= কেমন আছো মেয়ে?
// ভালো!
= কতটা ভালো? বলো তো শুনি!?
// সে তোমার জেনে কাজ নেই!
= আহা রেগে যাচ্ছো কেনো?!
// না রেগে যাই নি! কেনো এলে বলো তো?
= আমি খুব বুঝতে পাড়ছি রেগে যাচ্ছো।
// হুম তাই তো! অন্যকেউ বুঝুক না বুঝুক তুমি তো সব বোঝ….!
= আচ্ছা বাবা থাক ওসব! আমি এসেছি শুধু কেমন আছো তাই জানতে! জানা হলেই চলে যাবো প্রমিজ!
// তুমি যে কতখানি যাবার পাত্র সে আমি খুব জানি! তবুও বলছি ভালো আছি! বেশ ভালো আছি!
= উহু এটা কোন উত্তর হলো না! কতটা ভালো আছো তার একটা পরিমাপ বলো!
// উম্মম্মম্ম পুরো পৃথিবীতে যতটা ভালো আছে তার মধ্যে যতটা “ভালো থাকা” আমার জন্য বরাদ্দ তার পুরটাই আছি আমি!
= হুহ এটার নাম বুঝি পরিমাপ বলো তুমি? হলো না! আর একবার চেষ্টা কর!
// বাড়িতে স্যালাইন বানাতে কতটা লবন লাগে তা জানো তুমি? ঠিক ততটা ভালো আছি আমি!
= তারমানে মাত্র একচিমটি? মাত্র একচিমটি ভালো আছো তুমি?
// হুম! এটাই বা কজনা থাকে বলো?
= আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে! সেই একচিমটি মন ভালোর সাথে আরো দুচিমটি ভালো থাকা যোগ করতে তোমার কি চাই বলো?? ;?
// যদি বলি “চাঁদ”?
= ওরে বাবা এতো টা রেগে আছো? “ব্রহ্মাণ্ড” ধ্বংসের ছক কষেছো? ওতে আবার আমার নাম জুড়ে দিতে চাইছো? কেনো গো?
// যত্তসব বাজে কথা!
= আচ্ছা কিভাবে, সে বলছি শোন! ঐ যে সূর্য, চাঁদ,পৃথিবী কে যেনো কার চারপাশে ঘুরে কি যেনো একটা ব্যালেন্স করে না!? আমি যদি চাঁদকে আনি তবে ওর কাজ কে করে দেবে বলো?
// জানি জানি খুব জানি এমন কিছু একটাই যে বলবে আমি আগেই জানি! পাজি, শয়তান একটা!
= আহা! তোমাকে কতবার বলেছি “রাগ” স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর!
// দূর হও চোখের সামনে থেকে!
= আর একটা চাওয়া বলো, সেটা আমায় দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়াও বলতে পারো!
// উম্মম তাহলে ” সেকেন্ড টাইটানিক “।
= আচ্ছা সে না হয় বুঝলাম! কিন্তু সেটা বড্ডবেশি ফিল্মি হয়ে গেলো না? সাথে আবার জাহাজডুবি হয়ে মরার ভয় তো রয়েছেই!
// তোমায় দিয়ে কিচ্ছু হবে না! নিজ দায়িত্বে সামনে থেকে যাবে? না ঝেটিয়ে বিদেয়…..
= কিন্তু আমি যদি বলি একটা ছোট্ট পঙ্খিরাজ, একটা “অধরা চাঁদ” আর শতশত তারা দেবো। তবে??
// একটা চাঁদ চাইলাম বলে আমি হয়ে গেলাম বিধ্বংসী। আর তুমি চাঁদ, তারা সব আনবে তাতে বুঝি কিচ্ছু হবে না?
= না কিচ্ছু হবে না! তুমি চাইলেই তারাগুলো ছুয়ে দেখতে পারবে! তোমার হাতেই ওরা জ্বলবে নিভবে! চাই কিনা বলো!
// হ্যা চাই! কিন্তু তা কি করে সম্ভব?
= কোন এক চাঁদনী রাতে গাছে ঘেরা এক ছোট্ট পুকুরের মাঝখানে নৌকতে করে তুমি! তোমার ঠিক ডান পাশে পায়ের কাছের পানিতে বড় একটা চাঁদ! কিন্তু সাবধান আমি আগেই বলেছি ওটার নাম “অধরা চাঁদ”। ধরতে গেলেই পালিয়ে যাবে! আর তোমার চারপাশে শতশত “তারা”….!
// কিসের কথা বলছো বলতো?
= পাগলী সেও বুঝলে না! “জোনাকি পোকা “।
// মানে?
= “তারারা” যেমন জ্বলে, নেভে। জোনাকি ও তো জ্বলে নেভে! তবে..!
// তবে……!?
=সামান্য একটা তফাৎ তো আছে!
// কি সেটা?
= তারার মৃত্যু হলে একটা ব্ল্যাকহোল তৈরি হয় কিন্তু জোনাকির মৃত্যুতে তা হয় না! আর “তারা” ধরা না গেলেও “জোনাকি” ঠিক ধরা যায়। 🙂
// এমন জায়গা আছে কি কোথাও?
= হ্যা আছে আমি দেখেছি! একটা রাত ঠিক করে আমায় ডেকো। আমি না হয় তোমার পঙ্খিরাজের মাঝিই হবো! 🙂
// আচ্ছা ভেবে বলবো। (তাই যদি হয় তবে সেটা হবে আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর গিফট! )
= দুচিমটি মন ভালো হয়েছে কি?
// হুম হয়েছে! ^:^
= যাক বাবা বাঁচা গেলো!??
// কিছু কি বললে?
= না না ত! ভালো থেকো!
৪৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
অবশেষে আমাদের প্রতিক্ষার হল অবসান,
তাজ নিয়ে এলো তাজিয় পোষ্ট, লেখা দেখেই বুঝা যায়, কার এই লেখা 🙂
তা জোনাকি সব একা নিয়ে যাবে নাকি?
আমাদের জন্যও কিছু রেখো, নইলে মন খারাপ হতে উত্তরন হবে কিভাবে?
আমরা অবশ্য জানতে চাইনা, কে এই ম্যাজিক ম্যান,
শুধু কথা দিয়ে লেখায় মেহেরী তাজ একটি ব্রান্ড হয়ে যাচ্ছে।
মেহেরী তাজ
বলেছিলাম তো আসবো!
এ পোষ্ট এর নাম তাজীয় পোষ্ট? সুন্দর নাম তো!
জোনাকি কেউ নেবে না সব থাকবে! আপনাদের সবার জন্য! খালি আমি আমার ভাবের গুলা নিয়ে নেবো! 😀
ম্যাজিক ম্যানের ব্যপারে কিছু বলা যাবে না!
ভেবেছিলাম লেখারা হারিয়ে গেছে,আর বুঝি লিখতে পারবো না! কিন্তু আজ লিখতে পেরে ভালো লাগছে!
অনেক ধন্যবাদ দাদা! 🙂
জিসান শা ইকরাম
জি এটি তাজীও স্টাইল, লেখা কিভাবে হারায়! তাজের লেখা হারাবে না।
ম্যাজিক ম্যান ^:^ ম্যাজিক উওম্যান হতেও পারে 🙂
মেহেরী তাজ
লেখা মাঝে মাঝে হারায়ে যায় আমি নিজে তার ভুক্তভোগী….
ম্যাজিক ম্যান না উওম্যান কোন ভাবেই বলা যাবে না…
:p
ইনজা
মুগ্ধতার আবেশে ভরে রইলাম আপু। -{@ -{@
মেহেরী তাজ
ধন্যবাদ ভাইয়া…. 🙂
আবু খায়ের আনিছ
দুইতিনবার পড়লাম, মুখস্ত না করলেও কথাগুলো মনের মাঝে গেথেঁ নিলাম, কখনো যদি এমন সুযোগ পাই তবে সদ্বব্যবহার করব।
মেহেরী তাজ
দেখেন ভাইয়া কাজে লাগে কি না….
ধন্যবাদ ভাইয়া! 🙂
আবু খায়ের আনিছ
জেনে রাখলাম কৌশলটা, কাজে লাগুক বা না লাগুক। অন্যদের বুদ্ধি দেওয়ার জন্যও ভালো উপায় হবে।
মেহেরী তাজ
উক্কে ভাইয়া জেনে রাখুন! 🙂
মোহাম্মদ আয়নাল হক
অসাধারন। সুন্দর কথা গুলো।। মুগ্ধতা রেখে গেলাম। আপু
মেহেরী তাজ
আপনার ভালো লাগায় আমার লেখার স্বার্থকতা…. 🙂
ধন্যবাদ ভাইয়া….
মৌনতা রিতু
নওগাঁর জোনাকিরা কি ? জোনাকির আলোয় মন ভরে গেল।
মেহেরী তাজ
হুম নওগাঁর জোনাকি…..
আপনি অনেক পচাঁ আপনার সাথে কোন কথা নাই! রাজশাহী থেকে ঘুরে গেলেন নওগাঁ এলেন না কেনো….???? পচাঁ পচাঁ পচাঁ…. -:-
মৌনতা রিতু
তুমি যখন শশুর বাড়ির মানুষ, জালাতে তোমায় সমস্যা আছে। তাই যাব ঠিকই।
মেহেরী তাজ
হুম ঠিক আমায় জ্বালালে সমস্যা আছে! আসবেন যখন তখন জানাতে ভুলবে না!
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
চমৎকার লেগেছে
(y)
মেহেরী তাজ
আমার স্বার্থকতা…
ধন্যবাদ আপনাকে…
রিমি রুম্মান
পড়লাম নিজে একটা চরিত্রে ঢুকে 🙂 … সুন্দর
মেহেরী তাজ
কোন চরিত্রে ঢুকে?? ;?
ধন্যবাদ আপু! 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
কেমনে যে লেখ আপু একেই বলে গোপালের কপাল।
মন ভরে ভাল হয়ে যায়।
মেহেরী তাজ
কেনো ভাইয়া গোলাপের কপাল?? ;?
ধন্যবাদ! 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
তারা মরে ব্লাকহোলের সৃষ্টি হয় আর জোনাকি! বেশ ভাল হয়েছে।ফেবুকে পড়েছিলাম। -{@
মেহেরী তাজ
ফেসবুকে?? না তো এই লেখা কোন ভাবেই ফেসবুকে নেই ভাইয়া! সেটা অন্য লেখা!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
ব্লগার সজীব
ওস্তাদ কতদিন পরে আপনার লেখা পড়লাম 🙂 ওস্তাদিয় লেখাকে খুব মিস করেছি এতদিন। জোনাকি কিন্তু আমারো লাগপে 🙂
নিয়মিত পাচ্ছি আপনাকে, তাই না ওস্তাদ?
মেহেরী তাজ
তোমার ভাগের জোনাকি আছে, কেউ নিবেনা!
বিভিন্ন ঝামেলায় আসা হয় নি বেশকিছু দিন! এখন নিয়মিত থাকবো ইনশাআল্লাহ….
কিন্তু তুমি আবার হারিয়ে যেও না! জুলাই ৭ এর পরে আড্ডা হবে জমিয়ে!
ব্লগার সজীব
আমি আছি ওস্তাদ, আর যাচ্ছি না। জুলাই ৭ এর পরে কেন? আগে হতে পারেনা? 🙂
মেহেরী তাজ
আচ্ছা ঠিক আছে। ৭ জুলাইয়ের পর তার একটা কারন আছে! বলে দিলে তো সবায় জেনে যাবে! তাও বলি এক চরম আড্ডাবাজ কে পাবো ৭ জুলাইয়ের পর থেকে তাই। 😀
ব্লগার সজীব
আমি এত কম জানি কেন? 🙁 আচ্ছা তাহলে অপেক্ষায় থাকবো ৭ জুলাইয়ের পরে 🙂
নাসির সারওয়ার
কথা বার্তা কি বহন করলো কিছুই বুজলাম না।
থাক, বেশি বোজা ভালোনা।
মেহেরী তাজ
হায় হায় বুঝেন নাই! আচ্ছা ঠিক আছে পরের বার আরো সহজ করে কিছু লেখার চেষ্টা করবো! 🙂
নাসির সারওয়ার
সত্যি বুঝি নাই। এই ধাঁচের ২য় লেথা এটা। এরকম কথার পিঠে কথা বলেও লেখা যায়!
আরেকটা সমস্যা – জোনাকদের কি হবে! জোনাক আর জোনাকির টানা হেঁচড়ার মাঝে পরে গেলাম নাতো!!
মেহেরী তাজ
জোনাকদের কি হবে। আসোলেই তো! ;?
আপনি তো আমাকেও টানাহেঁচড়ায় ফেলে দিলেন……… 🙁 ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
এই তো আমাদের পিচ্চি আপু। অবশেষে এলেন স্বগতোক্তি নিয়ে। নতূন করে কি আর বলবো। (y) -{@
মেহেরী তাজ
চলে এসেছি আপু। আর যাচ্ছি না কোথাও…. 🙂
আপনাকে তো নিয়মিতই পাচ্ছি তাই না???
লীলাবতী
শুধু কথা দিয়ে এমন লেখা আমি এই জন্মে পারবো না তাজ 🙂 কতদিন পরে তোমার লেখা পড়লাম, মন্তব্য করলাম।
মেহেরী তাজ
কে বলেছে পারবেন না! চেষ্টা করলেই পারবেন!
হ্যা আপু অনেকদিন পরে লিখলাম!
লেখা ভুলে যাইনি দেখে নিজেই অনেক শান্তি পেয়েছি….. 🙂
লীলাবতী
নিয়মিত সোনেলায় এসে সোনেলাকে জমজমাট করে ফেলি আসো 🙂
মেহেরী তাজ
আমি আছি। আপনাকেও পাবো বাঁকিরাও আসবে ইনশাল্লাহ। সোনেলায় এবার পুরান আড্ডা বসবে! আমি খুশি আমি খুশি…. \|/
ছাইরাছ হেলাল
বাহ বেশ লেখাটি,
দারুণ করে কথোপকথনের ছলে অনবদ্য উপস্থাপন,
তবে খুউব খুুউব কঠিন লাগতেছে।
মেহেরী তাজ
খুব বেশি কঠিন হয়ে গেছে তাই না?!
আচ্ছা পরের বার অনেক সহজ করে লিখবো! 🙂
শুন্য শুন্যালয়
এক চিমটি আড্ডা তো একা একাই দিলাম, কোনে গেলি পিচ্চি ভূত?
অই অধরা চাঁদ ধরবার বুদ্ধি তো আছে আমার কাছে। চাঁদের ঠিক দুইপাশে দুই হাতে আস্তে করে ডুবিয়ে দিতে হবে, এরপর দুহাতে তুলে নিয়ে আসতে হবে। নইলে ওড়নার দুইপাশ দুইজন ধরে ছেঁকে নিয়ে আসতে হবে, আচ্ছা যাক, সে আমি তোকে শিখিয়ে দেব, আমিতো ওখাণে অবশ্যই থাকবো, আমাকে ছাড়া চাঁদ, তারা ধরা, উহু, চলবেই না মোটে।
এত্ত এত্ত ভালো লেখা তো চলবেনা মোটেই, আর লিখলে রোজ লিখতে হবে। অনেক চমৎকার লিখেছিস পিচ্চি। আমার ঈদি নিয়ে জলদি আয়। (3
মেহেরী তাজ
আমি তো কোথাও যাইনি! এখানেই আছি! একা একা আড্ডা দিলেন?? 🙁
কাল থেকে আপনি এলে আমি কোথাও যাবো না প্রমিস!
অধরা চাঁদ সে ও আপনি ধরতে পারেন? ;? আচ্ছা শিখে নেবো 🙂
কিন্তু সেই সময় আপনিও থাকতে চান??
রোজ লিখতে চাইলেও পারি না! পারি না!
বজ্জাত লেখা কোথায় যেনো পালায়ে যায়! ;(
আপনার ঈদি আমার সাথেই আছে কবে চাই বলেন!?? 🙂