কলমের কালিতে আর বখাটেদের চোখ খুলবে না
তাদের চোখ বুজে দিতে চাই কলমের খোঁচায়
লেখনী এখন আর মনোভাব পাল্টায় না
কলম দিয়ে খুবলে খুবলে তাদের মস্তিষ্কহীন করতে চাই
যাদের উঁচু চেয়ারের পায়ার তলায় শ্রমজীবীরা পিষ্ট হয় দিনরাত
কি হবে আর লিখে, যখন ধর্ষণের খবর পড়ে আবার ধর্ষন করতে যায় নরপশুরা
কলমের কালি সেখানে অদৃশ্য
যৌতুকের জন্য পুড়তে হয় রমনীদের
যৌতুকের অভিশাপ তো কলম দিয়েই লেখা হয়
ধর্মেরষাঁড় গুলো তবু মানুষ জবাই করে
মোটা হরফের কালির লেখা পড়েই
আমি পরিবর্তনের কলম চাই
কলমের ডগায় অস্ত্র চাই
কালির বদলে রক্ত চাই
লেখার কলম বেঁচে আমি
মুক্তির কলম কিনব।
৫টি মন্তব্য
ইঞ্জা
অসাধারণ শক্ত গাঁথুনিতে লেখা কাব্য, দারুণ লেগেছে।
অলিভার
বাস্তবতা চিত্র চলে এসেছে কবিতার বর্ণনায়।
সত্যিই যেন কলমের কালি গুলোও এখন আমাদের কর্মকাণ্ড দেখে বিদ্রুপের হাসি হাসে।
যেখানে কোন এক সময় সত্য প্রতিষ্ঠিত হতো কলমের কালি হয়ে, সেখানে এখন সেই কালিই মিথ্যায় মানুষের রক্ত ঝড়ায় প্রতিনিয়ত।
কিন্তু দোষ কিন্তু কলমের কালির নয়, বরং দোষ আমাদের। আমরাই এর ব্যবহার ভুলে উল্টো পথে তার ব্যবহার ঘটিয়ে যাচ্ছি।
কবিতায় ভালোলাগা -{@
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন বাস্তবতা,
লিখে-ফিকে এখন আর কিছুই হচ্ছে না, হবেও না,
খোঁচাই একমাত্র মহৌষধ,
তবে দেয়াটা একটি কঠিন!
নীরা সাদীয়া
কলমের খোঁচায় তুলে আনি তাদের চোখ। মন চায়……
নীলাঞ্জনা নীলা
একসময় শুনতাম কলম হলো সবচেয়ে বড়ো অস্ত্র। এখন কলম আছে কাগজে তার আঁচড় পড়েনা। আর পড়লেও কি এমন কিছু পাল্টাবে?
নাহ!
তবে কবিতায় এক অজেয় পরাশক্তির যোদ্ধাকে দেখলাম। যে কিনা মুক্তির কলম কিনতে চায়।