জীবন নাকি ঝরা-পাতার কাব্য? সত্যি কি? সকালে এলার্মটা বাজতেই আর এসব কাব্য-কথা মনে থাকেনা। তখন দায়িত্ত্ব-ভরা কলস কাঁখে নিয়ে ছুটতে হয় জীবনের পথে। অন্যান্য দিনের মতোই আজকের সকালটা। আজকাল সবাই কেমন জানি ব্যস্ত! আগে বান্ধবীর ম্যাসেজ পেতাম সুপ্রভাত। এখন সেলফোনটা নির্জীব পড়ে থাকে এলার্মের অপেক্ষায়। প্রথম বাস মিস হলো, ক্লায়েন্টকে ফোন দিয়ে বললাম আসছি। বাস মিস একটু সময় লাগবে। বুড়ো মানুষটার হাসি লাগানো থাকে মুখে। কখনো ঝামেলা করেনি কেন দেরী হলো! আমার পেশায় বলাই আছে কাজ কিংবা কোনো ক্লায়েন্ট নিয়ে কিছু বলা যাবেনা। তাই অন্য কথায় আসছি। এমনিতেই মন খারাপ ছিলো। আমার একজন মা আছে এখানে যে আমার চোখ-মুখ দেখে আমায় বুঝে ফেলে। সে কিন্তু আমার চাকরী জীবনের প্রথম ক্লায়েন্ট। মাম্মা ডাকি তাকে, একদিন উনার স্বামী এসে বললো, উনাকেও পাপা ডাকতে হবে। আমি তা-ই ডাকি। অফিস জানে না আমাদের এই সম্পর্কের কথা। সেই মাম্মা আজ হাসপাতালে। আজকাল অনেক প্রফেশনাল হয়ে গেছি। এই তো আজই একজন মারা গেলো, কি অনায়াসে অফিসে ফোন দিয়ে বললাম সুয়েন মারা গেছে। আমার কোনো কষ্ট হয়নি সেভাবে। বরং প্রার্থনাই করছিলাম ভগবান ওকে নিয়ে যাও। অনেক কষ্ট পাচ্ছিলো গতকাল গিয়ে দেখেছি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ। যদিও গতকালই বুঝে গেছিলাম রাত পার হবে না। তবুও আমি মানুষ তো। কিছুটা তো কষ্ট হয়ই। তবে সেই কষ্টের গভীরতা নেই বললেই চলে। একসময় পত্রিকার পাতায় পড়া কোনো মানুষের মৃত্যুর খবর পড়লেই অনেক যন্ত্রণা হতো। সেই আমি কি করে বদলে গেলাম! সময় আসলেই যাদুকর।
ফুরিয়ে যায়।
গরম মগে ধোঁয়া সরিয়ে চুমুক দেয়া কফি কিংবা চা ফুরিয়ে যায়।
হাওয়ার মতো মিলিয়ে যায়।
নিঃশ্বাস এবং মানুষ
কফির সাথে মানুষ!!! সময়ের সাথে বুঝি নিঃশ্বাস?
সময় ম্যাজিক জানে,
তা নইলে কি অনায়াসে বদলে যেতে পারে নাগরিক জীবন!?
যাক সকালে বাসে বসে কিংবা দাঁড়িয়েই থাকিনা কেন, ব্লগে একটু হলেও উঁকি দেই। হুম মন্তব্য করার সময় থাকেনা। আর কিছু কিছু লেখা এতোটাই আকর্ষণীয় যে মন্তব্য না করে পারা যায়না। উঁকি দিয়েই যা দেখলাম নাসির সারওয়ার ভাইয়ের লেখা “কবি হবো।” একটানে পড়ে গেলাম। লগ ইন করতে বাধ্য হলাম। মন্তব্য করতেই হলো। স্মৃতিকথা বড়ো টানে আমায়। মানুষকে চেনা কিংবা জানা কিংবা বোঝা যায় তার অতীতের দিনগুলো দিয়ে। আমাদের শৈশব-কৈশোর-তারুণ্য এখানে কিন্তু কোনো মুখোশ থাকে না। সাধারণত খুব কম মানুষেরই মুখোশ থাকে ওই সময়গুলোতে। আমি নাসির ভাইয়ের সেই সময়টাকে একটু জানলাম। গতকাল রাতে লিখছিলাম,
পাড় ছুঁয়ে দিলেই জলের আঁখর স্পষ্ট হবে
চিরল চিরল পাতা্র ছায়ায় শব্দেরা গাঢ় হবে
একটিবার মধ্য পুকুরে সাঁতার দিয়েই
ডুবুরী জেতে জীবনের প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়-সীমায়
কিন্তু কবিতায় আজন্ম ডুবে থাকে কবি
সেই আবেগ সাঁতার কাটে মনের জলে
তাই তো বারবার ফিরে আসা এখানেই
তবুও এখানেই।
কবিতার ভূবন সে কি আর বাস্তব জীবন বোঝে?
কবিতা যে বোহেমিয়ান ঠিক আমারই মতো।
ওই লেখাটার রাফ অংশ দিয়েই মন্তব্যটা করলাম। তখুনি চোখে পড়লো আমাদের হাসির ফেরিওয়ালা নীতেশ বড়ুয়া দাদা যার ঝোলায় বিভিন্ন রকমের হাসি থাকে, উনি “কবি হবো” পোষ্টের প্রতি-মন্তব্যে একটি পোষ্ট দিয়েছেন “লিখতে হবে (কবি হবো পোস্টের মন্তব্যে)।” আমি কিভাবে কাজে মন দেবো? যে করেই হোক পড়ে মন্তব্য করতেই হবে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে(মতান্তরে দৌঁড়ে দৌঁড়ে) পড়ে মন্তব্য করলাম। নাসির ভাইয়ু আর নীতেশদা আপনাদের বলছি এমন আর কখনো লিখবেন না যেনো :@ । ফিরে আসছি মাথার ভেতর খুঁচিয়ে চলছে নিজের জীবন। ফেলে আসা দিন এই লেখা নিয়েই। কিভাবে পার করেছি লেখার জীবন। নীতেশদার লেখা পড়েই সব মনে এলো আবার।
অনেক বছর আগে একটি খুকী লিখলো কলমি শাকের ফুলে ভরে গেলো পুকুর পাড়। একজন মানুষ এ নিয়ে বিদ্রূপ কলমি শাকের আবার ফুল আছে নাকি? ওই খুকীটা আবার লিখলো ঢাকা থেকে ওর মামা ওর জন্যে একটা জামা নিয়ে আসবে। জামার অপেক্ষায় মেয়েটি কখনো থাকেনি, আজও না। মামা আসবে সেই অপেক্ষা আসলে ছিলো। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখে মামা নেই কোথাও। তারপর সবদিকে খোঁজ, এমনকি উঠোনের লেবু ঝোঁপের ভেতরও। ওখানে লুকোচুরি খেলার জায়গাও বটে। লেবুর ঝোঁপে লুকিয়েছে নাকি মামা। সেই নিয়ে লিখে ফেললো, যদিও সব মনে নেই। কয়েকটি লাইন এমন,
মামা আমার হারিয়ে গেলো লেবু গাছের ঝোপে
ডালটি কেটে ফেলো এক কোপে
তবেই না বেড়ুবে মামা
পাবো আমি নতূন জামা।——অনেক ক্ষ্যাপানো। অনেক ছোট ছিলো মেয়েটি। একটু বড়ো হলো, তখনও প্রাথমিক বিদ্যালয় পার করেনি। শামসুর রাহমানের “স্বাধীনতা তুমি” কবিতাটি পড়ে মনে হলো মেয়েটির এভাবে কি লেখা যায়,
“স্বাধীনতা তুমি দূরন্ত হাওয়া্র ভেতর উড়ন্ত পাখীর ডানা?” শুরু হয়ে গেলো ক্ষ্যাপানো। এই লাইনটিকে কতোভাবে যে ভর্তা করা হয়েছে। খুকীটি বড়ো হবার পর বড়ো মাসীর মেঝো ছেলে শোভনদা বলতো, “তুই তো মহাকবি রে।” অনেক কষ্ট ওসব ব্যঙ্গ নেয়া। তখন তো আর খুকী নেই ওই খুকীটি, কিশোরী হয়ে গেছে। গোমড়া মুখে শুধু চুপচাপ বসে নিঃসঙ্গ-একাকী হয়ে, তা-ই নয়। অভিমানও যোগ হয় ওই বয়সে। যে মোটা বাইন্ডিং খাতাটা ছিলো, মেয়েটি গেল ঠেকালো ওর বুকে। আদর করলো। তারপর মনে মনে বললো, “আমায় ক্ষমা করিস।” রান্নাঘরে চুলোর আগুণে ঢুকিয়ে দিলো। শোভনদা ছিলো সামনে। ততোক্ষণে ছাই। আর কাউকে পড়তে দিতো না লেখা। ১৯৯০ সালে মেয়েটি তখন ইন্টারমিডিয়েট ফার্ষ্ট ইয়ারে ভর্তি হয়ে পেলো বাংলার শিক্ষক আবু রায়হান সেলিম স্যারকে। রায়হান স্যার এই মানুষটি ওই মেয়েটির লেখার আকাশের ধ্রুবতারা। ওই মেয়েটি আজকের এই যে আমি, আমার লেখা সব স্যারের অনুপ্রেরণায়। যা কিছু লিখি আমি আজ স্যার না থাকলে আলোর মুখ দেখতো না। কোনোদিনও না।
গান গাইতাম। শান্তিনিকেতন কিংবা ছায়ানটের কোনো সার্টিফিকেট ছিলোনা। কিন্তু বাপি-মামনির ছায়া ছিলো। ওরা দুজন গাইতো, আমিও গাইতাম। বাপি তবলায় সঙ্গত দিতো, মামনি হারমোনিয়মে। একবার মারাত্মক ঘটনা ঘটলো। টনসিল ব্যথায় গলা ফুলে ভয়ানক অবস্থা। অপারেশন লাগবেই। ডেট পড়লো। অবশেষে অদ্ভূতভাবে অপারেশন ছাড়াই টনসিল বার্ষ্ট করলো। তিনমাস কথা বলা বন্ধ, ইশারায় চললো দিনকাল। ক্লাশ সিক্সে পড়ি তখন। কন্ঠস্বর বদলে গেলো। ডাক্তার বললো জীবনে আর গান গাইতে পারবোনা। বাপির চোখ থেকে টপটপ করে জল পড়েছিলো ডাক্তারের ওই কথায়। টানা চার বছর গান গাইনি। নিষেধ থাকা সত্ত্বেও একদিন হারমোনিয়ম নিয়ে বসে পড়লাম। আমি কখনো স্বরলিপি ধরে গান উঠাইনি হারমোনিয়মে। শুনে শুনে তুলি, এখনও। আসলে পারিনা দেখে দেখে হারমোনিয়ম বাজাতে।
“খাতা দেখে গান গেওনা উল্টে পাতা যেতেও পারে”
আমার মেঝো মাসী(মিতা আন্টি) আমার গানের ভক্ত ছিলো খুব। আমায় নিয়ে অনেক গর্ব করে কতো কি যে বলতো। খুব লজ্জ্বা পেতাম। একদিন গান গাইছি, একজন মানুষ এসে বললেন, “সর তুই ওঠ। ওকে গাইতে দে। দেখ কেমন গায়, তুই তো আর ছায়ানটে শিখিস না। শেখ ওর থেকে।” এখনও কথাগুলো মনে আছে। অনেক মানুষের মধ্যে বিদ্রূপ করে বলেছিলেন উনি। নাহ উনার পরিচয় দেবো না। আজ মানুষটির হৃদয়ে ব্লক। অদ্ভূতভাবে সত্যি আমার একটুকুও খারাপ লাগছে না। মনে হচ্ছে এটাই হওয়া উচিৎ ছিলো তার অনেক আগেই। আমি এরপর আর ওই মানুষটির সামনে গান করিনি।আমরা বড়োদের থেকে ভালোগুলো যেমন শিখি, খারাপগুলোও কিন্তু শিখি। কেউ ভালোগুলোই বেছে নেয়, কেউবা দুটোই। শুধু খারাপ বেছে কেউই নেয়না। উনি অনেক বড়ো, আজ অনেক সম্মানিয় একজন হতে পারতেন আমার কাছে। সময় যে যাদুকর আমাদের জীবনের পরিবর্তন যেমন ঘটায়, তেমনি আমাদের মন-মানসিকতারও পরিবর্তনের জন্য দায়ী করা যায় এই সময়কেই। আমি উনার জন্যে খারাপটাই বেছে নিলাম। কোনোদিন ক্ষমা করবো না।
সবশেষে আসি মজার কথায়। বাসায় আসছি বিল্ডিঙের সুপারভাইজার ডেকে বললো আমার একটা পার্শ্বেল আছে। ছোট্ট একটা পার্শ্বেল। ওতে লেখা মোবাইল এক্সেসরিস। ভাবলাম তরুণ বুঝি অনলাইনে পাঠিয়েছে তীর্থের আইপডের জন্য কিছু। বাসায় এনে খুললাম, দেখি একটা এঙ্কেল সাপোর্ট। আমার গোড়ালিতে ব্যথা সবাই জানে না। খুব কাছের মানুষেরাই জানে।ঊর্মীকে ফোন দিয়ে বললাম, তুই কেন এসব পাঠিয়েছিস? কারণ এসব চমক আমাকে ও-ই দেয়। বললো ও দেয়নি সত্যি। তাহলে কে দেবে? বললো, “দেখ তোর জন্যে কার এতো প্রাণ পুড়ছে?” বলেই দুষ্টুমী শুরু করলো। জানতে চাইলো কে কে জানে আমার গোড়ালির ব্যথার কথা? বললাম তুই-শিল্পী আর দুজন বন্ধু এবং নানা ছাড়া আর কেউ জানেনা। দুই বন্ধু পাঠাবে? অসম্ভব! শিল্পীও না। তাহলে কি নানা? এ তো আরোইইইইইইইই মহা-বেসম্ভব। তবে কে? কে? কে? কে? ;? ;? ;?
ঊর্মী বললো, “তোকে যে সবথেকে বেশী ভালোবাসে, কেয়ার করে সে- ই পাঠিয়েছে ওটা। দেখ তো পায়ে ঠিক হয় কিনা!” বেশ কয়েকদিন থেকে গোড়ালি ফুলে গেছে আরোও। বেশ ব্যথা হয়। এটা না বললেও ঊর্মী বোঝে। যতোই বকুক, যতোই আড়াল তুলুক, যতোই অভিমান হোক না কেন, আমি জানি এটা ও-ই পাঠিয়েছে। যাকে আমি কষ্ট-যন্ত্রণা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারিনা। গতকালও অনেক কষ্ট দিয়ে কথা বলেছি ওকে আর শিল্পীকে। ঊর্মী-শিল্পী আমায় ক্ষমা করিস। এ জীবনে তোদের থেকে দূরে সরে থাকতে পারবো না আমি। লেখায় আবেগ আসে তখনই যখন জীবনে আবেগ থাকে।
বন্ধু তোদের ছায়ায় আমায় আগলে রাখিস
জ্বরের কপালে ভেঁজা তোদের হাতটা দিস
মন কেমনের বিষণ্ণতায় অলস বিকেল
সেই সময়ে একটু তোরা খবর নিস
অনেক রাতে যখন একা, বড়ো একা
অনিচ্ছেতেও নইলে একটা ফোন করিস
বন্ধু তোদের আঁচলে আমায় লুকিয়ে নিস
স্বার্থপর এই আমার ডাকে প্লিজ তোরা সাড়া দিস।
বহুদিন পর এলোমেলো লেখা। অনেক বেশী বড়ো হয়ে গেলো। কেউ আমায় বকবেন না যেনো। নো গালমন্দ। অবশ্য আমার মন এখন হাল্কা সব লেখার পর। \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/ \|/
“আহা কি আনন্দ আকাশে-বাতাসে।” \|/ \|/ পুজো এসে গেলো। \|/ \|/
https://www.youtube.com/watch?v=95N-Z3yjryg
হ্যামিল্টন, কানাডা
১৫ অক্টোবর, ২০১৫ ইং।
৬১টি মন্তব্য
নীতেশ বড়ুয়া
হাল ছাড়িনি, এদিক ভাংছে তো কি হয়েছে! অন্যদিকে ঠিকই হাল ধরতে ছুটেছি। আজ থেমে আছি তো কি হলো! আবার ছুটবো সবকিছু নিয়েই… এই তো জীবন! এইজন্যেই তো লিখতে হবে!
দিদি তোমার জন্যঃ
https://youtu.be/9aztMPF35vM
https://youtu.be/dPErEox2hws
https://youtu.be/d6da8jRlxNk
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম দাদা এজন্যই তো লিখছি।
কতো কতোবার শুনেছি গানগুলো সব, ভাবতেও পারবেন না। -{@ (3
নীতেশ বড়ুয়া
😀 -{@ (3 -{@
নীতেশ বড়ুয়া
হাল ছাড়িনি, এদিক ভাংছে তো কি হয়েছে! অন্যদিকে ঠিকই হাল ধরতে ছুটেছি। আজ থেমে আছি তো কি হলো! আবার ছুটবো সবকিছু নিয়েই… এই তো জীবন! এইজন্যেই তো লিখতে হবে!
দিদি তোমার জন্যঃ
https://youtu.be/9aztMPF35vM
নীতেশ বড়ুয়া
দিদি তোমার জন্যঃ
https://youtu.be/dPErEox2hws
নীতেশ বড়ুয়া
দিদি তোমার জন্যঃ
তোমার জায়গায় কবিতা হবে নিশ্চিত 😀
https://youtu.be/d6da8jRlxNk
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস এত্তো গান! কি মজা!! \|/ \|/ \|/ \|/
নীতেশ বড়ুয়া
😀 \|/ :p
নীতেশ বড়ুয়া
😀
https://youtu.be/Z-ZregQ9eJc
নীলাঞ্জনা নীলা
😀 😀 -{@ -{@
নীতেশ বড়ুয়া
:p -{@
জিসান শা ইকরাম
নাসির সরওয়ার লেখাটা দিয়ে ভালোই করলেন।
তিন তিন জন লেখকের লেখাক স্মৃতি জানতে পারলাম
আমার এমন কোন স্মৃতিই নেই,লেখক হলেই না হয় স্মৃতি থাকে।
লেখা এবং কবিতা, সাথে গান নিয়ে পোষ্টটি অনেক অনেক ভালো হয়েছে।
নাসির সারওয়ার
না। ভালো করিনি। খারাপ লাগছে। মনে হয় কারো শুকিয়ে যাওয়া ক্ষতকে ঝাপসা করে দিলাম
নীতেশ বড়ুয়া
নাসির ভাই, নীলা’দির মন ভাল করতে চাইলে আর কিছুই উনাকে গান দিন আর সাথে ফুল। এই দুই দিলে দিদির মন এক্কেবারে ফুরফুরা 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
নীতেশদা (y) 😀 \|/ -{@
নীতেশ বড়ুয়া
😀 (3 -{@ \|/ 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
নাসির ভাইয়ু এটা আপনি কি বললেন! আমার কাছে এসব আর কোনো ক্ষতই না।
বরং মজা পাচ্ছি কি সব ছাইপাশ লিখেছিলাম। 😀 :D)
ভেবে দেখুন অমন লেখা যদি আপনি কিংবা আমি পড়তাম অন্য কারোর, হাসতাম না? :D)
নিন গান শুনুন https://www.youtube.com/watch?v=75TB7dQeO-o -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা তোমার স্মৃতিগুলো আরোও দারুণ। তবে হ্যা জীবনে এসব না এলে আজ কি আর এখানে আসা হতো?
এমন অসাধারণ মানুষদের সাথে কি পরিচয় হতো?
আর তুমিও কি এমন নাত্নী পেতেন?
😀 \|/
শুন্য শুন্যালয়
তোমার লেখা পড়ে মাত্র শেষ হওয়া খালি চায়ের কাপেই একটা চুমুক দিলাম।
তোমার লেখা পড়ে যেটা প্রথম মাথায় স্টাক করলো, এই সদাহাস্যময়ী মেয়েটার মধ্যে কিছু ক্রুয়েলিটি আছে। গানের খাতা আগুনে ঢুকিয়ে দেয়া সহজ কাজ নয় মোটেই, এরপর আগের একটা লেখা এক, দুই করলামঃ ল্যাপটপ থেকে সব লেখা ডিলিট করে দেয়া।
যে ভালোবাসতে পারে বেশি, পোড়াতেও পারে সে বেশি।
এবারে বুঝলাম কেন লিখেছিলে, ফোস্কা ভালোবাসো।
কবিতার ভূবন সে কি আর বাস্তব জীবন বোঝে? বোঝে, কবিতা কবিকে বোঝে, বোঝায়।
হাল্কা হয়ে উড়ে যেওনা একা একা। দাঁড়িয়েই আছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু এভাবে আমাকে বোঝো? আমি সত্যি অবাক হই।
তবে আমি অনেকটাই নিষ্ঠুর। নিজের ক্ষতি করতে সময় যেমন নেইনা, ভাবিও না।
ঠিক না এটা আমি সেটা বুঝেও করি।
ওখানে তুমি দাঁড়ানো কবিতার মতো। আর কি চাই! সোনেলা আমায় তোমার অনেক ভালোবাসা পাইয়ে দিলো। থেকো। আর শোনো আমিও আছি। যে কোনো সময় এই মেয়েটাকে পাবে শুধু ডেকে দেখো আপু। -{@ (3
ওহ আরেকটি কথা জ্বালাবোও অনেক কিন্তু। সইতে হবেই হবে। 😀 :D) \|/
ছাইরাছ হেলাল
এ লেখাটির ব্যাপ্তি এত বেশি যে মন্তব্য করতে খেই হারাচ্ছি।
কবি ও কবিতা, কবি কী কবিতার? নাকি কবিতার জন্য কবি, এ আমার কাছে ঘোর-প্যাঁচের বিষয়।
তবে ধন্যবাদ ‘কবি হবো’ লেখাটিকে, এত কিছু জানাই হতো না।
নীতেশ বড়ুয়া
আমিও সেই ভাবছিলাম। এখন শুন্যাপুকে কিভাবে প্যাঁচে ফেলে লেখা আদায় করা যায় সেই ভাবছি ;?
নাসির সারওয়ার
আপনারা কে কি ভাবছেন তা বুঝিনা। তবে আমার মনটা একটু খারাপই লাগছে।
নীতেশ বড়ুয়া
উফফ, মন খারাপ না করে নীলা’দিকে গান আর ফুল উপহার দিন… উনার মন ভাল হয়ে যাবে সাথে সাথেই
নাসির সারওয়ার
গোলাপতো আছে জমানো, কিন্তু কিছূ গানও কিন্তু মন খারাপ দেয়। ভারী সমস্যা পরলাম তো ভাই।
নীতেশ বড়ুয়া
মাইনাসে মাইনাসে প্লাস। মন খারাপ+মঙ্খারাপের গান=মন ভাল 😀
আপনার কবিতার অপেক্ষায় আছি কিন্তু এখনো নাসির ভাই 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতার অপেক্ষায় আছি কিন্তু নাসির ভাইয়ু। -{@
নীতেশ বড়ুয়া
আমিও অপেক্ষায় আছি নাসির ভাই -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিভাই সবার জীবনেই কিছু না কিছু থাকেই। কেউ সেটা প্রকাশ করে, কেউ না।
তবে হুম ভুলেই গিয়েছিলাম ওসব কথা নাসির ভাইয়ের লেখা পড়ে মনে পড়ায় লাভই হলো। অনেক হাসতে পেরেছি লিখতে গিয়ে। 😀 :D)
নাসির সারওয়ার
কাউকে আঘাত করার নাই সাহস নাই মন। আপানার আর নীতেশ বড়ুয়ার লেখা পড়ার পরে একটু অপরাধ বোধ হচ্ছে।
মনের ভাবটা অন্য কখনো বলবো।
নীতেশ বড়ুয়া
অপরাধ বোধ কেন ভাই? মনের কথা নিজে বলতেই না পারি আর সেই বলা কথা যদি অন্যকে ভাবাতেই না পারে তখনই ভাবার বিষয় যে কি লিখলাম… আপনার ঐ এক পোস্টে আমরা কত কথা বলে ফেলেছি। এইবার দেখি কবিতা খাতা খুলে আমাদের দেখান। দেখি লুকানো ও জমানো কথাগুলো কিভাবে ছন্দে আনন্দে আমাদের মাতায় 😀
নাসির সারওয়ার
আমি বেশ নতুন সোনালেতে। এখানে বেশ কিছু উঁচু মানের মানুষ আছেন এবং বেশ কিছু ভাল লেখক আছেন। তাদের কাছ থেকে শেখার শুরু আমার।
ভাল থাকুন।
নীতেশ বড়ুয়া
সে আমিও বলি ভাই। এখানে বেশ উঁচুদরের মানুষ আছেন আর উনারা উঁচুদরের কারণ আমাদের কাছে উনারা আমাদের মতো মিশে যেতে পারেন বলেই।
আসুন আজ রাতেই কবিতা ছাপাই… রাজী তো?
নাসির সারওয়ার
জং টা পরিষ্কার করার চেষ্টা করি আগে।
নীতেশ বড়ুয়া
তাহলে জং আলাদা করে পোস্ট করুন আর কবিতা আলাদা করে। দারুণ হবে 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ু গো এমন করলে কিন্তু মনের সব কথা আর লিখবোই না। সেটা চান?
আরে বাবাহ ক্ষত শুকিয়ে যায় সময়ের সাথে সাথে। ছোটবেলায় আইসক্রীম খেতে না দিলে কি কষ্ট পেতাম!
সেটা ভেবে এখন কি কষ্ট পাই? তাহলে কেন অযথা মনকে ভার করছেন কষ্ট দিয়ে?
শুনুন ওসব কষ্ট থামিয়ে কবিতা দিন। জং ধরেছে শান দেবো আমি। লিখুন খুব তাড়াতাড়ি। 😀 -{@
অরুনি মায়া
স্মৃতি কথায় জানা যায় অনেক না জানা কথা। এই ছোট ছোট লেখা গুলোই আমাদের একে অপরকে জানতে সাহায্য করে। আজ জানলাম তোমার জীবনের না জানা আরও কিছু ঘটনা। তোমার মত করে কবিতা লিখতে পারিনা আপু 🙁 । এত এত শব্দ আমার জানা নেই। তবুও লিখে শান্তি পাই যখন তোমরা শত ব্যাস্ততার মাঝেও সেটি পড়ে ফেল। লিখে যাও আপু কখনো নিজের জন্য কখনো আমাদের জন্য (3
নীলাঞ্জনা নীলা
অরুনি আপু কেউ কারো মতো হতে পারেনা। প্রত্যেকের একটা নিজস্ব ব্যক্তিসত্ত্বা থাকে।
আর লেখাও তেমন। প্রকৃতি নিয়ে অনেকেই লেখেছে, জীবনানন্দর মতো কেউ কি পেরেছে?
লিখলে ভালো লাগে, ভালো থাকি। তাই লিখি। নিজেকে বেশী ভালোবাসি যে। 😀
মনের আকাশের মেঘের বৃষ্টি হোক…পরিষ্কার হয়ে যাক রাস্তা-ঘাট। ভালো থেকো আপু। -{@ (3
অরুনি মায়া
পাকা রাস্তা হলে বৃষ্টিতে সমস্যা নাই। কিন্তু কাঁচা রাস্তা হলে কাদা হয়ে যাবেনে :p
নীলাঞ্জনা নীলা
ফাজিল মেয়ে আবেগে কাদা মাখায়! :@
অরুনি মায়া
এত্ত আবেগ আসে কোত্থেকে হুম? কাঁদায় গড়াগড়ি করে ফর্সা হয়ে যাচ্ছ দিন দিন।। আমি তো হাটু পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছি :p
নীলাঞ্জনা নীলা
আবেগ তো ভরা সেই জ্ঞান হবার পর থেকেই। তা নইলে কি তোমার সাথে কথা বলতাম?
এন্টি-এজিং ক্রীম মাখছি মুখে :p
হাঁটু জলে হাবুডুবু খাচ্ছো সে কিন্তু ভালো। কাদায় গড়াগড়ি ভালো না।
অরুনি মায়া
ওওও তাহলে তোমার রূপের রহস্য এটাই। কি মজা কি মজা জেনে গেলাম। আমিতো সকাল বিকাল নিয়ম করে গরুর গোবর মাখি সাথে শ্যাওলা পাতা বাটা। কি আর করব কেউ চেয়েও দেখেনা ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি তো কেউ চেয়ে দেখার জন্যে সাজিনা। নিজেকে সাজাই, নিজেই দেখি।
আর আমাকে কে দেখলো, না দেখলো তাতে কিছু আসে-যায়না। ওসবের সময় অনেক দূরে ফেলে এসেছি গো আপু।
বুঝেছো? কাঁদে না। ও সোনা রে কাঁদেনা। উম্মাআআআআআ -{@ (3
ফাতেমা জোহরা
কথাগুলো মোটেও এলোমেলো নয় আপু, খুব গোছানো। হয়তো অনুভূতিগুলো এলোমেলো।
চমৎকার লেখা 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশ বলেছেন। অনুভূতি এলোমেলো। তা-ই হয়তো হবে।
কিন্তু কথা দিয়েই তো প্রকাশ হয় অনুভূতি। তাই না?
অনেক ভালো থাকুন ফাতেমা। 🙂
লীলাবতী
দিদিকে জানলাম এই লেখার মাঝে। দেখলাম মনে হয় আপনাকে চোখের সামনে।
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাবতীদি কি যে বলি আপনাকে। দেশে গেলে আবার দেখা হবেই। কেমন? -{@
জিসান শা ইকরাম
সময় পালটে দেয় মানুষকে
লেখা লেখি শুরুর ইতিহাসটা জানলাম
জানা ছিল না আগে
শুভ কামনা।
ভিডিও গুলো এভাবে না দিয়ে লিংক শেয়ার করা যায় না?
এভাবে দিলে পোষ্ট ভারি হয়ে যায় মনে হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আমার প্রথম লেখা স্কুল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিলো। তখন আমি ক্লাশ টু-তে পড়ি।
“ঝড় ঝড় ঝড়।
ওই এলো ঘূর্ণিঝড়।” তারপর আর মনে নেই। তবে মজা হলো তখনও যখন স্কুলে যাইনি, পুরোনো কিছু খাতায় উলটাপালটা যা মন চায় লেখা। পড়লেই হাসি পেতো :D) । ইস থাকলে তোমাকে দেখাতাম। 😀
মেহেরী তাজ
ইহা এলোমেলো লেখা??? আচ্ছা! পায়ের কি অবস্থা?
নীলাঞ্জনা নীলা
পায়ের অবস্থা এমনই থাকিবে আজীবন গো পিচ্চি আপু। তাই ব্যাপার না।
চলছে, চলবে 😀 \|/
এলোমেলোই তো। শুরুটা দেখো আর তারপর শেষে এসো, এলোমেলো নয়তো কি?
শোনো আদর অনেক। -{@ (3
ব্লগার সজীব
এমন পোষ্ট দিয়ে চলে গেলে হয় নীলাপু?
নীলাঞ্জনা নীলা
কোথায় যাবো ভাভু বাইয়া?
“আমার যাওয়া তো নয় যাওয়া।”
https://www.youtube.com/watch?v=dgHm0hyylno -{@
অরণ্য
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে… \|/
আর কোন কথা নয়…
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে… \|/
অরণ্য
নীলাপু, তোমার কথা রাখতে পারিনি। আমার এক কলিগকে বললাম “একটা গান পাঠাওতো”। ও পাঠালো ওর নিজের কম্পোজ করা গান। ওর ফার্স্ট কমপ্লিট করা কম্পোজিশন। আমি শুনছি। তোমাকে শেয়ার করতে ইচ্ছে করল।
https://www.youtube.com/watch?v=45-w_Kddhc8
ওর নাম নাহিদ। ওর কাজ আমার খুব পছন্দ। তোমার ভাল লাগতেও পারে। কিছু মানুষকে আমি আপন করে পাই। তুমি তাদের একজন।
আমি দৌঁড়াতে শিখছি। তখন গাওয়ার চেয়ে হেডফোনই শ্রেয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
সবুজ অরণ্য অনেক দিন বাঁচবে তুমি ভাইয়া। ভাবছিলাম কোথায় হারালে? দেখছি না তোমাকে।
ভাবতেই তুমি হাজির। কি অদ্ভূত! একেই বলে আত্মিক টান।
হুম গানটি ভালো লেগেছে। তবে বোঝোই তো ঘোলে মেটেনা। তা আনন্দের নাচটা কিসের?
দৌঁড়ে দৌঁড়ে হেডফোন কানে নিয়ে গানের সাথে পথে ছুটি আমিও। ভালোই তো যখন দৌঁড়ুবে আমিও থাকবো দৌঁড়ে। \|/ \|/
ভাইয়া গান দিচ্ছি। শোনো https://www.youtube.com/watch?v=U1T92HOAEOM -{@
শুন্য শুন্যালয়
নীলাঞ্জনা, পাইছি তোমাকে আজ। 😀 কেমন আছো টুনটুনি?
নীলাঞ্জনা নীলা
\|/ \|/ \|/ \|/
কি মজাআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআ 😀
শুন্য শুন্যালয়
কি গানের সাথে নাচছ? আজ আমাকে কাওয়ালী পেয়েছে। দামা দাম মাসকালান্দার শুনেছি কএকবার। এবার এটার সাথে নাঁচো।
নীলাঞ্জনা নীলা
তোমায় দেখে নাচছি। কতো ভালো লাগছে বোঝাতে পারবো না। আজ আমিও নেচেছি গো আপু। এক বন্ধুর বাড়ী গেলাম, সবসময় নাচের গান ছেড়ে রাখে। হাসে। দরজা দিয়ে ঢুকেছি নেচে নেচে। মেয়েটি অনেক ভালো। ওর বাসায় গেলে মন ভালো হবেই হবে।
ওর নাম মানদীপ। বাসায় ঢুকেছি এই গানের সাথে তাল মিলিয়ে। \|/ \|/ \|/ \|/
https://www.youtube.com/watch?v=9aKMtGSY-Jc
আপু নাচো