ব্লগার সজীব মাঝে মাঝেই নাই হয়ে যায়। সে কই যায়? এই প্রশ্ন ঝাতি মাঝে মাঝেই জানতে চায়। আমিও ভেবে পাই না সে
কেনো ঠিক মত ক্লাসে আসে না। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সে কি করে? গোপন সূত্রে কিছু খবর পেয়ে কোন স্থানে গেলেই দেখি সে জায়গা বদল করেছে! এক দিনের কথা আমি প্রথমেই গেলাম এই স্থানে—
খবর পেয়েছিলাম যারা নাকি মাড়ির ব্যথায় সত্য কথা বলতে পারে না আমাদের সজীব তাদের দাঁত তোলে। গিয়ে রিসিপশনে বসা সুন্দরী মত মেয়েটাকে প্রশ্ন করলাম ঘটনা কি সত্যি? সেই মেয়ে প্রথমে কিছুতেই গুরুত্ব দিচ্ছিলো না। যেই টেবিল বাজায়ে কড়া করে বললাম “আমি সজীবের ওস্তাদ “। সেই মেয়ে গলে গেল। বললো জি আজ্ঞে ঘটনা সত্যি। আমি বললাম সজীব কই? সে বললো সরি ম্যাম উনি একটু আগেই বেরিয়ে গেলেন।
=========================================================
এবার গেলাম এই স্থানে।
গিয়ে তো আমি পুরাই “থ”। জন্ম সৃষ্টির লক্ষ্যে, শাহ সিমেন্ট এর উপরে যে মরচে ধরা পুরাতন বিলবোর্ড “সজীব একাডেমী” সেটার ভিতরে বিরাট কারবার। এসি অফিস। একটা থাই লাগানো ওয়েটিংরুম। শতশত কর্মচারী যে যার কাজে ব্যস্ত। কেউ কারোর দিকে তাকাবার নেই। আমি ঠিক বুঝতেছিলাম না কি একাডেমী। ভয়ে ভয়ে ভিতরে ঢুকে দেখলাম প্রচুর মেশিনারি জিনিসপত্র। কিসের যেনো বড় বড় মেশিন ঘুটুর ঘুটুর করে চলছে। পরে বুঝলাম এটা গাড়ি তৈরীর কারখানা। আর সাথে সাথে বুঝলাম সজীব কোথা থেকে সবার জন্য এতো দামী গাড়ি উপহার দেয়। সেখানেও সজীব নেই।
=========================================================
এবার গেলাম এই খানে।
এই ছাত্রাবাসে সজীব থাকে নাকি নিজে গরীব ছেলেপুলেদের জন্য এই ছাত্রাবাস খুলে বসেছে সে আমার ঠিক জানা নেই। “যে যত বেশি লুকায়িত তার মন তত বেশি বিস্তৃত”। এই বাক্য সত্য প্রমাণ করতেই মনে হয় সজীবের এই উদ্যোগ। সজীব কে এখানেও পাওয়া গেলো না।
=========================================================
মন খারাপ করে আমি বসে আছি। ভাবছি কি করা যায়। এমন সময় একটা বাগান চোখে পড়ল। আমি গিয়ে সেখানে বসতেই বুঝলাম আমি ভুল সময়ে ভুল স্থানে উপস্থিত। আমার উপস্থিতি বুলবুলি পাখি দ্বয়ের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উঠে এলাম সেই বাগান থেকে। কিন্তু তখনই চোখে পড়লো বাগানের নাম।
বুঝলাম সজীব আমার শিষ্য পথিকের শান্তির কথা ভেবে এই বাগান বানিয়েছে। কিন্তু আফসোস দেশে ক্লান্ত পথিকের চেয়ে বুলবুলির সংখ্যা অনেক বেশি।
সব বাদ দিয়ে আমি সোনেলায় এলাম। এসেই দেখি সজীব জমায়ে মন্তব্য করছে। মানে আমাদের ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে। আর কিছুর দরকার নেই।
বি:দ্র: আইডিয়া পুরোপুরি ব্লগার সজীবের কাছ থেকে নিজের ভেবে নিয়ে নেওয়া। সজীব তুমি ফেসবুকে ঘুরতে ঘুরতে মজার ছবি পাও। আর আমি নওগাঁ ঘুরতে ঘুরতে এই সব ছবি পাইছি।
৭৬টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
ওরে আমাদের সজু ভাইয়া এত্ত বড়লোক, আর আমরা কিনা তারে পিচ্চি পিচ্চি, ভাভুসোনা এইসব বলে ডাকি!!
মাড়ির ব্যথায় সত্যি বলতে পারেনা, তাদের দাঁত তুলে দেয়? হা হা হা, আমারে কে যেন কাইল লিখছে, ফিল্ড মার্শাল আইরিনরে দরকার মডু বানানোর জন্যে, হাতের কাছে তাজের মত এমন ফিল্ড মার্শাল থাকতে সে কিনা মডু পায়না, সাব্বাস বাঘিনীর বাচ্চা তুই তাজ। এক টেবিল বাজানোতেই কাজ হয়ে গেলো!!
সজীব একাডেমীতে গাড়ির কারখানা? ওরে তাজ তুই ঠিকানা দে, নিলামে কিনা গাড়ি দিছিলো আমাগো, সব পাল্টায় আনুম।
এইটা কিসের ছাত্রাবাস, আবার চুমাচুমি স্কুলের ছাত্রাবাস নাতো, বলা যায়না, সজীব অই স্কুলে পড়ছে।
সজীব গার্ডেন যে তার, আমি একদম শিউর, তার প্রোপিকেও একটা গাছের ছবি। 🙂
শিষ্যের বাড়ি কি নওগাঁ নাকি ওস্তাদের দেশ বইলা অইখানেই ব্যবসাপারি খুলছে?
তাজ, এইজন্যেই সজীব তোরে ওস্তাদ বলে। কঠঠঠিন পোস্ট 😀
মেহেরী তাজ
হুম এখন থেকে সজীব কে পিচ্চি ডাকা বন্ধ!
সজীব আমায় অনুরোধ করেছে যাতে আমি অন্য সব কিছুর ঠিকানা দিয়ে দিলেও গাড়ি কোম্পানির ঠিকানা না দেই!
ছাত্রাবাস নিয়ে আমি নিজেও কনফিউজড।
এগুলা শাখা অফিস। আমি শুনেছি অনেক জেলাতেই নাকি এমন অফিস আছে। কি জন্য সজীব আমাকে ওস্তাদ বলে? ;?
শুন্য শুন্যালয়
বাব্বাহ শিষ্যের জন্যে তো ভালোই দরদ, আমারে ডাকা বন্ধ তাতো কইলি না। সজু আর তুই আজীবন পিচ্চি থাকবি সে তোরা যতই ব্যর্থ চেষ্টা করোনা ক্যান 🙂
হে হে ঠিকানা কিন্তু তোর সাইনবোর্ডেই আছে, বড় বনগ্রাম, ভাড়ালী পাড়া, রাজশাহী। আসল গাড়ি রাইখ্যা নীলামের গাড়ি উপহার দেয়া এইবার দেখাইতাছি 😀 সবাইর জন্য নতুন গাড়ি আনুম, কিন্তু তোর জন্য আনুম না। ওস্তাদ আর শিষ্য দুইজনেই ভেজাইল্যা।
এইসব বালিশের নীচে মাথা দিয়ে ঘুমাইন্যা পোস্ট তোর মাথা থেকেই বের হয়, তাই তোরে ওস্তাদ বলে।
মেহেরী তাজ
আমার জন্য বলা লাগবে না! শিষ্য যদি বড় মানুষ হয় তাহলে ওস্তাদ অটোমেটিক বড় হয়ে যাবে! 😀
যে ঠিকানা দেওয়া আছে সে পুরান। নতুন টা বলা বারন! 😀
আপনাকে দিবে না আমাকে নতুন গাড়ি দিবে বলছে!
আমরা মুটেই ভেজাইল্যা নুই!
শুন্য শুন্যালয়
মনে আছে তো তোর সব পোস্ট আমার? 😀
মেহেরী তাজ
ইয়ে এমন কথা বলছলাম নাকি? মনে পড়তেছে না তো! ;?
শুন্য শুন্যালয়
বলছিলাম না, ভুলামনাদের সাথে মিশবি না? 🙁
মেহেরী তাজ
ঠিকই আপু! সব ভুলে যাই! ;(
ছাইরাছ হেলাল
সজীব দেখছি এবার সত্যি সাবালক হয়েছে।
মেহেরী তাজ
এদ্দিনে বুঝলেন??? ^:^
ছাইরাছ হেলাল
এদ্দিনে যাই বুঝিনা কেন এখন দেখছি পুরুষসিংহ হয়ে উঠছে!
মেহেরী তাজ
পুরুষ মানুষের হিংস হওয়া জরুরী।
জিসান শা ইকরাম
সজু দাতের ডাক্তার!
দাঁত তুলবে সে? আমার দাঁত এ সমস্যা তারপরেও ডাক্তার সজুর কাছে যামু না। সাঁড়াশি দিয়ে টান দিয়া কয়টা উঠায় ফেলে কে জানে!
দেখা গেল ভাল সব দাঁত টেনে তুলে উঠাই ফেলছে, আর যেটা নষ্ট সেটাই রয়ে গেছে।
মেহেরী তাজ
আপনার কি মাড়ির সমস্যা! সত্যি বলতে পারেন না?
যদি সত্যি বলতে পারেন তাহলে সজীবের কাছে গিয়ে লাভ নাই! সে শুধু মিথ্যা বলা লোকেদের দাঁত তোলে!
ভালো খারাপ দেখে না সব দাঁত তুলে দেয়…..
জিসান শা ইকরাম
সত্যি বলতে না পারলে দাঁত তুলে ফেলে সে? খাইছে, দেশের সবার দাঁত তো তাহলে সজু তুলে ফেলবে। এত দাঁত দিয়ে কি করবে সে? ১৬ কোটি লোকের ৩২ টা করে দাঁত। দাতের পাহাড় বানাবে নাকি? 🙂
সেইরাম পোষ্ট হয়েছে,
মেহেরী তাজ
সজীব দাঁত তুলবে আর আমি দাঁত দিয়ে গুলতি বানায়ে পাখি মারবো। তার আগে এইম ঠিক করবো….
মৌনতা রিতু
বুঝছি, পরীক্ষা শেষ। সজীব এর এই পোষ্টখান ভুত হইয়া লাস্টে চুরি কইরা ছাড়লা ;(
এতো বুদ্ধি লইয়া ঘুমাও ক্যামনে !
দাঁত ঠিক আছে তো গুরু ?
মেহেরী তাজ
পরীক্ষা শুরুই হয় নাই ভাবি! তবে থার্ড ইয়ার এর রেজাল্ট দিছে।
আপনি কি এমন পোষ্ট দেওয়ার কথা ভাবতেছিলেন? তাইলে মনে করেন এটা আপনারই পোষ্ট।
কেমনে ঘুমাই মানে কি ভাবি? বাত্তি নিভায়া, মাথার নিচে বালিশ দিয়ে গায়ে হালকা একটা কাঁথা জড়ায়ে, পায়ের কাছে ফ্যান এর সুইস টা দিয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমায়ে যাই।
😀
শিষ্য কখন ও ওস্তাদের দাঁত তোলে না! 🙂
অনিকেত নন্দিনী
ও আচ্ছা, সজু আজকাল নওগাঁ-রাজশাহী-নওগাঁ ব্যবসা করে বেড়াচ্ছে! 😮
সজু এই একবার দাঁতের ডাক্তার তো এই একবার গাড়ির কারখানার মালিক, এই দেখা যায় ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা করছে আবার এই দেখা যায় বুলবুলিদের জন্য উদ্যান বানিয়ে দিয়েছে। এ তো দেখছি বহুরূপীর জলজ্ব্যান্ত নমুনা। তা পিচ্চি কও দেহি, বুলবুলিদের ভিড়ে সজু নিজেও ছিলো নাকি? তার অভিজ্ঞতার বহর দেখলেই বোঝা যায় সে নিয়মিত বুলবুলিস্তান যায়। :p
মেহেরী তাজ
আপু সজু না সজু না বলেন সজীব। এতো বড় নামীদামী একটা মানুষ কে আপনি কোন ভাবেই নাম নকল করে ডাকতে পারেন না…..
ডাক্তারি করে তো শখে! বিভিন্ন ধর্মী শখের মধ্যে একটা হলো ডাক্তারি। বাগান যে কইরা দিছে হেডাও একটা শখ! বড় মানুষ দের বড় বড় ব্যাপার। বহুরূপী না হলে এতো ব্যবসা সামলাবে কেমনে?
না বুলবুলি টুলবুলি কিছু না আমার শিষ্য আমি পাক্কা জানি!
আপনার বাঝাবুঝি ভুল……!
ইঞ্জা
সজীব ভাই দ্রুত যোগাযোগ করুন আমার একজন অটোমোবাইলের লোক দরকার, বেতন নেগোসিয়েবল। :p
মেহেরী তাজ
আপনি কি আমার শিষ্যর লগে মস্করা করেন? তার নিজের একটা PA লাগবে আপনার খোজে থাকলে বলেন……
বেতন যা চাইবে দেওয়া যাবে….!
ইঞ্জা
তাইলে তো এখনি একটি সিভি দিয়ে দিই, চাকরিটা আমারই দরকার, বেতন বেশি লাগবেনা মাত্র ৪ লাখ দিলেই চলবে। 😀
মেহেরী তাজ
সজীব তো বলতেছিলো ৪.৫ লাখ দিবে! যাক পঞ্চাশ হাজার বাঁচলো…….
সিভি ড্রপ করেন! তবে হ্যা কাজ ভালো লাগলে কিন্তু সজীব রাখবে না! :p
নাসির সারওয়ার
বাহ, এমন এক ব্যাক্তিকে নিয়ে হাসাহাসি। না না, মোটেই ঠিক না। তার আর কি কি আছে তাও আমাদের জানতে হবে। তবে তার দন্ত খানায় আমি যাবনা। দাতের সাথে কংকালটাও বেড়িয়ে আসতে পারেতো!!
ও আচ্ছা, তার গার্ডেনটা তো আমিও দেখেছি। একদিন একজন মেয়ে হাতে কিযেনো বন্দুক তন্দুক নিয়ে হাঁটছে সেখান দিয়ে। অমনি একটা বুলবুলি সাদা রঙের কিযেনো ঐ মহিলার মাথায় মেখে দিয়েছে। আমার কেনো যেন মনে হচ্ছে ঐ বন্দুক ওয়ালা মানুষটি আপনি! তাই কি?
বেশ মজার পোস্ট
মেহেরী তাজ
আপনার সজীবের দন্তখানায় না যাওয়া ভালো। আপাতত লম্বা সিরিয়াল,সজীব সময় করেই উঠতে পারতেছেনা….! আপনি সিরিয়াল পাবেন না!
আপনি তো দেখবেনই! আপনি যে নিয়মিত সেখানে যান বুঝা যায়। :p
আর ইয়ে মেয়ে এক দিনেই মহিলা হয়ে গেলো?
না কি সে আগে থেকেই সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট পড়া ভাইয়া ছিলো।???
আমি বন্দুক নিয়া ঘুরি বলে পক্কি মক্কি আমার ধারেকাছে আসে না….. :D)
ধন্যবাদ ভাইয়া!
নাসির সারওয়ার
হাইব্রীড এর জমানা। একদিনে কত্ত কিছু হয় আর মেয়ে থেকে মহিলাতো মামুলি।
বুঝছি, বন্দুক ওয়ালাদের সাথে ভাব লইয়া কাম নাই।
মেহেরী তাজ
বলছে ভাইয়া লাভ নাই! ভাবের দুনিয়া এটা। ভাবেই কাজ। ভাব নিবেন,ভাব খাবেন, ভাব গিফট করবেন…… হতেই হবে!
মোঃ মজিবর রহমান
সজু ভাই খেলেন ধরা। এতো রেখে দন্ত ডাক্তার ছাত্রয়ালয়
আর সবুজ শ্যমল ছায়াতরু বুলবুলিরালয়।
আপু এটা কি চিরুনি খজ দা সার্চ। মনে হয় না আরও অনেক বাদ পড়ছে।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া যা বাদ পরেছে তা বদ পরায় ভালো! সব কিছু প্রকাশ করা ঠিক না….. 😀
মোঃ মজিবর রহমান
হুম! ঠিক কইছেন কিছ ব্যাক্তি উল্লেখ না করাই ভালা।
ভাল থাকুন।
মিষ্টি জিন
হা হা হা হা ..
সজীব ভাইয়াকে খুঁজতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে মেহেরী আপুকে।
তা আর একটু কষ্ট কইরা যদি গাড়ীর কারখানার ঠিকানাটা একটু কইতেন ..
:p
মজার পোষট
মেহেরী তাজ
কষ্ট একটু হয়েছে বৈকি! শিষ্য তো মেনে নেওয়ায় যায়।
গাড়ির কারখানার আসল ঠিকানা বলা যাবে না কোন ভাবেই! ওস্তাদ হয়ে তো শিষ্যের লস করাতে পারি না….!
ধন্যবাদ আপু! 🙂
মিষ্টি জিন
পাক্কা ওস্তাদ :p
লীলাবতী
আমাদের সজু এত কিছু করে? বিশ্বাসই তো হতে চায় না। দাতের ডাক্তার, গাড়ির কারখানা, ছাত্রাবাস, বুলবুলি বাগান। বুঝা যায়না সজুর লেখা পড়ে। আমি তো অবাকের উপর অবাক হয়ে গিয়েছি। আচ্ছা যে বুলবুলি দেখলে, তাদের মাঝে একজন নয়তো সজু? :p
আমার গাড়ির কারখানার ঠিকানা চাইই চাই। আমার গাড়িটা পুরান হয়ে গেছে 🙁 নতুন গাড়ি লাগবে আমার একটা 🙁
তাজ এত সুন্দর পোষ্টের আইডিয়া এলো কিভাবে তোমার মাথায়? শিষ্যর উপযুক্ত ওস্তাদ তুমি। এখন বুঝলাম, সজু কেন তোমাকে ওস্তাদ হিসেবে মানে। কতদিন লেগেছে এই ফটো কালেকশন করতে? এত্তগুলান প্লাস এই পোষ্টে।
মেহেরী তাজ
হ্যা সজীব এতো কিছুই করে!
সেই গার্ডেনে সজীবের নিজের বসার জন্য আলাদা স্থান আছে। সে ঐখানেই বসে। বুলবুলি টুলবুলির সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই।
গাড়ি কারখানার আসল ঠিকানা বলা বারন…..!
আইডিয়া সজীবের কাছ থেকেই পাইছি! ফটো কালেকশনে অনেক সময় লেগেছে!
আবু খায়ের আনিছ
ভুল কইরালাইছি, মাত্র দুই তিন আগেই দাতেঁর যন্ত্রনায় নাওয়া খাওয়া ভুলেই গিয়েছিলাম। সজু ভাই কই ছিল, ঠিকানাডা আগে দিলাইন না ক্যান? ফ্রিতে কিছু ট্রিটমেন্ট যদি দিতো উপকৃত হইতাম। 😀
মেহেরী তাজ
ফ্রি কোন কিছুই খাঁটি হয় না ভাইয়া…..!
পরের বারের জন্য এখনই সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করুন……
আবু খায়ের আনিছ
সজু ভাইয়ার উপরে ভরসা করি, ছোট ভাইয়ের ক্ষতি নিশ্চয় করবে না। সজীব ভাই সিরিয়াল কাটতে হয় কিভাবে বলে দিবেন একটু?
ব্লগার সজীব
ওস্তাদ আপনার এই পোষ্ট দেখে দৌড়ে পালাব না থাকবো বুঝতে পারছি না, এত কষ্ট করলেন আমাকে খুঁজতে গিয়ে! 🙁 না পেয়ে না জানি কত রাগ হয়েছেন। এত কষ্ট করার কি প্রয়োজন ছিল? আমাকে বললেই তো আমি চলে আসতাম আপনার কাছে। আসতেছি ওস্তাদ 🙂
মেহেরী তাজ
শিষ্য প্রশংসাকারী যেমন থাকে নিন্দুক ও তেমন থাকে। নিন্দুকের কথায় কান দিয়ে কাজ নাই! আমার রাগ হয়নি মোটেই! আগের বার ফেল করছিলাম বলে তোমার মন খারাপ হইছিলো না? তাই এবারে পাশের খবর দিতে তোমায় খুঁজিতেছিলাম।
ব্লগার সজীব
পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে? অভিনন্দন ওস্তাদ 🙂 -{@ এটি আপনার জন্য
http://g02.a.alicdn.com/kf/HTB1lLuHJpXXXXXiXpXXq6xXFXXXm/2016-Brand-Grade-Sun-Glasses-For-Women-Driving-Sunglasses-Women-Brand-Designer-Female-Ladies-Sunglasses-Vintage.jpg
মেহেরী তাজ
পছন্দ হয়েছে শিষ্য। থাংকু…..! 🙂
ব্লগার সজীব
🙂 ওয়েলকাম
ব্লগার সজীব
আসলে ঐ দিন আমি আমার বাগানে সবুজ গাছের নিচে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম, হঠাৎ ডেন্টাল কেয়ার থেকে ফোন আসলো, কে একজন সানগ্লাস পড়া লেডি আমাকে খুঁজছেন, পরিচয় দিচ্ছেন আমার ওস্তাদ বলে। জিজ্ঞেস করে জানলাম হাতে বড় ব্যাগ আছে, সাথে সাথেই বুঝলাম আপনি, বড় ব্যাগ মানে তো বন্ধুক নিয়ে চলাফেরা করেন আপনিই। আমার ওস্তাদের আবার মাড়ির ব্যাথা হল কিনা চিন্তায় ভোঁ দৌড়, যানবাহন খোঁজার টাইম কই? হাঁপাতে হাঁপাতে ডেন্টাল ক্লিনিকে গিয়ে দেখি আপনি নাই 🙁
শুনলাম একাডেমীর দিকে গিয়েছেন। ছুটলাম একাডেমীর দিকে, আপনার জন্য একটি গাড়ি বানিয়েছি নিজের হাতে,আজকেই উপহার দেব আপনাকে 🙂 গিয়ে দেখি নেই 🙁 কেন জানি মনে হল আপনি ছাত্রাবাসে খুঁজবেন আমাকে। একাডেমী থেকে আপনার জন্য বানানো গাড়ি নিয়েই রওয়ানা দিলাম, গিয়ে পেলাম না সেখানেও। দারোয়ান নাকি আপনাকে দেখে ভয় পেয়েছে। আপনি নাকি ধমক দিয়ে দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করেছেন ‘ ঐ আমার শিষ্য কৈ? ‘ বুঝলাম আমাকে খুঁজতে খুঁজতে আপনার মেজাজ খারাপ হয়েছে।
গাড়ি নিয়ে ছুটলাম বাগানের দিকে। আমি পৌছানোর দুই মিনিট আগেই আপনি চলে গিয়েছেন। ওস্তাদ আপনি এত দ্রুত চলেন কিভাবে? গাড়ি নিয়েও তো আপনার সাথে পারলাম না 🙁 বাগানের সবুজের মাঝে একটু বিশ্রাম নিতেন।
আপনার নেটওয়ার্ক যে কত শক্তিশালী তা আমি বুঝে গিয়েছি। আমার সব ঠিকানা আপনি সংগ্রহ করেছেন। ওস্তাদ আপনি এমনি এমনি হননি 🙂
এমন একটি পোষ্ট পেয়ে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছি ওস্তাদ। আপনার নামের অক্ষরের সমান ফুলেল শুভেচ্ছা -{@ -{@ -{@ -{@ -{@
ব্লগার সজীব
:p একটা ফুল আবার কম গিয়েছে -{@
মেহেরী তাজ
তোমার গাড়ি কারখানার সামনের বাগানের ফুল!???
আচ্ছা নিলাম!
ব্লগার সজীব
বাগানের আরো ভিতরে একটি ফুলের বাগানও আছে, সে বাগানের ফুল 🙂
মৌনতা রিতু
মোর সত্যি এক খান গাড়ির জবর সখ। গাড়িটা হবে নীল রঙের। তয় ড্রাইভিং লাইসেন্স কি করুম ? কও, দেবা কিনা। তাড়াতাড়ি লাইসেন্স খাস কইরা ফালাই।
যাক, ভাবছিলাম এক খান পুরানো গাড়ি কিনুম, জিসান ভাইর পুরানো গাড়ি খান দিতে চাইছিল তাও দিল না ;( এবার মোর খুশিতে নাচতে মোন চাইতেছে \|/ তা ধিন ধিন। মুই কিন্তু নাচতে পারি 🙂 হাচা কতা।
মেহেরী তাজ
ভাবি আমি ত আপনার জন্য নতুন গাড়ির কথা বললাম! আপনি পুরান গাড়ি নিবেন কেন??
ব্লগার সজীব
রিতু আপু, ওস্তাদ যখন বলছে, আপনাকেও একটি নতুন গাড়ি দেবো।
মেহেরী তাজ
যা হইছে হইছে। তোমার ছাত্রাবাসের পাশে দেখি কিছু হার বজ্জাত পোলা আছে। সে গুলারে বিদায় দিয়ে দিবা! ব্যাগের মধ্যে বন্দুক ছিলো না, মিষ্টি ছিলো। আমার পাশের মিষ্টি।
আমার কাছে একটা ম্যাজিক ঝাড়ু আছে সেটা গাড়ির চেয়েও জোরসে চলে!
গাড়িখান দিয়া ফালাও। পাশ করছি জন্য! 🙂 গাড়িতে এসি আছে না!?? না থাকলে লাগায়ে দাও। অন্য কাওরে নতুন গাড়ি দিবা না। খালি আমারে দিবা চার সিটের গাড়ি। আগের বারের টা মাত্র দুসিট আছিলো মনে রাইখো!
ব্লগার সজীব
বজ্জাত পোলা! আজকেই পিটিয়ে পিটিয়ে এলাকা থেকেই বের করে দেব। ম্যাজিক ঝাড়ু! এর কথা জীবনেও শুনিনি। ওস্তাদের কাছে কত কিছু যে আছে, এজন্যই আমার ওস্তাদ 🙂 এসি নাই, লাগায়ে দিব, চার সিটেরই গাড়ি বানিয়েছি এবার, স্পোর্টস কার, খুবই দ্রুত ছোটে। অন্য সবাই পুরাণ গাড়ি পাবে 😀
মেহেরী তাজ
বের করে দেওয়ায় উচিৎ! ম্যাজিক ঝাড়ু বানাইতে অনেক সময় লাগে! তুমি চাইলে আমার টা একদিন উড়ায়ে দেখতে পারো! অন্য কাওরে ঝাড়ু দেওয়া যাবে না।
স্পোর্টস কার? ঠিক আছে। নীল আর সাদা রঙ করবা! অন্যদের ও গাড়ি দিবা? আচ্ছা দাও। পুরান গাড়িই দিবা! খালি যদি পার তাইলে ভাবিরে একটা নতুন গাড়ি দিও।
ব্লগার সজীব
আমি একা চালাতে পারবো ম্যাজিক ঝাড়ু ওস্তাদ ;? আপনার আদেশ শিরোধার্য 🙂 তবে কোন ভাবির কথা বললেন, বুঝিনি।
মেহেরী তাজ
আমি সিস্টেম বলে দিলেই পারবে!
ও। ভাবিকে চেনো নাই! সোনেলায় আমার দশটা নয় পাঁচটা নয় একটায় ভাবি। মৌনতা রিতু। 🙂
মৌনতা রিতু
নতুন গাড়ি নিব।
ব্লগার সজীব
ভাবিকে চিনেছি ওস্তাদ, রিতু আপু, এখন থেকে কি ভাবি আপু ডাকবো? :D)
খেয়ালী মেয়ে
ওরিপ্পা পিচ্চি পোলাডা এভাবে চারদিকে ডালা’পালা মেলছে ;?
তাজ আপুমনি শিষ্যরে খুঁজতে তোমার এই পরিশ্রম ওস্তাদ জাতির জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে 🙂
ব্লগার সজীব
পরী আপু, আমি কি বড় হব না কোনোদিন? 🙁
খেয়ালী মেয়ে
হবেন হবেন, সব পিচ্চিই একদিন বড় হয়, শুধু বড় হওয়ার আগ পর্যন্ত পিচ্চি থাকে এই আর কি 🙂
মেহেরী তাজ
খালি শিষ্যই কষ্ট করবে তা কি করে হয় আপু! আমরা “ছমতায়” বিশ্বাসী। সমতা কিন্তু নয়! :p
খেয়ালী মেয়ে
গুড, ছমতায় বিশ্বাসীদের সব্বাই ভালোবাসে (3
অপার্থিব
হাহাহা… খোঁজ চলুক। এই জাতীয় ব্লগীয় মাইকিং এ কাজ হওয়ার কথা!!!
মেহেরী তাজ
কাজ হয়েছে ভাই!
নীলাঞ্জনা নীলা
এখন বুঝলাম ভাভু ভাইয়াকে ব্লগে পাওয়া যায় না কেন। পিচ্চি আপু আপনাকে শুকরিয়া সব জানানোর জন্য। 😀
মেহেরী তাজ
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু!
ইলিয়াস মাসুদ
নিউইয়র্কে একটা সজিব বস্ত্রালয় দেখেছিলাম ……….. কি জানি 🙂
মেহেরী তাজ
কানে কানে বলি ভাইয়া। ওটা সজীবেরই! কাওকে আবার বলে দিবেন না কিন্তু! 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সজীব ভাইয়া দেখছি বিশ্বখ্যাত সর্বত্রই সজীব আর সজীব তবে তার শেষ কাজটি মানে সজীব গার্ডেনটি আমার খুব পছন্দ হইছে। -{@
মেহেরী তাজ
আমারও অনেক পছন্দ সেটা ভাইয়া। 🙂
জিসান শা ইকরাম
নতুন পোষ্ট কই?
নতুন পোষ্ট কি সার্চ দিতে হপে?
মেহেরী তাজ
সার্চ দিতে হপে না! লেখা দেবো! 🙂
জিসান শা ইকরাম
কবে আসবে নতুন লেখা?
আসিতেছে আসিতেছে………… বিজ্ঞাপন চলিতেছে।
অরুণিমা
এটা ভালো লাগল haha…..
মেহেরী তাজ
আপু আপনি মন্তব্য করেছেন বলে লেখাটা আবার আমার পড়া হলো। সাথে সবার মন্তব্য গুলোও।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এক মুহূর্তের জন্য এই সময় টাতে এনে ফেলার জন্য। 🙂