চলুন প্রথমেই জানি কৈফিয়ত কাকে বলে এবং কখন চাওয়া হয়। সাধারণত অকাজ করে আসার পরই কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর মত করে কারণ জানতে চাওয়া ইহাকেই কৈফিয়ৎ বলে। তা বাবা আমি আবার কি অকাজ করলাম। কি জানি! তবে বস জিসান ভাইয়ার পোস্ট পড়ে আমিও এখন কাচুমাচু হয়ে কৈফিয়ৎ দিতে আসছি কেন আমি সোনেলায় আসছিনা। ভেবেছিলাম বস যখন নিজের কথা লিখেছে হয়তো আমার কথাও লিখেছে কিন্তু কোন অপশনেই তা খুঁজে পেলাম না। সে কি জানে না তার চাইতেও লোকে সোনেলায় আমাকে বেশি খোঁজে !! :p
সে যাক, এবার কারন টা বলি। নিজের একান্ত ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ শেয়ার আমার পছন্দের নয়, তবুও সোনেলা আমার পরিবার তাই তাদের উৎকন্ঠায় এই উত্তর ..
সোনেলার নিয়মিত সবাই জানেন যে আমি পেশায় একজন ডাক্তার। কিন্তু অষ্ট্রেলিয়ায় এসে আমি এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারছি না। এই পেশায় যুক্ত হতে হলে বিভিন্ন পরীক্ষা দিতে হয়। সব পরীক্ষায় পাস করতে হলে আমাকে সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে একনাগারে কমপক্ষে ছয় মাস পড়ার টেবিলে বসে থাকতে হবে। কথা বলারও সময় নেই এমন একটি অবস্থায় সময় পড়ার দিকে নিয়ে যেতে হবে। ইতিপূর্বে প্রায় সব কিছু হতে নিজকে বিচ্ছিন্ন করে একবার পরীক্ষা দিয়েছিলাম, সফল হলে আবার পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিতে হতো না 🙂 ইহাকে জাগতিক পুলসুরাতও বলা যাইতে পারে 🙁 পড়তে পড়তে আমি শুকাইয়া কাঠখড় হইয়া গিয়াছি, এইভাবে আরো কিছুদিন চলিলে আমার সুতলিতে পরিনত হইবার আশংকাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। কেন যে অস্ট্রেলিয়ায় ডাক্তারী পেশায় এত কিছু দরকার হয়? আমাদের দেশে ফার্মেসির কম্পাউন্ডাররাও ডাক্তারের মত চিকিৎসার ব্যবস্থা পত্র দেন, নামের পূর্বে ডাক্তার লাগান। আর আমি? ডাক্তার হয়েও ডাক্তার না 🙁
যখন খুব অবসাদ লাগে, মস্তিস্ক জমাট বেঁধে যায় তখন ফেসবুকে যাই, ওইখানে মগজ লাগেনা। সোনেলার সবার লেখা পড়ি, কিন্তু মন্তব্য দেয়া হয়না, সবার লেখা পড়ে মগজ খাটিয়ে আর মন্তব্য করা হয় না। রেডিমেট মন্তব্যে আমি দিতে পারিনা, সজুর পোষ্টের মত রেডিমেট মন্তব্য দিলে শুন্য শুন্যালয়কে পাওয়া যাবেনা। তখন তো আবার সবাই বলবেন ” আমরা কি এমন শুন্য শুন্যালয়কে চেয়েছিলাম? ”
বসের পোস্টের উত্তরে কিছু কথা …
পোষ্টের মাঝে কেন লিখলেন না ” এই পোষ্টের কৈফিয়তের বাইরে আছেন শুন্য শুন্যালয়, তিনি সমস্ত হিসেবের উর্ধ্বে।” :p
অপেক্ষা করেন, দিন আসবে তখন আমিও লিখবো, জিসান ভাইয়া আপনি ব্লগে অনিয়মিত কেন? ঝাতি জানতে চায় 🙂
কেউ লিখতে পছন্দ করে, কেউ পড়তে, কেউ মন্তব্য করে উৎসাহ দিতে, কারো আড্ডা দিতে। যার যেটা ভালো লাগে সে সেটাই করুক। কিছু ভালো না লাগলে নাই- ই আসুক। কোন কৈফিয়ৎ নয়। জীবন ছোট, প্রতিটি মুহূর্তে সবাই আনন্দে থাকুক।
২২টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
আহারে কি অবস্থা, ডাক্তার হয়েও ডাক্তার না তুমি। এটি তো অসহ্য। পড়াশুনা মন দিয়ে করে পরীক্ষা দাও।
ডাক্তার হয়ে আবার ডাক্তার শুন্য শুন্যালয় নাম পরিবর্তন করবে নাকি? 🙂
জিসান শা ইকরাম
দাতের ডাক্তার কিন্তু অটো হয়ে আছেন শুন্য শুন্যালয় @রিতু।
ওনার কিছু লেখা বুঝতে গিয়ে দাত অটো ভেংগে গিয়েছে আমার 🙂
শুন্য শুন্যালয়
দাঁতের ডাক্তার বুঝি দাঁত ভেংগে ফেলে? 🙂 তাহলে তো ভালই, খননের দরকার পড়লে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে আমার লেখা পড়ে নিয়েন। আর রুট ক্যানেলের দরকার হইলে ছাইরাছ ভাইয়ের লেখা পইড়েন।
জিসান শা ইকরাম
তাইতো করি ম্যাডাম, অপারেশন ছাড়াই দাত তোলা এবং রুট ক্যানেল, কত আরাম আপনার এবং ছাইরাছ হেলাল এর 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ভাবীজান আমি আর কখনো ডাঃ হতে পারবো না গো 🙁
মৌনতা রিতু
অবশ্যই পারবে। আমার বিশ্বাস পারবে। আমি আমার বিশ্বাসকে বড় বিশ্বাস করি।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমরা কম বেশ সবাই জানি আপনি খুব টেনসনে আছেন মনে হয় জিসান ভাইয়া আমাদের চেয়ে আরো ভাল জানেন তার মানে আপনি যে তার কৈফিয়তটা নিজের গায়ে নিজেই লাগালেন তা কি ঠিক হলো! তবে এটা ঠিক বিশেষ করে আমি যদি কোন পোষ্ট সোনেলায় দেই মন্তব্যের ঘরে বিশেষ কয়েজনকে মন্তব্যে পাই কি না তা দেখি তার মধ্যে আপনি একজন তাতে প্রমান হয় জিসান ভাইয়ের চেয়ে আপনাকে আমরা বেশী খুজিঁ।
আপনার শেষ প্যারার সাথে সহমত
কেউ লিখতে পছন্দ করে, কেউ পড়তে, কেউ মন্তব্য করে উৎসাহ দিতে, কারো আড্ডা দিতে। যার যেটা ভালো লাগে সে সেটাই করুক। কিছু ভালো না লাগলে নাই- ই আসুক। কোন কৈফিয়ৎ নয়। জীবন ছোট, প্রতিটি মুহূর্তে সবাই আনন্দে থাকুক। -{@
শুন্য শুন্যালয়
জিসান ভাই পোস্ট দিয়ে বুঝায় দিছে হজ্ঞোলের কৈফিয়ৎ চাই 🙂
আরে আমিতো জানি সবাই আমারেই খোঁজে :p
গাঁয়ে মানেনা, আপনি মোড়ল 🙂
ভালো থেকেন মনির ভাই।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আহারে! তাইলে তো আমারও খবর আছে রে শুন্যাপু। একই দোষে যে আমিও জিসানভাইর আসামি।
আর শুন, তোমার মতো আমিও এ বছরে আল্লাহ্ ভরসা বলে পড়াশুনা শুরু করলাম। করতে বাধ্য অনেকটা। আর বাধ্য না হলে কেউ এ বয়সে আবার পড়তে চায়? তয় তুমি তো আরোও ফ্যাসাদে মনে হচ্ছে!
যাহোক, না বলে মনের অজান্তেই ‘তুমি’ সম্বোধনে লিখতে শুরু করে সম্বোধন নিয়ে প্রথমে একটু দ্বিধায় পড়ে যাই, কি ছিলো সম্বোধন! পড়ে মনে পড়লেও আর চেঞ্জ করছি না। মন থেকে যেমনটা এসেছে, কি বলো?
প্রার্থনা রইলো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ডাক্তার হিসেবে পরিচিত হও।
শুন্য শুন্যালয়
আরে আমিও ভুলে গেছি কি নামে যেন ডাকতাম 🙂
পড়ালেখা :'( আমি আপনার দুখে দুঃখিত রুবাপু।
আমার জন্যে দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
কৈফিয়ত কাকে বলে জানলাম। আমি কিন্তু কারো কাছে কৈফিয়ত চাইনি। নিজের কাছে নিজে কৈফিয়িত বলা যায় আমার লেখাকে। আত্মোপলব্দিও ভাবা যায়। অনেক সময় আমরা আল্লাহর কাছে বলি নিজের কথা, আল্লাহ কৈফিয়ত না চাইলেও।
সোনেলার সবাই যে আমার চেয়ে আপনাকে বেশী খোঁজে এটি সবাই জানে, চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে না দিলেও পার্তেন।
আপনি কেন সোনেলায় অনিয়মিত তা অনেকের মত আমিও জানি। আপনার স্বপ্ন পুরন হোক আন্তরিক ভাবে এটি চাই আমি এবং আমরা। সফল হয়ে জীবন গড়তে পারবেন আপনি এই বিশ্বাস এবং আস্থা আপনার উপর আছে।
আপনি আমার পোস্টের বাইরের একজন, সব কৈফিয়তের উর্ধে। আমার পোস্টের সাথে আপনি কোনভাবেই যুক্ত নন।
তবে আমার পোস্ট সফল একারনে যে কৈফিয়ত – ৩ চলে এসেছে। আরো আসতে পারে।
পাটখড় বা সুতলি হওয়া থেকে আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করুক — আমীন।
প্রবাসে ভাল থাকুন সারাক্ষণ -{@
শুন্য শুন্যালয়
আমরা সবাই জানি আপনি অসুস্থ, আর ধরে নিন এটাও নিজের কাছে আমার কৈফিয়ৎ।
ছি ছি আপনার চোখের এই অবস্থা জেনেও আমি আংগুল দেবো এটা কি করে বললেন? এ হচ্ছে মনে মনে রসগোল্লা খাওয়া আর কি!
আরো কৈফিয়ত আসবে? বলেন কি! এরপর কৈফিয়ৎ বাধ্যতামূলক না করা হয় আবার 🙂
হ্যাঁ হ্যাঁ বেশি বেশি করে দোয়া করুন, সুতলি হইলে মিষ্টি আপু আমারে ঘুড্ডিতে লটকায় দেবে। 🙁
জিসান শা ইকরাম
কৈফিয়ত বাধ্যতামুলক কিছু ব্লগার/ লেখকের উপর করা যায় কিনা ভাবছি। আপনার এউ প্রস্তাবটা ভালই মনে হচ্ছে।
লেবানন দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার আকাশে ঘুড়ি উড়াবে! ভালই হয় তাহলে 🙂
মিষ্টি জিন
আহারে পড়তে পড়তে মাইয়াডা সুতলি পাকাইয়া যাইতাছে। :p
আইচছা পুরাপুরি সুতলী হওয়ার পর আমারে জানাইও,আমার ঘুড়িতে সুতলী কম পরছে,তোমারে বাইন্দা দিমু নে। :D)
শোন মাইয়া কাউরে কইফিয়ৎ দেয়ার ধারে কাছে ও নাই,যখন ইচছা হঁয় আমু ,যামু,লেখুম,কমেন্টামু,হাসামু, কান্দামু।
এ আমাগো সোনেলা। নিজের কাছে নিজে কেউ কৈফিয়ত দেয় নাকি? \|/
শুন্য শুন্যালয়
হেইয়া তো মুইও কই কিসের কৈফিয়ৎ আবার! এইডা কী স্বৈরাচারী ব্লগ নাকি?
তুমি এই বুড়ো কালে আবার ঘুড্ডি ওড়াউড়ি শুরু করছো ক্যানে? বান্ধনের জন্য আর সুতা পাইলা না? 🙁
মিষ্টি জিন
আমি বুডা????? :@ :@ :@
প্রথম ঘাড় মটকানো টা তাইলে শূন্যেরে দিয়াই বিসমিল্লাহ করি।
জয় গনতন্ত্রে । :D)
ইঞ্জা
আপু সব ঝামেলা শেয করে দ্রুত ফিরে আসুন এই কামনা রইল আর আপনার অবর্তমানে কিন্তু অভি শেষ হয়ে গিয়েছে জানেন না মনে হয়।
মেহেদী হাসান
আপনার ক্যারিয়ারের সফলতা কমনা করি। আশা রাখি সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আবার ব্লগিংয়ে আসবেন 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
কি আমার ডাক্তার রে! এত্তো পড়ার দরকার কি! আমার কি কোনো লাভ হবে তুমি অষ্ট্রেলিয়ায় ডাক্তার হইলে? হ্যামিল্টনে হলে বলতাম ওগো তিলোত্তমা আমি চৌকিদারি করমু, তুমি নিশ্চিন্তে পড়ো। :p
নতূন বছর আসলো কত্তোদিন ঝগড়া হয়না, আমার পেটে জমা হইতে হইতে পেট কত্তো বড়ো হয়ে গেছে জানো? :p 😀
যদি সত্যি ডাক্তার হইতে চাও, মানে অষ্ট্রেলিয়ার ডাক্তার, তাহলে পেট বড়ো হয়ে যাওয়ার ঔষধ দাও।
ওই মেয়ে মিসিং ইয়্যু। 🙁 বেশী বেশী মিসিং। ;(
ভালোবাসো কিনা বাসো বন্ধু
টেরাই করো আমারে
কত্তো ভালোবাসি তোমারে
তুমি বন্ধু নিঠুর বন্ধু
মনে করোনা আমারে(ছাইড়া গেলা আমারে! ;( ) ;(
HAPPY NEW YEAR 2017 তিলোত্তমা -{@
ছাইরাছ হেলাল
লেখা-পড়ার দরকারটা কী?
হুর্, বাদ দিন,
তয় ল্যাহা পড়তে আর ল্যাক্তে মিষ্ট মিষ্ট লাগে কারও কারও ল্যাহা,
অবশ্য বেশি বেশি মিষ্ট হলে বহুমূত্র হয়ে সুতলি হওনের আশংকা বিদ্যমান থাকে,
তাই,
সুস্থ দেহ মন আনন্দ জীবন
ল্যাহা-পড়া বাদ দেওন
জায়েজ,
আমিন, আমিন,
মোঃ মজিবর রহমান
আমি বুঝলাম না কেন কৈফিয়ত দিতে হবে??? সোনেলা একটি ব্লগ এখানে মনে প্রানে যারা লিখতে, পড়তে ও বিভিন্ন ভাবে মনের, দেশের, পরিবারের, সাহিত্যসহ নিজস্ব মত প্রকাসের একটি প্লাটফর্ম কেউ এসে যদি বড় সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অর্থাৎ সেলিব্রেটি হন তাঁর জন্য তাঁর নিজস্ব মেধার যথার্থ প্রয়োগের ফলেই। সবাই কর্মব্যাস্ত সময়ের মাঝে যারা এইগুল ভাল বাসেন আসবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা একেওপরের আত্বায় মানবিক, বা মতের মিলে একত্রিত। আমরা একে অপরকে সন্মান, শ্রধ্বা, বা ভালবাসি আদর্শগত কারনে। তারমানে এই না যে তাকে তলব করে অসস্তিত্বে ফেলতে হবে।
আমি আপনি জেই হোক আমরা একে অপরের নিজস্ব কর্ম করে ভাল লাগার টানে একানে আসি। সকল মন প্রান সুস্থ প্রাণোচ্ছল থাকুক এই প্রত্তাশ্যা ইশ্বরের নিকট। সবাই ভাল থাকুন নিরন্তর।
আবু খায়ের আনিছ
কিঞ্চিৎ মিলিয়া গেলো, আমার ব্যস্ততাও এই পড়াশোনা নিয়েই। বাপের কড়া নির্দেশ, এই বছরের মাঝেই একখানা চাকর হওয়ার ব্যবস্থা করিতে হইবে নচেৎ আগামী বছর পেটে দানা পানি জুটিবে না। ভার্সিটির পড়ার পাশাপাশি নিজের পড়া সাথে চাকর হওয়ার পড়া সব মিলিয়ে আমার এখন করুন অবস্থা। কেউ যদি আমায় চাকর করিয়া নিযুক্ত করিয়া আমায় উদ্ধার করে তবে মনে হয় কিছুটা মনোনিবেশ করিতে পারিব সাহিত্যের প্রতি, নচেৎ সমাপ্ত বলিয়া দিয়া জীবন সংগ্রামে ঝাপাইয়া পড়তে হবে।