জ্যোৎস্না-দগ্ধতা নিয়ে হেঁটে যেতে যেতে শুনতে পাই
হাস্যোজ্জ্বল বন-পাখির ডাক,বর্ষণ-বিথীপথের প্রান্ত জুড়ে,
এ-ফোঁড়ে ও-ফোঁড়ে; চারু-জ্যোৎস্নার বৃষ্টি কাফনে;
বিব্রত জিজ্ঞাসায়, বিপন্ন-অবসন্ন-অবিচলিত-শৈথিল্য স্পর্শে,
রাজা-প্রজার বিভেদ-বিষাদ ভুলে, বর্ষণস্নাত হওয়ার কথা ভাবি;
অনন্তর মিলন-যুদ্ধে অনিবার্য হেরে যাওয়া তিতকুটে স্বাদ
এখন-ও জিহ্বার অগ্রভাগে স্মরণ দিচ্ছে;
সুরঞ্জনা!! স্মিত হাসি হেসে, ও-পাড়ায় গড়িয়ে-জড়িয়ে বিলিয়ে দিচ্ছ!!
এন্তার নিজেকে!! ঘেটুপুত্রদের সাথে!! জলজ্যান্ত-সোনা-হাস অনুরণনে!!
বহু-গামীর স্মৃতি-পরম্পরায়; বস্তি-বালকের উষ্ণ-নম্র-হাতে!!
উত্থান-রহিত নমঃশূদ্রের ক্লিন্ন মর্ত্য-অর্চনাকে স্বর্গসিঁড়ি ভেবে ভেবে
বেহাত আজ মন্দির-ধ্বনি, অমোচনীয় ম্লানতর সফেদ স্মৃতি চেরা/ছেঁড়া
যন্ত্রণার অবিস্মরণ, লুকোবে ভেবেছ!! সুরঞ্জনা!!
“তারপর ফসল ঝরিয়া গেছে কতবার,-
কতবার ঝরে গেছে তৃণ
মাটির উপরে”
(ফসলের দিনে— জীবনানন্দ দাশ)
নিরুদ্বিগ্ন-নিভৃত-নীরব-উদ্বেল আবাল্য সখা, হাঁটু-মুড়ে বসা
ধানসিঁড়িটি আজও বয়ে চলে নিরবধি,
নবান্ন-ঘ্রাণের ঘন-বিকেলে, কাজে অ-কাজে,
ভালোবেসে ভালবাসি তারে, যেখানে সবাক হৃদয়ে
ভেসে বেড়ায় হংস-রাশি।
বনপথের নাজুক পথিক, গ্রন্থ-দুনিয়ার ভঙ্গুর-যৌবনে,
সতত নির্বিকার, নিঝুমের আশ্চর্য-রাত্রির করণীয়
কামে, ক্রোধে, রমণে; অনিচ্ছুক বিদ্ধ-হাস্যতায়-ও।
২৬টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
মন্তব্য নাইবা দিলাম ঈদ মোবারোক
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও ঈদ মোবারক।
জিসান শা ইকরাম
লেখার প্রথম সাত লাইনেই আছি আমি এখনো,
সুখ স্মৃতি কথা।
জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে এলেন লেখায়
কতদিন ধানসিঁড়িতে যাই না, দেখতে ইচ্ছে করে এখনো সেখানে ভেসে বেড়ায় কিনা হংস-রাশি।
চলুন একদিন, দেখে আসি স্মৃতিময় ধানসিঁড়ি।
ছাইরাছ হেলাল
শুধু সুখ-স্মৃতি না দহন-যন্ত্রণাও সেখানে উপস্থিত।
আমার প্রাণের কবি তিনি, শিয়রে, শয়নে, স্বপনে, অনুভবে থাকেন, বুঝি বা না-বুঝি।
তা যাওয়া যেতেই পারে, হংস মিথুনের খোঁজে।
মোঃ মজিবর রহমান
সোনেলা পরিবার যাবে সেথায় কোনফাকিবাজি চলবেনা। সবাই যাব মন খুলে।
সুখ স্রিতি জড়িয়ে থাক হংস মননে
ছাইরাছ হেলাল
আমিও শত ভাগ একমত আপনার সাথে।
সুখ স্মৃতি জড়িয়ে-গড়িয়ে পড়ুক।
তৌহিদ
পথিকের সব চাওয়া পূর্ণ হোক। সকল পঙ্কিলতা কাটিয়ে মেতে উঠুক সুখস্বপ্নে।
কাম ক্রোধ এসব জীবনেরই অংশ। থাকলে ক্ষতি কি?
জীবনানন্দ আমারও প্রিয় কবি। তার লেখার ধাঁচ ভালো লাগে।
ছাইরাছ হেলাল
পথিক ও আপনার মতই ভাবে, তবে স্বপ্ন স্বপ্নে থেকে হাতছানি দেয়।
সব কিছুই জীবনের অংশ, তবে এর মাত্রাটুকু মনে রাখতে হবে।
তিনি আপনার প্রিয় কবে জেনে ভাল লাগল।
শামীম চৌধুরী
মন্তব্য নিঃস্প্রয়োজন। দারুন লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকবেন ভাই।
আরজু মুক্তা
পথিক পথে যেতে যেতে বিশেষণ খুঁজে পেয়েছেন।।জীবনের উত্থান, পতন,অনুরাগ,বিরাগ সব চোখ দিয়ে দেখে এগিয়ে চলেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
চাওয়া-পাওয়া-না-পাওয়া এসব নিয়েই পথিক চলমান, দেখাটুকু সঙ্গে নিয়ে।
আরজু মুক্তা
আমি পথ হবো।।
ছাইরাছ হেলাল
চেষ্টা নিয়ে দেখতে পারেন!
সাবিনা ইয়াসমিন
ধানসিড়ি কি জীবনানন্দ বাবুর কাছ থেকে ধার নিয়েছেন ? মনেহয় নেয়ার আগে অনুমতি নেননি। নইলে এমন লেখা লিখতে পারতেন না।
আর কি কি বাকি আছে শুরু করে দিন, হংস মিথুন দেখতে ধানসিড়ি লাগে নাকি ? ঢাকার চিড়িয়াখানাতেও বিস্তর দেখা মিলবে;
ছাইরাছ হেলাল
আরে ধার নেব কেন? একে বারেই তো দিয়ে দিতে চেয়েছেন/চাচ্ছেন! জীবন বাবু!!
নেব নিচ্ছি করে সময় কাটাচ্ছি, ফ্রি-ট্রি হল নেব কী-না ভেবে দেখব!! দিতে চাইলেই তো নেয়া যায় না, ঠিক-ও না।
ল্যাহা কুন ব্যাপার না, তা আপনি জানেন!!
শুরু তো করেই দিছি, কবিতা-জি!! কতদূর যেতে হবে/যেতে পারব তা তো জানি না।
চিড়িয়াখানা আর ধানসিঁড়ির জলসিঁড়ি বহুৎ দূর!!
সাবিনা ইয়াসমিন
চিড়িয়াখানা আর ধানসিঁড়ি তাবৎ দূরে থাকুক। ধানসিঁড়ি কিন্তু ফ্রিতে মিলেনা। আরাধনা করতে হয়। 😁
ছাইরাছ হেলাল
থাকুক দূর-দূরত্বে!!
আরাধনা সইবে না, ফ্রিতে যাই পাই/পাব তা-ই সৈ!!
রেহানা বীথি
ভালো লাগলো খুব
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিচ্ছি,
কেন মন্দ নয় তা একটু বলুন এবারে!!
সঞ্জয় মালাকার
সুন্দর লেখা পড়ে ভালো লাগলো খুব।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
রায়হান সিদ্দীক
দারুণ লেখা। পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
বড় হতভাগা কপাল। যে কপালে আজো জোটেনি ধানসিঁড়ি দেখার। জীবন বাবুরে বোধ করি আপনিই জাগ্রত করে দিলেন, এমন লেখায়। ভালো লাগা জড়াজড়ি করে হৃদয় ছুঁয়েছে। অপার শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
কপাল রিপেয়ার সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আসুন, এক সাথেই না হয় নূতন সব কিছু দেখবেন।