জেনে বুঝে পুচ্ছে অঙ্গুলী প্রদান একটি গর্হিত কর্ম। নারে ভাই, খাতা-কলম আর প্র্যাক্টিকেলে বিস্তর ফারাক। ধরে বেন্ধে বাক্সবন্দী না করে ঘটনা টা খুলেই বলি। ইহাতে কিন্তু কোন রটনা নাই, আসলেই ঘটনা।
আমাদের সার্জারি বিভাগের হেড অফ দ্যা ডিপার্টমেন্ট স্যারকে আমাদের দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া অবস্থা। তবে তারে আমি চোখে দেখিনি, তার অনেক গল্প শুনেছি। প্রতিমাসে বিশিষ্ট গুনের মাধ্যমে তিনি ঢাকায় বসেই তার স্যালারি পেয়ে যেতেন। তাই সম্ভবত তিনি, আমাদের কলেজের উদ্দ্যেশ্যে ছোর আয়ে হাম ও গালিয়া টাইপ ভাব ধারন করিয়া থাকতেন। সিনিয়াররা আমাদের আশ্বস্ত করিলো, দেখা হইবে, অবশ্যই দেখা হইবে, ফাইনাল প্রফেশনালে তোমাদের মনের বাসনা পূরন হইবে। ফাইনাল প্রফে হেড অফ দ্যা ডিপার্টমেন্টকেই ইন্টারনাল এক্সামিনার হতে হয়, একারনে তিনি আসতে বাধ্য হন, আমরা সবাই অবশ্য শলা-পরামর্শ করিয়াছিলাম, সবাই মিলে ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা দিয়া আসিলে কেমন হয়? বেচারার কষ্ট কিছুটা কমিতো।
এলো সেই ফাইনাল প্রফেশনাল। তিন বিভাগের মধ্যে সার্জারী টা সবচাইতে কঠিন, এটাতে আই, ই,এন,টি, অর্থোপেডিক আর জেনারেল সার্জারি সহ চারটা বোর্ড। লিখিত ছাড়াও প্রত্যেকটির ভাইভা, হার্ড পার্ট আর কেস প্রেজেনটেশন, অর্থাৎ ১২ টা বোর্ড ফেস করা রীতিমত পুলসিরাত পার করার মত ছিল।
জেনারেল সার্জারির যেসব কেস সচরাচর পরীক্ষাতে আসে, তার একটা হচ্ছে BPH (Benign Prostatic Hypertrophy)। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড বড় হয়ে গেলে যেই সমস্যা টা হয়। এই কেসে PR (Per Rectal) এক্সামিনেশন মাষ্ট। অর্থাৎ পুচ্ছে অংগুলি দিয়ে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড টাকে এক্সাম করতে হবে। শুধুমাত্র একজন রেজিস্ট্রারের তত্ত্বাবধানে আমাদের এত স্টুডেন্ট এর ক্লাস করতে হতো, অনিচ্ছা কিংবা মাথার উপরে লাঠির ভয় না থাকলে যা হয়, এই টেস্ট টা বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছি। ভয় হচ্ছিল, যদি এই কেসটা আমার ভাগে পড়ে এবং বিধাতার সাথে না জানি আমি কিসের শত্রুতা, হলোও তাই। তবে শত্রু তুমি, বন্ধু তুমি, তুমি আমার সাধনা, ফি আমানিল্লাহ বলে কেস দেখা শুরু করলাম।
সিনিয়ারদের শিখিয়ে দেয়া মতো, PR ফাইন্ডিংসগুলো খাতায় লিখে রাখলাম, আর গ্লাভস এ জেল মেখে রেখে দিলাম।
প্রত্যেকটা বোর্ড আশার চাইতেও যথেষ্ট ভালো করেছিলাম, অনেকটা ফাটিয়ে দিয়ে আসার মত অবস্থা আর কি, শুধুমাত্র এই কেসটা হলেই শেষ। যখন দেখলাম, আমার কেস প্রেজেন্টশন নেবে আমাদের হেডু স্যার, আনন্দে প্রায় বগল বাজাতে যাচ্ছিলাম, কারন ইন্টার্নালরা ফেল করায় না। এক্সটার্নালদের থেকে বরং বাঁচায়।
স্যার এসে খাতা নেড়েচেড়ে দেখে, PR করেছ?
জ্বি স্যার করেছি।
স্যার একটু হেসে, দেখি গ্লাভস দেখাও। স্টুল (হাগুর চিহ্ন) কই গ্লাভসে?
স্মার্ট হইলে কইয়া দিতাম, রুগী সেইইইই সক্কালেই হাগু সেরে ফেলেছে, তাই কোন চিহ্ন নাই, তবে সত্যি হইলো, রেকটাল ডিসচার্জ মার্কস থাকেই, তাই মাথাটা নীচু করে দাঁড়ায় থাকা ছাড়া কিছু করার পেলাম না।
স্যার কিছুক্ষন অপেক্ষা করে বললো, তুমি যদি সত্যি বলতে, আমি PR করিনি, আমি কিচ্ছু বলতাম না, তুমি মিথ্যা বললে ক্যান? ক্যাম্নে বলি, আমারে এমনেই শিখায় দিছে সবাই কইতে। সারাজীবন ক্লাস না নিয়া তার এহেন মাতব্বরিতে মেজাজ খারাপ হচ্ছিল, কিন্তু স্যরি বলা ছাড়া কিছু করা হলোনা। স্যারের কান পর্যন্ত আমার মিনমিনে স্যরি পৌঁছালো না।
তিনি রাগে গজগজ করতে করতে আমার খাতায় কলম দিয়েই মার্কস বসিয়ে দিলেন, এমন মার্কস যা অন্য সব বোর্ডে ফুল মার্কস পেয়েও কাভার হবার নয়। সাধারনত নাম্বার পেনসিল দিয়ে দেয়া হয়, যাতে পরে সেটা টিচাররা মডিফাই করতে পারে, চাইলে।
কিন্তু আমার কপালে কলমের কালি। 🙁
রেজাল্ট বেরুলো। এক ব্যাচ জুনিয়ার মেয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো, আপু রেজাল্ট দিয়েছে না? কি অবস্থা?
বললাম সার্জারিতে ফেলটুস। কাঁটা ঘায়ে নুনের পুরা বৈয়াম উলটে দিয়ে বলে গেলো, মাত্র একটা?
আমাকে এভাবে ফেল করিয়ে দেয়ায় অন্য স্যারেরা খুব অসন্তষ্ট হয়েছিলেন হেডু স্যারের উপর। তিনি নাকি আমার স্যরি শুনতে পায়নি, স্যরি বললে নাকি ফেল করাতো না আমাকে। তবে আমি খুশি স্যারের উপর বদলা নিতে পেরেছিলাম। তিন মাস পর সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দেবার সময় যখন এক্সটারনাল টিচার রা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, তোমার মত স্টুডেন্ট আগেরবার ফেল করেছিল কি করে? বোর্ডে বসা টিটো স্যার বলে উঠলেন, আর বলেন না, একজন টিচারের খামখেয়ালীপনার কারনে। হেডু স্যার মাথা নীচু করে চুপ করে বসে থেকেছিল তখন।
তিনমাস অনেক কঠিন আর ঝড় ঝঞ্ঝার সময় পার করেছি তখন, বিধ্বস্ত মানসিকতায় স্যারের কাছে আমি ঋনীও ছিলাম। শিখেছিলাম, যার যা প্রাপ্য তাকে তা দিতেই হবে, পুচ্ছে অঙ্গুলি দেয়ার হলে, তাই-ই সই।
৫৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আমিতো কিছুই বোঝতে পারলাম না!!
এত্ত কঠিন ল্যাহা!!
শুন্য শুন্যালয়
হ, ইচ্ছা কইরাই কঠিন পোস্টু দিছি, যাতে না বোঝেন 🙂
খালিপেটে এক গ্লাস হরীতকীর রস সেব্য, মাথা কিলিয়ার হইয়া যাবে।
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত খাটুনি দিলেন!!
তারথেকে ঝড় বইয়ে দিলে আম কুড়ানোর সুখ নিতে পারতাম।
মন্তব্য করা খুবই কঠিন!!
শুন্য শুন্যালয়
সারাবছর গাছে আম থাকেনা, ঝড়ে তখন ঘরবাড়ি উল্টে যাবার ভয়ও থাকে।
সোনেলা তো ডায়েরী, নিজের কথা লিখে যাচ্ছি তাই।
মন্তব্য করা খুব কঠিন না, লেখার চাইতে সহজ 🙂
ইলিয়াস মাসুদ
পুচ্ছে অঙ্গুলি দেয়ার দৃশ্য দু-চোখ জুরে বিনুদোন দিতাছে…….. আজকে হাইস্যা লই ক্যালকে মুন্তব্য করুমনে হাসন থামলে 😀
শুন্য শুন্যালয়
দুঃখের পোস্টে, মানুষ হাসে ক্যাম্নে? 🙁 বড়ই বেরহম দুইন্যা।
খসড়া
বেশ মজা পেলাম। টিচারদের এই ধরনের আচরণ আগেও যেমন ছিল এখনও তেমনি আছে। ভাইরাসের মত তা এখন প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পৌছিয়েছে বিকট আকারে।
শুন্য শুন্যালয়
সেটাই আপু, একজন টিচারের প্রধান কাজ, তার ছাত্রদের গাইড করা। সেটা না করলে তার ষোলআনা দায় তার নিজেরই। এমন শিক্ষকের জন্য শুধুই ধিক্কার আমার।
ছাইরাছ হেলাল
টিচারকে হাল্কা ভারী কিল ঘুসি বা নিদেন পক্ষে কিছু ঠোনা দিয়ে
এবারের মত মাফ করে দিন,
এট্টু কিলিয়ার এখন মাথা-মুথা!!
শুন্য শুন্যালয়
মাফ করে দিয়েছি তাকে, সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষায় তার সেই মাথা নীচু করে বসে থাকাই তাকে আমার মাফ করে দেয়া। একটা স্টুডেন্টকে ফেল করে দেয়ার জন্য এটা কোন কারন ছিলনা, আর তিনি ছিলেন ইন্টার্নাল। তিনমাস খুব বেশি সময় না অবশ্য 🙂
মনে রেখেন, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস হরিতকীর শরবত।
মেহেরী তাজ
আল্লাহ আমি খুব বেশি কিছু চাইছিলাম কি? বেশি না মাত্র ১ মাস এসব বায়োলজিক্যাল কেচ্ছা কাহিনী থেকে দূরে থাকতে চাইছিলাম।
এখানে এসে প্রথম দুটা পোষ্ট পড়েই সোনেলা থেকে দৌড়ে পালাতে ইচ্ছে করতেছে!
তবে এই স্টোরির মোরাল কিন্তু আমি ঠিকই বুঝছি! আপনি খুব ভালো স্টুডেন্ট ছিলেন! 😀
শুন্য শুন্যালয়
হা হা, এই এত্ত বড় একটা লেখা দেবার একটাই উদ্যেশ্য ছিল, তুই ছাড়া এই কথাটা কেউ বুঝতে পারলো না 😀
দৌড়ে না পালিয়ে তুই আমাদের উদ্ধার কর, কি সব লেইখ্যা সবাই মাথা নষ্ট কইরা দিতাছে। শীঘ্রই চকলেট বাবুর লেখা দে। 🙂
অরুনি মায়া
ডাক্তারদের যে কত কিছু করতে হয় 😀 |
আমারে ধমকানোর সময় তো,আসমান জমিন সবাই শুনতে পায়, তবে স্যরি বলার সময় মিনমিন করছিলে কেন :p |
তোমারে ফেল করায় দিছে ভাল করছে | :D)
শুন্য শুন্যালয়
তুমি আসলেই আমার এক নাম্বার শত্রু 🙁
সেদিন মিনমিন করে ধরা খাইছিলাম বলেই না শিখছি, এইভাবে আসমান জমিন এক কইরা ধমকাইতে হবে সবাইরে। 😀
ফেল কিন্তুক আসলেই লাভজনক, ভাইটামিন আছে 🙂
অরুনি মায়া
ও তারমানে সেদিনের শিক্ষার আসল প্রয়োগ তুমি এখন আমার উপর করছ তাইনা 🙁 ।
কর কর ভালমত কর। আমারো শিক্ষা হচ্ছে ধমক খেতে খেতে। একদিন সব প্রয়োগ করব ধমক প্রদানকারীদের উপরে ^:^
শুন্য শুন্যালয়
আর কইবা, ফেল করাইছে ভালো হইছে?
আমারে তুমি ধমক দিতেই পারবানা কক্ষনো, এমন মায়া মায়া করে তোমার দিকে তাকাবো, তুমি নিজের নামই ভুইলা যাবা। 😀
অরুনি মায়া
তুমি এত পটানি কথাবার্তা কত্থেকে শিখেছ 🙁
শুন্যাপু কোথাকার।
নাজমুস সাকিব রহমান
পড়তে অনেক কষ্ট হইছে। মনে হচ্ছিল, খুব অস্থিরতা নিয়ে লিখেছেন।
লেখা ভালো হয়েছে।
শুন্য শুন্যালয়
পড়তে কষ্ট হয়েছে বললেন, আবার অস্থিরও বললেন, তবুও ভালো হয়েছে লেখা? 🙂
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
রিমি রুম্মান
গানে গানে লেখা… ।
স্মার্ট হইলে কইয়া দিতাম, রুগী সেইইইই সক্কালেই হাগু সেরে ফেলেছে, তাই কোন চিহ্ন নাই,__ লাইনটি পড়তে গিয়ে হাসতে হাসতে শেষ। 🙂
সরি টা একটু জোরে বলা দরকার ছিল। জাউক গা। শোধ তো নেয়া হল শেষে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
স্যরি তো অই ব্যাটার বলা উচিৎ ছিল, যে জিন্দেগীতেও স্টুডেন্টদের একটা ক্লাস নেয়নি। অন্তত পরীক্ষার আগে এসে স্টুডেন্টদের সাথে প্রিপারেশনের ব্যাপারে সাজেশন দেয়া উচিৎ ছিল তার।
হুম শোধ নিতে পেরেছিলাম 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যার যা প্রাপ্য তাকে তা দিতেই হবে, পুচ্ছে অঙ্গুলি দেয়ার হলে, তাই-ই সই।এটাই মুল কথা,ভবিষৎ উজ্জল হউক সেই কামনা করছি :v
শুন্য শুন্যালয়
মনির ভাই যে 🙂 অনেকদিন পর দেখে ভালো লাগলো আপনাকে। ভালো থাকুন সবসময়, এই কামনা করি।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কর্ম ব্যাস্ততায় সোনেলা হতে একটু দুরে হলেও প্রতিদিনই চোখ রাখি আপনজনদের পাতায় পাতায় -{@
অনিকেত নন্দিনী
ডায়াগনোসিস করতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মীরাই তো পুচ্ছে আঙুল দেয়, ডাক্তারদের দিতে হয়? 😮
ওই বস আসলে একটা বেদ্দপ ডাক্তার! :@
শুন্য শুন্যালয়
না, পিআর ডাক্তারদেরকেই করতে হয়। ডায়াগন্সটিক সেন্টারে বিভিন্ন টেস্ট করার সময়, ইন্টস্ট্রুমেন্ট ইউজ করে কর্মীরা 🙂 আসলে এসব সাধারনত ইন্টার্নিতে গিয়েই সবাই করে। নেগলেজেন্সি আমাদেরও ছিল, আমরা জানতাম এসব কেস থাকবে পরীক্ষায়, আগে থেকেই সেরকম মেন্টাল প্রিপারেশন নেয়া উচিৎ ছিল, পুরুষ রোগীর পিয়ার করা নইলে খুব কঠিন হুট করে। তবে হেডুর এইভাবে ফেল করে দেয়া কোনক্রমেই সঠিক ছিলনা। তিনি ইন্টার্নাল ছিলেন, আর জীবনেও কোনদিন আমরা তার মুখ দেখিনি আগে। তাহলে ছাত্রদের কাছ থেকে কিভাবে আশা করে?
একদম একমত 🙂
অনিকেত নন্দিনী
ইন্টার্নালের নিজেরই খবর ছিলোনা, আবার কিনা ফেল করিয়ে দিয়েছেন! :@ আমি হলে হয়তো তাকে মাইর খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতাম। :@
শুন্য শুন্যালয়
অইসময় কারে যে মাইর দিমু, সেইটাই ঠিক করে উঠতে পারছিলাম না আপু। 🙁 আমার হাজব্যান্ডের সাথে স্যারের বহুত খাতির ছিল। ওকে বললাম, স্যার তো আমাদের নীচের ফ্লোরের একটা রুমে উঠেছে, চলো স্যারকে বলে আসি, আমি স্যরি বলেছি সে যেন তার কান পরিষ্কার করে। আমার হাবি বলে, আরে কি যে বলো, তুমি সব বোর্ডে এত্ত ভালো করেছ, তোমারে ফেল করাবেইনা কিছুতে। এবং তার পর ইতিহাস—- 🙁
এমন টিচারের জন্য আসলেই অশ্রদ্ধা জাগে মনে। ফেল করানোর জন্য খুবই তুচ্ছ একটা কারন ছিল এটা। একটা পেশেন্টের হিস্ট্রি ইনভেস্টিগেশনের পর ডায়াগনোসিস এবং মেনেজমেন্টটাই সেখানে ফ্যাক্টর ছিল।
অরুণিমা
বাহ
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ অরুনিমা দি।
অপার্থিব
“পুচ্ছে অঙ্গুলি দেয়ার” অভিজ্ঞতা তো অবশ্যই কালজয়ী হওয়ার কথা , সুখ দুঃখের হিসেব না হয় আপাতত বাদই দিলাম।
শুন্য শুন্যালয়
হা হা, না এইটা ডাক্তারদের জন্য বিশেষ করে সার্জারীর ডাক্তারদের জন্য নিত্যকালের ব্যাপার। 🙂
ব্লগার সজীব
হেডু স্যারের পুচ্ছে আঙ্গুল ভালভাবেই দিতে পেরেছেন। তবে হেডুর ফলাফল টা জানা হলোনা। :p মজার একটা পোস্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ অনেক। এমন মজার অভিজ্ঞতার পোস্ট আরো চাই।
শুন্য শুন্যালয়
উনি ব্যাথায় মাথা নীচু করে সব সহ্য করে গিয়েছিলেন :p
চাইলে আগে দিতে হয়। গিভ এন্ড দেন টেক 🙂 দেখি কবে আসে আপনার পোস্ট।
ব্লগার সজীব
আমার আবার পোষ্ট! তেলাপোকাও একটি পাখি 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ব্লগার সোনেলায় একজনই আছে 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
পুন্দে বাঁশ
ধরাইয়া দিলো!
শুন্য শুন্যালয়
হ, 😀
জিসান শা ইকরাম
আপনি যে অত্যন্ত মেধাবী তা আমরা এমনিতেই জানি
মেধা কে বাঁধা দেয়ার জন্য হেডুকে তিরস্কার।
আপনি যে এই টেষ্টটি করেন না তা জেনে অত্যন্ত প্রিত হইলাম
কখন আবার ডাক পারেন…… সোনেলায় বুড়ো কে কে আছেন আসুন তো- এই ভয়টা কেটে গেলো।
উপস্থাপনা খুবই চমৎকার হয়েছে
এমন মজাদার অভিজ্ঞতা আরো কিছু শেয়ার করুন ম্যাডাম।
পেশাদার জীবনের বিভিন্ন কেস স্টাডি নিয়ে লিখতে পারেন আপনি
লেখা শুরুও করেছিলেন
কি এক অজানা কারনে আর লিখলেন না।
আপনি যাতে সাচ্ছন্দ্য তাই লেখুন,
পাঠকদের পছন্দ আনুযায়ী লিখতেই হবে এমন কোন কথা নেই।
নিজের জন্য লেখুন, আমরা সব লেখাই পড়বো।
শুন্য শুন্যালয়
জগৎ দেখেছি আমি ফেল করেছি। বাকিটা অজানা 🙂
এইটা বাচ্চাকালের ঘটনা, তাই প্রীত হইয়া কোন ফায়দা নাই। আবার ফেল করার চান্স নিতে পারুম না, অতএব সব বুড়া সাবধান। 😀
মেডিক্যালের ঘটনাগুলো আস্তে আস্তে লিখবো ভাবছি, পাঠক পছন্দ করছে বলেই তো মনে হচ্ছে, যাই-ই লিখি, কেউ মন্দ বলেনা, তবে আর ডর কিসের? 🙂
তা ভাইজান লেখালেখি কই গেলো আপনার?
মৌনতা রিতু
দুষ্টু দুষ্টু লেখাগুলো পড়লে আমার মন খুব ভালো হয়ে যায়।আপনার সব কিছু ভাল হোক ফিআমানিল্লাহ্।
ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
বোঝা যাচ্ছে আমাদের রিতু আপু অনেক লক্ষি 😀
অনেক ধন্যবাদ আপু। ভাল থাকবেন।
নাসির সারওয়ার
বুঝলামনা, এই রহম একখান শল্য চিকিৎসা “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি” বিভাগে না গিয়া “একান্ত অনুভূতি” তে ক্যামতে রইলো!!
তারপরও “যার যা প্রাপ্য তাকে তা দিতেই হবে” খুবই ভাল্লাগছ……
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা, আমারটা আমাকেই ফেরত দেয়া হচ্ছে? 🙂
আপনারে দেখেই তো বিভাগ উল্টপাল্টা হইয়া গেছে আমার 🙂
থাংকু থাংকু।
নাসির সারওয়ার
ঐ যে, “যার যা প্রাপ্য তাকে তা দিতেই হবে”
শুন্য শুন্যালয়
যাক যাক আমি ঠেকে শিখেছি আর আপনি দেখে 🙂
আবু খায়ের আনিছ
গ্যাচাং ফু………….. তুমি ফেইল, কিচ্ছু পড়নি পরেরবার এস
এইবার কুংফু শিখে নামছি, পাশ করাইতেই হবে।
এই নে দিলাম পাশ করিয়ে।
হা হা হা
পাশ করলেই কৃতৃত্ব আমার আর ফেল করলেই শিক্ষকের দোষ? তাই না। :D) :D)
শুন্য শুন্যালয়
পোস্ট পড়ে কি মনে হলো, কার দোষ? পাশ ফেল সবটাই শিক্ষকের উপর নির্ভর করে এমনটাই মনে হয় আমার মাঝে মাঝে।
যাই হোক, পাশের কৃতিত্ব আর নিতে পারলাম কই, তবে ফেল করানোর জন্য এমন শিক্ষককে অবশ্যই ধিক্কার জানাই, যারা তাদের খামখেয়ালীপনাকেই সবচেয়ে অগ্রগন্য মানে। শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে, যে জীবনেও ছাত্রদের খবর নেয়নি, তার ফেল করানো সাজেনা।
আবু খায়ের আনিছ
দোষ কারো না, আবার সবার।
একটা ভালো খাতা দেখার পর মোটামুটি একটা খাতাও ভালো হয়ে যায়, আবার একটা খারাপ খাতা দেখার পর একটা ভালো খাতাও খারাপ হয়ে যায় নিরিক্ষক এর কাছে। আমার এক শিক্ষক তাই বলত আমাকে। দোষ কার দিব?
হ্যা, অনেকেই আছে ব্যাক্তিগত আক্রোশ ঝাড়ে ছাত্রের উপরে। আবার ছাত্ররাও শিক্ষককে অপছন্দ করে। এটা র্মমান্তিক যে একজন শিক্ষক এর খামখেয়ালিপনায় একটা ছাত্রের মূল্যবান অনেক সময় নষ্ট হয়।
শুন্য শুন্যালয়
হুম, সার্জারীটা খুবই বিখাউজ টাইপের সাবজেক্ট, বিশেষ করে এতগুলো বোর্ড একদিনে পরীক্ষা নেবার সিস্টেমটাও ভালো না।
শিক্ষকদের দায়িত্বটা বেশি বলে মনে করি আমি। তারা গাইড করবে সেভাবেই যেভাবে তারা একপেক্ট করবে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আনিছ।
ভোরের শিশির
পড়িয়া আমিঃ কিংকর্তব্যবিমুঢ়
শুন্য শুন্যালয়
বুঝিতে পারিয়াছি, অতি সত্বর সম্বিৎ ফিরিয়া পাইয়েন 😀
ভোরের শিশির
:D) আহা, পুচ্ছ, ময়ূর পুচ্ছ :p
শুন্য শুন্যালয়
:D) ময়ূর পুচ্ছ? এইটা আগে মাথায় আসলে কি আর ফেল করি !!
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
কি কমু!!!
;?
শুন্য শুন্যালয়
কিছু না কইলেও চলপে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু ফেইলের মধ্যেও একটা আনন্দ আছে। সবাই সেইটা পায়না। যাগো কপাল ভালো, হেরাই ফেইল করে।
তয় আরেকখানা কথা ডাক্তারী পড়া বহুত কঠিন দেহি! পুচ্ছ পরীক্ষা করতে হয়।
এইখানে সেবা করিবার পরীক্ষাতেও উহা করিতে হইয়াছে।
যাহা হউক ফেইলের জন্য পুরষ্কার দেয়ার নিয়ম করা উচিৎ। ওই যেমন অস্কারের পাশাপাশি রেজি। 😀
শুন্য শুন্যালয়
হ ঠিক কথা, অস্কারে সবচাইতে খারাপ একটিং এর জন্য পুরষ্কার দেয়, তাইলে ফেলের জন্য পুরষ্কার দিবনা ক্যান? 🙂
তুমি কি ফেল করছো কুনদিন? না করলে বুঝলা ক্যাম্নে এইটা আনন্দের? ম্যাডিকেলে, ফেল করা মানে সাপ্লি খাওয়া একটা অতি সাধারন ঘটনা, তয় আমি ম্যালা ভালু স্টুডেন্ট (?) ছিলাম তো, এইজন্য হজম করতে পারি নাই। 🙁
কঠিনের আর কি, চলতেই আছে ননস্টপ। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
ফেইল করি নাই। তয় ফেইলের কাছাকাছি দিয়া ঘুরান্ডি দিয়া আসছি তো!
দর্শনে ৩৩ পাইয়া সাবসিডিয়ারি পাশ করছি। কেলাশ এইডে তো অঙ্কে ৩৩। বাপির মাথায় হাত! পারলে তো আমারে ঘর থাইকা বাইর কইরা দেয়। তয় হ ইলেক্টিভ ম্যাথে একবার ফেইল করছিলাম। ফেইল কইরা রীতা ম্যাডামরে গিয়া কইলাম, আপনার কেলাশ আমি কিছুই বুঝিনা। আপনে ভালো কইরা বুঝাইলে পাশ করতাম। ম্যাডাম কইলো তুমি ইলেক্টিভ ম্যাথ ছাড়ো, তোমারে দিয়া হইবো না। কইলাম না কিছু। এরপরের ইতিহাস তো বুঝবার পারতাছো আপু। 😀