
ভুল করে কতো জায়গায় যাও
একদিন ধরলার পাড়ে চলে এসো,
আমি তো নদীর মতোই স্রোতস্বিনী
উথাল পাথাল ঢেউয়ে মাতিয়ে রাখবো!
পা ভিজিয়ে দেখবে—-
বালি হাঁস আর মাছরাঙার ওড়াওড়ি
তোমার মনও বাঁধা পরবে;
চিৎকার করে বলো’ভালোবাসি’!
মুখ ফিরিয়ে নিলে চর জমাট বাঁধবে
বিরহে মৃণালিনী করুণ সুর বাজাবে!
আমি ধরলাকে বিধবার চিৎকার হতে দেবোনা!
তুমি হাত ধরো; ভরিয়ে দাও নদীর দুকূল!!
★★ আমাদের শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ধরলা নদী, যার উৎপত্তি ভারতের আসামে। তাকে নিয়ে এই লিখাটা।
৪৬টি মন্তব্য
আকবর হোসেন রবিন
‘ভুল করে কতো জায়গায় যাও
একদিন ধরলার পাড়ে চলে এসো,’
যাবো একদিন।
আরজু মুক্তা
ব্লগের সব সদস্যদের নিয়ে যাবো, তখন না বলা যাবেনা।
আকবর হোসেন রবিন
অপেক্ষায় রইলাম।
বন্যা লিপি
গরবী ধরলা। একদিন ভুল করে হলেও এসে দেখে যাও, কেমন করে রেখেছি তারে ভালবাসার বন্ধনে।
আরজু মুক্তা
সুন্দর কমেন্টস! শুভকামনা আপি।
রাফি আরাফাত
ভুল করে কতো জায়গায় যাও
একদিন ধরলার পাড়ে চলে এসো,
যেতে হবে.
আরজু মুক্তা
তবে দেরি কেনো?
শামীম চৌধুরী
একেবারে তৌহিদের বাড়ির কাছে নদী।
আরজু মুক্তা
ঠিক কাছে না, ৫০ কিলো দূরে।
সঞ্জয় মালাকার
ভুল করে কতো জায়গায় যাও
একদিন ধরলার পাড়ে চলে এসো।
চমৎকার রচনাশৈলী কবিতা দিদি, ভালো লাগলো খুব,
আরজু মুক্তা
শুভকামনা।
নিতাই বাবু
পোস্টের ছবিটি কি সত্যিকারের ধরলা নদী? যদি তা-ই হয়, তাহলে তো দেখা যায় শান্ত নীরব স্রোতহীন এক পাহাড়ি সরোবর।
যাইহোক পূর্ণ ঠিকানা পেলে গিয়ে স্বচক্ষে দেখে আসার ইচ্ছে আশে। ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
এটা শীতকালের ছবি। একদম অরজিনাল ধরলার ছবি।
শুভকামনা
কামাল উদ্দিন
[si] পা ভিজিয়ে দেখবে—-
বালি হাঁস আর মাছরাঙার ওড়াওড়ি
তোমার মনও বাঁধা পরবে;
চিৎকার করে বলো’ভালোবাসি’ [/si]
এই কথাগুলোর মাঝে মাদকতা আছে, ধরলায় পা ডুবিয়ে আমি একদিন বসতে চাই।
আরজু মুক্তা
পা না ডুবালে কি চলবে? প্রকৃতি বুঝতে হবে।
কামাল উদ্দিন
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
আরজু মুক্তা
আমি কিন্তু চিনি কম খাই।
কামাল উদ্দিন
চিনি কম খাওয়া ভালো আপু
এস.জেড বাবু
আমি তো নদীর মতোই স্রোতস্বিনী
উথাল পাথাল ঢেউয়ে মাতিয়ে রাখবো!
না না – আর মুখ ফিরিয়ে নিবো না-
কি চমৎকার লিখেছেন,
শুভেচ্ছা আপনাকে।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা
সুরাইয়া পারভিন
স্বেচ্ছায় মাড়াবে না জানি ধরলার পাড়
ভুল করে ভুল পথ ধরে
মনে ভুলেই না হয় এসো
তবুও এসো একদিন
সুন্দর আহ্বান
আরজু মুক্তা
জি আপু, মন্তব্য ভালো লেগেছে। কবিতা সবাই বোঝে না।
শুভকামনা।
আরজু মুক্তা
মনের কথা বুঝতে পেরেছেন।
শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
দারুন,
এমন ধরলা পেলে শুধু দু’কূল না সব কূল প্লাবনে ভরে দেয়ার সাধ থেকেই যাবে।
আরজু মুক্তা
চমৎকার কমেন্ট।
শুভকামনা। সাধটা ধরে রাখেন।
নৃ মাসুদ রানা
পা ভিজিয়ে দেখবে—-
বালি হাঁস আর মাছরাঙার ওড়াওড়ি
তোমার মনও বাঁধা পরবে;
চিৎকার করে বলো’ভালোবাসি’!
আরজু মুক্তা
শুভকামনা, ভাই।
তৌহিদ
ধরলার পারে গিয়েছিলাম অনেক আগে একবার, তখনো ব্রীজ হয়নি। এখন কেমন লাগে কে জানে? ধরলা নিয়ে লেখা ভালো লেগেছে। এমন আমন্ত্রণ না করবে কোন পাঠক??
শুভকামনা আপু।
আরজু মুক্তা
প্রীত হলাম।
শুভকামনা।
রেহানা বীথি
কী মিষ্টি কবিতা!!
আরজু মুক্তা
শুভকামনা আপু।
মোহাম্মদ দিদার
যাবো যাবো…
আচ্ছা,
তখন কি এই ধরলা প্রেমিক কে পাবো???
আরজু মুক্তা
হুম। সবসময় পাবেন।
মোহাম্মদ দিদার
আচ্ছা আচ্ছা
মনির হোসেন মমি
পা ভিজিয়ে দেখবে—-
বালি হাঁস আর মাছরাঙার ওড়াওড়ি
তোমার মনও বাঁধা পরবে;
চিৎকার করে বলো’ভালোবাসি’!
চমৎকার অনুভুতি।নদীকে কতটা আপন ভাবলে এমনটি ভাবা যায়।
আরজু মুক্তা
আপনার কমেন্ট বরাবরি ভালো লাগে।
ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ভুলেও তারা এ জায়গায় আসতে চায় না,কেননা সমস্ত ভুলের চরন ভূমি এ ধরলার পার।
আপু খুব ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
আপু আপনি যে কি বুঝলেন? ওভাবে বলা হয়নি।
তবুও ভালো লেগেছে, জেনে খুশি হলাম।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
নদী আমায় বরাবরই টানে। এটা কোন জেলা দিয়ে বয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখানে আমি গেছি!
আরজু মুক্তা
এটা, কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে গেছে।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি এবং ভুরুঙ্গামারীতে গেছি। আমি গত ৪/৫ বছর থেকে শীতকালে ওখানে শীতবস্ত্র পাঠাই।
‘‘অবসর প্রাপ্ত সেনা ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতি’’ ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম, আমাকে সমাজসেবার জন্য সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়েছে।
জিসান শা ইকরাম
ধরলা নদীকে নিয়ে লেখা কবিতা অনেক ভালো হয়েছে।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ দাদা
রুমন আশরাফ
“পা ভিজিয়ে দেখবে—-
বালি হাঁস আর মাছরাঙার ওড়াওড়ি
তোমার মনও বাঁধা পরবে;
চিৎকার করে বলো’ভালোবাসি’!”
বাহ বেশ ভাল লাগলো। পরপর ৩ বার পড়লাম। পড়ার পর কেমন যেন একটা রেশ থেকে গেলো……
আরজু মুক্তা
রেশ থাকলেই খুশি।