অ্যাক্রেলিকে তোমার বিষণ্ণ মুখ

দীপংকর চন্দ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, সোমবার, ১১:২৭:৫৯অপরাহ্ন বিবিধ ৯ মন্তব্য

acrelyc-e-tomar-bishonno-mukh-dipankar-chanda-cover-final-3

 

ফিরবো না ভাবতে ভাবতে ফেরা ঠিক হয়েই যায় কোন এক অসতর্ক মুহূর্তে, অনাকাঙ্ক্ষিত দীর্ঘশ্বাসের মতো, সংকোচে জড়োসড়ো, বেদনায় মুহ্যমান শূন্য প্রহরে

যদিও নতুন কিছুই বলার নেই আমার পুনরুক্ততা ছাড়া, অপ্রাপ্তির কথাগুলো বহুব্যক্ততায় শীর্ণ, জরাজীর্ণ, ক্লান্ত এখন, আমার নিজস্ব কোন নদী নেই, সমুদ্র নেই একান্ত আপন, আমি কখনো ঝর্ণা দেখিনি, ছুঁইনি পাহাড়, প্রবেশ করিনি নিবিড় অরণ্যে, স্পর্শ করিনি প্রার্থিত নারীর অনামিকা আজও

স্বয়ম্ভূ শব্দে শব্দে সমকাল বিনির্মাণের সহজাত দক্ষতা থাকে না সকলের, আমি জানি সেটা, এবং মানি আমার অক্ষমতা। আমার সীমাবদ্ধতা আমাকে ঘুমাতে দেয় না, অদূরদর্শী নিশাচরের মতো সারারাত উড়তে থাকি আমি, উড়তে থাকি মহাশূন্যের অনেকটা জুড়ে, লক্ষ নিযুত নক্ষত্রের তির্যক হাস্য লাস্য আমার ম্লান মুখ ম্লান করে আরো, আমার নতমস্তক উপনীত হয় অবনমনের অন্তিমে

মৃত্তিকালগ্ন হবার পর মুঠো খুলে দেখি কতো শতো ভুল করতলে। বেদনার জলরাশিতে মাখা চোখ। জানালায় রোদ উঠে আসে। কোনো পথ আমাকে ডাকে না। ব্যালকনিতে পায়চারী, গোঁফদাড়ির অবান্তর বাড়াবাড়ি। তেপান্তরের মাঠে কোনো ধুলোঝড় নেই। বাতাস অবরুদ্ধ। চিত্তচাঞ্চল্যরহিত বৃক্ষের শাখা প্রশাখা, পাতা। এবং অব্যক্ত কথা মিলিয়েছে দূরাশ্রয়ে

অভিমানি সময় আমার চারপাশে। নিরেট দুর্দশায় ক্ষত বিক্ষত হবার ইতিবৃত্ত অপ্রকাশের অন্তরালে। আমাকে দিয়ে কিছ্ইু হবে না জানি, হয়নি কখনো। না প্রজ্জ্বলন, না নির্বাপণ

মাঝে মাঝে তোমার কথা ভাবি। অদ্ভুত অনিশ্চিতি, অপ্রাকৃত স্মৃতি। কুয়াশাক্রান্ত। ব্যথাভারাতুর মন, চারণচিহ্নহীন অলীক জীবন। ইজেল, রঙ, তুলি, ক্যানভাস, অপরিণামদর্শী ভাবনায় বসবাস। তবু এঁকে যাই আশ্চর্য অসুখ

অ্যাক্রেলিকে তোমার বিষণ্ণ মুখ

প্রচ্ছদ: শিবু কুমার শীল
প্রকাশক: বিশ্বসাহিত্য ভবন
স্টল নং: ৩৪৯-৩৫০-৩৫১-৩৫২

সকলের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা প্রার্থনা রইলো।

বিনীত

৬৬৮জন ৬৬৮জন
0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ