হাতছানি দেয় আস্ত চাঁদ
এখনও ,
হাতছানি দেয় স্বপ্ন সুন্দরী
সুগন্ধি রূপসী অস্পর্শী যৌবনা ।
অসংখ্য রাত খুঁজেছি তোমাকেই
অসংখ্য দিনেও ,
নির্বোধ রোদেলা দুপুর কিম্বা সোনালী সন্ধ্যায়
বা চাকভাঙা চাঁদনি বেলায় ।
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে
তোমারই গন্ধ নিয়েছি এ বুক ভরে ।
তুমি নেই , নেই-ই
সমস্যা দেখছি না তো কোন…
কখনও আর দেখা নাই বা হলে ;
জিভ দিয়ে জিভ ছুঁয়ে
তোমারই গন্ধ নিয়েছি কত কাল,
বুকে আটকে রেখেছি
পৃথিবীর শেষ ও প্রথম সুগন্ধটি ।
হে গন্ধ সুন্দরী——
খুঁজেছি উৎস , প্রাণদায়ী মিষ্টি গন্ধটির
প্রতিটি পরতে পরতে অনাদিকাল ধরে ,
কাঁদা মাখা অরণ্য যুবতীর উষ্ণ শরীর ছুঁয়ে
ভিতরে আরো গভীরে নির্জন বনে
গভীর থেকে গভীরতম প্রদেশে ,
চোখে চোখ রেখে——
তির তিরে জলে নয়
আকণ্ঠ অবগাহন তোমারই লোনা জলে ।
তোমাকে ছাড়া ভাবনাহীন আমি ,
অনুমতি চাই ——
ইচ্ছের নির্লজ্জ সম্ভোগে হয়ে রক্তাক্ত
তোমাতেই সমূলে বিদ্ধ হতে হতে নিঃশেষ হওয়ার ;
হে সুন্দরী স্বাধীনতা ; হে আমার দেশ ।
গন্ধ প্রেমি সেজে গন্ধ মৃগের গ্যাঁড়াকলে পড়ার অনুভূতি প্রকাশের সবল সাবলীলতা কিন্তু অস্বীকার করতে পারছি না । আহারে , বেশ একটি নিমজ্জিত নিমজ্জন , কষ্ট কষ্ট ভাব নিয়ে জীবন উৎসর্গ , ভালোবাসা নামি অলিক হরিণীর পদতলে , বেশ চরাও হওয়ার মত অবস্থা । যদিও কবিতা -ফবিতা হয়নি কিছুই , শুধুই ইলিমিলি । বলেছি তো আগেই -সহজ নয় কবিতা লেখা এতটা যতটা আপনি ভাবেন বলে মনে করি । আপনাদের এই অনন্য প্রেমানুভুতির অসামান্য অনুভবের কাছাকাছি পৌছানোর কোন সুযোগ আমরা পাইনি বা কেউ দানও করেননি অতএব মরুভূমির মরীচিকা । অজানাকে অজানাতেই রেখে দিচ্ছি আপনাদের এ জাতীয় প্রেম-ফ্রেম । তবে সময় বা জীবন কোন সস্তা জিনিস নয় যে কেঁদেকেটে নতজানু হয়ে যেতে হবে , হতে পারে এটি একটি অনভিজ্ঞ কথন ।এতক্ষণ যা কিছুই বলেছি তা আপনার লেখার শেষ দিকের শব্দ দু’টি বাদ দিয়ে এবং হালকা চালে । শুধু দু’টি মাত্র শব্দের (স্বাধীনতা ও দেশ ) ব্যবহার লেখাটিতে প্রাণছোঁয়া অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে । আপানার প্রায় নিখুঁত নিটোল নিবিষ্ট নির্বিষ নিমগ্ন অনবচ্ছিন্ন দেশপ্রেমের আকুলতা প্রকাশের বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণোচ্ছল চতুর চতুরতা আমাদের ভালই লাগে । আমাদের নিতবর! হতে ইচ্ছে করে । লেখালেখি করে অহেতুক সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় ?
আপনি লোক সুবিধের নয় , আপনাকে নিতবর করে পাকা গুটি কাঁচা করে ফেলার ঝুঁকি নিচ্ছি না কোনভাবেই ।
১৭টি মন্তব্য
বনলতা সেন
এতটাই নিমজ্জিত !! ভয় পেলাম কিন্তু 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভয়ের কিছু নেই । কঠিন ভালোবাসাবাসি এমনই হয় দেশের জন্য ।
জিসান শা ইকরাম
অসাধারন , মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম কবিতা ।
দেশকে নিয়ে এ কেমন ভালোবাসা !!
ছাইরাছ হেলাল
আসলে দেশকে ভালোবাসাই সত্যিকারের ভালোবাসা ।
এই একটি জায়গা যেখানে প্রতারিত হলেও নিজের দেশের সাথে প্রতারণা করা যাবে না ।
শিশির কনা
আপনি আসলেই লোক সুবিধার নন , পড়লাম কষ্ট করে , শেষে ঐ শব্দ দুটো কেনো আনলেন ?
ছাইরাছ হেলাল
যাক্ , বুঝে ফেলছেন দেখে ভালই লাগল ।
তবে কষ্ট দেয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থী , কিন্তু অযোগ্যতার যোগ্যতা নিয়ে অ্যার কী বা লেখা সম্ভব ।
কষ্ট করে কিন্তু আরও পড়তে হবে ।
ওই শব্দ দু’টোর জন্যই ত লেখা ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
"বাইরনিক শুভ্র"
হুম। ভালো লাগল পড়ে ।
ছাইরাছ হেলাল
ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল ।
ধন্যবাদ ।
হতভাগ্য কবি
কোপ পুরাই কোপ
ছাইরাছ হেলাল
হা …………হা…………
আদিব আদ্নান
সব বুঝে ফেলেছি এমন বলছি না , তবে হৃদয়ের নিবিরতম ভালোবাসা প্রকাশে আপনি
সক্ষম হয়েছেন সততা নিয়ে তা বলতেই হচ্ছে ।
লেখার শেষের আলোচনার অংশটুকু আরও হৃদয়গ্রাহী ।
তবে ভাবছি মুল লেখাটির কথা ।কতটা বিশাল কতটা ঔজ্জ্বল্য ছড়াবে কে জানে ।
অপেক্ষায় থাকব অনেক অনেক দিন ।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে কী লিখছি কেমন লিখছি তা কিন্তু মোটেই ভাবিনি । স্রেফ অনুভূতিটি প্রকাশ করার চেষ্টা করি অকপটে । লেখাগুলো পুরো লেখার খণ্ডাংশ মাত্র । অনেক অনেক বড় একটি লেখা ।
দু্’জন মানুষের আলাপচারিতা তুলে ধরার চেষ্টা । বেশ কয়েকটি বিষয় ঘিরে ।
আলো ছড়াবে কীনা জানিনে তবে কিছু একটা বলতে চেয়েছি বিপরীতমুখিতা নিয়ে ।
ধন্যবাদ ।
আফ্রি আয়েশা
আপনি লোক সুবিধের নয় , আপনাকে নিতবর করে পাকা গুটি কাঁচা করে ফেলার ঝুঁকি নিচ্ছি না কোনভাবেই । 😀 । আপনার লেখা যত পড়ছি তত মুগ্ধ হচ্ছি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
নিতবর হওয়ার আনন্দই আলাদা ,
এই মহা আনন্দ খুব বেশি বার পাওয়া হয় না ।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
অরুনি মায়া
অবশেষে কি সেই গন্ধ সুন্দরীকে খুঁজে পেলেন জলে ভেজা ম্যানিলা রাত্রিতে?
ছাইরাছ হেলাল
সব বলা যাবে না আপনাকে, বলা ঠিক ও না,
আবার কার কাছে না কার কাছে হাড়ি ভেঙ্গে দেন!!
অরুনি মায়া
অজানার কি আর কিছু বাকি রয়েছে নাকি :p