সই,লতা,
মন খারাপ ভীষণ। কথামত ঢিল ছুড়েছি,শূন্য ফলাফলে।ওদের সাথে দেখা নেই বেশ কয়েকদিন। লাপাত্তা। দিন দু’এক পরে দেখি লাল রঙয়ের গাছের পাতায় নীল কালিতে লেখা একটি চিরকুট ফেলে রেখেছে। নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে এসে অপেক্ষা। কিন্তু না,কারও টিকিটির দেখা নেই। বিরক্ত হচ্ছি এমন সময়ে হঠাৎ বুদ্বুদ তারপর ফুস করে প্রথমে অনুসূয়া পরে প্রিয়ংবদা শেষে শকুন্তলা,চোখ ঝলসে দেয়া ঝলমলে রূপ নিয়ে।যেমন তার ঠাট তেমনি বাট। চোখ কপালে নয়,অন্য কোথাও তুলে রাখতে পারলে ভাল হত। প্রথম দেখায় দারুণ এক সুখের অনুভুতি ছুঁয়ে গেল।
ওরা এলো,শুরু হোল আলাপন। এতো অনাদি কালের চেনা জানা আপনজন ! তাদের তিনটি শর্ত,প্রথমে দুটি,এরপর শেষেরটি। প্রথমটি হোল,বনলতা যে দিন এখানে আসবে,হতে পারে তা কাল কিম্বা পরশু বা শতবর্ষ পরে,প্রথমে কোন অজুহাত ছাড়াই তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। দ্বিতীয়,কিছুতেই মুখপুরি কচুখেকো কাদাখেকো শাঁকচুন্নি বনপরী ও ফুলপড়ীদের সাথে সারাক্ষণ থাকা যাবে না,যাবে না। মাখমাখি গলাগলি বন্ধ পুরোপুরি। তথাস্তু বললাম সময় না নিয়েই। আকাশছোঁয়া ভালোবাসার পূর্ণগ্রহণের বাকী নেই কিছুই। গপ-সপ শুরু হলে গেল,মজা করে। আমি প্রায় শ্রোতা বনে গেলাম।ওদের হাসি আনন্দের তোরে ভেসে চলতে চলতে অবাক হয়ে লক্ষ্য করি,অনুসূয়া শুধুই হাসে,তাও প্রায় নিঃশব্দে , রা শব্দটি মুখে নেই। একটু পরে পরে শকুন্তলার কানের কাছে মুখ এগিয়ে কী যেন বলে আমাকে দেখিয়ে,তখন হাসিটি হয় আরও একটু বিস্তৃত,শকুন্তলা মুখে কিছু বলে না,শুধু চোখে চোখে হাসে। খুব ন্যাওটা হয়েছে ওটা।শকুন্তলা কথা বলে খুব কম।ছোট ছোট বাক্যে।অবাক করা মজার বিষয় হল,কথা শুনলে মনে হবে বাক্যে কয়টি শব্দ থাকবে ও শব্দে কয়টি করে অক্ষর থাকবে তা যেন আগে থেকেই মাপ-ঝোপ করে ঠিক করে রাখা।শব্দ বাক্য গুলো এমন সুন্দর মনোমুগ্ধকর ও ভারী যে কেউ আঁজলা ভরে তুলে নিতে পারবে,কথাদের গায়ে হাত বুলিয় আদর করে দিতে পারবে,এমনকি তুলে নিয়ে আঁচলে বেঁধে রাখতে চাইলেও সমস্যা নেই।একটি কথায় থাকে হাজার বলা ও না বলা কথা। কথা বলে এমন করে,অবলীলায়।একটু হাসলে আলো ছড়িয়ে মুক্তো ঝরায় দশ দিকে। প্রিয়ংবদা কথা বলে কবিতায়,গানের সুরে।কথা শুরু হলে সমস্ত সৃষ্টি যেন ওর কথা শোনার জন্য উন্মুখ হয়ে পড়ে,হাসলে সব গাছ ফুলে ফুলে রং ছড়ায়।কাঁদলে সৃষ্টির সব কিছু যেন ডুকরে ওঠে।হাসি আনন্দের কথায় সময় বয়ে যায় বয়ে যায়,আবার বলতে শুরু করে প্রিয়ংবদা এবারে……………………………..
“মা,জননী মোদের,তোমাকেই খুঁজেছি হাজার বছর,এই দৃশ্যমান অদৃশ্য ব্রহ্মাণ্ডের নক্ষত্র মাঝে,ছায়া পথের শেষ প্রান্তেও,শুধু পূর্ণশশীতে নয় পূর্ণা তিথিতেও।অপেক্ষায় রয়েছি এই সবুজ সরোবরের সরোরুহর মাঝে,তুমি আসবে বলে,এই দেখ স্বর্গপাখির ডিম রেখেছি পুঁটুলি ভরে তোমায় দেব বলে, বড় অনিঃশেষ যন্ত্রণা তৃষ্ণার্ত এ বুকে,পানি চাই,এক ফোটা পানি চাই,যন্ত্রণা নেভানোর ছলে,দেবে না?দেবে না? মা,মা ……………………………….’
আমার কান্না পেল,বুকের পাঁজর ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেল। নিজের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যুগ যুগ ধরে কাঁদতে থাকলাম। সম্বিত ফিরলে শেষ কথা রেশ কানে এলো “মা,কথা দাও কথা দাও,যাবে না আমাদের ছেড়ে নক্ষত্র ছুঁয়ে ঐ ছায়া পথের দূর দেশে,কখনও না।”
চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি চোখজলে শকুন্তলা অনুসূয়া প্রিয়ংবদা আমাকে জড়িয়ে তাকিয়ে আছে
মুখপানে । প্রিয়ংবদা বলে-“মা,তোমাকে কহলীল জিবরান থেকে একটি কবিতা শোনাই।”
‘শোনাও শোনাও,বাছা আমার’। আমি বলি ।
“‘এটা আমার ও যে কোনো মানুষের জন্য ভাল হত
যদি আমি নারী মঠে প্রবেশ করতাম।’
‘তুমি যেহেতু নারীমঠে প্রবেশ করেছিলে
সেহেতু আমার পৃথিবীতে আসা উচিত হয়নি,’আমি বলেছিলাম ।
‘প্রিয় পুত্র,তোমার জন্মের আগে থেকেই
নির্ধারিত হয়েছিল,’তিনি উত্তর দিয়েছিলেন ।
‘হ্যা,কিন্তু পৃথিবীতে আসার বহু আগেই,মা হিসাবে
আমি তোমাকে পছন্দ করেছিলাম’,আমি বললাম ।
‘তোমার জন্ম না হলে তুমি স্বর্গে থাকতে
দেবদূত হয়ে।’
‘কিন্তু এখনও আমি দেবদূত’। আমি উত্তর দেই।
তিনি হাসেন এবং বলেন, ‘তোমার পাখা কই?’
আমি তার হাত ধরে আমার কাঁধে রেখে
বলেছিলাম, ‘এখানে।’
তিনি বলেছিলেন, ‘ওগুলি ভাঙা ।'”
(এখানে এই কবিতায় ছেলে ও মায়ের কথোপকথন তুলে ধরা হয়েছে,যেখানে ছেলে চেয়েছিল তার মা যেন নানের জীবন বেছে নেন,কিন্তু মা তা হন-নি।)
সুস্থ ও ধাতস্থ হয়ে জানতে চাইলাম শেষ শর্ত। সমস্বরে উত্তর ‘তিন জনকে এখন এই মুহুর্তে কোলে নিতে হবে’। বলেছিলাম ‘তিন জনকে কী করে একসাথে কোলে নেব’ ?একজন একজন করে তিন জনকেই বুকে তুলে নিয়েছিলাম পরম যত্নে । আচ্ছা বলতো লতা ‘কাকে প্রথম,দ্বিতীয় ও শেষে কোলে তুলে নিয়েছিলাম?’
তোকে এক্ষুণি চলে আশার জন্য জোর তাগাদা দিচ্ছিনে। ভালো থাকিস সারাবেলা ।
ইতি
নাছরিন,শকুন্তলাদের কাছ থেকে।
এ চিঠির কোন উত্তর হয় না,হবেও না,চেষ্টাও নেব না।
তবে অনুমান করে বলুন-তো,’নাছরিন- প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয়কে কাকে কাকে কোলে তুলেছিল’ ?
আজান শেষে দূরে ভেসে আসছে সূরা আর রহ্মান তেলাওয়াতের সুমধুর সুর,সৈয়দ সাদাকাত আলীর-ই তো বলেই মনে হচ্ছে। নাছরিনের রেখে যাওয়া অনেক অনুসূক্ষ্ম মানবিক কর্মকাণ্ড এখনও বাকী পড়ে আছে ।
যেতে হবে ।
=================================================
প্রহেলিকাকে বলেছিলাম ‘জাগ জাগ জননী………… ‘লেখায় তুলে আনব।আমার ভাঙা কলম তার কিছুই তুলে ধরতে পারেনি,পারবেও না।তবে ,’জননী’ এর একটি রূপ তুলে ধরার ব্যর্থ প্রচেষ্টা নিলাম জান-প্রাণ ঢেলে দিয়ে। কিন্তু হায়! ঈশ্বর সামান্যতম আড়াল না নিয়ে প্রকাশ্যেই ফিক করে নয় আকর্ণ হেসে ফেলেছেন আমারই ব্যর্থতায়।(বোধ করি ঈশ্বরের কাজ-কর্মের খুবই অভাব ইদানিং)
=================================================
বলে-কয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবেই নিলাম লেখা বিরতি কিছু কালের জন্য , চিরস্থায়ীত্বটুকু বাদ রেখে।
পাঠক হয়ে থাকব এই এখানেই। শুভেচ্ছা সবাইকে।
৫৫টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
মাথা খারাপ নাকি আমি বলতে পারবো না চেষ্টা করার আগেই বলে দিয়েছি। অনেক অনেক অপেক্ষা করতে হবে কারণ জানেনিতো মূর্খ মানুষ আমি একজন। পরে এসে ঘুরে যাবো আবার এরপরও যদি না পারি মন্তব্য করতে তাহলে হেলাল ভাইয়েরটা কপি করে পেস্ট করে দিবো।
বনলতা সেন
আপনি জানেন ,অপেক্ষায় আমার কোন সমস্যা নেই ।
আল্লাহ ধৈর্য্য ধারণকারীর সাথেই থাকেন বলে শুনেছি । আপনার কপি-পেস্ট করতে হবে কেন ।
আপনার যা মনে হবে ত বলবেন ।
আপনি মূর্খ বুঝি ? তা কবে থেকে ? কে সার্টিফিকেট দিয়েছে ? চাইলে নাম অ বলতে পারেন কারণ আমিও মূর্খ
হতে চাই প্রাণ-মনে ।
প্রহেলিকা
আমার দ্বারা আসলে সত্যিই সম্ভব না এমন লিখায় মন্তব্য করা অথবা কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া। হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন কোনো সাধারণ লিখতেও আমি ভালো করে গুছিয়ে মন্তব্য করতে পারিনা সেখানে এমন সমৃদ্ধ লেখায়তো প্রশ্নই আসে না। তবে ভুল একটা করে ফেলেছি খালি হাতে ঢ্যাং ঢ্যাং করে প্রথম মন্তব্যকারীর স্থানটা নিয়ে ফেলেছি। শ্রদ্ধেয়া আমার হেলাল ভাইয়ার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। হ্যাঁ কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম একটি কথা “‘বিধিরে আমায় ছাড়া রঙ্গ করার আর মানুষ পেলে না ‘
নিশ্চুপ নিরুত্তর নিরুপায় আমি ।
ছাইরাছ হেলাল
সময় করে পাঁচ বার পড়ুন ।
‘জননী’ জাগাতে পেরেছে কী না তাত আপনাকেই বলতে হবে ।
রক্ষা নেই গোলাম হোসেন ।
লিখুন লিখুন । আমাদেরও জানতে হবে আপনার ভাবনা ।
‘সম্ভব নয়’ বলে পার পাবেন বলে মনে হয় না ।
কহলীল জিবরানের নাম শুনেছি শুধু পড়িনি ,আপনি ? সংগ্রহের চেষ্টায় আছি ।
বনলতা সেন
তা আপনাকেও খুব পাক্কু মনে হচ্ছে ।
প্রথম মন্তব্যের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ । তা ঢ্যাং ঢ্যাং তা করলেও । আচ্ছা বুঝছি সোজা প্রশ্নের উত্তর দিতে চান না ।
প্রশ্ন ছাড়াও আরও কিছু আছে আপনাকে তো সে বিষয় কিছু বলে আমাকে শেখার সুযোগ করে দিতে হবে ।
গুছিয়ে মন্তব্য করতে পারছেন না কবে থেকে ? এখানে বেশ পাকা পাকা মন্তব্য আশে-পাশে নয় শুধু নাকের ডগায় ও
ঝুলে আছে জ্বল জ্বল করে । অতএব এড়ানোর কোন সুযোগ আপাতত পাচ্ছেন না ।
বাহ্ সুন্দর শব্দের ফিরতি ব্যবহার দেখে আনন্দিত ।
জিসান শা ইকরাম
পাঠক হয়ে থাকবো মানে ?
এ কেমন কথা ?
আপনি নিজের খোলস ভেংগে কেবল নিজকে প্রকাশ করা শুরু করলেন –
এমনটি করা কোন ভাবেই উচিৎ হবে না ।
চিঠি সম্পর্কে পরে বলি —
বনলতা সেন
অবশ্যই সাময়িক বিরতী মাত্র ।
লেখার চরিত্রগুলো আর বয়ে বেড়াতে পারছি না ।
আল্লাহ্ চাহেত অচিরেই ফিরতি পথ ধরব ।
ভাল থাকুন আপনি ।
স্বপ্ন নীলা
চরম ভাল লাগলো———
বনলতা সেন
এটুকু বললে তো হবে না ।
পড়ে বলতে হবে ।
আপনার মতামত চাই ।
ধন্যবাদ ।
ছাইরাছ হেলাল
ভেবেছিলাম ঝগড়া-ঝাটি করব আসল ও নকল ভাবে বেশ ভাব নিয়ে , কিন্তু তাতো ইচ্ছে করেও পারছি না ।
তবে মোটেও যে তা করব না , পায়ে পা দিয়ে বা গায়ে পড়ে তা আবার ভেবে বসবেন না । তবে স্বীকার করছি
মুন্সিয়ানা আপনি দেখিয়েছেন বটে । এ লেখা নিয়ে কথা বললে (ঝগড়া সহ) কয়েকদিন লেগে যেতে পারে ।
আমাদের গিনিপিগ বানিয়ে নার্সিজম দেখালেন সফল ভাবে । নিজেকে আর কত ভালোবাসবেন ?
চারিদিকে তাকান , পৃথিবীর রূপ দেখুন । আকাশ বাতাস নদী সমুদ্দুর দেখুন । আমাদের দেখতে দিন এবং দেখান ।
সব নিজের মধ্যে নিজের মত করে স্বার্থপরের মত দেখতে থাকবেন , নিজেই নিজের গভীর থেকে গভীরতর প্রেমে পড়বেন ? আমাদের মন্তব্যগুলো পর্যন্ত নির্দয় ভাবে নাস্তা খাস্তা খেলামকুচি করে ফেললেন ? নিজেকে ভালোবাসার
অহংকারে ? আপনার এই অহংকার আমারা সয়ে গেলাম ,আল্লাহ সইবে ? জানিনা ঈশ্বরের সাথেও লাইন পাকা করে
ফেলেছেন কী না ? এই প্রথম দেখলাম ভোররাতে লিখতে , এবং সে সময় সুরা আর রহ্মান! তাও সাদাকাত আলীর (সার্চ দিয়ে দেখলাম) , আপনার সাথে ঝগড়া করছি তা ভেবে ভয় ভয় লাগছে ।
চিঠির মধ্যে চিঠি লিখলেন , জাতিস্মর এর মধ্যে আবার জাতিস্মর বানালেন । নাছরিনের প্রেমে পড়ালেন ,এবারে শকুন্তলাকে নিয়ে এলেন ? আবার প্রেমে পড়াবেন ? পড়ালেন, শেষে নিজে শকুন্তলা হয়ে পাততাড়ি গোটানোর তাল করছেন ?
পরে লিখব, আবার ।
বনলতা সেন
এত্ত এত্ত কড়া কথা না বলে একটু না হয় প্রশংসা করে ফেলতেন ।
কবে যে আপনাদের মত ভাল লিখতে পারব কে জানে ।
মৃগয়া হলে আমাদের একটু জানান দিয়েন অনুগ্রহ করে ।
ছাইরাছ হেলাল
এ লেখা নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করে না । একজনের পক্ষে ক্রমাগত কী করে এমন করে লেখা চালিয়ে নেয়া সম্ভব তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
যাক, আমরা বনলতা থেকে নাছরিন এবং শেষে শকুন্তলাজী কে পেলাম ,এও বা মন্দ কী ? লেখার স্টাইল যেহেতু এক , এবারে মেনে নিয়ে আমাদের অনুমতি দিন দেবীজী । নাম পত্তন হয়ে যাক ।তারপর যা ইচ্ছে তাই-ই করুন । তাও আমরা দুষ্মন্ত মহারাজা পাব। আবদার করে কলাটা-মুলোটা পাব । মৃগয়া তো রইলোই । আমার মাভৈ বলি ,যদি অনুমতি দেন ।
বেকায়দায় ফেললেন। তা অন্য কোন ঘাটে নাও ভেড়ালেন নাকি ? আপনার নাওয়ের এখন যা ছিরিছাঁদ
তাতে যে কেউ সাদরে পিঁড়ি পেতে দেবে । আর তা যদি দয়া পরবশ হয়ে তা না ও করেন , তবে যে দোকানে বাজার সদাই করেন তার ঠায়-ঠিকানা দিয়ে দেবেন দয়া করে । সেই দোকানের বাজার খেয়ে যদি লেখায় উন্নতি-ফুন্নতি কিছু হয়। সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা আপনারই।ভাল করে না হয় একটু বুজ-বাজ দিয়ে সত্য কথা বলে দিতেন।কথা এড়ানোয় আপনার মুনশিয়ানা আমাদের জানাই আছে । যাবেন , যেতেই পারেন , পাখাটি বেশ শক্ত-পোক্ত তা দেখতেই পাচ্ছি।খান কুড়িক লেখা একবারে ফেলে দিয়ে যান।আপনাকে আপাতত আটকাচ্ছি না।এই কুড়ি খানায় বহুত দিন গুজরান করতে পারব ।
বনলতা সেন
আপনারা পারেন ও বটে । ঘুম হয় ? নাকি ঝেটিয়ে বিদেয় দিয়েছেন । দুষ্মন্ত পর্যন্ত চলে দেলেন এরই মধ্যে ? ঘাটের মড়া হয়ে পড়ে আছি , অন্য কোন কুল নেই তা জেনেই।আমার কিন্তু রাগ নেই,তা আপনি যেমন করে যা-ই বলুন না কেন।খান কুড়ি তো ভাল ,খান কয়েক লেখা ,এমনকি একটি লেখা লেখাও আমার সামর্থ্যের বাইরে।এ লেখাগুলো আমাকে প্রায় মেরে ফেলেছে ,আমার সামর্থের বাইরে চলে গিয়েছি।এ আপানারা শক্তিমানরা বুঝবেন না। লিখতে পারলে আবার অনন্যোপায় হয়ে এ ঘাটেই যে আসতে হবে।শাখা-প্রশাখা খোলার সামর্থ্য নেই,হবেও না।আমি তার অভাব ও বোধ করিনে।আপনাদের লেখা পড়ব নিয়মিত।যদিও আমি চূড়ান্তভাবে আত্মনিয়ময়ানুবর্তিতায় নিষ্ঠাবান কেউ না।ধন্যবাদ আপনাদেরকেই।
শুন্য শুন্যালয়
কিসের এতো ঝগড়াঝাটি চলছে? কে কোথায় এবং কেনো যাচ্ছে? বলে কয়ে লেখার বিরতি কেউ কি নিতে পারে?
একটা প্রশ্ন করেছিলেন, উত্তর টা এই গোবর মাথা থেকে দিচ্ছি, অনুসূয়া… প্রিয়ংবদা… শেষে শকুন্তলা, ভুল শুদ্ধে মার্ক্স কাটবেন না আশা করি… এবার আমার একটি প্রশ্ন, এমন করে কল্পনার মায়াজাল কেমন করে বিছানো যায়, মন্ত্র টা কি?
জাতিস্মর… ৬ এর জন্য কতোদিন অপেক্ষা করাবেন সে আপনার ব্যাপার রে বাপু, কাওকে অপেক্ষা করানো ভালো অভ্যাস না জেনে রাখুন।।
@ছাইরাছ হেলাল ভাই, আপনি তো দেখছি অন্তর স্ক্যানার রে বাবা, এমন করে অন্যের চিন্তা ভাবনায় ঢু মেরে একেবারে পরিক্ষার প্রশ্নপত্রের মতো ফাঁশ করে দেন কিভাবে?
বনলতা সেন
না না ,অবশ্যই এটি কোন ঝগড়া নয় ।
দেখুন উত্তরটি আমার জানা নেই , তবে আপনি লেখাটি মন-প্রাণ দিয়ে পড়েছেন যেমন পড়েন আমার
অন্য লেখাগুলোও । আমার ভালো লাগল । আমি তো কল্পনার মায়াজাল বুনছিনা , সত্যি সত্যি শকুন্তলার
মায়ায় পড়েছি । তাই ক্ষণিকের বিরতি নিতেই হবে । মন্ত্র নেই কোন শুধু আপনার হাতের ছোঁয়া ।
সত্যি বলছি আপনাকেই , (উপড়ে ধরে ফেলেছে) লেখাটি এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে , সেখান থেকে এগিয়ে
নেয়া আমার সাধ্যের অতীত । শকুন্তলাকে আমি পিছিয়ে নিতে পারি না । আমার অস্তিত্বের অংশ ।
কাজেই অপেক্ষা আমকে করতেই হচ্ছে ।
লুকিয়ে কিছুই রাখতে পারিনা , আপনারা ধরে ফেলেন প্রায় সব কিছু , সে জন্য আনন্দবোধ ও আছে ।
ধরা পড়ার আনন্দ ।
অশেষ প্রশংসা আপনার জন্য ও ।
অপরাজিতা সারাহ
আমার ওখানে মন্তব্য করে এসেছি,লেখা কই?আর এদিকে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি?
নাছরিনকে এতদিন যা দেখছিলাম আজ আবার তা পালটে গেল।যেন তার আরেক রুপ।নাকি সেই রুপেই সে আছে,বাকি অন্য রুপ তার সাথে বিলীন হয়েছে?তবে কি নাছরিনই শকুন্তলা,অনূসূয়া এবং প্রিয়ংবদা?নাকি সব মিলিয়ে বনলতা?একেকটি যুগের একেক রুপ?সত্যি,লেখাগুলো ঘুরপাক খায় মাথার ভেতরে,শুধু প্রশ্ন জাগে,আসলে কি?কে নাছরিন,কে বনলতা?
একে তো নাচনে বুড়ি তায় আবার ঢোলে বাড়ি।একে তো আপনার লেখার জট ছাড়াতে গিয়ে নাজেহাল,তাইতে যে হেলাল ভাই একটু গিট্টু খুলতে আমাদের সাহায্য করবেন,তা নয়,পোস্ট পড়ে ঘোর কাটার আগেই তাঁর মন্তব্যে আরো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই।যেখানটায় হয়ত বুঝতে শুরু করেছিলাম,সেখানটাই কি করে যেন গুলিয়ে যায় সব,আবার নতুন করে ভাবতে বসি।াপাতত এই গোলকধাঁধাতেই আছি।তবু ভালো লাগে।সাময়িক বিরতির দ্রুত অবসান হোক।
শুভ কামনা।
বনলতা সেন
আপনি অনুগ্রহ করে সময় নিয়ে পড়েছেন তা দেখেই আমি আনন্দিত ।
বনলতার ভিন্ন ভিন্ন রূপ । আপনি ঠিক বুঝে নিয়েছেন ।
আবারও শুভেচ্ছা আপনাকে ।
খসড়া
আমি আর কিছু কইলাম না। (মনে মনে হাসার ইমো হপে।)
বনলতা সেন
আপনি ইচ্ছে করলেই বলতে পারেন , আর কিছু ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিলে ঠিক করে নিয়ে
শুধরে নিতাম নিজেকেও ।
মনে মনে নয় শুধু অন্য যে কোন ভাবেই আপনার সুন্দর হাসিটি হাসতে পারেন ।
নিয়মিত পড়ছেন দেখে উৎসাহিত বোধ করছি ।
ব্লগার সজীব
নাছরিনের প্রেমে আমি পতিত হলাম অবশেষে । এ কেমন চরিত্র সৃষ্টি করলেন বনলতা দিদি ? অসাধারন বললেও এ লেখাকে কম বলা হবে ।
বনলতা সেন
আপনি একটু ভুল করেছেন , ঠিক করে নিয়ে সঠিক ভাবে পতিত হউন ।
এখন যে শকুন্তলা পর্ব চলছে । সমস্যা নেই , এ লাইনে আরও কেউ কেউ আগেই ইট রেখে দেছে ।
অনেক শুভেচ্ছা এই পতিত হওয়ার জন্য , আপনি ঠিক ঠিকানায় এসেছেন ।
বাসায় জানে ?
ব্লগার সজীব
আগেই ইট রেখে গিয়েছে ? ;( বাসায় জানে না :p
মশাই
অসাধারণ অসাধারণ!!! লিখন শক্তি রয়েছে বলতেই হবে। খুব ভাল লাগলো। প্রথমেই যখন দু’বার অসাধারণ শব্দটি উচ্চারণ করেছি তার কারণ বলাটাও প্রয়োজন বলে করি।
লিখাটির মূল ভাবার্থ নিয়ে কিছু বলবো অথবা বলা যাবে না যেহেতু লিখাটির আরো কিছু পর্ব ইতিমধ্যে অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। তবে যা বুঝতে পারলাম লিখাটি পড়ে তাহলো খুব স্বল্প সময়ে লিখাটি লেখা হয়েছে যদিও লিখার ধারনাটা পূর্ব পরিকল্পিত যা জাতিস্মর ৩ ও ৪ পড়ে অনুধাবন করা যায় (জাতিস্মর ৩ ও ৪ পড়ে এসেছি)। আমি অসাধারণ বলেছি এই কারণে যে এতো অল্প সময়ের মাঝে লিখাটি যেভাবে প্রাঞ্জলতা পেয়েছে তা একটি সুদক্ষ লেখক ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। যতুটুকু শ্রম আপনি লিখাটিতে দিয়েছেন ততটুকু মর্যাদা সম্পন্ন প্রশংসা করা সম্ভব নয়। আমি রীতিমত কিছুটা অবাক হয়েছি এই কারণে যে অতি অল্প সময়ে খুব সুন্দর করে লেখার কেন্দ্রীয় চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। শুভ কামনা সামনে এমন লেখা আরো পাবো বলে আশা রাখছি।
একজন লেখকই তার লেখার বিশ্লেষণ করতে পারেন সেই বিশ্বাসে আপনার কাছে কিছু প্রশ্ন রেখে গেলাম কিছুটা কৌতুহলী হয়ে।
চিঠি পর্বটি জাতিস্মর-৩ থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত এলো। আপনার বচন অনুযায়ী সাময়িক বিরতিতে গেলেন, জাতিস্মর-৩ এ আপনি মাছ ও জলদের কথা বলে গেলেন যা জাতিস্মর-৪ এর শেষ দিকে এসে শকুন্তলা, প্রিয়ংবদা,অনুসূয়া তে রুপান্তরিত করলেন চরিত্রগুলোকে এবং জাতিস্মর-৫ এ এসে সেই চরিত্রগুলোকে খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। সাধুবাদ রইল তার জন্য। চরিত্রগুলোর ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেলেও লিখাটি কিন্তু এক মূলে গঠিত।
এবার আমি একটু ভিন্ন বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই খুব অল্পতে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক ভাল ভাল লেখক ব্লগে লেখা প্রকাশ করে থাকেন তাদের লেখা পরে পাঠকরা যাতে লেখাটির পোস্টমার্টম করতে পারেন তাতে তাদের লেখা আরো সমৃদ্ধ হয়। আরো দেখা যায় দু বছর পূর্বে যে ভাল করে লিখতে জানতো না আজ তার বই প্রকাশ পাচ্ছে কারণ ব্লগ তাকে তার ভুলগুলো ধরিয়ে দিচ্ছে অবিরত। একটি পত্রিকায় অথবা কোনো বই-এ যখন কোনো লেখকের লেখা পড়ি অনেক সময় পড়েই চুপ করে থাকতে হয় মনে অনেক প্রশ্ন জাগলেও কিছুই করার থাকে না।
উপরের কথাগুলো এজন্য বললাম কারণ আপনার মত এক সুদক্ষ লেখক পেয়ে কিছু প্রশ্ন করার বাসনা দমন করতে পারলাম না বলে।
আপনাকে জাতিস্মর ৩ থেকে কয়েকটা লাইন তুলে ধরি যেমন #
[আর কয়েকটি দুষ্ট(গোটা তিনেক) তাগড়াই জোয়ান মাছ জুটেছে,দূর থেকে গোল গোল চোখে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে,যেন নীরবতার শব্দে কথা বলে কানে কানে না বলা কথায়। ভাবছি কাছে পেলে কান ধরে হির হির করে টেনে এনে কাছে বসিয়ে আচ্ছা করে কান ডলে টকটকে লাল ও টেনে বেশ খানিকটা লম্বা করে দেব ফাজিলদের।ওদের আটঘেটে আখুটিপনা দেখে হেসেই খুন। তুই এলে তোকে ধরিয়ে দিয়ে দেখব কতটা কী কেমন করে পারিস কতক্ষণ।]
এরপর জাতিস্মর ৪ এ আপনি লিখে আসলেন #
[তোমার পায়ের কাছে জমা দেব সব কাব্য মহাকাব্য । শোনাব গান । মাছেদের ডিম খেত দেব , আমাদের রঙ্গিন পাখনা খুলে খোপায় দেব গুজে । সাদা সাদা দাঁতগুলো দেব তোমার শাড়ির আচলে বেঁধে , তুমি হেঁটে যাবে ঝুনুর ঝুনুর শব্দ তুলে । তাও কথা দাও ভালোবাসার , এক বার বল ‘ভালোবাসি’।]
দুটি লিখতেই চিঠির মাধ্যমে তাদের আকুলতা প্রকাশ, প্রেম নিবেদন এবং দেবী অনুরূপ চরিত্রটির গুনগান করতে দেখা গেছে।
একটু দেখন জাতিস্মর ৪ এর শেষ হয়েছিল এভাবে #
[কেমন তেঁদড় প্রেমিকদের পাল্লায় পড়েছি দেখ একবার । এ দেখছি শকুন্তলা, অনুষূয়া ও প্রিয়ংবদার পুরুষ ভার্সন । কথা বলতে হবে বাঁদরদের সাথে , আগে জানতে হবে শকুন্তলাটি কে ?
তুই এলে যে কী মজাই না হত ভাবতে পারছি না । ওদের ডেকে কথা বলে তোকে জানাচ্ছি সব বৃত্তান্ত।] যেখানেও কিন্তু দেবীর পক্ষ থেকে তেমন সাড়া লক্ষ্য করা যায়নি সে কিন্তু তার অবস্থানেই ছিলো। তার দেবী চরিত্রের কোনো নমনীয়তা লক্ষ্য করা যায়নি যদি যেতো তাহলে তাদেরকে বাঁদর বলে আখ্যায়িত করা হতো না বলেই আমার বিশ্বাস।
জাতিস্মর ৫ এ এসে কিছু ভিন্ন চরিত্র লক্ষ্য করা গেলো যেমন #
[ওরা এলো,শুরু হোল আলাপন। এতো অনাদি কালের চেনা জানা আপনজন ! তাদের তিনটি শর্ত,প্রথমে দুটি,এরপর শেষেরটি। প্রথমটি হোল,বনলতা যে দিন এখানে আসবে,হতে পারে তা কাল কিম্বা পরশু বা শতবর্ষ পরে,প্রথমে কোন অজুহাত ছাড়াই তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। দ্বিতীয়,কিছুতেই মুখপুরি কচুখেকো কাদাখেকো শাঁকচুন্নি বনপরী ও ফুলপড়ীদের সাথে সারাক্ষণ থাকা যাবে না,যাবে না। মাখমাখি গলাগলি বন্ধ পুরোপুরি। তথাস্তু বললাম সময় না নিয়েই। আকাশছোঁয়া ভালোবাসার পূর্ণগ্রহণের বাকী নেই কিছুই। গপ-সপ শুরু হলে গেল,মজা করে। ]
এই পর্বে এসে তারা সেই দেবীর প্রতি শর্ত ছুড়ে দিলো এবং সেই দেবী কালক্ষেপন না করেই তাদের শর্তে রাজি হয়ে যায় কিন্তু এই ছিলো সেই দেবী যার কাছে পার্থনা লক্ষনীয় গত দু পর্বে।
গত দুটি পর্বে পার্থনা থাকলেও এই পর্বে এসে শর্ত ছুড়ে দেওয়াতে আমার কাছে সামঞ্জস্যতার কিছুটা লুঘতা অনুভব হয়েছে তবে সেটা আমার দৃষ্টিকোণ থেকে যার ব্যাখ্যা শুধু আপনার কাছেই রয়েছে।
আর একটা ক্ষুদ্র জিনিস লক্ষ্য করলাম যখন অনুসূয়া পরে প্রিয়ংবদা শেষে শকুন্তলা উঠে আসে তখন লেখক বলেছেন # [চোখ ঝলসে দেয়া ঝলমলে রূপ নিয়ে।যেমন তার ঠাট তেমনি বাট।] লক্ষ্য করুন, “একটু যেমন তার ঠাট তেমনি বাট” এখানে লেখক তিন জনের মাঝে কাকে বুঝতে চেয়েছেন? এখানে কি শুধু একজনকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে নাকি বাক্যটি হবে যেমন তাদের ঠাট তেমনি বাট?
সর্বোপরি লেখাটিকে আমি প্রথম মানের লেখার কাতারে ফেলে গেলাম। শুভেচ্ছা নিরন্তর। -{@
বনলতা সেন
‘সাময়িক বিরতিতে গেলেন’ আপনার কথা দিয়েই শুরু করছি । হ্যাঁ , বিরতি নিয়েছি ।
এবারে লেখক শকুন্তলা হয়ে আপনার প্রশ্নের জবাব খোঁজার চেষ্টা করবে । যেহেতু লেখার বিরতি তাই শকুন্তলার ট্রায়াল
দিচ্ছি । প্রশংসার জায়গাটুকু বাদ রেখে । ওটি নিছক আপনার মতামত । উল্টোটায় ও আমার সমস্যা নেই । ব্লগের আলোচনার উপকারিতার সাথে এক মত । আমার লেখা ছাপানোর দূর পরিকল্পনাও নেই । যত ভাল বা খারাপ ভবিষ্যতে লিখি না কেন । আপনার প্রশ্ন ও কৌতূহল সুন্দর ।
উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব ।
‘নিশপিশে হাত নিয়ে কাছে ডেকেছিলাম,পালিয়েছে ভোঁ দৌড়ে । ভাবছি কাছে পেলে কান ধরে হিড় হিড় করে টেনে এনে কাছে বসিয়ে আচ্ছা করে কান ডলে টকটকে লাল ও টেনে বেশ খানিকটা লম্বা করে দেব ফাজিলদের।’
প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় দিচ্ছে ।
‘মন খারাপ ভীষণ। কথামত ঢিল ছুড়েছি,শূন্য ফলাফলে।ওদের সাথে দেখা নেই বেশ কয়েকদিন।’
মানসিক সম্পর্ক তৈরী হয়ে গেছে । এজন্যই শর্ত শুনতে ও মানতে সমস্যা নেই ।
মূল অংশ শকুন্তলা । হ্যাঁ ওখানে শুধুই শকুন্তলার ঠাটে-বাটের কথা বলা হয়েছে একটু উহ্য রেখে । শকুন্তলা কে উপস্থাপন করা হয়েছে ত্রিমাত্রিকতায় । এখানে জাতিস্মর শকুন্তলা ‘মা’ হয়ে নাছরিনে বিলীন হবে । নাছরিন সবাইকে কোলে তুলে নিয়েছে । শকুন্তলা মধ্যমণি , এটি তার ‘জননী’ রূপ। অনুসূয়া মায়ের ন্যাওটা শিশু । ‘শুধু চোখে চোখে হাসে। ‘ চুড়ান্ত মাতৃত্বের প্রকাশ । প্রিয়ংবদা শকুন্তলার ‘কথক’ রূপ।
জননী হিসেবে উপস্থাপনের অঙ্গীকার ছিল প্রহেলিকার কাছে । শকুন্তলা অঙ্গীকার রক্ষা করে ।
ছাইরাছ হেলাল যথার্থ পাঠক । সে লেখকের মানস পাঠ করতে পারে , প্রায় কাছে পৌছে যায় । না বলা কথাও প্রায় বুঝে ফেলে । সে লেখা নিয়ে কথা বলে না । কী লিখতে চাই বা চেয়েছি সেখানে কথা বলে । আমাকে প্রশ্রয় দেয় । তাই তার মন্তব্যের উত্তরে বরফ ফেলি । আমি পাঠক না , ওটি লেখা থেকে কঠিন মনে হয় আমার কাছে ।
ম্যাজিক রিয়েলিজম ও নার্সিজমের অভিযোগ প্রায় সঠিক । অবশ্যই শকুন্তলা অহংকারী । কিন্তু সে লুনাটিক না ।
আমি জানিনা , আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারলাম কী না । তবে আপনি ঠিক জায়গায় প্রশ্ন রেখেছেন শেষেরটি।
তবে আরও ভঙ্গুর জায়গা রেখেছিলাম ইচ্ছে করে, চোখ এড়িয়েছে । ভালই হয়েছে কঠিন থেকে কঠিনতর বিষয়ে কথা বলতে হয়নি । ভাল থাকবেন , ইচ্ছে হলে পড়ে দেখতে পারেন যদি লিখি । সমস্যা হল যেনতেন লেখা শকুন্তলা এখন লিখতেই পারে না ।
লেখা মন দিয়ে পড়েছেন তা কিন্তু বুঝতে পারি ।
আর একটি কথা না বললেই নয় , প্রিয়ংবদার বলা কহলীল জিবরানের কবিতাটি এ লেখার হৃৎপিণ্ড । কঠিন মাতৃত্বের বিষয় উঠে এসেছে ।
ধন্যবাদ বলছি এবারে ।
উত্তম্মন্যতা হেতু উৎকীর্ণতা কামনা করি না ।
মশাই
তাতো অবশ্যই পড়ব আপনাদের লিখা না পড়লে যে নিজে কিছুই শিখতে পারবো না। মন্তব্যের প্রুতুত্তর করতে দেখে ভাল লেগেছে। একটু পরে এসে কিছু লিখবো একটু ব্যস্ত এখন।
বনলতা সেন
মশাই এর মনে আছে নিশ্চয়ই – দ্রোণাচার্য একলব্যের কাছ থেকে কী দক্ষিণা নিয়েছিলেন ?
দুনু-মুনু না করে জানলে ‘হ্যাঁ’ , না জানলে ‘না’ বলুন ।
বনলতা সেন
এখানে আমি লিখেছি ‘অনুসূয়া’ এটিই কেন জানি আমার পছন্দ , তবে অভিধানে ‘অনসূয়া’ লেখা আছে জানি ।
ঠিক করছি কী না ভাবতে চাই না ।
প্রহেলিকা
Na sroddheya bonolota sen. Ami jani na. Tobe pore ase abar bolbo bolechilam kichu tobe somoyer jonno bolte parlam na bole dukhito. Tobe ha bolbo obossoi. Tachara apni jokhon biroti nilen ei lekhar alochonato eto taratari sesh hote pare na.
Dukkhito banglate type korte parlam na bole.
বনলতা সেন
লেখা বিরতি , আলোচনা বিরতি নয় ।
আচ্ছা ,অপেক্ষা চলবে ।
বনলতা সেন
দ্রোণাচার্যের (অর্জুন) কাছে একলব্য( নিম্ন জাতির মানুষ) এল ধনুর্বিদ্যা শেখার আরজ নিয়ে।অর্জুন তাকে তাড়িয়ে দেয়। মনের দুঃখে একলব্য গভীর বনে গিয়ে একাকী অর্জুনের মূর্তি তৈরী করে গভীর ধ্যান ও অনুশীলন করতে থাকে । এবং সাফল্যের দ্বারে উপনীত হয়।এমন সময় অর্জুন তার শিষ্য সমভিব্যাহারে শিকারের উদ্দেশ্যে ঔ বনে এসে উপস্থিত হয়। অর্জুনের কুকুরটি ধ্যানরত একলব্যকে দেখতে পেয়ে ঘেউ ঘেউ শুরু করলে একলব্যের ধ্যান ভঙ্গ হয়।মহা বিরক্ত হয়ে
তীর ছুড়ে মারে কুকুরকে জিব লক্ষ্য করে,অব্যর্থ নিশানা। জিবে তীর নিয়ে কুকুর গিয়ে অর্জুনকে ডেকে নিয়ে আসে। অর্জুনকে দেখে একলব্য তার পায়ে মাথা রাখে।অর্জুন যা বোঝার তা বুঝে ফেলে । তাঁর শিষ্যরা যে বিদ্যা শিখতে পারেনি তার থেকে বেশি শিক্ষা একলব্য শিখে ফেলেছে।অর্জুন গুরু দক্ষিণা চাইল একলব্যের ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুল। (এখানে নিয়ম হল গুরু যে দক্ষিণা চাইবে তাই দিতে হবে ) একলব্য আঙ্গুল কেটে গুরুকে দিয়ে দিল।(তীর ছুঁড়তে হলে এই আঙ্গুলটিই প্রধান )
বোঝাতে পারলাম , গুরু দক্ষিণা কাকে বলে ?
প্রহেলিকা
Hy hy eki hoye geloooooooo?????
বনলতা সেন
আহারে , আবার কত ঘুর পথে হাঁটতে হবে ।
অনেক পথ বাকী………………………………।
চালু থাকুক সবই ।
হা হা , কী হতে কী হয়ে গেল!
বনলতা সেন
ঘুরে আসলাম , হ্যাঁ, পৃথিবীটা এখন ছোটই মনে হচ্ছে ।
ব্যাপার না , আবার চেষ্টা করুণ , আবার হোঁচট খান ।
জটিলতা আরও জটিলতা ডেকে আনে । আবার মনে করবেন না মজা নিচ্ছি ।
শকুন্তলারা মজা নেয় না । পাশে থাকে । এবং তা প্রমাণিত ।
প্রহেলিকা
Amar kono dosh nai sob dosh apnar r nachriner dilen to sob sesh kore. Ishhh ki vultai na hoye gelo.
বনলতা সেন
আরে আমি আবার কী করলাম ?
সমাধান যাদের হাতে তাদের চোখে আপনার এই দুরবস্থা পড়লে উদ্ধারের উপায় সে আপনি পেয়েই যাবেন ।
নেটে নেই , কালকে থেকে ,লক্ষ্য করেছি । এমন সময় এমন কিছু হল , কিছুই করতে পারছি না ।
আপনাদের বুক-ফুক চালু নাই , ডেকে আনুন ।তড়া করে ।
প্রহেলিকা
suneo jokhon na shunar van dhore thake tokhon kiba r korar thake. Tobe shokontola dak dile asbe. Odhomer ei upokartuku to korn. Dak den dekhben tiki cole asbe sondhya porjonto opekkha korbo erpor harano biggopti prokash kora hobe. Tobe kichuta baddho hoyei amake ei jotilota beche nite holo tobe shokontolar preme pore jan gelo.
বনলতা সেন
ব্লগের বাইরে কোন শাখা নেই ।
না , জান যাবে না , আল্লাহ চাহেতো বেঁচেও যেতে পারেন ।
মন দিয়ে পড়াশোনা করেন ।
প্রহেলিকা
Thak sob mene nilam. Ja hobar hobe hate jokhon hari vengei gelo thak vangahari niyei cholbo.
বনলতা সেন
একটু টেপ অন্তত লাগিয়ে নেন ।
আলোচনা পাওনা থাকল ।
ছাইরাছ হেলাল
আসর বসিয়ে ফেলছেন দেখছি ।
মশাই
আমাকে ছাড়া একা একা যদি আসর বসান তাহলে কিন্তু আমি সেই আদিম অপদার্থই থেকে যাব। ভাগ দিবেন?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এখানে আপনার উত্তর দিতে শুরু করুণ ।
মশাই
উত্তর আজকে দিতেই হবে তবে অপেক্ষায় রয়েছি কেউ একজন সুপারিশ করবে আজকে আমার নাম গহীন রাতে ঈশ্বরের কাছে। বর পেয়ে যাব আজকে এরপর উত্তর দিতে বাধা নেই যদি না পাই তাহলে আমি নিজেই মনগড়া উত্তর দিয়ে দিবো।
ছাইরাছ হেলাল
আগে আপনি আপনি হয়েই দেন । পরের চিন্তা পরে ।
মশাই
আচ্ছা ভাইয়া এখানেতো কোনো প্রশ্নই নাই আমার জন্য, প্রশ্ন রয়েছে তা আপনার জন্য। আপনি এড়িয়ে যাবেন কিভাবে??? আমি অনেক বোকা এখানে তো আগে আপনার উত্তর দেওয়া উচিত। না না এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই।
মশাই
আসলে আমি দুঃসাহস দেখাতে চাই না এই লেখাতে আলোচনা করতে গিয়ে সেটা অনেক বড় মাপের জ্ঞান প্রয়োজন শ্রদ্ধেয়া। আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করে গেছিলাম তার জবাব দিয়েছেন বলে অনেক ধন্যবাদ। এই আলোচনা করার সাহস কার আছে আপনি নিশ্চই ভাল করেই জানেন। তবে এখন হয়তো আপনার লেখা বিরতিতে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। ভিন্ন কিছু পাওয়ার আশা করছি।
বনলতা সেন
মন্তব্য করা থেকেও বিরতি নিতে পারলে ভাল হত ।
ভাল থাকুন ।
মিসু
খুবি মায়ামায়া লেখা বনলতা।
বনলতা সেন
আপনাকে দেখে অনেক ভালো লাগল ।
আপনি নিয়মিত হলে , কাথা দিচ্ছি আরও সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করব ।
আদিব আদ্নান
একটু অনুমতি চাই ।
বনলতা সেন
কেন ? কিসের অনুমতি ? এতদিন পরে এলে তো হবে না ।
সবাইকে ঢালাও অনুমতি দেয়া আছে ।
নিয়মিত হোন দ্রুত ।
ব্লগার সজীব
জাতিস্মর…..৫ এ এসে থেমে গিয়ে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে । এটি অনুচিত দিদি । যারা লিখতে পারেন , তাঁদের কিন্তু লেখা উচিৎ ।
বনলতা সেন
লিখতে কিছুই পারিনা , পারিনি । পারব এমন আশাও দেখি না ।
বলে কয়েই বিরতি নিয়েছি , দুই মাস পরে আপনাদের মাঝে ঠিকই এসে পড়েছি ।
ভাল থাকবেন ,নিরন্তর ।
শিশির কনা
৫ থেকে শুরু করবো পড়া ? নাকি ১ থেকে । আমি এ কোন বনলতা সেনকে দেখছি ? এত ভালো লেখা !!
আদিব আদ্নান
নিয়মিত হবই হব এবার থেকে ।
মন্তব্য করতে সাহস পাচ্ছি না ।