
নদী বসে আছে ফাগুন-প্রতীক্ষায়
এক বুক জল-সাতারে,
অপেক্ষার স্পন্দনীয়তার শোভন সৌন্দর্যে
বিশ্বাসের নহবত বাজিয়ে,
ভালোবাসার চকচকে চাঁদ-জ্যোৎস্না নিয়ে।
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের হীন-ক্ষীণ শব্দ এ তল্লাটে পৌঁছে না,
তপ্ত-তৃষ্ণার্ত-ক্ষুধার্ত নদী ব্যাধ-প্রতীক্ষায়
কুড়ানো বুদ-স্বপ্নকে বুকে পুড়ে;
ফাগুন ঝাঁপাচ্ছে কুহুতানে অন্য বনে,
অন্য ভুবনে, তছনছ করার তাচ্ছিলানন্দের
পৈশাচিকতার উগ্র আস্ফালনে।
নদীর শিরায় শিরায় আজ বিষ-গ্লানি
আগুন-উত্তাপের চ্যালেঞ্জ ধ্বনি;
৩৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
উত্তর পোস্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হলো নাকি?
অবশ্য অঘোষিত ভাবে এটি চালু রেখেছিলেন অনেক আগে থেকেই।
ক্রুশবিদ্ধ নদী দেখতে চাইনা,
নদী বহমান থাকুক দুকুল উপচে পরা জলে।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হয়নি, এ ধারাটি চালুই ছিল/আছে, একটু চর্চায় রাখলাম।
বলা তো যায় না কখন কী চালু হয়ে যায়। প্রস্তুতি পর্ব হিশেবেও গন্য করা জেতে পারে।
নদীকে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না।
তবে বন্যা হলে আমাদের ভয় আছে।
জিসান শা ইকরাম
কিন্তু তাই বলে নদীকে খাম্বায় হাত পায়ে পেরেক মেরে ঝুলাইয়া রাখা!
ঝাতি মানবে?
ছাইরাছ হেলাল
তা অবশ্য ঠিক, নদীকে ঝুলিয়ে রাখা যাবে না,
তাও বলে নদী চুবিয়ে মারবে তাও তো মেনে নেয়া কঠিন।
বন্যা লিপি
আমারো তো মনে হচ্ছে উত্তর পোস্ট চালু হয়ে গেলো। দারুন জমে গেলো…. হা হা হা।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের এখানে পোষ্টের উত্তরে পোষ্ট দেয়া অনেক আগে থেকেই চালু।
সেটি একটু ঝালিয়ে নিলাম। হ্যা এটি দারুণ আনন্দঘন একটি বিষয়।
সাবিনা ইয়াসমিন
নদীর শিরায় শিরায় আজ বিষ-গ্লানি
ভাবনার ঢেউয়ে অথৈ নদী-জল কূল-হারা,
সমুদ্রের নোনা জলে মুছে গেছে চোখ-ছবি
প্রতিক্ষার নীল বিষ আলিঙ্গনে আজ নদী,
ফাগুন সংক্রমন আর না।
রাশি-রাশি মিষ্টি জলের আধারে ডুবে থাকা
এক কৃষ্ণচূঁড়ার রঙে রঙ্গীন হয়ে উঠা নদী,
এবারের মতো বসন্তের সাথে পাতিয়েছে আড়ি।
এক জনমের নদী, স্রোতস্বিনী রূপে
পারি দিবে জন্ম-জন্মান্তরের পথ।
কালবৈশাখীর সাধ্য কি রুখবে তারে ?
কালবৈশাখ ফাগুনের আগুন নেভাবে,
কান্নারত বসন্তের মুখ হবে ধুলো-বালিতে আচ্ছন্ন।
কিন্তু নদী ?
নদী প্লাবন-জলে ভেসে যাবে নিজেই।
ছাইরাছ হেলাল
প্লাবন-জলে ভাসুক/কাঁদুক, সমস্যা নেই,
তবে বান ডেকে তীর উপছালে সমস্যা আছে,
দু’কুল-বাসির।
ধুর, এমুন মন্তব্যের, উত্তর হয় না!!
সাবিনা ইয়াসমিন
এখন এসব বলে লাভ নেই। কাল বৈশাখ হয়ে নদীকে প্রমত্ত করবেন, ক্রুশ বিদ্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে ঝুলিয়ে রাখার ফন্দি আঁটবেন, আর নদী বিনা-গর্জনেই সব মেনে নিবে ?
সমুদ্র থেকে ফিরে এলেন, অথচ সাতার না শিখেই ! নদী কিন্তু সবাইকে ভাসায় না, ডুবায় ও ।
ধুর বলে দূরে গেলে কাজ হবেনা , আকাশ একটাই। ঘুরে-ফিরে এই আকাশে আসতে হবে, যতই কাল বৈশাখীর রূপ ধরেন।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই গর্জিবে, তবে একটু রয়ে-সয়ে।
শেখা সাঁতারে কি সমুদ্দুর পেরুনো যায়!
হ্যা, ভাগ্য দরকার দড়ি-কলসি হাতে পেতে।
আরও আকাশ যে নেই, তা ভুলেই যাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
কই গেলেন? শিমুল তলায়তো খুঁজে পেলাম না, এখন কি কোনো বেলতলায় ঘুরছেন নাকি ?
ছাইরাছ হেলাল
জ্বী, এই তো, একটু কুহুবনে ছিলাম।
অবশ্য বারে বারে যাওয়ার জন্য বেল তলা এক মোক্ষম জায়গা!!
শুন্য শুন্যালয়
আপনি দেখি আগুনে ঘি ঢেলে দিচ্ছেন, লোক আপনি কোনকালেই সুবিধার ছিলেন না।
শেষটায় নদীর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া দারুন হইছে। নদীকে ভয় করতেই হয়।
ভাল্লাগছে। আপনার মতো চাইলেই যদি নামানো যেতো! 🙁
ছাইরাছ হেলাল
সুবিধের হওয়ার চান্স পেলেম কৈ! যাদের কাছে শিখি তারা তো তেমুন-ই।
অবশ্যই নদীকে ভয় পেতেই হবে, কুমির থাকে যে!!
সবাই-ই নামায়, কেউ দেখায় কেউ দেখায় না।
সামান্য কিছু ছুঁড়ে দিলে মন্দ লাগত না। সামান্য-ই-তো!!
রিতু জাহান
আমার মন্তব্য গেলো কই!!
ছাইরাছ হেলাল
আছে তো, যেতে পারবে না।
রিতু জাহান
নদী নিরুদ্বেগে ছুটতে ছুটতে ঠিকই সাগরের বুকে চলে যাবে তখন আগুন সব চ্যালেঞ্জ ছেড়ে ছুঁড়ে পালাবে।
ফাগুনে আগুন লাগুক। বন বাদাড় পুড়ে যাক শুধু নদী অরক্ষিত থাকুক।
ছাইরাছ হেলাল
সবাই দেখছি আগুনের পক্ষে,
নদীকে দেখছি এবার ভয় পেতেই হবে।
বন্যা লিপি
নদী ক্রশবিদ্ধ হয়না কি কখনো? আপন বেগে ধেয়ে চলে পাগলপারা। ফাগুন কত এলো গেলো, আসবে যাবে…. নদীও সাগরে ছুটে যাবে। ফাগুনের মাতাল হাওয়া নদীতে আনুক পূর্ন চন্দ্রের জোয়ার। আবহাওয়ার বিরুপতায় প্লাবিত হলেই বিপদসংকেত উড়বে নির্ঘাত!!!
জবাব পোস্টের মতো মনে হলো। দারুন জমবে /জমে গ্যাছে ইতিমধ্যে। সাধু সাধু।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে পোষ্টের জবাব হিশেবে এটি লেখা না, এটি একটি মন্তব্য।
সেটিই নাম দিয়ে পোষ্ট করে দিয়েছি।
জল জ্যোৎস্না জোয়ার সবই থাকবে, তবে বান ডাকলেই শুধু ভয়!
ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
বন্যা, মহারাজ কিন্তু তোমাকেও ইংগিতে রেখেছে। রেডি থেকো তোমার দিকে কি জানি কি ছুড়ে দেয়। দ্বীপ থেকে ফিরে এসে মহারাজ তান্ত্রিকের বেশ ধরেছেন। কেবল ছোড়াছুড়ি করছেন। 😂
বন্যা লিপি
ভয় করোনা সাবিনা, হেলাল সাহেব সত্যিকারের একজন তান্ত্রিক। রোগ বুঝে তন্ত্র টোটকায় পারদর্শি। আমি নিশ্চিন্ত।
ইঞ্জা
আক্ষরিক অর্থেই নদী আজ ক্রুসবিদ্ধ, দারুণ লিখলেন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
নাহোক নদী ক্রুশবিদ্ধ, মানুষ আজ প্রশ্নবিদ্ধ,
নদী হোক আঁকাবাঁকা বহমান স্রোতস্বিনী।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে তো দারুণ সাতারু মনে হচ্ছে।
সাবধান কিন্তু।
মনির হোসেন মমি
নদীকে বাচাতে হবে।ভাল লিখেছেন।এই কবিতা ওক্করে পুরাই বুঝছি।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা, ওক্করে সব বুঝে ফেললে আমাদের জন্য কী রাখলেন!!
আমরা তো সব বুঝতে পারলাম না।
প্রহেলিকা
উপরের দিকে পা আর নিচের দিকে মাথা দিয়ে দৌড়ের উপর আছি। পরে পড়ে মন্তব্য করছি।
ছাইরাছ হেলাল
গুড বয়, এভাবেই বলতে হ্য়/হবে,
এ দৌড় সাময়িক।
পাওনা থাকল।
মাহমুদ আল মেহেদী
নদীকে মাঝে মাঝে নদী মনে হয় না
তারপরও বয়ে চলে, নদীকে আটকে রাখা যায় না।
ছাইরাছ হেলাল
নদী বয়ে যায় আপন গতিতে আপন মনে।
ধন্যবাদ।
অপার্থিব
বেঁচে থাক নদী, আগুন-উত্তাপের চ্যালেঞ্জ সহ কিংবা ছাড়া। ভাল লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, নদী বেঁচে থাকুক এ কামনাই কওরই,
অনেক অনেক ধন্যবাদ।