে বসে থাকি? রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে তা থামানোর উপায় জানা নেই। লেখা শেখানোর কি দরকার, সাহস থাকলে আসেন অদলবদল করি।
ছাইরাছ হেলাল
চাকু দিয়েই যা বলার বলুন, তাতেও আপত্তি নেই,কিছু একটা ক’
আমি সাহসহীন, তবে অদল বদলে রাজী জনাব।
কখন কিভাবে দেবেন, নেবেন ও জানাবেন ভাই।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার লেখা নিয়ে এত্তগুলা সামলাবো কেমন করে? আমি একজনকে সামলাতেই হিমসিম খাচ্ছি। না বাপু, লেডিকিলারের লেখা নিয়ে জেলহাজতে যাইমুনা। আবার ইদানিং ফিঁচফিঁচ করে নাঁকি কান্না কাঁদছেন ম্যালা নাকি জ্বালা। সুসময় পার করে অসময় চাপায় দেয়ার চালাকি চইলতো না।
মরুভূমির জলদস্যু
বেলা শেষে বিষাক্ত বুড়া গৌরাঙ্গ
সব নদ-নদীরই এই একই কাহীনি।
শুন্য শুন্যালয়
নতুন কাহিনী কই পাইয়াম? আমিতো এই নদী দুইটা কোনদিন দেখিই নাই 🙁
ব্লগার সজীব
আপু আপনার লেখা যখন প্রথম পড়ি লেখা থাকে মেঘের কাছে। এরপর সবার মন্তব্য পড়তে পড়তে লেখাটা ভারি হয়ে নীচে নেমে এসে মাথার উপরে ঝুলতে থাকে। বিস্কিট দৌড়ের মত লাফিয়ে লাফিয়ে লেখা মাথা দিয়ে স্পর্ষ করার চেষ্টা করতে থাকি। হাত থাকে বাধা বিস্কিট দৌড়ের মত।অবশেষে লাফাতে লাফাতে পা যখন ব্যাথা হয়ে যায়,মাথার ঘিলু যখন ঢিলা হয়ে যায় তখন মাথায় ঢোকে 🙂
আগে বুঝে নেই,এখনো লেখা মেঘের কাছে :p
শুন্য শুন্যালয়
মাথার ঘিলু ঢিলা হবে কি? সেতো আপনার এমনিতেই ঢিলা!! বিস্কুট দৌড়ে জিতেছেন কোনদিন নাকি শুধু হাইজাম্প? লেখা বুইঝা কাম নেই, ও আপনি পর্যন্ত আসতে আসতেই বৃষ্টি হয়ে আপনার মাথায় পড়বে আর আপনি তখন ছাতা নিয়ে দৌড়ুবেন। এমন মন্তব্য দিছে সবাই এখন লেখা বাদ দিয়ে বিস্কুট দৌঁড়ের দিকে ঝুঁকেছে। আপনি এত্তো পঁচা 🙁
ব্লগার সজীব
এমন সহজ লেখা প্রথম বার পড়েই বুঝেছি।সব কিছুতে একটু ক্লাইমেক্স রাখতে হয়।বুঝেও না বোঝার ভান করতে বেশ মজা 🙂 দেখি আপনি কত কঠিন করে লিখতে পারেন।আমার চোখ ভিতর দেখতে পারে -{@
বিস্কুট দৌড়ে হেরেছি নাকি কোনদিন?
শুন্য শুন্যালয়
ভান করে মজা নিচ্ছেন? 🙁 এখন তো দেখছি আমিই সবচাইতে কম বুঝি। দেখে নেব আপনাকে। বিস্কুট দৌড়ে এইকারনেই কোনদিন জিততে পারিনি বুঝলাম এবার। মুখের ভেতর আগে থেকেই বিস্কুট লুকিয়ে রাখতেন নাতো!!
অরুনি মায়া
একবার মনে হল আমি বিস্কিট টা ধরে ফেলেছিলাম কিন্তু পরক্ষণেই হাত ফসকে গেল। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
থাক আপু কান্না করেনা। আপনাকে পুরো বিস্কুটের প্যাকেট কিনে দেব।
অরুনি মায়া
আর সাথে এক কাপ চা। মনে থাকে যেন,,,,
শুন্য শুন্যালয়
লাল চা নাকি মিল্ক চা? চিনি সহ নাকি চিনি ছাড়া? এক চামচ না দুই চামচ? স্ট্রং ওর লাইট?
ইমন
তা আপু গৌরাঙ্গ বেটা কে কি বাশ দিবো :p
শুন্য শুন্যালয়
না থাক নেক্সট টাইম দিয়েন। লেখার ফাঁকিঝুঁকিতে এমনিতেই সে মন খারাপ করবে এখন। ধরলার স্বপ্ন শেষ 🙂
জিসান শা ইকরাম
যে ফিল্ম বুঝা যায় না, সে মুভি আর্ট ফিল্ম
যে আর্ট বুঝা যায় না,সে আর্ট বিমূর্ত আর্ট
যে ফটো ধোয়াটে অস্পষ্ট, সে ফটো অসাধারণ
যে যাত্রা পালা বুঝা যায়না,সে যাত্রা পালা উঁচু স্তরের
যে লেখা বুঝা যায় না, সে লেখাকে কি বলা যায়?
সুলতানের চিত্র প্রদর্শনি একবার দেখতে গেলাম
মানুষের পেশি ফুলিয়ে বিশাল বিশাল করা অনেক চিত্র
কিছুই না বুঝে ভাব নিয়ে একটা ছবির দিকে তাকিয়ে থাকলাম ২০ মিনিট, যেন মুগ্ধ আমি
যারা একটু থামে ছবির সামনে, সবাইকে বলি ‘ দেখেছেন ভাই কত সুন্দর ‘ 🙂
সেইরকম ভাব নিয়ে এই লেখাটির দিকে তাকিয়ে আছি
যাত্রা পালার অবুঝ দর্শকের মত নায়ক নায়িকার অভিনয় দেখে অন্য সবাই দিচ্ছে দেখে আমিও জোরে :c দিয়ে বলি… খুবই ভালো লেখা 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আপনিও আমারে এমন কইরা পঁচাইলেন? ;( সব্বাই আমার শত্রু, উউউউউউউ। আমি শিউর আপনি আপনি না, আপনি সেও না।
মেহেরী তাজ
;? সম্ভবত বিস্কুটের সংখ্যা কম। আমি হাত বাধা অবস্থায় কোন রকমে গিয়ে পৌঁছেছি দেখি আমার জন্য কোন বরাদ্দ নাই। কে যেনো পাশ থেকে বলে উঠলো ” মন খারাপ করে না পিচ্চি হবে হবে, পরের বার ঠিক হবে লেগে থাকো। ”
দেখি। আমরা করবো জয় একদিন। :v
শুন্য শুন্যালয়
তুই এতো পিচ্চি যে গোনায় বাদ পরে গেছিস। আমিতো একবার বিস্কুট মুখে ছিড়ে নিতেই আনন্দে ঘুরে যেই দৌড় দেব দেখি আমি বাদে সবাই অলরেডি পৌঁছে গেছে 🙂
হ, লেগে থাক। পরের বার ঠিক হবে দেখিস 🙂
মেহেরী তাজ
হুম লেগেই আছি। :/
পরের বার মনে করে গননায় ধইরেন কিন্তু। 🙁
শুন্য শুন্যালয়
আমি তোমাকে গোনায় বাদ দেব, কি বলো!! যারা বিস্কুট দৌড়ের আয়োজন করেছে তারা করেছে, তোমারই প্যায়ারের শিষ্য। নাক ভেঙ্গে দাও তার।
মেহেরী তাজ
কাকে যে কি করবো?
সবায় তো আমার পিয়ারের!!
সবায় আমায় ছেড়েই আড্ডা দেয়।
ভ্যা……. ;(
শুন্য শুন্যালয়
তুই ছাড়া আড্ডা দেবই না। পাকনার খবর কিরে? এখনো আপু চলছে? 🙂
মেহেরী তাজ
হুম আপুই চলছে। আর একবার একাএকাই এসে দেখা করে গেছে।
শুন্য শুন্যালয়
তুই তো আল্টিমেটাম দিলি পাকনা নিয়ে আর লিখবিনা, কিন্তু তাতেও কি বড় হতে পারবি? 🙂
মেহেরী তাজ
কি আমি বড় হইনি???
\|/
শুন্য শুন্যালয়
আমার ছেলেটাকে বেবি বললে সে রেগে যায় আর আমি তখন আরো রাগিয়ে দেই, u r my baby, u r my baby. আর তোকে পিচ্চি বললে তুই নাঁচিস এতেই বোঝা যায় তুই আসলেই পিচ্চি, বড় হতে পারবিনা কখনো 🙂 (3
লীলাবতী
লেখায় ব্যবহৃত শব্দের অর্থ খোঁজার জন্য অভিধান খুঁজতে হবেনা।কারন সব সহজ শব্দ।শব্দের পরে শব্দ যোগ করে যা হয়েছে তা কিছুই বুঝিনি।দয়া করে লাইন বাই লাইন যদি একটু বুঝিয়ে দিতেন,ধন্য হতাম।সব দাঁত ভেঙ্গে সমস্ত চুল ছিঁড়ে ফেললেও এই লেখার অর্থ আমি বুঝতে পারবো না।
শুন্য শুন্যালয়
সব দাঁত ভেংগে ফেললে, চুল ছিড়ে ফেললে তোমাকে যে কি দারুণ লাগবে দেখতে সেটাই ভাবছি। তখন যদি বলি, পাগলি তোর পাগলা কই? কি উত্তর দেবে, মে তেরে পয়েম কি দিওয়াংগী হু? 🙂
উপরে একটু শর্টকাটে লিখেছি, না বুঝলে বলো, এইবার আংগুল ধরে ধরে বোঝাবো। কেন যে সবাই আমাকে লিখতে বলে!! 🙁
লীলাবতী
শর্ট কাটে যা পড়লাম,আসলেই কি তাই লেখায়? 😀 শিক্ষক যা বলেন তা মেনে নিতেই হয় 🙂
শুন্য শুন্যালয়
শিক্ষকের চাইতে স্টুডেন্ট বেশি পাক্কু মনে হচ্ছে। একবার আমাদের মেডিসিন বিভাগের স্যার সব স্টুডেন্ট কে প্রশ্ন করলেন, কার বেশি জানা উচিত শিক্ষকের নাকি ছাত্রের? সবাই হেড়ে গলায় শিক্ষকের। স্যার বললেন, উহু একদম না। ছাত্রের, নইলে শিক্ষাটা দিনে দিনে নিম্নমুখি হবে। 🙂
কৃন্তনিকা
ভীষণ… এবং বিষম…
শুন্য শুন্যালয়
পুরাই হিক্কা। 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
নিয়মিত লিখার জন্য কানপড়ায় যদি এমন লিখা বের হয়, কানপড়ার সাথে মুখপড়া দিলে জানি আরো কি কি লিখা বেরুবে সৃষ্টিকর্তাই জানেন। তাই এখন থেকে নিয়মিতলিখার জন্য কানপড়ার সাথে শুন্যকে মুখপড়া দেবার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। কেউ দেখ না দেখ আমিতো দিবই। আর কে বলেছে নদী দুইপ্রান্তের? সব নদীর জলই একি সমুদ্রের মোহনায় মিশে।
কবিতা ভালো হয়েছে। শুভকামনা নিরন্তর।
শুন্য শুন্যালয়
মুখপোড়া কাদের বলে জানো? যাদের মুখে কোন কথা আটকায় না, আবার আহ্লাদ করেও কেউ কেউ মুখপোড়া ইউজ করে। যেই পোড়াই দেব, লাভ হবেনা, লেখা এই ক্যাটাগরি থেকে নড়বে চড়বেনা। নদীর নাম লিখতে গিয়ে এটাই মনে হচ্ছিল, পৃথিবীতে নদী একটাই, কিন্তু এত নাম কেন? ভাবছিলাম, যার যার বাড়ির পাশ দিয়ে একটা নদী চলে গিয়েছে, সবাই যদি একটা করে নাম দিতো, তাইলে বিলিয়ন বিলিয়ন নদী হইতো। হুদাই মাথা খারাপ।
শুভকামনা তোমাকেও।
রাসেল হাসান
দুই নদীর মিলন হোক না হোক লেখাটা সুন্দর লাগলো। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ রাসেল ভাই 🙂
অরণ্য
“সবাই পেয়ে যাবে, যায় ”ঠিকানা” নাম যার।
সবাই!!!” (y)
শুন্য শুন্যালয়
অরণ্য ইদানিং বিজি বেশি? কম কম দেখা যাচ্ছে। পাওনা বেড়ে যাচ্ছে। জলদি ফেরত লেখা নিয়ে ফিরে আসুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রথমে কবিতার কথায় আসবো, নাকি পরে?
নাহ কবিতা থেকেই কথায় যাই, কেমন?
নদী ভেসে যায়, সে গাঙুরের জল হোক কিংবা ধরলা কিংবা গৌরাঙ্গ। সব জলের একই কাহিনী। আরোও কিছু ছিলো সেগুলো কোথায়? তা তো হয়না, অর্ধেক কথা বলে মাথার এন্টেনাকে নড়বড়িয়ে চলে যাওয়া। এ কেমন কথা! ঘোর অন্যায়! বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করতে হবে দেখছি।
“কে যাসরে ভাঁটি গাঙ বাইয়া
আমার ভাইধনরে কইও নাইওর নিতো আইয়া।” খুব গাইতাম। জানলার সামনে দাঁড়িয়ে, আকাশের দিকে চেয়ে। নদী-ই তো পাইনি, ভাই কিভাবে আসবে?
যাক পটুয়াখালি গিয়েছি, সুনামগঞ্জও। দুটি নদীও দেখা হয়েছে, মন ভরেছে। কিন্তু যে নদের প্রেমে পড়েছিলাম কপোতাক্ষ সে আমায় বিশাল ছ্যাঁকা দিয়েছে, কষ্ট 🙁
লেখা কেমন হইসে, ওইটা কি কইতে হইবো গো শুন্য আপু! ;?
শুন্য শুন্যালয়
বাকি অর্ধেক তুমি লিখে দেবে। বাঃ, তোমার দেখা দুটা নদী নিয়ে লিখে ফেললাম, তোমাকে কি বুঝে ফেলছি নাকি আমি? তোমার সাথে কিছু মিল আছে আমার। আমার ভাই নেই। তোমার মত করে আগষ্ট আমারও মাস। আমার একমাত্র বোন আর ওর একমাত্র মেয়ের জন্মদিন একই দিনে ১৪ আগষ্ট। আর ওর একমাত্র ছেলের ১ লা আগষ্ট। তাই এ মাসটা আমারও খুব প্রিয়। তবে অইযে সিংহ রাশির মানুষ আমি বেজায় ভয় পাই 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু আগষ্ট তোমারও মাস!!! কবে????????????
তবে আমি সিংহ নই, কন্যা 🙂
আগষ্ট তাহলে তো আমার জন্যেও অনেক কিছু। তোমার বোন মানে তো আমারও বোন।
তোমায় সত্যি ভালোবেসে ফেলেছি। এখন কি হবে! ;?
-{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
না, আমি তোমার চাইতে ১ মাসের বড়। 🙂 তবে বোনটা যে আমার বেশি প্রিয়
(ওই আমার প্রথম মা) তাই এই মাস বেশি প্রিয়। হুম ভুলে গেছি, ২০ এর পর কন্যা। 🙂 হুম আমার বোন তোমারও।
তোমাকেও ভালোবাসি আপু। (3
নীলাঞ্জনা নীলা
ওমা এক মাসের? জুলাই? ইস তাইতো বলি কেন কেন কেন এমন কাছের মনে হয়? মায়াবী আপু তুমি আমার, নাম ধরেই ডেকো। দুটি প্রজাপতি উড়লো নয় আনন্দের পাখনায় ওই আকাশে। -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
উম মাসে তোমার চাইতে এক মাসের বড়, বছরে হয়তো একটু ছোট হতে পারি, ৩৭ পাকা করলাম এবার। তোমাকে নাম ধরে? উহু, নীলাপু যে আমার খুব প্রিয়। তুমিই আমাকে এখন থেকে নাম ধরে ডেকো, শুন্য আপু শুনতে ভালো লাগেনা তোমার মুখে। প্রজাপতি হলে বেশ হতো, শুধু সুন্দর কিছুই হয়ে থাকতাম। 🙂 (3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
বয়স একটা ব্যাপার নাকি?
আমারও যে শুন্য আপু ডাকতে ভালো লাগে? থাক এমনই। আদুরে আহ্লাদী প্রজাপতি হয়েই থাকি দুজনে দুজনার কাছে। ভালোবাসি -{@ (3
অনিকেত নন্দিনী
আগে ঠেলেঠুলে জায়গা করে নিই। সবার ভিড়ে পিছনে পড়ে গেছি। ;(
সব জলের একই কাহিনী হলেও সব নদীর কাহিনী এক নয়, স্বভাব-চরিত্রেও তাদের ভিন্নতা প্রচুর।
এই দুই নদীর কোনোটাই দেখি নাই। 🙁
শুন্য শুন্যালয়
পেছনে হলেও সমস্যা নেই, ধাক্কা একটা জোরে দিলেই হবে। কই কই থাকেন আপু? আমার কোনই কাজ নেই, আর সবাই দেখি ব্যস্ত। নদী দুটো আমিও দেখিনি। সত্যি বলতে খুব কম নদীই দেখেছি। তবে উথাল পদ্মা দেখেছি, তাতে গোছল করেছি আর কি চাই। স্বভাবে-চরিত্রে ভিন্নতা অবশ্যই আছে, তাইতো তারা আলাদা। -{@
অরুণিমা
এখানে একটি খারাপ লোকের কথা বলা হয়েছে মনে হচ্ছে।আমার বুঝতে ভুলও হতে পারে অবশ্য।নিয়মিত এখানে পড়লে সঠিক কথা বুঝতে পারতাম।বুড়া গৌরাঙ্গ একটি নাদীর নাম!নামটি মজার 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হুম নামটি মজার। না, খারাপ লোক নয় আপু, অসময়ের আর অমিলের দুইটি নদীর কথা আছে এতে। নিয়মিত পড়লে খুশি হবো আপু। সোনেলা কে আমরা আসলে ব্লগ ভাবিনা, এটি আমাদের মনের খুব কাছের, গল্পগুজব করবার একটি পরিবার। ভালো থাকবেন।
খেয়ালী মেয়ে
পুনশ্চর জন্য খুব সহজে বুঝতে পারলাম 🙂
লেখার প্রশংসা করবো না :p শুধু এত্তোগুলা (3 (3 (3 (3 (3 বুঝে নাও 🙂
শুন্য শুন্যালয়
এজন্যই বুঝি পুনশ্চঃ র পরে এসেছ? কেমন আছ পরী? তোমার রাগী চোখ দুটো কেমন আছে?
এবার জলদি করে আমাদের একটা গান শুনিয়ে দাও। (3 (3 (3 2
খেয়ালী মেয়ে
আসতে যে চাই খুব, কিন্তু পঁচা ডাক্তাররা আমাকে যন্ত্রের সামনে বসতে নিষেধ করে দিয়েছে…কাউকে তো এখনো চোখ রাঙাতেই পারলাম না..চোখ যে আমার মেনা হয়ে গেছে 🙁
শুন্য শুন্যালয়
আহারে ডাঃ আসলেই পঁচা। তুমি তাকে একটু বেশি করে চোখ রাঙ্গিয়ে দিয়েছ তো!! না এসে ভালো করেছ, এ যন্ত্রটা খুবই খ্রাপ। পরে ফিরে এসে সুদে আসলে পুষিয়ে দেবে সে অপেক্ষাতে আছি। মেনা চোখ আর মনের যত্ন নিও পরী।
মিথুন
ভালোবাসার দেখছি অনেক জ্বালা, কোথা থেকে কোথায় পাড়ি দিতে হয় 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হ, ম্যালা জ্বালা।
ছাইরাছ হেলাল
আরেরেরেরেরে, লেখার সংযুক্তি আসবে জানান দেবেন না!
এ অন্যায়। খুব অন্যায়। ভারী অন্যায়।
আপনি যাই বলুন, আপনাকে কানপড়া দেয়ার উপায় আছে, আপনি যে গুরু এ বিষয়ে।
শুন্য শুন্যালয়
সংযুক্তি সবার জন্য প্রযোজ্য নহে, আপনার মতো নারকেল খোসার মত লেখকের জন্য তো নহেই। কানপড়া না দিলে জেমসবন্ড, টম ক্রুজ কেমন করে হতেন?
ছাইরাছ হেলাল
ক্রুজদের আনন্দ দেখলেন জ্বালাটুকুর খোঁজ নিলেন না!!
তবে কানপড়া চালু রাইখখেন।
অদল বদলে নারকেল খোসাসহ ই আপানার ভাগে পরবে, তখন কিনতু গাই-গুই করতে পারবেন না।
লেখাও ভাগাভাগি করে দিলেন ভাঊ!! এ দুঃখ কোথায় রাখি।
শুন্য শুন্যালয়
নিজের লেখায় তখন কেমন করে প্রশংসা করেন, দেখবার খুব খায়েশ জাগছে। কানপড়া দিয়ে আর লাভ হবেনা, ক্রুজ এখন আরো পরিনত। নাম বিহীন জালিয়াতি চলছে। ক্রুজের জ্বালার খবর নেব কি, ও একটু প্রেমের হ্যাপা আপনি ঠিক সামলাতে পারবেন, বন্ড ক্রুজ বলে কথা 🙂
স্বপ্ন
লেখাটি বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে,তবে ভালোভাবেই বুঝেছি।আপনি পারেনও বটে আপু 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হুম কি যে পারি তা টের পাচ্ছি। এইগুলা ক্যাম্নে লেখা ক্যাটাগরিতে তা আমিই এখনো বুঝিনা। স্বপ্ন অনেকদিন লিখছেন না। লেখার কি কিছুই নেই? হবে হয়তো।